![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ভাবে একটা স্বাধীন গনতান্ত্রিক দেশে পুলিশ পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালাতে পারে কিনা? এটা পৃথিবীর বর্বর সমাজেও সম্ভব কিনা? আমরা কোন সমাজে বাস করি? বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের দুই দিনব্যাপী হরতালের প্রথম দিনে পুলিশ নিষ্ঠুরতার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। ১৮ মার্চ, সোমবার ঢাকার মিরপুরে এক যুবকের পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেছে পুলিশ।
মাহবুব কবির নামের ওই যুবককে রিক্সায় চড়ে যাতায়াত করার সময় ধরে পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে পুলিশ। এতে তার পায়ের হাড় গুড়ো হয়ে যায়। এরপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিত্সার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহবুব পুলিশের হাতে আটক আছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৭টার দিকে মিরপুরের ১০ নম্বর গোল চক্কর এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। মিছিল শেষে জামায়াত-শিবির কর্মীরা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে পুলিশ এসে পথচারীদের ওপর চড়াও হয়।এর এক পর্যায়ে মাটিতে পড়ে যান মাহবুব। তখন এক জন পুলিশ সদস্য তার পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে একটি সাদা মাইক্রো বাসে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
সাত সকালে এই ঘটনা দেখে ও মাহবুবের আর্ত চিত্কার শুনে স্তম্ভিত হয়ে যায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এই নির্বিচার পুলিশি একশন এর প্রতিবাদ করলেই আপনাকে জামাতি বলে গালি দেয়া হবে, পায়ে ঠেকিয়ে যে যুবক কে ১০ টি গুলি করে পঙ্গু করে দেয়া হল পুলিশের ভাষ্য মতে সে নাকি শিবির নেতা/ পিকেটার [আবার অন্য সুত্র বলছে যুবকটি নয়াদিগন্তের প্রেস কর্মী , রিকশাযাত্রিকে পিকেটার মানতে নারাজ তারা] -অতএব তার কোন মানবাধিকার থাকতে নেই, থাকতে পারে না, তারে নির্বিচার গুলি করে মেরে ফেলাই উত্তম- এই ধরনের মনোভাব যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে করে এদের মানবাধিকার নিয়ে যেই কথা বলবে তাকেও জামাতি বলে গালি শুনতে হবে, মানবাধিকার ধারনার এই গোষ্ঠীভেদ এর প্রতি ধিক্কার !!!
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: পুলিশের কাজ পুলিশ করেছে,গুলি করেছে পায়,তাই বলে কী তাদের সমালোচনা করা সুশীল প্রগতিশীলদের শোভা পায়?
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: পুলিশের আক্রমনাত্তক ভুমিকা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকারের জন্য কাল হয়ে দাড়াতে পারে, এ বিষয়ে সরকারের আরো দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করা উচিত।
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
হ্যারিয়ার টু বলেছেন: সে ছিল ছাগু লিডার। নয়াদিগন্তের আইডি! তার পায়ে না, বিচিতে গুলি করা উচিত ছিল।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২২
কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: মানবাধিকার ধারনার এই গোষ্ঠীভেদ এর প্রতি ধিক্কার !!!
নয়াদিগন্তের আইডি তথাকলেই গুলি করতে হবে, এটা ট্রাইব্যুনাল বা বাংলাদেশের কোন আইনে লেখা আছে? আপনি তো পাকিস্তানি হানাদারদের মত কিংবা ইসরাইলী সেনাদের আচরনের মত আচরন করার জন্য উস্কানি দিচ্ছেন, আপনাদের এসব বিচারবহিরভুত গুলির ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার তীব্র নিন্দা জানাই। সে দিগন্তের প্রেস কর্মী ছিল, যুদ্ধ অপরাধী ছিল না, ঐ সময় তার জন্ম ও হয় নি,
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: যারা এখন পুলিশের গুলি করা কে সমর্থন করছে তাদের বোঝা উচিত গুলিটা কোন সময় তার নিজের গায়েও লাগতে পারে।
ভাবতে অবাক লাগে এরাই আবার ক্রসফায়ারের সমালোচনা করে।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৬
কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: এদের হাত আজ রক্তমাখা, এই গুলি করা কে যেসব লোক সাপোর্ট করে তারা অমানুষ, এরা মনে করে ভিন্ন মতের লোকদের গুলি করে মারা উচিত, এদের মানবতা বলতে কিছু নাই, একজন নিরপরাধ প্রেস কর্মী শিবির বলেই তারে মারতে হবে কেন? সে যদি অপরাধি হয় তাহলে বিচারের আওতায় আনুক!
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
তথই বলেছেন: আওয়ামী হাম্বারা খালি নাস্তিক মারা গেলে মায়া কান্দা কান্দে ..... তারা বাদে দেশের সবাই জামাত শিবির ...... আজকে অফিস যাবার পথে আমার বা আপনার সাথে এটা হইলে আমরা সবাই শিবির হয়ে যেতাম
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৭
কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: মানবাধিকার ধারনার এই গোষ্ঠীভেদ এর প্রতি ধিক্কার !!!
৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০১
দিশার বলেছেন: দরদ উতলায়ে পরতেসে না ? এরা যখন বোমা মারে, গাড়ি তে আগুন দেয়, দোকান যে ভাংচুর চালায়, তখন কি পুলিশ বাসী বাজাবে না গুলি করবে ? হরতাল যে যে দোল এর কর্মী ভাংচুর করবে তারে দুর এর উপর রাখতে হবে .
২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: দিশার ভাই, আপনে এটা কি কইলেন, এসব করলে পুলিশ গ্রেফতার করুক, আইনের আওতায় আনুক, বিচার করুক, দেশে কি আইন আদালত নাই? তা না করে সরাসরি গুলি করার অধিকার পুলিশকে বাংলাদেশের আইন, সংবিধান দেয় নাই, সেই অধিকার মানবিক কোন মূল্যবোধ থেকেই জাস্তিফাই করা যাবে না, আর এই ক্ষেত্রে তো বুঝাই যাচ্ছে ঐ বাক্তি রিকশা যোগে যাচ্ছিল, তিনি পিকেটিং এ ছিলেন না, তারপরও তাকে গুলি করে পঙ্গু করাকে আপনি কিভাবে সমর্থন করেন, আপনি যদি এখনকার পুলিশের এই নির্বিচার গুলিকে সমর্থন করার যুক্তি হয় জামাত শিবির নিধন করা উচিত এটা তো হিটলারি কায়দা!
৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৯
হ্যারিয়ার টু বলেছেন:
সে দিগন্তের প্রেস কর্মী হলে পিকেটারদের সাথে কেন?
সে হত্যার লিডার, এরাই পুড়িয়ে মৃত্যুমুখি করেছে ৩ ডাক্তারকে বিনা উষ্কানিতে!
'আই এগেইন্সট আই' যুদ্ধের নিয়ম এটাই। (যারা এটাকে গৃহযুদ্ধ বলে)
২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১০
কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: তথ্য ছাড়া কথা বলে কি লাভ, উপরের নিউজ পরে তারপর মন্তব্য করেন, তিনি পিকেটারদের সাথে কেন? পিকেটারদের সাথে তো রাস্তার পাশ দিয়ে আপনিও রিকশা করে যেতে পারেন, আপনার পায়ে ১০ তা গুলি করে আপ্নারে পঙ্গু করলে তখন বুঝবেন
৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৭
ত্রিকোণ বলেছেন: হ্যারিয়ার টু
গুলিবিদ্ধ মাহবুব কবীরের স্বজনরা জানান, সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন কবীর। রিকশায় তিনি মিরপুর ১০ নম্বর পৌঁছলে পুলিশ তার রিকশার গতিরোধ করে। পুলিশ একপর্যায়ে তাকে টানাহেঁচড়া করে রিকশা থেকে রাস্তায় নামিয়ে জনতার সামনে পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এ সময় চিত্কার দিয়ে রাস্তায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। কিছুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ সদস্যরাই তাকে পঙ্গুু হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত কবীর জানান, তিনি যখন রিকশায় করে মিরপুর ১০ নম্বরে গণজাগরণ মঞ্চের কাছে পৌঁছেন, ঠিক এর কিছুক্ষণ আগেই সেখানে একটি মিছিল ধাওয়া করে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের ধাওয়ায় হরতাল সমর্থনকারীরা ছোটাছুটি করতে থাকে। এ সময় হঠাত্ এক যুবক দৌড়ে এসে তার রিকশায় উঠে পড়ে। তখন কয়েক পুলিশ তার রিকশাটিকে থামাতে বললে ওই পিকেটার রিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ সদস্যরা তাকে পিকেটার সন্দেহে টানাহেঁচড়া করতে থাকে। কবীর বলেন, তিনি পুলিশ সদস্যদের নিজের পরিচয়পত্র দেখানোর পর গালাগালি করে রিকশা থেকে রাস্তায় নামিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে হাঁটুর নিচে গুলি চালায়। তিনি বলেন, পুলিশ তাকে অনেকক্ষণ রাস্তায় ফেলে রাখে। এরপর এক পুলিশ তাকে পঙ্গুু হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিত্সকরা তার চিকিত্সা শুরু করেন। এরই মধ্যে খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে চলে আসেন। কবীরের পা থেকে তখন রক্ত ঝরছিল। আত্মীয়স্বজনরা তাকে উন্নম্নত চিকিত্সার জন্য অন্য হাসপাতালে নিতে চাইলে পঙ্গুু হাসপাতাল থেকে অনুমতিও পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে তার পাহারায় থাকা এক পুলিশ সদস্য বিষয়টি মোবাইল ফোনে ঊর্ধ্বতন কাউকে জানালে তাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য নিতে বাধা দেয়া হয়। একই সঙ্গে সেখানে আরও বিপুলসংখ্যক পুলিশ পাঠিয়ে দেয়া হয়।
উপরের সংবাদটা পড়ে আপনি কি বলবেন?
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
আমি মেহমান বলেছেন: পুলিশের দায়িত্ব হুকুম পালন করা - তারা তাই করছে!