![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল মতাদর্শকে আন্তরিকতার সাথে অধ্যয়ন করি।
ইসলামী গনতন্ত্রে " জনগন ক্ষমতা পরিবর্তনের বা নেতা নির্বাচনের মাধ্যম" । আর পার্লামেন্ট কুরআনের আইন পরিবর্তনের ক্ষমতা পাবেনা।
পরামর্শ করার ব্যপারে সুরা ইমরানের ১৫৮ আয়াতে বলা আছে "ওয়া সাবিরহুম ফিল আমর" । ভোট একপ্রকার পরামর্শ।
নেতা নির্বাচনের ব্যপারে হাদীসে বলা আছে " ইজা খারাজা সালাছাতা ফাল ইয়ুআম্মারু আহাদুন।"
গনতন্ত্র শব্দে জটিলতা পরিহারে এভাবে চিন্তা করা যেতে পারে।
১.বিয়ে অনেক ধর্মে আছে। কিন্তু ইসলামে বিয়ের রুলস আলাদা । বিয়ে অন্য ধর্মে আছে বলে আমরা বিয়ে শব্দটা ইউজ করবনা সেটা সহীহ হতে পারেনা। রুলস ভিন্ন হতে হবে বা ইসলামী হতে হবে।
২. কোন অমুসলিম মুসলিম হলে বডি স্ট্রাকচারে কোন চ্যাঞ্জ হয়না। চিন্তা বিশ্বাস আমলে পরিবর্তন হয়। ঠিক তেমনি গনতন্ত্র শব্দটির প্র্যাকটিসে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক না হলে কোন সমস্যা নাই।
৩. ব্যাংক শব্দটি ইসলামে নাই। সুদ পরিহার করে মুদারাবা , বাইয়ে মুরাবাহা, বাইয়ে সালাম, ইজারা , মুশারিকা পদ্বতি এপ্লাই করে চললে ব্যাংক শব্দটি কোন সমস্যা সৃষ্টি করছেনা।
৪. গনতন্ত্র শব্দটি জেনা, মদ , জুয়া , সুদ , ঘুষ এর মত কোরআন ঘোষিত কোন হারাম শব্দ নয়।
৫. গনতন্ত্র শব্দটি কোন ধর্মের ওয়ার্ডও নয়।
৬. কে ভোটাধিকার পাবে তা ইসলামী কোর্ট নির্ধারন করবে। পরামর্শের বেলায় সাক্ষী(ভোট) দেয়ার অধিকার যদি আপনি সবাইকে দিবেননা বলে মনে করেন।
৭.আর কারা ভোটে প্রার্থী হতে পারবে তা ইসলামী গার্ডিয়ান কাউন্সিল বিবেচনা করে নির্ধারন করে দেবে। ইসলামী যোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচিত হবে তাদেরকে সাক্ষী বা পরামর্শ করার যোগ্য মনে করতে হবে। সাধারন ভোটাররা নেতা নির্বাচনের অধিকার পাবে মাত্র। কোন বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার নয়। বড় সিদ্ধান্ত নেবে শুরা বা পার্লামেন্ট।
৮. ইসলামী প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট মাঝে মধ্যে পার্লামেন্টকে এড়িয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার পেতে পারে।
৯. অনেকে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিকে অধিক ইসলামী মনে করে। তা আলোচনার ও বিতর্কের বিষয়।
১০. নাম নয় ...শব্দ নয় কি প্র্যাকটিস করছি বা মানছি তাই আসল বিষয়।
১১. এরপরও কেউ যদি মনে করে গনতন্ত্র নয় অন্য কোন টার্মিনোলজি ব্যবহার করবে তাতেও আমার কোন আপত্তি নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আইন এর ঘড়ি , সমাজের সুনাগরিকের সুরক্ষায় মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ ।।
*********** ডঃ আল্লামা মাসুদ মিয়া শাহি ।।
মানবাধিকার ও ব্লাশফেমি আইনে ,সুপ্রিম হাইকমান্ড এবং যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এর অর্ডার ব্যতিত দেশের যে কোন সুনাগরিকের উপর গুলি করার কোন অধিকার আইন শ্রিংখলা বাহিনীর নেই ।।
ব্লাশ ফেমি আইনে , পরিস্কার লেখা , এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্গনের জন্য আইনের লোকেরা মানবাধিকার নঙ্গনে তাদের উপর আনিত অভিযোগ সত্য প্রমানিত হলে বিনা বিচারে নাগরিকের অধিকার হরনের জন্য লঙ্গিত খুনের দায়ে তার বিরুদ্ধে আদালত কেন ? গ্রেফতারি সুমন জারী হবেনা এবং মানবাধিকার লঙ্গনে খুনের দায়ে কেন ? সাজা হবেনা তার জবাব দিহি আদালত বহন করবে ।।
স্বাধীন দেশের একজন সুনাগরিক যদি নানা রাস্ট বিরুধি অপরাধে জড়িত থাকে তাহলে আদালত তার বিরুদ্ধে সুমন জারী করার মাধ্যমে আইন পাশ হয়ার পর আইন শ্রিংখলা বাহিনী অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করতে পারে , তাও স্বপক্ষে নিজেকে মুক্ত করার জন্য জামিন যোগ্য উকিল বা ম্যাজিস্টেট এর নিকট আবেদন সাপেক্ষে আইনি সহযোগিতা কামনা করতে পারে ।। নিরদুষ প্রমানিত হলে মুক্তি নয়ত সাজা ।।
আজ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে আইন এর সংশোধন দেখিয়ে প্রকাশ্য জনসভায় সংসদ কমিটি মিছিল মিটিং দমনের উদ্দেশ্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কে প্রকাশ্য নির্বিচারে অন্যায় ভাবে গুলি করার যে আদেশ সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি ও মানবাধিকার লঙ্গন ।।
এজন্য যে একটা জনসভা স্থলে শুধু যে নিজ দলের মানুষ থাকে তা নয় । জনসভা
দেখার জন্য ও অনেক নিরীহ নারি শিশু ও সাধারন মানুষের বা পথচারীর সমাঘম ঘটে ।।
আর যদি কোথাও একই স্থানে একই সময়ে দু দলের বা অধিকাংশ জনতার মধ্য বিস্রিংখলার কোন আশংকা থাকে তাহলে স্থানীয় প্রশাসন , এর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নিতে পারে ।। যা উত্তেজনা প্রশমন হওয়ার আগ পর্যন্ত তা বলবদ থাকে ।।
আর যদি মাঠে একজন ফাস্ট ক্লাশ ম্যাজিস্টেট পরিদর্শন এলাকায় যায়
যদি সেথা অনিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা থাকে নিজেদের সুরক্ষা করার জন্য তিনি তার নির্দেশ জারী করতে পিছপা হবেনা ।।
যুদ্ধ বিগ্রহের আশংকা থাকলে জেনারেল বা জাতীর কাণ্ডারি যারা সেনাপ্রধান বা প্রতিরক্ষা ইউনিট তাৎক্ষণিক দেশের সুরক্ষায় তার আদেশ ই হবে মুখ্য ।।
তাই স্বাধীন সুনাগরিক যদি চুর বাটপার বা অধিক ঘৃণ্য লোক হয় তবে তাকে নির্বিচারে গুলি করে মারার অধিকার আইন বহির্ভূত ।।
এক জন সুনাগরিক এর জন্য বরং আনিত অভিযোগ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সত্যতা প্রমানের মাধ্যমে তাকে আদালত সম্পূর্ণ সুযোগ সুবিধা দেয় ।।
হে ক্ষমতাসীন দেশ চালক আপনারা আর আইনের বুকে শিখল দিয়ে মিথ্যা আইন জাহির করে , আইন ও মানবাধিকার লঙ্গন থেকে অধিক সাবধান হওয়া সুনাগরিকের প্রতি রাস্টের কর্ণধার দের দায়িত্ব ও কর্তব্য ।।
২৪ / ৯ / ২০১৩ ইং , মিরপুর সেনানিবাস ১২ ।।
৯. ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সত্য জানুন , আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ সতন্ত্র হওয়ায় যত জটিলতা ।।
**************পরিবেশ বন্ধু
আইন বিভাগ সাংবিধানিক এবং সংরক্ষিত । যেমন অমুক আইনের এত দ্বারায় সুমন জারী বা প্রজ্ঞাপন জারী এবং কার্যকর ব্যাবস্থা বা বিধি নিষেধ বা দমন নীতি যুক্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় রাস্ট ও সমাজের সুরক্ষায় জীবন্ত দলিল ।।
আইন বিভাগ তদন্ত এবং মৌলিক দিক কে প্রাধান্য দেয় , এবং রাস্ট ও সমাজের শান্তি শ্রিংখলা আনয়নে আইনের শাষন এর যথাযথ ন্যায় নিষ্ঠ ভুমিকা পালন করে ।।
বিচার বিভাগ দেশ ও রাস্টের প্রতিরক্ষা এবং সুনাগরিকের যথাযথ
শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানে সব ধরনের অপরাধ বা রাস্ট ও সমাজ বহির্ভূত কার্যক্রম এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত এর মাধ্যমে এক বা একাধিক বিচারিক বেঞ্চের আওতায় সমুচিত শাস্তির বিধান জারি রাখে ।।
আইন বিভাগ প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক ।। সরকারের সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কাজে আইনের শাষন সুবিন্যাস্ত এবং সব সময়ে কার্যকর ।।
কিন্তু বিচার বিভাগ তা নয় ।।
যে কোন বিষয়ে স্বাধীন হস্তক্ষেপ এর মাধ্যমে বিষর ভিত্তিক কাজ সম্পন্ন করা বিচার বিভাগের প্রযোজ্য ।। যেমন নির্বাচন কমিশন ।।
যখন নির্বাচনের সময় আসবে তখন নির্বাচন কমিশন এর ভুমিকা হবে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরপ্রেক্ষ ।।
সে সংসদীয় কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে স্বাধীন নিরপ্রেক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে সুপ্রিম ক্ষমতাবলে তিনি তার দায়িত্ব নির্বাচন মেয়াদ শেষ অবধি পালন করবে এবং সংখ্যা গরিষ্ঠ বিজয়ী দলের নিকট ক্ষমতা অর্পণ করে কমিশন তার দায়িত্বে মুখ্য ভুমিকা পালন করবে ।। ইচ্ছা করলে , নির্বাচন কমিশন যে কোন রাজনৈতিক সহিংসতা মোকাবেলায় আইন শ্রিংখলা বাহিনী , র্যাব , ও সেনাবাহিনী কে তার কর্ম পরিকল্পনার সহযোগিতায় মাঠে নামাতে পারে ।।
বাংলাদেশ এর জন্ম সুত্র থেকেই আইন ও বিচার বিভাগ এক ছিল ।। বর্তমান সরকার আইন ও বিচার বিভাগ কে আলাদা করায় , একদিকে যেমন ক্ষতি অন্যদিকে তেমনি লাভ ।।
ক্ষতি হল বাংলাদেশ উচ্ছ আদালত এ প্রায় ৪ লক্ষাধিক মামলা এখনও ঝুলে আছে , গ্রুত নিস্পত্তি হয়নি ।।
আর লাভ হল , রাস্টের সকল প্রধান কেন্ত্রিয় বিভাগ স্বাধীন ।।
তবে দলীয় প্রভাব মুক্ত হয়নি এখনও ।।
যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন ।।
শিক্ষা কমিশন , নির্বাচন কমিশন , ইত্যাদি ইত্যাদি ।। আমরা অচিরেই এর বাস্তবায়ন চাই ।।