নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্লান্ত চরণ

I

কার্ল মাকর্স

I'm sooo coool

কার্ল মাকর্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই অস্ত্রধারীই ছাত্রলীগের সম্পাদক

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৭





রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের ২ অক্টোবর ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের সময় অস্ত্র হাতে গুলি চালাতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেনকে (ফাইল ছবি)

প্রথম আলো

ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম তৌহিদ আল হোসেন ওরফে তুহিন নবগঠিত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন। তিনি ছাত্রলীগের কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসান ওরফে সোহেল হত্যা মামলার আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা এবং অস্ত্রবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

গত শনিবার ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২৪তম কাউন্সিল শেষে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের নগর কার্যালয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সভাপতির পদ পেয়েছেন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক উপশিক্ষা ও পাঠচক্র-বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী এবং তৌহিদ আল হোসেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিবিএর শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৫ জুলাই রাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিদায়ী সভাপতি আহমঞ্চদ আলী ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসান। এ ঘটনায় ১৭ জুলাই ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহামঞ্চদ নোমানের দায়ের করা মামলায় তৌহিদ আল হোসেনকে আসামি করা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে তাঁকে ১৬ জুলাই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২২ নভেম্বর তাঁকেসহ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আটজন নেতা-কর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।

সূত্র আরও জানায়, ২০১১ সালের ২১ আগস্ট নগরের পদ্মা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত বছরের ১৯ এপ্রিল পুলিশ তৌহিদ আল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। তবে তিনি দাবি করেন, পুলিশ সন্দেহ করে তাঁর নামে অভিযোগপত্র দিয়েছে।

২০১২ সালের ২ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় তৌহিদ আল হোসেনকে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। যার ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

সংগঠনের পদপ্রত্যাশী একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, তাঁর (তুহিন) চেয়ে যোগ্য একাধিক প্রার্থী থাকলেও বিতর্কিত ব্যক্তিকেই সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে তৌহিদ আল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদী শক্তিকে প্রতিহত করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় কিছু বিতর্ক হয়তো হয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে যোগ্য মনে করেছেন বলেই আমাকে পদ দিয়েছেন।’

সংবাদ সমেঞ্চলন: পদ পাওয়ার এক দিন পর গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সমেঞ্চলন ডাকেন মিজানুর রহমান ও তৌহিদ আল হোসেন। সংবাদ সমেঞ্চলনে তাঁরা অতীতের ভুল-ত্রুটি সুধরে নতুনভাবে কাজ শুরু করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.