নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার হেজিমনি

সহজ সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। চিন্তার ক্ষেত্রে যুক্তিবোধ এবং প্রমাণ-দলিলকে গুরুত্ব দেই।

কাউন্টার হেজিমনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেননা আমরা মাদ্রাসায় পড়ি।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬



আমাদের মা ‘ম্যাগী পাকা রাঁধুনীর’ মত চটপট নুডলস করে খাওয়াতে পারে না কখনোই, জানি ইউনিলিভারের জাদুতে আমরা ষ্টার হয়ে উঠবো না, জানি মেছওয়াকের বদলে আমাদের দাঁত ঝকঝকে হচ্ছে না পেপসোডেন্টের ফেনায়, আমরা এখনো জানতে পারি নি পোকেমন মিকিমাউস, আমাদের বাবারা বারবি পুতুল কিনে আনছে না, আমাদের তৃষ্ণার জল হয়ে উঠছে না লাল ঝাঁঝালো পেপসির বোতল, মোবাইল কোম্পানিগুলান আমাদের টাঙ্গাবে না নগরের বিলবোর্ডে, মুনাফা উপযোগী ডিজুস জীবন বানাতে - আমরা পারি না ডটকম আদর্শ ভোক্তা হতে, জানি তাই খরচযোগ্য সংখ্যা (মানুষ নয়) হিসেবে আমাদের দিকে তাক হয়ে আছে যাবতীয় সশস্ত্রদৃষ্টি – নির্মূল অভিযান, জানি আমাদের দিকে সতর্ক-নিদ্বিধায়-সন্দেহ-ঘৃণায় তাকাবে গোয়েন্দা-পুলিশ-বুদ্ধিজীবী প্রগতিশীল-রাজনীতিক-লড়াকুরা। কারণ আমরা মাদ্রাসায় পড়ি।



আমাদের কোন ‘হরলিক্স প্রতিভা’ নাই, এত এত রাষ্ট্রীয় আন্ত:ক্রীড়া, নিরক্ষরতা দুরীকরণ-গণশিক্ষা-স্বাক্ষরতা-সার্বজনীন-উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, জাতীয় (!) টেলিভিশন পার্লামেন্টারি ডিবেট (ইংরেজিতে) ‘রুখবে আমায় কে’র বাহারি শ্লোগানের কোথাও আমাদের জায়গা নাই, জায়গা নাই মান্দি চাকমা সাঁওতাল সহ সকল আদিবাসী প্রান্তিক মানুষের, সর্বত্র আমাদের অস্তিত্ব সচেতন মুছে ফেলা হয়, সকল বিরাজমানতা উপস্থাপনা প্রতীক ও পরিচয়ে আমাদের মুখগুলো দেখা যায় না।



আপনারাই রাষ্ট্র, আপনারাই সন্ত্রাস। সমস্ত ইতিহাস-লড়াই-ভিন্নতা মুছে দিয়ে, ‘জঙ্গি’ ‘মৌলবাদী’ তৈরি ‘একক-অভিন্ন’ কারখানা মাদ্রাসার বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে আপনারা কেন বারবার ম্যাগী-কোকাকোলা-লিভাইস-ম্যাকডোনাল্ড-সিনজেন্টা-বাংলালিংকসহ মারদাঙ্গা সব বহুজাতিক কোম্পানি নিয়ন্ত্রিত জীবন কল্পনার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ‘আধুনিক’ ‘প্রগতিশীল’ আর সর্বজনীন’ করে তোলেন? কেন?



আমরা গ্রামের কৃষক খেটে খাওয়া মানুষের সন্তান, আমাদের মায়েরা- বাবারা কৃষকের ধন শস্য লুট করে হাইব্রিড-জিএম বীজের ব্যবসা করে না, আমাদের আত্মীয়-পরিজন কেউ নাইকো-শেল-ইউনোকলের কাছে মাটি-জঙ্গল-জীবন বন্ধক দেয়না, তবু আমরাই বিপদজনক, মাদ্রাসায় পড়ে পড়ে বড় হয়ে মানসান্তো-ইউনিলিভার-নেসলে –মটোরোলায় চাকরির লাইন না দিয়ে ‘জঙ্গি’ আর ‘মৌলবাদী’ হয়ে যাই।



তথাকথিত একতরফা পশ্চিমি যে-ধারণা মাদ্রাসাকে, টুপি-দাঁড়ি-বোরখাকে আমাদের সামনে ‘মৌলবাদ’ বা ‘জঙ্গি’ হিসেবে হাজির করার বাহাদুরি দেখায়...



আমরা জানতে বুঝতে খুঁজতে চাই সেইসব ‘বাহাদুরির’ রকমফের দাপুটে কাণ্ডকারখানাগুলান।



‘বাহাদুরিকেই’ আর কতকাল ‘প্রগতিশীলতা’ হিসেবে চালানো ও চাপানো হবে?



পাক্ষিক 'চিন্তা' পত্রিকার 'সন্ত্রাস' সংখ্যা (বছর ১৪, সংখ্যা ১, নভেম্বর ২০০৫ / অগ্রহায়ন ১৪১২)



লেখা: পাভেল পার্থ, মুমেন ওয়াসিফ, মুসতাইন জহির।



পুনশ্চ ঃ এই অবহেলিত আমরাই যখন জেগে উঠি, লাখ লাখ লোকের শ্বেত শুভ্র এই শান্তিপূর্ণ আমাদের এই বিক্ষোভ কি তোমরা আমলে নিবে?







মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

ব্লগার রানা বলেছেন: আবেগময় পোস্ট। কিভাবে নিবেন জানিনা তবে কার্যকারীতা শূন্য।।।।।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: আমি জানি আপনারা কার্যকারিতা নেই বলেই জানাবেন। আমি এটাও জানি বিপ্লবি ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না এই হেফাজত! কিন্তু আমি সমাজের এই অবহেলিতদের আমরা যারা আধুনিকতার আফিম খেয়ে নির্বিচারে জঙ্গি বলে তাদের অপর করে তুলি , তাদেরকে সামাজিকভাবে নিগৃহীত করি তা তুলে ধরার জন্যই চিন্তার এই লেখাটা শেয়ার করলাম!

তারা তো আমাদের সমাজেরই লোক, তাদের মতাদর্শ বুঝা, পর্যালোচনা করার একটা দায় আমাদের আছে,

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

চোরাবালি- বলেছেন: অল্পতে বাস্তব চিত্র

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

এ্যানড্রোমিডা বলেছেন: আবেগ ময় পোস্ট.. পড়ে খুব খারপ লাগলো। বাস্তবাতা হচ্ছে বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার বিরোধিতা কেউ করেনা, বিরোধিতা করে তখনই যখন দেখা যায় মাদ্রাসার ছাত্রদের ধর্মের দোহাইদিয়ে/ভুল বুঝিয়ে জামাত ব্যাবহার করে, আর এমনিতেই মাদ্রাসায় লেখাপড়ারমান খুবই নিম্নমানের যার আশু উন্নয়ন খুবই জরুরী। আর যে গনজাগরণের কথা বলা হচ্ছে ওটাতো সাকা চৌধুরীর পয়াসায় রাজাকার বাচানোর একটা ক্যামোফ্ল্যাজ আন্দোলন - যেটা পুরোটাই ফ্লপ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: আপনি তো দেখি মিথ্যাচারে গয়েবলস কেও হার মানিয়েছেন, টাকা দিয়ে ২৫ লাখ লোক আনা যায় না যাদের অনেকেই হরতাল অবরোধ ভেঙ্গে পায়ে হেঁটে কেউ ৪০ কিলো কেউ ১০০ কিলো মিটার হেঁটে এতে যোগ দিয়েছেন, এটা মূলত ইসলাম, নবী ও আল্লাহ প্রেম এর কারনেই সম্ভব আর মাদ্রাসার ছেলেদের তাদের ওস্তাদদের প্রতি আনুগত্তের কারনেই সম্ভব। আপনারা ধর্মের আধ্যাত্মিকতার শক্তি কি তা বুঝবেন না, আপনারা যারা সেকুলার তারা টাকা দিয়েই সব সম্ভব এসব ফালতু পুঁজিবাদী কথাই বিশ্বাস করবেন, অর্থনৈতিক নির্ধারণবাদ দিয়া হেফাজতের এই জাগরন বুঝা যাবে না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: বাংলাদেশে যারা খেয়ে না খেয়ে ইসলাম বিরোধী রাজনীতির বিরোধিতা করেন তারা জোরে শোরে প্রচার করছেন হেফাজতে ইসলাম আসলে জামাতে ইসলামেরই নামান্তর। একাত্তরে জামাতে ইসলামির ভূমিকার কারণে ইসলাম সম্পর্কে জনগণের মধ্যে যে মন্দ ধারণা রয়েছে তারা তাকে ব্যবহার করে হেফাজতে ইসলামকেও কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন। অথচ জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও খুব অত্যুক্তি হয় না। এই ধরণের প্রচার বা প্রপাগাণ্ডা ইসলামের প্রতি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির একাংশের ঘৃণা ও বিদ্বেষ শুধু নয়, তুমুল অনাগ্রহও প্রমাণ করে। বাংলাদেশে ইসলামি রাজনীতির বিভিন্ন ধারাকে বুঝতেও সহায়ক হয় না।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

বলশেভিক বলেছেন: ভালো লিখেছেন।তবে বাংলাদেশের প্রোটোটাইপড কমিউনিস্টদের এ লেখা পছন্দ হবে না।তাদের চোখে প্রগতিশীলতার অর্থ হুজুরদের ঘৃণা করা ভাড়তকে ভালবাসা,রবি ঠাকুরের পুজা করা,সাধার মানুষের উপরে উঠে আভাগার হওয়া,একটু একটু ফেমিনিস্ট হওয়া,এল জি বি টি সমর্থক হওয়া।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: প্রগতিশীলতার মানে তারা বুঝে নির্বিচার ইসলাম বিরোধিতা , ধর্ম আর ধর্মীয় সংস্কৃতিকে তারা মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলে চালিয়ে দেয়।

ইউরোপ যখন জ্ঞান বিজ্ঞানে অন্ধকার জগতে ছিল সেই মধ্যযুগে ইসলাম ও মুসলমানরাই জ্ঞান -বিজ্ঞান-দরশন এসবের বিকাশ ও আবিস্কার করে মানব সভ্যতার ক্ষেত্রে অভাবনীয় অবদান রেখেছে। এটা এদের চোখে প্রগতিশীলতা না! ইবনে সিনা, আল রাজি, ফারাবি, আবু রুশদ, জাবির, ইবনে খলদুন, খৈয়াম , বিরুনি এরা কোন যুগের বিজ্ঞানি, জ্ঞানী , তাত্তিক? এরা যে চিকিৎসা, ফার্মেসি , গনিত, সমাজবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিদ্যা , রসায়ন সহ জ্ঞানের সব শাখায় নতুন নতুন তত্ত্ব ও তথ্য আবিস্কার করলেন তা কোন যুগ- মধ্যযুগের এই মুসলিম বিজ্ঞানীদের ও জ্ঞান তাত্ত্বিকদের এই রেনেসাঁ কি প্রগতিশীলতা নয়? ইউরোপ তখন অন্ধকার যুগে ছিল বলেই মধ্যযুগকে বর্বরতার আর অন্ধারের যুগ বলার কন মানে হয় না, এটা হচ্ছে জ্ঞানের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে ইউরোপীয় মাস্তানির অপপ্রচারে কান দেয়া! প্রগতিশীলতা মাত্রই ইউরোপীয় রেনেসাঁ না, ইসলামি রেনেসাঁর যুগকে বাদ দিয়ে ইউরোপীয় রেনেসাঁ নিয়ে মেতে থাকলে তা ইউরোপীয় হেজিমনিক বয়ানের দাসত্ব ছাড়া আর কিছুই না, ধর্মীয় যে কন বাক্তি , গোষ্ঠী আর দলকে এরা প্রগতি বিরোধী বলে যে বুদ্ধিবৃত্তিক সন্ত্রাস করে তারে তিরস্কার!

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১০

আমাদের ইয়াহু বলেছেন: Nice writing and real condition. Thanks

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আমি শুধু মুস্তাইন , পাভেল ভাই এর লেখা শেয়ার দিলাম, মূল ধন্যবাদ তাদের প্রাপ্য

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১২

পৃথিবী আমারে চাই না বলেছেন: ব্লগার রানা বলেছেন: আবেগময় পোস্ট। কিভাবে নিবেন জানিনা তবে কার্যকারীতা শূন্য।।।।।

কার্যকারিতা মোটেও শুন্য নয়। এভাবে চলতে চলতে একদিন জন্ম হবে একটা বিপ্লবের যার তোড়ে ভেসে যাবে ডিজুস দুনিয়া। সৃস্টি হবে মানুষের মানবিক মুল্যবোধের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠীত একটি সমাজব্যবস্থা।

দুনিয়ার সবকিছু ব্যাবসার পণ্য নয়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: এভাবে চলতে চলতে একদিন জন্ম হবে একটা বিপ্লবের যার তোড়ে ভেসে যাবে ডিজুস দুনিয়া। সৃস্টি হবে মানুষের মানবিক মুল্যবোধের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠীত একটি সমাজব্যবস্থা।

দুনিয়ার সবকিছু ব্যাবসার পণ্য নয়

ভালো বলেছেন, ধন্যবাদ !

হেফাজতকে আমি পুরাপুরি বিপ্লবী মনে করি না, তাদের পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে, কিন্তু সেটা তারা পারবে বলে মনে হয় না। তবুও তাদের এই জাগরন ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

স্বপ্নচূড়ায় আমি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো....... অনেক দিন পর বাস্তবধর্মী একটা লেখা পেলাম... সহজ ভাষায় সুন্দর.....
এ ধরনের সুন্দরের প্রত্যাশায় আমরা অপেক্ষমান সবসময়................

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আমি শুধু মুস্তাইন , পাভেল ভাই এর লেখা শেয়ার দিলাম, মূল ধন্যবাদ তাদের প্রাপ্য

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

নতুন বলেছেন: বত`মান সময়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশ তাদের শিক্ষা ব্যবস্হায় বিঙ্গান/প্রযুক্তি ব্যবহার করে বত`মান প্রযন্মকে তৌরি করছে যাতে তারা দেশের অথ`নিতি কে এগিয়ে নিতে পারে...


সেই সময়ে আমাদের দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্হা কতটুকু সময়উপযোগী?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২১

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: দেখেন, ইসলাম জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তির বিরোধী না, ইসলামী পণ্ডিতরা ঐতিহাসিক ভাবে যেমন জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করেছে তেমনি বর্তমানেও ইরান, তুরস্ক, মিশর তারা জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তির পথেই আছে, বরং বরং ইরানকে প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের পথে বাধা দিচ্ছে আম্রিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি সহ পশ্চিমা বিশ্ব, তারা ইরানের পারমানবিক প্রযুক্তি অর্জন প্রতিহত করতে এমনকি জঙ্গি হামলার হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে, ইরানের বিজ্ঞানীদের হত্যা করছে মসাদ আর সি আই এ, সিরিয়ার বিজ্ঞানাগারে কিছুদিন আগে জঙ্গি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হানাদার ইসরাইল , এর আগে ইরাকের পারমানবিক গবেষণাকেন্দ্রে হামলা চালায় ইস্রাইল!

তো এই ইরানে কিন্তু মাদ্রসা শিক্ষা ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষা দুইটাই আছে, ইরানের কোম হছে আমাদের মাদ্রাসা ভিত্তিক শিক্ষা কেন্দ্র এর মত যদিও ওদের পড়াশুনা আরও ব্যাপক, আবার তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় সহ প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষা দেয়া হয়। এটা কেন? এর কারন হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যেমন দরকার আছে তেম্নি সমাজে আইন, আদালত, সমাজবিজ্ঞান, রাজনীতি দর্শন , নৈতিকতা এসবের ও দরকার আছে। অর্থাৎ মানুষের বিকাশের জন্য সংস্কৃতি ও কলার প্রয়োজন আছে। সেকুলার শিক্ষায় ইউরোপীয় ভাবধারার ভিত্তিতেই কলা বিষয়ক পাঠ দেয়া হয় যেমন আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান প্রযুক্তির বাইরে রাজনীতি, আইন, দর্শন এসব শিক্ষা দেয়া হয়। তেমনি ইসলামেরও নিজস্ব সমাজভাবনা আছে, নিজস্ব দর্শন আছে, নিজস্ব আইন আছে, নিজস্ব নৈতিক শিক্ষার বয়ান আছে। আর ইসলামের এই কলা বিষয়ক পাঠ দানের জন্যই মাদ্রাস শিক্ষা যেখানে ইসলামী আইন, নীতিশাস্ত্র, দর্শন, কোরআন -হাদিস এসব শিক্ষা দেয়া হয়। সেকুলার শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন শুধু বিজ্ঞান-প্রযুক্তি পড়ান হয় না বরং সাথে সাথে মানবিক বিষয় পড়ান হয় তেমনি একই কারনে মাদ্রাসা শিক্ষায় ইসলামের মানবিক জ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়ে পাঠ দিতে হয়। তাই মাদ্রসা শিক্ষার উপযোগিতা ততদিন থাকবে যতদিন ইসলাম দুনিয়ায় থাকবে।

আপনার যুক্তি অনুযায়ী তো বাংলাদেশের বিসশবিদ্দালয়ে মানবিক বিষয় বাদ দিতে হবে। আপনি বিজ্ঞানবাদি চেতনা নিয়ে বিষয়টা দেখার চেষ্টা করছেন।

তবে হা, মাদ্রসা শিক্ষায় বিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞান আরও বেশি করে যোগ করতে হবে কিন্তু তা মাদ্রসা শিক্ষার মূল বিষয়কে বাদ দিয়ে কিংবা কাটছাঁট করে নয়।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

এমজামান বলেছেন: ভালো কথা সাকার টাকা দিয়া এতো লোক ঢাকায় আনা হইছে, আওয়ামীলীগের টাকাতো মনে হয় কম না কিন্তু কই দেখলাম না তো কোন সম্মেলনে এতো লোক ঢাকায় আনতে পারছে। পায়ের তলায় মাটি নাই তাই পাগলের প্রলাপ বকছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: আওয়ামি অপপ্রচার এদের মতান্ধ করে দিয়েছে! এরা ভাবে টাকা দিয়েই ২৫ লাখ লোক আনা যায়, আরও ২৫ লাখ আসতে পারে নাই সরকারি হরতাল আর অবরোধ এর কারনে! টাকা দিয়ে ১০০ কিলো পায়ে হেঁটে কোন শালা আসতে চাইবে? তার উপর সরকারি রক্ষি বাহিনির নির্যাতন নিপীড়নের খড়গ এর ভয় তো ছিলই, আসলে নবী প্রেম আর আল্লাহ প্রেম কি জিনিস তা বস্তুবাদ,আর সেকুলারিজম দিয়ে কিভাবে বুঝবে এরা?


১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

আলোকন বলেছেন: আমার প্রশ্ন

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১২

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
এইগুলা সম্পূরক প্রয়োজন ! -

আমার সম্পূর্ন্য ব্যাক্তিগত অভিমত - মাদ্রাসা শিক্ষাকে অধুনিকায়ন করা উচিত -

কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া - আউটসোসিং এবং টেকনিশিয়ান পারিদর্শিতা অন্তভূক্ত করলে মনে হয় আরো ভালো হইতোওও - নিজের উপর নিজেদের পায়ে দাঁড়ানো - !!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: আমার এই পোস্টের ৮ নং কমেন্টের জবাব দেখেন, আমার মতামত প্রকাশ করেছি।

কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া - আউটসোসিং এবং টেকনিশিয়ান পারিদর্শিতা অন্তভূক্ত করলে মনে হয় আরো ভালো হইতোওও - নিজের উপর নিজেদের পায়ে দাঁড়ানো - !! এই সব বিষয়ে আপনার সাথে সহমত!

তবে মাদ্রাসা শিক্ষাকে সেকুলারাইজড করার আমি বিরোধী কারন এতে করে সমাজে ইসলামের শিক্ষা অনেকটাই হারিয়ে যাবে

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

নতুন বলেছেন: তো এই ইরানে কিন্তু মাদ্রসা শিক্ষা ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষা দুইটাই আছে,

- ইরান সম্ভবত শিয়া পন্হি... ওদের চিন্তাভাবনা কতটুকু আমাদের ধম`চিন্তার সাথে যায়... আমার খুব বেশি জানা নাই...

লেখক বলেছেন: দেখেন, ইসলাম জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তির বিরোধী না, ইসলামী পণ্ডিতরা ঐতিহাসিক ভাবে যেমন জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করেছে তেমনি বর্তমানেও ইরান, তুরস্ক, মিশর তারা জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তির পথেই আছে,

ইসলাম এক সময়ে বিজ্ঞান এ অগ্রপথিক ছিলো এবং তা এখন ইতিহাস মাত্র....

বত`মানে আমাদের দেশের ইসলাম যেন কেমন হয়ে গেছে...

বলতে পারেন আমরা আসলে কতটুকু মুসলিম????

দেশে ৯০% মুসলিম>> ( কিতাবে সংখ্যা )

দেশে কোথায় ঘুস/দুনিতি নাই? ( ৯০% মুসলিমের হলে দেশে এটা সম্ভব? )
দেশে কত ভাগ মানুষ সুদ নিয়া কোন টেনসান নাই? বরং কোন ব্যাংক বেশি লাভ দেবে সেখানেই টাকা রাখবে...
মদ/মাদক এখন সমাজে খুবই সহজ লভ্য...
দেশে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ভ্যাজাল/মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে টাকা উপজ`ন করছে....
রাজারবাগী,আটরশি,দেওয়ানবাগী ভন্ডপীরেরা ইসলামের নামে মানুষকে ধোকা দিতেছে.... ???
রাজনিতিক নেতারা মুখে ধমের কথা বলে... আর সবদলেরই সন্ত্রাসী পালে

এইগুলি সবাই মেনে নিতেছে...

কিন্তু ব্লগে কয়েক বছরে কয়েক জন ব্লগার কি ধম`বিদ্ষেী কথা বলেছে বলে... এতো বড় মিছিল? হরতাল?

আমার কেন জানি বত`মানে যারা ইসলামী জাগরনের কথা বলে তাদের সততা নিয়ে প্রশ্ন জাগে...

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: াপনার সাথে আমি অনেক তাই একমত যে আমরা সত্যিকারের ইসলাম থেকে দূরে আছি, এবং ইসলাম যে প্রগ্রেসিভ আইডিয়া ধারন করতে বলে তা আমরা পালন করছি না,

"কিন্তু ব্লগে কয়েক বছরে কয়েক জন ব্লগার কি ধম`বিদ্ষেী কথা বলেছে বলে... এতো বড় মিছিল? হরতাল? " আপনার এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাই, ব্লগে কিছু লোকের ধর্ম বিদ্বেষী লেখাই শুধু না, তার প্রেক্ষিতে সরকারের যে নানান আচরন ও কর্মকাণ্ড তাও দেখতে হবে।
হেফাজত যখন সমাজের ১০ লাখ-২৫ লাখ লোককে এক দিনে জড়ো করতে পারে এবং সেখানে সাধারন মানুষও উপস্থিত হতে পারে তখন নতুনভাবে হেফাজতকে দেখতে হবে, সমাজবিচ্ছিন্ন হেফাজত এখন সমাজের ব্যাপক অংশের লোকদের তাদের সাথে শামিল করতে পারছে এইটারে এখন পর্যালোচনা করতে হবে। কওমি মাদ্রাসাগুলোর সমাজবিচ্ছিন্নতা সত্ত্বেও তারা কেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে , এটাও দেখতে হবে। শাহবাগের সাথে ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারদের সম্পর্ক নাই এটা আমি মানি, এ ব্যাপারে একটা প্রোপাগান্ডা আছে তাও আমি জানি। কিন্তু শাহবাগ যখন রাজিবের মত প্রচণ্ড ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারের , নবী (স), আল্লাহ, কোরআন নিয়ে হাসি তামাশা, কুৎসা কারি ব্লগারের উপর ভর করে আন্দোলনে বেগ আনতে চায়, যখন দেশের সরকার তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বলে প্রচার করে এবং মসজিদে মসজিদে যখন তার জন্য দেয়া করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে, যখন শাহবাগ নিজেও তার জন্য দোয়া করার জন্য মসজিদের আলেমদের আহবান জানায়, যখন এই চাপ যেসব ইমাম মানতে রাজি হয়নি ইমানি কারনেই তখন সরকারের লোকজন ১৫০ ইমামকে চাকরি চূত করে, তখন তো এদেশের ইসলাম প্রিয় জনতা, আলেম অলামা মারাত্তকভাবে নিজেদের অসহায় ভাবতে শুরু করে, তাদের কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় এই সরকার ইসলামের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছে, যেখানে বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করলে মামলা হয়, "হাসিনা মরে না কেন?" এই স্ট্যাটাস দেয়ার কারনে জাহাঙ্গির নগর এর এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে ৬ মাস এর জেল হয়, তাইলে নবীরে (স) নিয়ে ভয়ঙ্কর অশ্লীল লেখা যারা লেখে তাদের নিয়ে সরকার নীরব কেন-এই ক্ষোভ তো সবার মাঝেই গ্রো করে, এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটেই কিন্তু হেফাজত তার দাবি নিয়ে এগিয়ে আসে, ইসলামের বিরুদ্ধে যে আঘাত এসেছে , যেভাবে ইসলাম পরিচয় দান সমাজে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেভাবে নবীর (স) বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার বিরুদ্ধে সভা সমাবেশে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মারা হয়েছে, যেভাবে মানিক গঞ্জে আলেম সহ দাঁড়ি টুপী ধারীদের এবং গরিবদের হত্যা করা হয়েছে, যেভাবে কয়েকজন পুলিশ দাঁড়ি চেপে ধরে কাছ থেকে পায়ের উপর বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে আরেক পুলিশ হত্যা করেছে, এই হত্যাযজ্ঞ , এই অপমান, এই অবজ্ঞা, এই জুলুম -নির্যাতন এর প্রতি এদেশের আলেম ওলামা , মাদ্রাসা ছাত্র, সাধারন নাগরিক সবার মাঝে গত ২ মাস ধরেই নানা ক্ষোভ জমা হতে থাকে, শাহবাগের অনেকেই তখন এই সরকারি জুলুমের প্রতিবাদ না করে উল্টা সরকারের নির্যাতনের মতাদরশিক বৈধতা দেয়ার বয়ান হিসেবে "যুদ্ধ অপরাধ বিচার " " সব কিছুই যুদ্ধ অপরাধের বিচার বানচাল করার চেষ্টা " এসব হাজির করে। এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রতিবাদের কোন সুযোগ পায় নাই, দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দিয়ে সমস্ত প্রতিবাদ দমন করা হয়, সরকারের চরম জুলুম আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষ পথ খুঁজতে থাকে। আর হেফাজতের এই কর্মসূচিতে লাখ লাখ লোকের যোগ দেয়া মানে হচ্ছে মানুষ এই জুলুম নির্যাতন চায় না, মানুষ ইসলামি কালচারের প্রতি আক্রমন চায় না, মানুষ ইসলামের নবীর (স) অবমাননা চায় না! হেফাজতের মুল দাবি কিন্তু ইসলামের বিদ্বেষের বিপক্ষে। এখন হেফাজতকে সমাজ বিচ্ছিন্ন ভাবার কোন সুযোগ নাই, আপনি যদি মনে করেন হেফাজত মানেই মাদ্রসার ছাত্র তাইলে ভুল করবেন, এদের প্রতি ইসলাম প্রশ্নে জনগনের একটা বড় অংশের সমর্থন আছে, সেই সমর্থন চলে আসার জন্য কে দায়ি তা বুজতেই পারছেন, যারা আধুনিকতার আফিম খেয়ে ইসলাম মাত্রই বর্বর ভাবেন, যারা পশ্চিমের কালচারাল হেজিমনিক বয়ানের ভিত্তিতে ইসলাম এর সর্বপ্রকার সাংস্কৃতিক উপাদানের বিরোধিতা করেন, যারা ইসলামের নবীর অবমাননাকারীদের মুক্তমনা বলে সমাজে চালিয়ে দেন তাদের এই ইসলামোফবিয়াই আজ হেফাজতের প্রতি এত জনসমর্থন এনে দিয়েছে। হেফাজতের উত্থানকে আগের চিন্তা দিয়ে মূল্যায়ন করলে তো হবে না, তাই হেফাজত এত সহজে জন বিচ্ছিন্ন হবে না, বরং সামনে জনগণের আগ্রহ আরও বাড়বে। তবে মতাদ্রশিকভাবে হেফাজত বিপ্লবী না। তাই ইসলামী বিপ্লবের ভয়ে ভীত হইয়েন না, যে দেশে ইসলাম পরিচয় দিতে মানুষ ভয় পায়, যে দেশে প্রগতি মাত্রই ইসলাম বিরোধিতার বয়ান, যে দেশে সামান্য দাঁড়ি টুপি পরাকেই অবজ্ঞা করা হয় সেদেশে রাজনৈতিক ইসলামের উত্থান সম সাময়িক কালে অবাস্তব কল্পনা।

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

digitalpagla বলেছেন: মাথায় আগেও কিছু ছিলনা.. আগামিতেও থাকবেনা।

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

লিংকন১১৫ বলেছেন: তো ভাই , আপনারা কি চান না যুদ্ধাপরাধী দের বিচার হোক ?
আপ্নারাত চাইতেন দেশটা পাকিস্তানের আন্ডারে থাকুক , পাকিস্তানের আন্ডারে থাকলে দেশটা অনেক উন্নত হতো তাইনা !
ভাই আপনারা কি দেশটাকে স্বাধীন করে ছিলেন ?
নাকি আপনারা স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক বড় কোন অবদান রেখেছেন ?
ভাই ধর্মের দোহায় দিয়ে উলটা পাল্টা করলেই কি সেটা ঠিক হয়ে যায় ?
লক্ষ লক্ষ মুসলিম যে মাজার পূজা করছে সেটার কি হবে ?
লক্ষ লক্ষ মুসলিম ভণ্ড পীরের মুরিদ হয়ে ইমান হারাচ্ছে সেটার কি হবে ?
আজ যে বিভিন্ন দেশে মুসলিম রা চরম অপমানিত হচ্ছে কই আপনারা তো সেটার জন্য কোন মিছিল মিটিং করলেন না ।
ভাই আগে নিজেদের ইমান আকিদা ঠিক করতে হবে , অতঃপর অন্যকে দাওয়াত দিতে হবে , আজ আমরা মুসলিম রা নিজেদের ভিতর যুদ্ধে লিপ্ত
তাই আমাদের এই অধঃপতন

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: লিংকন ভাই, আমরা যুদ্ধ অপরাধের বিচার চাই, অবশসই চাই। আর পাকিস্তানের ব্যাপারটা আনলেন কেন বুঝলাম না, পাকিস্তানরে ৭১ এ তারাইছি তো তাদের জুলুম শোষণ নির্যাতনের জন্যই। পাকিস্তান এর জালিমের বিরুদ্ধে মজলুম বাঙ্গালীর লড়াই তো ইসলামেরই দাবি !

আপনি ধর্ম আর মুক্তিযুদ্ধ রে মুখোমুখি দাড় করার পাতানো ফাঁদে পা দিচ্ছেন কেন বুঝলাম না, ইসলাম তো শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বলে, তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ইসলামের চেতনার কোন অমিল নেই!

"ভাই ধর্মের দোহায় দিয়ে উলটা পাল্টা করলেই কি সেটা ঠিক হয়ে যায় ?
লক্ষ লক্ষ মুসলিম যে মাজার পূজা করছে সেটার কি হবে ?
লক্ষ লক্ষ মুসলিম ভণ্ড পীরের মুরিদ হয়ে ইমান হারাচ্ছে সেটার কি হবে ?
আজ যে বিভিন্ন দেশে মুসলিম রা চরম অপমানিত হচ্ছে কই আপনারা তো সেটার জন্য কোন মিছিল মিটিং করলেন না ।
ভাই আগে নিজেদের ইমান আকিদা ঠিক করতে হবে , অতঃপর অন্যকে দাওয়াত দিতে হবে , আজ আমরা মুসলিম রা নিজেদের ভিতর যুদ্ধে লিপ্ত
তাই আমাদের এই অধঃপতন"----- সহমত!

১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৯

নরাধম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট এবং কমেন্টের জবাব। ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক, আমিন!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

Ruhul বলেছেন: ইসলামের বিধিবিধানকে (বিশেষ করে হেফাজতের ১৩ দফা) কেউ যদি মধ্যযুগীয় বলে, আমি বলব সে এখনও অন্ধকার আদিম যুগে বাস করছেন তাই ইসলামের আলো তিনি দেখতে পাচ্ছেন না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২০

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: আমি বলব সে এখনও অন্ধকার আদিম যুগে বাস করছেন তাই ইসলামের আলো তিনি দেখতে পাচ্ছেন না।

১৭| ১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: নরাধম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট এবং কমেন্টের জবাব। ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক, আমিন!

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২২

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ! ভালো থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.