নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্লান্ত চরণ

I

কার্ল মাকর্স

I'm sooo coool

কার্ল মাকর্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

কায়রোয় মুরসি সমর্থকদের তাঁবু বাস

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির হাজার হাজার সমর্থক তৃতীয় সপ্তাহের মতো কায়রোর রাবা আল-আদাবিয়া স্কয়ারে সমবেত হয়েছে।



তারা ওই এলাকায় রীতিমতো তাঁবু গেড়ে অবস্থান নিয়েছে। রাত-দিন তারা ওই এলাকায়ই থাকছে। রমজানের সেহরি ও ইফতারও করছে এই তাঁবুতেই। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের চাহিদার যোগান দিতে আল-আদাবিয়া স্কয়ারে বসেছে অনেক সবজি স্টল, ফ্লাগ বিক্রির দোকান, বিশ্রাম কেন্দ্রসহ নানা অস্থায়ী স্থাপনা। সব মিলে নগরীর এই এলাকাটি গ্রাম্য বাজারের রূপ নিয়েছে। আর এতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফলে মুরসি সমর্থকদের বিরুদ্ধে তাদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছে।



তিন সপ্তাহ আগে সামরিক বাহিনী প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে তার হাজার হাজার সমর্থক স্কয়ারটি দখল করে এ পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করছে। স্কয়ারে তৈরি মঞ্চের পেছনে প্রেস সেন্টারে ব্রাদারহুডের এক কর্মকর্তা বলেন, সমবেত বিক্ষোভকারীরা স্কয়ার ছেড়ে কোথাও যাবে না।



তিনি বলেন, ‘আমরা তিন সপ্তাহ ধরে এখানে অবস্থান করছি। আর এভাবে এখানেই থাকব এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ চালিয়ে যাবো।’ তাদের অবস্থান নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কোনো বিরোধের কথা তিনি স্বীকার করেননি। তবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এই বিশাল জনতার ভিড়ের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিকার করতে কাজ করছি। স্থানীয়রা তাদের অসুবিধা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার পর শনিবার সকালে এলাকাটিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে।



ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস পার্টি তাদের গণমাধ্যম বিভাগের মাধ্যমে ‘আন্তরিক দুঃখ’ প্রকাশ করেছে। ব্রাদারহুড জানায়, তারা বিক্ষোভকারিদের জায়গাটি পরিচ্ছন্ন রাখতে বলেছে এবং মধ্যরাতের পর লাউডস্পিকার বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।



পার্শ্ববর্তী একটি ব্যাংকের ম্যানেজার মোহসেন ফাহমি তার বিরক্তি লুকাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন খুবই বাজে। ১৭ দিন ধরে এখানে প্রায় ২০ হাজার লোক আছে। এরা এলাকায় অপরিচিত। তাদের থাকার জায়গা নেই। তাদের টয়লেট সারার জায়গা নেই। বিক্ষোভকারীরা চেকপয়েন্ট বসিয়ে আসা-যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের আইডি কার্ড ও ব্যাগ তল্লাশি করছে অভিযোগ করে ফাহমি বলেন, ‘এদের এ কাজ করার কোন অধিকার নেই।’



ফাহমি বলেন, এদের অনেককেই কায়রোর বাইরে থেকে এখানে আনা হয়েছে। তাদের এখানে থাকার জন্য অর্থ দেয়া হচ্ছে। তারা কি সমস্যা তৈরি করছে তার কোন ধারণাই তাদের নেই। স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানের মালিক কপটিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্য মুনির বলেন, ‘বিক্ষোভের কারণে তার ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ থাকায় তার দোকানে ওষুধ সরবরাহকারীরা পৌঁছতে পারছে না।



ব্রাদারহুডের এক কর্মকর্তা স্থানীয়দের অসুবিধার কথা স্বীকার করলেও বলেন, তাদের অনেকেই এই ‘বিপ্লবের’ সমর্থক।



তিনি বলেন, ‘কিন্তু মিসরের জনগণ হিসেবে আমরা আমাদের মর্যাদার জন্য লড়ছি। বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া মর্যাদার ব্যাপার। তবে পরবর্তী সরকার ব্রাদারহুডের বৈধতা প্রত্যাখ্যান করতে থাকায় মুসলিম ব্রাদারহুড যেমন কোনঠাসা হয়ে পড়েছে তেমনি আল-আদাবিয়া স্কয়ারের বিক্ষোভকারীরাও ক্রমেই তাদের প্রতিবেশীদের সহানুভূতি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.