![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একট্টা ‘প্রজন্ম’ প্রেমের যে সাম্প্রদায়িক পাটাতন তা আর লোকানো গেল না। বিস্তারিত বলছি, প্রজন্ম নামে আমরা কাদেরকে দেখেছি, এরা জয়বাংলা ম্লোগান দেয়। আওয়ামী ক্যাডার ও পুলিশ পাহারায় বইসা বিচার চাই না শুধু‘ ফাঁসি চাই’ ‘ফাঁসি চাই’ বলে উতসব/ফেস্টিভাল করে -রাজনীতির নামে আপনারাও সেই আমোদে সরিক।রাজনীতির পাকা বুঝের কথা থাক। ‘তারুণ্য’, ‘প্রজন্ম’ নামি শাহবাগি ধারনার মধ্যেই এ দেশের গরিব, নির্যাতিত আসহায়, খেটে খাওয়া জনগণকে আস্বীকার করার তত্ত্ব নিহিত আছে এটা বুঝার জন্য কান্ডজ্ঞানই যথেষ্ট। আমার এ কথাকে আবারও চেতার গুয়ার্তুমির জোরে ভুল বুঝবার সম্বাবনা আছে। একটু ফিরিস্তি দরকার। এত দিন যারা শাহবাগ আন্দোলনের একটা এউনিক জায়গার দুহাই দিছেন আমরা তাদের এ দুহাইকে অবহেলা করি নি। তার একটা জায়গাতো আছেই সেটা আমি বিভিন্ন লেখায় বলেছি। এখানো প্রজন্মের যে পর্যালোচনা আমরা এত দিন করতে পারি নি তার একটা নোক্তা দিব। যখনই আপনে , ভাষা ও সংস্কৃতিকে আপনার ভাষিক এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, তার ‘রাজনীতিকরণ’ করেন তাকে পলিটিসাইজ করেন। তখনই আপনি একটি একটা সাম্প্রদায়িক কনডিশান তৈয়ার করেন। এবং এইখান থেকে পয়দা হয় গৃহযুদ্ধের কন্ডিশন। যার দায় রাজনীতির সাম্পদায়িক আছড় কাটই উঠতে না পেরে উল্টা অন্যদেরউপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।আমাদের দেশে বাঙ্গালি যেমন আছে, চাকমা, হিন্দু, মারমা যেমন আছে তেমনি আছে ধর্মপ্রাণ মুসলমান। একবার তো আপনে জুম্মু জাতির বিরুদ্দে অন্যায় করে ঠেলা খাইছেন। এখনও সেই সংঙ্কট আপনে মোকাবেলা করতে পারে নি। আপনে পরস্পরের ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতির মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়াবার কোন আয়োজন জারি রাখেন নি। অন্যদেরকে আপনার ঐতিহ্য ডিকলার করে হজম করতে চেয়েছেন। তাদের স্বতন্ত্র স্বীকৃতি দেবার কোন আন্তরিক চেষ্টা আপনার মধ্যে নাই। যদি থাকত তাইলে আপনার রাস্ট্র নির্মানের বাসনার মধ্তাযেই তা ধরা পড়ত। না করে আপনি যখন বাঙ্গালি জাতিকে ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তি ধরে রাষ্ট্র করতে যাবেন, আপনে আসলে অন্যসবার অস্তিত্বের প্রতি চেলেন্জ ছুড়ে দিলেন। আপনে এটা করলেন কোন অজুহাতে, আপনে বলবেন যে, ‘বাঙ্গীত্ব’ সংখ্যা গরিষ্ঠের আত্নপরিচয়। সেটা তো অবশ্যই। কিন্তু যার কছে তার বাঙ্গালী পরিচয়ের চেয়ে তার মুসলমান বা পাহাড়ী পরিচয় প্রধান তারে কি আপনে জঙ্গি রাজাকার, ইত্যাদি বলে পার পাবেন? তো এখন বলেনন দেশকে কে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিল। বলাই বাহুল্য এই তর্ক র সাথে বিচারের আলোচনার কোন বিরুধ নাই। বরং সম্পর্ক আছে। তো এখন তর্কটা কোন জায়গায় ঠেকেছে? সেকুলার বনাম ইসলাম।
কেউ যদি সেকুলার হয় তার সাথে কি অন্য কোন ধর্ম বা চেতনা ( নাস্তিক্যবাদও একটা চেতনা) র বিরুধ থাকতে পারে? না পারে না। তার মানে আপনে যে সেকুলার আদর্শ প্তারচার করেন তা রেটরিক মাত্র। আপনার চেতনা আগাগোরা সাম্প্রদায়িক, যে কারনে মুসলমান আপনার কছে জঙ্গি। তাইলে যে শাহবাগিরা বলছেন অমুক ইলামিদের উস্কে দিচ্ছে এ দাবি কি আওয়ামী দাবির আতিরিক্ত কিছু। এটা আসলে করছেন আপনারা সরকারের সাথে মিলে। ফলে এই কথার কোন রাজনৈতিক তাতপর্য কি আছে প্রোপাগান্ডা ছাড়া? আপনি তো তার অনুভূতিকে নোংরা ভাবে আহত করেছে... সে কেন প্রতিবাদ করলে সেটা জঙ্গি হয়ে যায়। আপনি তাকে জঙ্গি বলে এখানে মার্কীন অনুপ্রবেশের পথকে পরিস্কার করছেন-প্রগতীশীলতার নামে। আর এর নাম দিচ্ছেন বিপ্লব? অন্য দিকে জামাতের যে বিপুল কর্মী পুলিশ গুলি করে মারল তাকে আপনি উস্কানির পরিনাম আকারে দেখছেন। আপনি নিজের বাঙ্গালি চেতনাকে রাজনৈতিক ভাবে হাজির করেলে সেটা বৈধ। অন্যে করলে জঙ্গিপনা? সে কি এই জন্যেই জঙ্গি যে তার চেতনার নাম ইসলাম? আপনে প্রগতীশীল কারণ আপনার চেনতার নাম ‘বাঙ্গালি’? ফলে এখন কন্ডিশনটা হল, একদিকে জাতিয়তাবাদিরা অন্যদিকে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ। যারা অবশ্যই বাঙ্গালি কিন্তু ধর্মও তাদের চেতনার অংশ। এটাই তাদের আত্নপরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সে জামাত হোক আর কওমি হোক বা আলিয়া বা দেওবন্দি হোক। ফলে আপনে যেমন বাঙ্গালিত্বকে ঝান্ডা বানিয়েছেন তার বিপরীতে তাকে বাধ্য করেছেন ইসলামের ঝান্ডা নিয়ে হাজির হতে।তখন তাদের গোড়া মৌলবাদি বলে আখ্যা দিয়ে পাশ্চাত্য বিশ্বের সহযোগিতায় তার বিরুদ্দে যুদ্ধে নেমে পড়েন। আজ আমরা সেই যুদ্ধের মধ্যে পতিত হয়েছি৭১ এর চেতনার নামে, প্রজন্মের রাজনীতি শুণ্য ফেন্টাসির কারনে। রাজিব যখন মারা যায় আপনে তাকে শহীদ আখ্যায়িত করেন। নি:সন্দেহে রাজিব যে নোংরা পদ্ধতীতে ইসলামকে দেখেছেন তা যে কোন মানুষ নিন্দা করবেন। অন্য দিকে তার হত্যার জন্য তার মায়ের যে বেদনা আর একজন ছেলে ইসলামী রাজনীতি করে বলে তার মৃত্যুতে তার মায়ের যে বেদনা তা কোন ভাবেই প্রগতীচেতনার কারণে হেরফের হওয়ার কথা না। অথচ আপনে মিডিয়া প্রোপাগান্ডায় একজনকে বলেন শহীদ অন্য জন জঙ্গি। তাকে গুলি করে মারার মত পয়দা করেন বুদ্ধিজিবিতার নামে। তো আপনে তরুণ কারন আপনে শাহবাগ যান কিন্তু পুলিশ যাকে গুলি করে মারল সে কে? সে তরুণ না? ফলে প্রজন্ম বা তারুণ্যের দোহাই দিয়া আর লাশের সংখ্যা বাড়াবেন না। গণমাধ্যম আজ দেশ কে আপনাদের সহযোগিতায় দুই ভাগে ভাগ করেছে। এইসব প্রত্যেকটি গণমাধ্যমই এই হত্যার উস্কানি দাতা। সাংবাদিকতার নামে পলিটিক্যাল ক্যাডারের ভুমিকা পালন করছে। তাদের নিশ্চই জবাব দিহি করতে হবে।
অন্য দিকে বিচারের দাবি নিয়ে শুরু থেকে তরুণদের বড় একটি অংশ ক্ষুব্ধ। তাদের ক্ষুব্ধতাকে অবশ্যই আমলে নিতে হবে। কিন্তু তারা যে ভাবে এটা করে চলেছে আওয়ামী ছত্রছায়ায় তা আজ আমাদের ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। ফলে যারা এই আন্দোলনের উপযোগবাদি বাম পন্থি ব্যাখ্যা দেন, যে এর একটা বিপ্লবী চেতনা ছিল সেটাকে কাজে লাগিয়ে জগত উদ্ধার করা যেত তাদের কে নিন্দা করার ভাষা আমার জানা আছে। আমি ভদ্রতার খাতিরে তা করছি না। ফলে জামাত তো রাজনৈতিক ভাবে তার নেতাদের জন্য আন্দোলন করতেছে। সেটা নতুন কিছু না। এর সাথে যে সকল সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ এখন মনে করছে তাকে ইসলাম রাক্ষার জন্য মাঠে নামতে হবে তাকে এক করে দেখা যাবে না। আমরাও মনে করি সাধারণ মানুষের অনুভুতিতে আঘাত দেয়া হয়েছে। জঘন্ন অপরাধ করা হয়েছে। রাস্ট্র তার ধর্ম অধিকার ধসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এই লড়াইকে মুসলমান-অমুসলমান এর লড়াই না। এই লড়াইকে আমাদের পরিণত করতে হবে গণতান্ত্রিক রাস্ট্র কায়েমের লড়াইয়ে। খ্রিস্ট চেতনা যদি রাস্ট্র তৈয়ার করতে পারে। ইসলাম ও আমাদের সংস্কৃতিও গণতান্ত্রিক রাস্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।ইসলাম মানুষকে আল্লার খলিফা র মর্যাদা দিয়েছে। আল্লার খরিফা কোন জিবের অমঙ্গল চাইতে পারে না।
©somewhere in net ltd.