![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিসরে সহিংসতা বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সরিয়ে মিসরে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সেনাবাহিনী বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন জোরদার করেই চলেছে। এতে করে মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুড প্রকাশ্য রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে গোপন সশস্ত্র লড়াই শুরু করতে পারে। ৩ জুলাই মুরসিকে সরিয়ে দেওয়ার পর এক পক্ষ সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়ে এবং অন্য পক্ষ এর বিরোধিতা করে ও মুরসির পুনর্বহালের দাবিতে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। তাদের মুখোমুখি সংঘাত এবং মুরসিপন্থীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে চলতি মাসে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, মুরসিপন্থীদের ওপর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ না করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেলসহ মার্কিন কর্মকর্তারা মিসরের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় বার্তা পাঠাচ্ছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এভাবে চড়াও হলে ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড আত্মগোপনে চলে যেতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটনের নেতৃত্বে ইইউর একটি প্রতিনিধিদলকে সোমবার (গতকাল) ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে পশ্চিমা কূটনীতিকেরা আশা করছেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে এটা সেনাপ্রধান সিসির দিক থেকে একটা ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে। ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার বলা সত্ত্বেও মিসরের সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হওয়ায় একটি বিষয় ফুটে উঠেছে; তা হলো কায়রোর ওপর ওয়াশিংটনের প্রভাব যেমনটা ভাবা হয়, তেমনটা নেই। তা অনেক সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, এই অবস্থায় দেশজুড়ে সহিংসতা শুরু করতে পারে ব্রাদারহুড এবং একপর্যায়ে তারা গোপন রাজনীতিতে গিয়ে সশস্ত্র লড়াইয়ের পথে চলে যেতে পারে। ওবামা প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা ঠিক জানি না, ব্রাদারহুড সশস্ত্র লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না। তবে এই সম্ভাবনা আমরা বাদ দিচ্ছি না।
©somewhere in net ltd.