নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার হেজিমনি

সহজ সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। চিন্তার ক্ষেত্রে যুক্তিবোধ এবং প্রমাণ-দলিলকে গুরুত্ব দেই।

কাউন্টার হেজিমনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপারেশন শাপলা : এমবেডেড জার্নালিজম এবং বাস্তবতা

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

৫ মে রাতে কি ঘটেছিল তা নিয়ে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে নানা গুজব। এমনকি মৃতের সংখ্যা নিয়ে চলছে পরষ্পর বিরোধি তথ্য। ইতিমধ্যে হেফাজত দাবি করেছে ৩০০০ জন নিহত হয়েছে।মানবাধিকার সংস্থাগুলোও এমন ধারণা দিচ্ছে। এদিকে বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে নিমর্ম কিছু ফটো।! অপারেশন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারি প্রেসনোট হতাহতের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, মতিঝেলে ব্ল্যাকআউট করে অপারেশন চালানো হলো কেন? সব মিডিয়াকে তাদের মতো করে কেন অপারেশন পরিচালনার ঘটনা কভার করতে দেয়া হলো না? ঘটনার দিন রাতেই সরকার দুটি টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে।

ঘটনার পরদিন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ সংবাদ সম্মেলন করে জানান, শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতকর্মীদের ওয়াশআউট অভিযানে কোনো ‘হতাহতে’র ঘটনা ঘটেনি। নিহত হওয়া তো দূরের কথা, কেউ আহতও হয়নি।



ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদও বুধবার ০৮ মে, আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেও আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওইদিনের সংঘর্ষে নিহত ৪টি লাশ শাপলা চত্বরের মঞ্চের কাছ থেকে এবং আরও ৩টি লাশ ঘটনার পর তারা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এসেছেন ওই রাতে। ৫ মে দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ৩ জন নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। একজন পুলিশ ওই রাতে মারা যাওয়ারও কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার তথা সরকারের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য অনুযায়ী ৫ মে সকাল থেকে ৬ মে ভোর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১১ জন নিহত হয়েছেন।



এদিকে শুক্রবার ১০ মে সরকারি প্রেসনোটে বলা হয়, হেফাজত নেতাকর্মীদের মতিঝিল থেকে সরাতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচারণের কোথাও কোনো সংবাদ বা ছবিও দেখা যায়নি।



অথচ সরকারপন্থী মিডিয়াগুলো সর্বনিম্ন যে সংখ্যাটি ছাপা হয়েছে, তাতে ওই সময় ২২ জনের মৃত্যু ও পরে ওই ঘটনায় আরও একজনসহ ২৩ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে (সূত্র প্রথম আলো)। এছাড়া ৬ মে দিনের বেলায় ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর, সিদ্ধিরগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে, হাটহাজারী ও বাগেরহাটে হেফাজতকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের ক্যাডারদের সংঘর্ষে আরও ২৮ জন নিহত হন। নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর তার রিপোর্টার ও সূত্রের বরাতে বলেছেন, শাপলা চত্বরে কমপক্ষে একশ’ লোক নিহত হয়েছেন।



ওই রাতে পুলিশের সঙ্গে ফকিরাপুল পয়েন্ট থেকে শাপলা চত্বর হয়ে হাটখোলা পর্যন্ত ছিলেন এমন একজন ফটো সাংবাদিক আমার দেশকে জানিয়েছেন, তিনি ৫১ জনের বডি রাস্তায় ও বিভিন্ন ভবনের বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখেছেন, যার অধিকাংশের ছবি তার কাছে রয়েছে। তবে অভিযান হয়েছে অনেকগুলো রাস্তা দিয়ে, বহু অলিগলিতে। সেসব জায়গায় কী হয়েছে তা তিনি দেখেননি। তার ভাষ্যমতে, অপারেশনের সময় লক্ষাধিক লোক শাপলা চত্বরে অবস্থান করছিল। এরমধ্যে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ লোকেরাও ছিল, যাদের অনেকে পদদলিত হয়ে মারা গিয়ে থাকতে পারে।অপারেশন শেষে বিভিন্ন দালান ও রাস্তার রক্ত পরিষ্কারে জলকামানের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি এবং সর্বশেষ ওয়াসার অনেক গাড়ি ব্যবহার করতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।



প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক ও হেফাজতকর্মীদের বর্ণনা বলে, যৌথবাহিনী ওইদিন রাত ৩টার দিকে শাপলা চত্বরের মূল মঞ্চ দখল করে নিলেও অভিযান চলেছে সকাল প্রায় ৬টা পর্যন্ত। মূল কিলিং হয়েছে দুই পর্যায়ে। হেফাজতকর্মীদের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য অভিযান শুরুর পর মঞ্চ দখলের আগমুহূর্তে অর্থাৎ যে ১০ মিনিটের কথা বলা হয়েছে, তখন খুব কাছ থেকে সরাসরি হেফাজতকর্মীদের গুলি করা হয়। এতে অনেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ১০ মিনিটেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় সমাবেশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে অপারেশন হয় সোনালী ব্যাংক ভবনের সিঁড়ি ও বারান্দা, বাংলাদেশ ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ডিসিসিআই, আমিন মোহাম্মদ ভবন, পিপলস ইন্স্যুরেন্স ভবন, ইউনুস সেন্টার, সারা টাওয়ার, ঢাকা ব্যাংকসহ ওই এলাকার বিভিন্ন বড় বড় দালানের সিঁড়ি ও বারান্দায়। এসব স্থানে পলায়নপর হেফাজতকর্মীরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। পুলিশ মাইকে ইত্তেফাক ও হাটখোলা ধরে যাত্রাবাড়ীর দিকে পালিয়ে যেতে বলেছিল। কিন্তু তারা এইসব বিল্ডিংয়ে ভয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।



প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, সরকারের তরফ থেকে মঞ্চ দখলের ১০ মিনিটের কিছু বর্ণনা ও হতাহতের কথা বলা হলেও তার আগে-পরে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের বিষয়টি চেপে যাওয়া হয়েছে।



দুটি টিভি চ্যানেলের এমবেটেড জার্নালিস্টরা যৌথ বাহিনীর সঙ্গে থাকলেও তারা এসব দৃশ্য দেখাননি। এর মধ্যে সময় টিভির দীর্ঘ লাইভ সম্প্রচারে মাত্র দুজন হেফাজতকর্মীকে গুলি ও পরে পিটিয়ে মারার কয়েক সেকেন্ডের দৃশ্য দেখানো হয়। তাদের একাধিক ক্যামেরাম্যান ঘটনার দৃশ্য ধারণ করছিলেন।



লালবাগে হেফাজতের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও ৬ মে সকালে নিহত ও গুরুতর আহত শ’দুয়েক লোককে দেখা গেছে বলে পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের একজন শিক্ষক আমার দেশকে জানিয়েছেন। ঢাকা মেডিকেলে শ’পাঁচেক আহত লোক চিকিত্সা নিয়ে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, আল-বারাকা হাসপাতালসহ মতিঝিলের আশপাশের হাসপাতালগুলোতে হতাহত বহু লোককে নেয়া হলেও পুলিশের হুমকিতে তারা নাম প্রকাশ করে বিস্তারিত বলতে অপারগতা জানিয়েছেন। সর্বোচ্চ তিন হাজার লোক নিহত ও নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে আয়োজক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।



বিএনপির পক্ষ থেকে ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে নিহতের সংখ্যা হাজারখানেক। কোনো কোনো নেতা বলেছেন দুই হাজার। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার শত শত নিহত ও নিখোঁজ হওয়ার কথা বলেছে। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস ওয়াচসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাত দিয়ে নিহতের সংখ্যা আড়াই হাজার উল্লেখ করেছে। সময় টিভিতে সরাসরি অভিযানের অংশবিশেষে দুজন হেফাজতকর্মীকে প্রথমে গুলি ও পরে পিটিয়ে মারার কয়েক মুহূর্তের দৃশ্য সময় টিভি দেখিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের মারণাস্ত্রের গুলির আওয়াজও শুনিয়েছে। শটগানে ছোড়া রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ তো ছিলই।



গত মঙ্গলবার ও শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বিশ্বখ্যাত সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট এবং ৬ মে এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন এ ঘটনাকে গণহত্যা (ম্যাসাকার) বলে উল্লেখ করে। এছাড়া ঘটনার পর তাত্ক্ষণিকভাবে সিএনএন, এএফপি, এপিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বহু হতাহতের খবর প্রচার ও প্রকাশ হয়।



বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনও নিহত হননি বলে দাবি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ। কন্ট্রোল রুম থেকে অভিযানটির নিয়ন্ত্রণকারী এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও দাবি করেন, যৌথবাহিনী সেদিন কোনো ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র’ ব্যবহার করেনি।তার হিসাবমতে, ৫ মে (রোববার) সকাল থেকে শুরু করে সোমবার রাতে ‘অপারেশন সিকিউরড শাপলা ওয়াচ’ সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত একজন পুলিশসহ মোট ১১ জন নিহত হন। বেনজীর আহমেদ বলেছেন, এই ১১ জনের কেউ অপারেশনের সময় নয়, রোববার দিনে ও অপারেশনের পরে তাদের বডি উদ্ধার করা হয়েছে।



বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদের দেয়া মূল বিষয়গুলো হলো—



এক. রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে মাত্র ১০ মিনিটে অপারেশন শেষ হয়।



দুই. এ সময় বিভিন্ন ধরনের ‘নন-লেথাল অস্ত্র’ এবং ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস লজিস্টিক’ (সারা বিশ্বে স্বীকৃত বিক্ষোভ দমনের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি) ব্যবহার করা হয়।



তিন. মিডিয়ার সামনে অপারেশন হয়েছে এবং দুটি টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করেছে। ‘দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দিয়ে অপারেশন চালানো হয়েছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে, তা সত্য নয়’(!)।



চার. কম্পিউটারে ফটোশপ করে বানানো ছবি দিয়ে ইন্টারনেটে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।



পাঁচ. হেফাজত পুলিশকে নিহতদের তালিকা দেয় না কেন? ছয়. সচিবালয়ে হামলা ও ব্যাংক লুটের পরিকল্পনা ছিল হেফাজতের।



সাত. তিরিশ লাখ টাকা লুট, বায়তুল মোকাররম ও জুয়েলারি মার্কেটে আগুন দেয় হেফাজত।



সরকারের পক্ষে ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদের দেয়া বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার ব্যাপক ফারাক রয়েছে।



তিনি বলেছেন, অপারেশনের সময় কেউ নিহত হয়নি; কিন্তু হেফাজতের কট্টর সমালোচক প্রথম আলো পত্রিকাও পরদিন তাদের প্রথম পাতায় অপারেশনে ১১ জন নিহতের খবর জানায়! ‘রোববারের সংঘর্ষ ও অভিযান : এক পুলিশসহ নিহত ২২’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে প্রথম আলো বলেছে, ‘২২টি লাশের মধ্যে ১১টি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ও মর্গে গেছে সোমবার ভোরের দিকে। ধারণা করা হচ্ছে, রোববার গভীর রাতে মতিঝিল শাপলা চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় তারা নিহত হয়েছেন। বাকি ১১ জনের লাশ রোববার দুপুর থেকে মধ্যরাতের মধ্যে এসেছে।’ একুশে টিভি ৬ মে ভোর ৪টার খবরে তখন পর্যন্ত ৫ জন নিহত হওয়ার ও অর্ধশতাধিক গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর দিয়েছিল। তার ২০ মিনিটের মাথায় দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভিতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে সম্প্রচার বন্ধ করে দিলে একুশে টিভিসহ শাপলা চত্বর অভিযানে হতাহতের খবর প্রচার বন্ধ করে দেয়। দিগন্ত টিভি বন্ধ করার আগে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে শত শত লোক হতাহত হওয়ার কথা প্রচার করা হয়েছিল।



অপারেশনের সময় ফকিরাপুলের দিক থেকে যৌথবাহিনীর সঙ্গে থাকা একজন ফটো সাংবাদিক আমার দেশ-কে যেসব ছবি ও তথ্য দিয়েছেন, তাতে দেখা গেছে, শাপলা চত্বরের পাশে সোনালী ব্যাংকের দু’দিকের সিঁড়ি, দুই সিঁড়ির উপরের মেঝে, গাড়ির বারান্দা, মধুমিতা সিনেমা হলের দু’পাশের দুই পেট্রল পাম্পের সামনের রাস্তা এবং পাশে সিটি সেন্টারের সামনের রাস্তায় অন্তত ৫১টি গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ পড়ে ছিল। অপারেশনে প্রাথমিকভাবে অন্তত ৪৪ জন নিহতের ছবি মিডিয়াকর্মীদের কাছে রয়েছে।



সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মৃতের কথা বলেছে পরের দিন টাইমনিউজবিডি। তারা বলছে, মতিঝিলের সিটি সেন্টার, সোনালী ব্যাংক ভবন ও নটরডেম কলেজের সামনের সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৫০টি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কয়েক জন কিশোর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রের লাশও রয়েছে।রাত ২টা ২৫ মিনিটের দিকে শুরু হওয়ার পর থেকেই শাপলা চত্বর এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন নিহতের সংখ্যা দেড় শতাধিক ছাড়িয়ে যেতে পারে।



অপরদিকে অনলাইনে প্রচারিত বিভিন্ন ছবি, ভিডিও এবং কিছু ‘অসমর্থিত সূত্রে’র বরাত দিয়ে গত সোমবার (৬ মে) এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন শাপলা চত্বর অপারেশনে নিহতের সংখ্যা ২৫শ’ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমে প্রচারিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।



একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভবনের (দেয়ালে গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনমূলক পোস্টার লাগানো) বারান্দায় ব্যাপক পরিমাণ জমাটবাঁধা রক্তের পাশে কয়েকটি ‘রাবার দিয়ে মোড়ানো স্টিলের বুলেটে’র খোসা পড়ে আছে। সে জায়গা থেকে একজন আলেমের লাশ উদ্ধার করা হয়। মানবজমিন পত্রিকায় সোমবার সে ছবি ছাপা হয়। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি একটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার রাত ৪টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রায় পাঁচশ’ লোক তাদের কাছে আহত অবস্থায় এসেছেন, যার বেশিরভাগই ছিল গুলিবিদ্ধ।



শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিত্সারত হেফাজতকর্মী ঢাকা রামপুরা মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা রহমতুল্লাহ শাপলা চত্বরের মঞ্চের খুব কাছে বসা ছিলেন। রাত ৩টার দিকে তাদের পাশে একাধিক সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটলে আতঙ্কিত অনেকে মাটিতে শুয়ে পড়েন। এ সময় তিনি রাস্তার পাশে যাওয়ার জন্য দাঁড়ালে তার হাঁটুর নিচে গুলি বিদ্ধ হয় বলে জানান। এরপর গুলির ঝাঁক আসতে থাকে। ততক্ষণে তিনি রাস্তার পাশে আশ্রয় নেন। তার ধারণা, শুধু শাপলা চত্বরের মঞ্চের আশপাশে বসে বা শুয়ে থাকা বহু লোক শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রহমতুল্লাহর অনুমান, এ সংখ্যা দুই থেকে তিনশ’ও হতে পারে।



বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকসহ অন্য স্থাপনাগুলো ছিল নিরাপদ : হেফাজতের কর্মীদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংকসহ অসংখ্য ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও শাখা। ওই এলাকায়ই রয়েছে অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও শাখা কার্যালয়। সেগুলোতে কোনো ভাংচুর, আগুন বা কোনো ক্ষতি করেনি।



হেফাজতকর্মীরা বিভিন্ন ভবন, কোরআন শরিফের দোকান, হাউস বিল্ডিং অফিসে আগুন দিয়েছে বলা হলেও এসব এলাকা হেফাজতকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এমনকি দিনে সিপিবি অফিসে আগুন লাগার সময়টিও এ এলাকা মূলত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ছিল।



হেফাজতকর্মীরা বায়তুল মোকাররম ও জুয়েলারি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বলে যে মিথ্যা বক্তব্য দেয়া হচ্ছে, সেটি মঙ্গলবারের দৈনিক ইনকিলাব ও মানবজমিনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সেখানে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য উল্লেখ করে জানানো হয়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দেবাশীষের নেতৃত্বে সরকারদলীয় ক্যাডাররা মার্কেটে আগুন দেয়। আর ৩০ লাখ টাকা লুট কোথা থেকে কখন করা হয়েছে, এ ব্যাপারে কিছু না বলেই অভিযোগ করা হয়েছে।



তবে সরকার শাপলা চত্বরে রাস্তার বাতি নিভিয়ে ব্ল্যাক আউট করে অভিযানের প্রস্তুতির সময় পুলিশ ও সরকারি দলের হামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হেফাজতকর্মীরা বিভিন্ন প্রবেশপথে ব্যারিকেড দেয়। রোড ডিভাইডার, আশপাশের আসবাবপত্র রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে এসব ব্যারিকেড দেয়া হয়।



প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে : বেনজীর আহমেদ আরও দাবি করেন, বিভিন্ন ধরনের ‘নন-লেথাল অস্ত্র’ (প্রাণঘাতী নয় এমন) ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ছবি, ভিডিও ফুটেজ ও আহতদের দেয়া তথ্যমতে বহু ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু সাংবাদিকদের তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অপারেশনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একে-৪৭ রাইফেল ও চাইনিজ রাইফেল (বিজিবি ও র‌্যাব), একে-৪৭-এর ইউএস ভার্সন এম-১৬, মেশিনগান, সাবমেশিন কারবাইন, চাইনিজ রাইফেল, শটগান (র্যাব-পুলিশ) ইত্যাদি।



মধুমিতা সিনেমা হলের পাশে পেট্রল পাম্পের সামনে থেকে তোলা একটি ছবিতে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য হেফাজতের এক কর্মীকে লক্ষ্য করে ‘অ্যাকশন মুডে’ রাইফেল তাক করে আছে। আর কর্মীটি হাতজোড় করে কান্নাকাটি করছেন। র্যাব সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। শাপলা চত্বর এলাকায় অনেক পুলিশ সদস্য গুলি করছে—এমন দৃশ্যের ছবিও রয়েছে। একাধিক ভিডিওতে মুহুর্মুহু গুলি করতে দেখা গেছে শতাধিক পুলিশকে।



শাপলা চত্বর অপারেশনে যারা হতাহত হয়েছে, তাদের পোস্টমর্টেম অথবা ক্ষত পরীক্ষা করলেই দেখা যাবে কী কী আগ্নেয়াস্ত্র ও মারণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে সে রাতে। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকরা হতাহতদের ক্ষত দেখে শাপলা অভিযানে মারণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



এদিকে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন ৬ মে’র বিবৃতিতে বলেছে, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে, সাধারণত যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়—এমন অস্ত্রও বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে।



আসলে কি ১০ মিনিটের অপারেশন : বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে বেনজীর আহমেদ জানান, রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে মাত্র ১০ মিনিটে অপারেশন শেষ হয়! কিন্তু ৫ মে রাত ২টা ৩০ মিনিট থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত যারা দিগন্ত টিভি ও সময় টিভির প্রথমে ‘ফোনোলাইভ’ ও পরে লাইভ সম্প্রচার বলে অন্য কথা।



রাত ১১টার পর থেকেই কাকরাইল ও পল্টন মোড়ে শত শত গাড়ি থেকে নেমে যৌথবাহিনী অপারেশনের প্রস্তুতি নেয়। পরে রাত সোয়া দুইটার সময় একদিকে ফকিরাপুল মোড় ও অন্যদিকে দৈনিক বাংলা মোড় থেকে ফাইনাল অপারেশন শুরু হয়। অভিযানে থাকা একজন সাংবাদিক আমার দেশকে জানান, ফকিরাপুল বাজার পার হয়েই গুলি করতে করতে মতিঝিলের দিকে এগুতে থাকে অপারেশনের অগ্রবর্তী দল। এরপর রাস্তায় বেশকিছু ব্যারিকেড ডিঙ্গিয়ে একটানা গুলি করে রাত তিনটার পর শাপলা চত্বরে পৌঁছে। এর মধ্যেই দৈনিক বাংলার দিক থেকে যৌথবাহিনীর বড় দলটি শাপলা চত্বরের মূল এলাকা (মঞ্চসহ) দখলে নেয়। সেখান থেকে একটি দল আবারও খালি রাস্তায় ফাঁকা গুলি করতে করতে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত যেতে রাত পৌনে ৪টা বাজে। এরপর মূল অভিযান শেষ হলেও চলে লুকিয়ে থাকা হেফাজতকর্মীদের খুঁজে বের করার অভিযান। তা চলে সকাল ৬টা পর্যন্ত।



শাপলা চত্বরের হামলার খবর ধামাচাপা দেয়া হয় :‘মিডিয়ার সামনে অপারেশন হয়েছে এবং দুটি টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করেছে’- ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য আংশিক সত্য। আগেই বলা হয়েছে, রাত আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত মূল অভিযানের সময় শুধু দু-তিনটি টিভি চ্যানেল রিপোর্টারের ধারাভাষ্য সংবলিত ‘ফোনোলাইভ’ সম্প্রচার করেছে। এতে গুলির মুহুর্মুহু আওয়াজ শোনা গেলেও কোনো ফুটেজ দেখায়নি। তবে মঞ্চ খালি করার বিশেষ মুহূর্তের যৌথবাহিনীর গুলিবর্ষণ ও বিভিন্ন ভবনের কাছে কিলিং অপারেশন বাদ দিয়ে লাইভ সম্প্রচার করে ইরাক যুদ্ধের সময় বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পাওয়া এমবেটেড জার্নালিজমের সফল নজির স্থাপন করেছে সময় টিভি।



বেনজীর আহমেদ আরও বলেছেন, ‘দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দিয়ে অপারেশন চালানো হয়েছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা সত্য নয়’।কিন্তু সেদিন রাত ৪টা ২৪ মিনিটে দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার বন্ধ হয়। এর একটু পরেই একুশে টিভি সে সংবাদ পরিবেশন করে। তখনও সময় টিভি শাপলা চত্বরের অপারেশন-পরবর্তী বিভিন্ন দৃশ্য লাইভ দেখাচ্ছিল। এ থেকে এমন অনুমান মোটেও অমূলক নয়, অপারেশনের শেষদিকে ‘ক্যাজুয়ালটি’র ভয়াবহতা বেশি দেখে তার ফুটেজ প্রচার বন্ধ করতেই ‘বশ মানবে না’ এমন দুটি টিভি স্টেশনই তাত্ক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। মানবজমিন, নয়া দিগন্ত ও ইনকিলাবসহ কিছু সংবাদপত্রে শাপলা চত্বরে যৌথবাহিনীর ম্যাসাকারের কিছু ছবি ছাপা হলেও অধিকাংশ সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল কোনো ছবি ছাপেনি বা প্রচার করেনি।



বেনজীর আহমেদের দাবি, ‘কম্পিউটারে ফটোশপ করে বানানো ছবি দিয়ে ইন্টারনেটে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’ কিন্তু অনলাইনে লাশের যেসব ছবি পাওয়া যাচ্ছে, তার বেশিরভাগই ঢাকা শহরের পেশাদার ফটো সাংবাদিকদের তোলা। আমার দেশ-এর অনলাইনে ওই রাতে তোলা বহু ছবি ছাপা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহু স্টিল ও ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে। ফটোশপের ছবি দিয়ে কেউ প্রতারণা করলে পুলিশের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।



পরিকল্পিতভাবে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে আগুন এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে: বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো অবরোধের দেনের লুটপাট ও আগুন লাগানোর ঘটনা প্রচার করে। যদি তারা কোন কিছু ভাষ্য ছাড়া অন্য প্রমান দেখাতে পারে নি। অনলাইন সংবাদ মাধ্যম পরিবর্তন.ডট জানাচ্ছে, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজিউল হক ইসলামাবাদী দাবি করেছেন, ”পুলিশের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে আগুন এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।”



রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে পরিবর্তন ডটকমকে মোবাইল ফোনে এই হেফাজত নেতা এসব কথা বলেন। ইসলামাবাদী আরো বলেন, ”হেফাজতে ইসলাম ইতিপূর্বে বেশ কিছু শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করেছে। আমাদের অবরোধ কর্মসূচিতে কোথাও কোন ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে পারে না।”



আপনি জানেন যে, বায়তুল মোকাররমের পশ্চিম পাশের গেটে আমাদের কোন লোকজন ছিল না। প্রশাসন আমাদের ঢুকতেই দেয়নি সেখানে। ওখানে ছিল ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। যেখানে আমাদের কর্মীরা ছিল না। যে জায়গা পুরিশের নিয়ন্ত্রণে ছিল সেখানে কারা আগুন লাগিয়েছে?



তিনি অভিযোগ করে বলেন, ”আপনারা নিশ্চয়ই বিভিন্ন টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজগুলো দেখেছেন। আমাদের হেফাজতের কর্মীরা আগুন, ভাংচুরের ঘটনায় কখনোই ছিল না।



লক্ষ লোকের বিরুদ্ধে মামলা, লাশ চাইতে আসবে কীভাবে: ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেছেন, হেফাজত পুলিশকে নিহতদের তালিকা দেয় না কেন? এর জবাবে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লক্ষাধিক লোকের বিরুদ্ধে যেখানে ১৮ মামলা হয়েছে, সেখানে মামলার ভয়ে অনেকেই তাদের সন্তান ও আত্মীয়ের খোঁজ নিতে আসছেন না। স্বজনের খোঁজ নিতে পারছেন না। হেফাজতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর কোনো হদিস তারা এখনও পাচ্ছেন না। অনেকে মাদরাসা ও বাড়ি ছেড়ে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে প্রকৃতপক্ষে কতজন নিহত বা নিখোঁজ রয়েছেন, তা বের করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে তারা একটি ‘অনুসন্ধান সেল’ খুলে সবাইকে নিখোঁজদের তথ্য দিতে বলেছেন। খুব দ্রুত তারা একটা তালিকা করতে পারবেন বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।[/sb

গত ৬ মে ভোর রাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের অবস্থান কর্মসূচিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা সরকারের দেয়া সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ চ্যানেল আলজাজিরা। মঙ্গলবার আলজাজিরার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়। অনলাইনেও প্রতিবেদনের ভিডিওটি পাওয়া যাচ্ছে। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।



ভিডিওটিতে মতিঝিল শাপলা অভিযানকালে নিরস্ত্র আলেমদের উপর আইনশৃংখলা বাহিনীর এ্যাকশান, লাশ বয়ে নেয়া, কবর, গোরখোদক ও পরারাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার রয়েছে। এ ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে দাবি করা হয়, ওই অভিযানে নিহতের ব্যাপারে সরকার ভুল পরিসংখ্যান দিয়েছে।



সরকারের দাবি অনুযায়ী, ইসলামী দল হেফাজতে ইসলামের ‘ঢাকা অবরোধ’ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়।



তবে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানায়, ওই বিক্ষোভে ঠিক কতজন নিহত হয়েছে তা পরিষ্কার নয়।



গত শনিবার এইচআরডব্লিউর বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ সংবাদ সূত্রগুলো নিহতের সংখ্যা প্রায় অর্ধশত বলে জানিয়েছে। এছাড়া বহু আহত হয়েছে।



তবে আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাতকারে নিহতের ভুল তথ্য দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে দীপু মনি বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা যেতে পারে, এর তদন্ত হতে পারে।’



তিনি বলেন, ‘অন্তত ২৩টি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মোবাইল ফোন আছে। এখানে গোপন করার কিছু নেই। অনেকে নিহতের ভান করে শুয়ে থাকলেও পর তাদেরকে হেঁটে চলে যেতে দেখা গেছে।’



পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করে না। কিছু মানুষ যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে এ ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করে।’



সরকারি গোরস্থানের গোরখোদক বধির ও মূক আবদুল জলিল ইশরায় বলেন, বিক্ষোভের পর কেবল ওই রাতেই দাঁড়িওয়ালা ১৪ জন মানুষের কবর খুঁড়েছেন তিনি। লাশগুলোর অধিকাংশই ছিল গুলিবিদ্ধ।



এদিকে, ওই অভিযানে ঠিক কী ঘটে ছিল তা খুঁজে বের করতে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

Click This Link

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩৪

পুংটা বলেছেন: অপারেশন শাপলা : এমবেডেড জার্নালিজম বাস্তবতা এবং কাঠালপাতা বিষয়ক আমার সেই আগুন পোষ্টটি এখানে। :|

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩৮

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: Click This Link

২| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৫০

কাল্পনিক চরিত্র বলেছেন: তোমাদের এলাকায় গাঞ্জার দাম বোধ হয় কম! না হইলে তো এই বালছাল মাথা দিয়া আসতো না!

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৫৫

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: এমবেডেড জার্নালিজম এর আফিম খাইছ নাকি হে ?

৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ২:০১

আগুনে পাখি বলেছেন: সেইদিন গোলাগুলির আওয়াজে ঘুম গায়েব হয়ে গেল......কি আর বলবো !

৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৫৪

রাজীব দে সরকার বলেছেন: হুমম,
সারাদিন জালাও পোড়াও ধন্সযজ্ঞ করে যারা ঘুমিয়েছে তাদের এরকম করে মারা ঠিক হয় নি - গ্রেফতার করে নিয়ে রিমান্ডে কষ্ট দিয়ে মারা উচিত ছিলো

১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: আপনাকে গুলি করে মারলে বুঝতেন কেম্নে কি

৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৫৭

ইকবাল পারভেজ বলেছেন:
@রাজীব: দেশটা বাংলাদেশ, তোমার আব্বার দেশ ইন্ডিয়া না, যারে খুশি তারে রিমান্ডে নিয়া মাইরা ফেলবা|

৬| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:০২

আকাশপানে বলেছেন: @কাদা মাটি জল : চোদন খাওয়ার জন্য রেডি থাকো,বাঞ্চোত কোথাকার।

১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: কাদা মাটি জল তো হত্যাযজ্ঞের সমর্থন কারী, ওনারে হাসপাতালে পাঠান

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩৮

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: Click This Link

৭| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯

আতা2010 বলেছেন: কওমি অলাদের এমন পরিণতি দেখে বুজা যায় পরকালে এদের জন্য কি আজাব অপেক্ষা করছে।

১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: আলেম ওলামাদের উপর এই ভয়াবহ হামলা লজ্জার

৮| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

বোকা_ছেলে বলেছেন: ++++++++++

৯| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

মোমের মানুষ বলেছেন: ইতিহাস নৃশংস এ নারকীয় গনহত্যায় কত মানুষ নিহত হয়েছে তা মনে হয় আর কোন দিনই জানা যাবে না।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৯

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পেছনে আম্রিকার হাতও থাকতে পারে, তাই সত্য বের হবে কিনা কে জানে

১০| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ৩০০০ মানুষ কি সবাই এতিম ছিল নাকি ? না তাদের আত্মীয় স্বজন নাই ? এতো গুলা মানুষ মরলো অথচ কেউ লাশের খোঁজে এলোনা :|| :|| অবাক ব্যাপার , আসলে মাঝে মাঝে মনে হয় সেই ৩০০০ মাওলানা জ্বিন ছিল তাই কেউ লাশের খুজে আসেনি । অথবা এমন ও হইতে পারে নিহতদের বাপ মা ভাই বোন সবাই পাকিস্তানে থাকে তাই আসতে পারেনি , আজকা একটা নিউজ দেখলাম , হেফাজতের কর্মী নিহত সুহেল এখনো বেচে আছে হা হা হা হা Click This Link

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৩২

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: এখানে দাবি করা হয়নি যে ৩০০০ মারা গেছে, ৩০ জন মরলেও তা নিন্দনীয়, ৩০০০ তো গুজব এটা সবাই বুঝে কিন্তু কেউ মরেনি এই রাষ্ট্রীয় অপপ্রচার ও ভণ্ডামি, আমার কথা হইল রাতের আঁধারে ব্রাশ ফায়ারে অনেক লোক মারা যাবে এইটা স্বাভাবিক কিন্তু এটারে যারা অস্বীকার করে তারাও এই হত্যার সহযোগী

১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: Click This Link

১১| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

রাজীব দে সরকার বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনাকে গুলি করে মারলে বুঝতেন কেম্নে কি

লেখক আপনি কতো বড় ছাগল আপনি আপনি নিজেই প্রমাণ করলেন
যে সুবেদার সাহেব মারা গেলেন তিনিও বুঝেছিলেন হেফাজতি জানোয়ার গুলোর মরণ কামড় কি জিনিস, তবে কি ভাইটু সব কুকুরের জন্যই ইনজেকশন আছে!!

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: এইসব ছাগল তত্ত্ব এখন অচল, গুলি করে দিনে ১৫ জনরে মারবেন আর তারা প্রতি উত্তরে হামলা করলেই বলবেন তাণ্ডব, ভালো, ভালো !

পুলিশ আর বিজিবি মরল ৪ জন আর হেফাজত মরছে দিনে ১৬, রাতে যুগান্তর এর ভাষ্য অনুযায়ী ২২, পরের দিন ২৪ , তো এতো লোকরে পুলিশ নির্বিচার গুলি করে মারল এইটারে বাদ দিয়ে ৩/৪ জন পুলিশের মৃত্যু নিয়া মায়াকান্না আপনার, পুলিশ যখন নির্বিচার গুলি করে মানুশ মারে তখন তার প্রতিক্রিয়ায় পুলিস মারলে আপ্নের মানবিকতা উপছে পড়ে, আমি পুলিশের মৃত্যুর যেমন নিন্দা জানাই তেমনি একি যুক্তিতে পুলিশের হত্তাযজ্ঞের হাজার নিন্দা জানাই

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩৮

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: Click This Link

১২| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

মামুন হতভাগা বলেছেন: আসুন ছাগল পালন করি:)


কারা এটি আরম্ভ করতে পারেন?
* ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা
* ভূমিহীন শ্রমিকেরা
* যাদের সার্বজনীন চারণভূমির লভ্যতা আছে

আরম্ভ করার কারণ
* অল্প মূলধন বিনিয়োগ এবং দ্রুত লাভ
* সাদাসিধে ও ছোটো চালাঘরই যথেষ্ট
* খোঁয়াড়ে রেখে(মাঠে না চরিয়ে) পালন করা লাভজনক
* ছাগলের উচ্চ উর্বরতা হার
* সারা বছর ব্যাপী কাজ
* মাংস চর্বিহীন এবং কম মেদযুক্ত ও সকলেই পছন্দ করে
* যে কোনো সময়ে বিক্রি করা ও টাকা পাওয়া যেতে পারে

কোন জাতিটি আপনার জন্য সঠিক?

যমুনাপারি
# মোটামুটি উঁচু জন্তু
# জোরালো বাঁকযুক্ত খাড়া বা রোমান নাক এবং লম্বা ঝোলা কান থাকে যা পূর্ণবয়স্ক যমুনাপারির ক্ষেত্রে প্রায় 12 ইঞ্চি লম্বা হয়
# পাঁঠার ওজন প্রায় 65-85 কেজি এবং ছাগলীর ওজন প্রায় 45-60 কেজি
# প্রতি প্রসবে একটি ছানা
# ছয় মাস বয়স্ক ছানার ওজন প্রায় 15 কেজি
# দুধ উত্পাদন দৈনিক প্রায় 2-2.5 লি


তেলিচেরি
* ছাগলগুলি সাদা, বাদামী ও কালো রঙের হয়
* প্রতি প্রসবে 2-3টি ছানা হয়
* পাঁঠার ওজন প্রায় 40-50 কেজি এবং ছাগলীর ওজন প্রায় 30 কেজি


বোয়ার
* সারা পৃথিবী জুড়ে মাংসের জন্য পালন করা হয়
* বৃদ্ধির হার খুব দ্রুত
* পাঁঠার ওজন প্রায় 110-135 এবং ছাগলীর ওজন প্রায় 90-100 কেজি
* 90 দিন বয়সে ছানার ওজন প্রায় 20-30 কেজি হয়

ছাগলদের বাসস্থান

1. ডীপ লিটার পদ্ধতি
* ভালো হাওযা খেলে এমন একটি ছোটো চালাঘর একটি ছোটো দল পালনের জন্য পর্যাপ্ত৷
* লিটারের উচ্চতা অন্ততঃ 6 সেমি হতে হবে.
* লিটার কাঠের গুঁড়ো, ধানের তুঁষ ও চিনাবাদামের খোলা দিয়ে তৈরি হতে পারে৷
* খোঁয়াড়ের দুর্গন্ধ এড়ানোর জন্য লিটার মাঝেমাঝেই উলটেপালটে দিতে হবে৷
* প্রতি 2 সপ্তাহে একবার করে লিটার পালটে দিতে হবে৷
* প্রতিটি ছাগলের প্রায় 15 বর্গ ফুট জায়গা দরকার হয়৷
* বাইরের থেকে পরজীবীর উপদ্রব কম করার দিকে যত্ন নিতে হবে৷
* একটি পূর্ণবয়স্ক ছাগল বছরে প্রায় এক টন সার উত্পন্ন করে৷
2. উঁচু মাচা পদ্ধতি
* মাটি থেকে প্রায় 3-4 ফিট উচ্চতায় কাঠের তক্তা বা তারের জাল বসানো হয়
* এই পদ্ধতিতে বাইরের থেকে পরজীবীর উপদ্রব সাধারণতঃ কম হয় পালন পদ্ধতি

খাদ্য পরিচালন
* ছাগলদের খোঁয়াড়ে সবুজ পশুখাদ্য ও ঘনখাদ্য খাওয়ানো হয়৷
* চরানো হয় না
* থাকার জায়গা ডিপ লিটার পদ্ধতিতে হতে পারে বা উঁচু মাচা পদ্ধতিতে হতে পারে
* প্রথম 10 সপ্তাহে ছানাদের 50- 100 গ্রাম ঘন খাদ্য দিতে হবে ৷
* বাড়ন্ত ছানাদের 3-10 মাস পর্যন্ত দৈনিক100 -150 গ্রাম ঘন খাদ্য দিতে হবে ৷
* গর্ভবতী ছাগলদের দৈনিক প্রায় 200 গ্রাম পর্যন্ত ঘন খাদ্য দিতে পারা যায়৷
* 1 কেজি দুধ দেওয়া দুধেল ছাগলদের দৈনিক 300 গ্রাম ঘন খাদ্য দেওয়া হয়৷
* ছাগলের খোঁয়াড়ে তামা সমৃদ্ধ(950-1250 পিপিএম) খনিজের খণ্ড রাখা উচিত৷
টিকা
* ছানাদের এণ্টারোট্যাক্সেমিয়া ও টিটেনাসের প্রথম ডোজ় 8 সপ্তাহ বয়সে এবং তারপরে আবার12 সপ্তাহ বয়সে দিতে হবে
* ছাগলীদের প্রজননকালের 4-6 সপ্তাহ আগে এবং প্রসবের 4-6 সপ্তাহ আগে এণ্টারোট্যাক্সেমিয়া ও টিটেনাসের টিকা দিতে হবে৷
* পাঁঠাদের বছরে একবার এণ্টারোট্যাক্সেমিয়া ও টিটেনাসের টিকা দিতে হবে৷
কৃমি নাশ
* প্রজনন করানোর আগে ছাগলীর কৃমিনাশ করানো উচিত৷ কৃমি আক্রান্ত ছাগলরা রোগা ও নিস্তেজ হয়
* ছানাদের এক মাস বয়সে কৃমির ওষুধ দিতে হবে৷ কৃমিদের জীবনচক্র তিন সপ্তাহ ব্যাপী, তাই দু মাস বয়সে আবার কৃমি নাশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়৷
* গর্ভবতী ছাগলীদের প্রসবের 2-3 সপ্তাহ আগে কৃমিনাশ করাতে হবে৷
* গর্ভপাত এড়াতে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে( 2 মাস পর্যন্ত) ছাগলীদের কৃমিনাশ না করাই উচিত ৷

আসুন ছাগল পালন করি:)


কারা এটি আরম্ভ করতে পারেন?
* ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা
* ভূমিহীন শ্রমিকেরা
* যাদের সার্বজনীন চারণভূমির লভ্যতা আছে

আরম্ভ করার কারণ
* অল্প মূলধন বিনিয়োগ এবং দ্রুত লাভ
* সাদাসিধে ও ছোটো চালাঘরই যথেষ্ট
* খোঁয়াড়ে রেখে(মাঠে না চরিয়ে) পালন করা লাভজনক
* ছাগলের উচ্চ উর্বরতা হার
* সারা বছর ব্যাপী কাজ
* মাংস চর্বিহীন এবং কম মেদযুক্ত ও সকলেই পছন্দ করে
* যে কোনো সময়ে বিক্রি করা ও টাকা পাওয়া যেতে পারে

কোন জাতিটি আপনার জন্য সঠিক?

যমুনাপারি
# মোটামুটি উঁচু জন্তু
# জোরালো বাঁকযুক্ত খাড়া বা রোমান নাক এবং লম্বা ঝোলা কান থাকে যা পূর্ণবয়স্ক যমুনাপারির ক্ষেত্রে প্রায় 12 ইঞ্চি লম্বা হয়
# পাঁঠার ওজন প্রায় 65-85 কেজি এবং ছাগলীর ওজন প্রায় 45-60 কেজি
# প্রতি প্রসবে একটি ছানা
# ছয় মাস বয়স্ক ছানার ওজন প্রায় 15 কেজি
# দুধ উত্পাদন দৈনিক প্রায় 2-2.5 লি


তেলিচেরি
* ছাগলগুলি সাদা, বাদামী ও কালো রঙের হয়
* প্রতি প্রসবে 2-3টি ছানা হয়
* পাঁঠার ওজন প্রায় 40-50 কেজি এবং ছাগলীর ওজন প্রায় 30 কেজি


বোয়ার
* সারা পৃথিবী জুড়ে মাংসের জন্য পালন করা হয়
* বৃদ্ধির হার খুব দ্রুত
* পাঁঠার ওজন প্রায় 110-135 এবং ছাগলীর ওজন প্রায় 90-100 কেজি
* 90 দিন বয়সে ছানার ওজন প্রায় 20-30 কেজি হয়

ছাগলদের বাসস্থান

1. ডীপ লিটার পদ্ধতি
* ভালো হাওযা খেলে এমন একটি ছোটো চালাঘর একটি ছোটো দল পালনের জন্য পর্যাপ্ত৷
* লিটারের উচ্চতা অন্ততঃ 6 সেমি হতে হবে.
* লিটার কাঠের গুঁড়ো, ধানের তুঁষ ও চিনাবাদামের খোলা দিয়ে তৈরি হতে পারে৷
* খোঁয়াড়ের দুর্গন্ধ এড়ানোর জন্য লিটার মাঝেমাঝেই উলটেপালটে দিতে হবে৷
* প্রতি 2 সপ্তাহে একবার করে লিটার পালটে দিতে হবে৷
* প্রতিটি ছাগলের প্রায় 15 বর্গ ফুট জায়গা দরকার হয়৷
* বাইরের থেকে পরজীবীর উপদ্রব কম করার দিকে যত্ন নিতে হবে৷
* একটি পূর্ণবয়স্ক ছাগল বছরে প্রায় এক টন সার উত্পন্ন করে৷
2. উঁচু মাচা পদ্ধতি
* মাটি থেকে প্রায় 3-4 ফিট উচ্চতায় কাঠের তক্তা বা তারের জাল বসানো হয়
* এই পদ্ধতিতে বাইরের থেকে পরজীবীর উপদ্রব সাধারণতঃ কম হয় পালন পদ্ধতি

খাদ্য পরিচালন
* ছাগলদের খোঁয়াড়ে সবুজ পশুখাদ্য ও ঘনখাদ্য খাওয়ানো হয়৷
* চরানো হয় না
* থাকার জায়গা ডিপ লিটার পদ্ধতিতে হতে পারে বা উঁচু মাচা পদ্ধতিতে হতে পারে
* প্রথম 10 সপ্তাহে ছানাদের 50- 100 গ্রাম ঘন খাদ্য দিতে হবে ৷
* বাড়ন্ত ছানাদের 3-10 মাস পর্যন্ত দৈনিক100 -150 গ্রাম ঘন খাদ্য দিতে হবে ৷
* গর্ভবতী ছাগলদের দৈনিক প্রায় 200 গ্রাম পর্যন্ত ঘন খাদ্য দিতে পারা যায়৷
* 1 কেজি দুধ দেওয়া দুধেল ছাগলদের দৈনিক 300 গ্রাম ঘন খাদ্য দেওয়া হয়৷
* ছাগলের খোঁয়াড়ে তামা সমৃদ্ধ(950-1250 পিপিএম) খনিজের খণ্ড রাখা উচিত৷
টিকা
* ছানাদের এণ্টারোট্যাক্সেমিয়া ও টিটেনাসের প্রথম ডোজ় 8 সপ্তাহ বয়সে এবং তারপরে আবার12 সপ্তাহ বয়সে দিতে হবে
* ছাগলীদের প্রজননকালের 4-6 সপ্তাহ আগে এবং প্রসবের 4-6 সপ্তাহ আগে এণ্টারোট্যাক্সেমিয়া ও টিটেনাসের টিকা দিতে হবে৷
* পাঁঠাদের বছরে একবার এণ্টারোট্যাক্সেমিয়া ও টিটেনাসের টিকা দিতে হবে৷
কৃমি নাশ
* প্রজনন করানোর আগে ছাগলীর কৃমিনাশ করানো উচিত৷ কৃমি আক্রান্ত ছাগলরা রোগা ও নিস্তেজ হয়
* ছানাদের এক মাস বয়সে কৃমির ওষুধ দিতে হবে৷ কৃমিদের জীবনচক্র তিন সপ্তাহ ব্যাপী, তাই দু মাস বয়সে আবার কৃমি নাশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়৷
* গর্ভবতী ছাগলীদের প্রসবের 2-3 সপ্তাহ আগে কৃমিনাশ করাতে হবে৷
* গর্ভপাত এড়াতে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে( 2 মাস পর্যন্ত) ছাগলীদের কৃমিনাশ না করাই উচিত ৷

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩৪

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: Al Jazeera has obtained video footage suggesting that the Bangladesh government has been providing inaccurate death tolls from recent violence.

According to official figures, 11 people had died during fighting between police and protesters from Hifazat-e-Islam, an Islamic group, on May 6, a day protesters refer to as the "Siege of Dhaka".

Human Rights Watch, a US-based rights group, said that the exact number of deaths resulting from the protests are "unclear"."Independent news sources put the figure at approximately 50 dead, with others succumbing to injuries later," HRW said in a statement on Saturday.

In an interview with Al Jazeera, Bangladesh's Foreign Minister Dipu Moni downplayed reports of inaccuracy in government figures.

"There can always be an inquiry, there can always be an investigation," said Moni.

"The government or most of the people in the country doesn't even think that there was any controversy with the matter," she added.

Abdul Jalil, a deaf and mute grave digger at Dhaka's state-run cemetery, communicated that he buried 14 bodies of bearded men with gunshot wounds after the protest, all at night.

The rights group wants an independent inquiry to find out what happened once and for all.

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩৫

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: Click This Link

১৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩০

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: গত ৬ মে ভোর রাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের অবস্থান কর্মসূচিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা সরকারের দেয়া সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ চ্যানেল আলজাজিরা। মঙ্গলবার আলজাজিরার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়। অনলাইনেও প্রতিবেদনের ভিডিওটি পাওয়া যাচ্ছে। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

ভিডিওটিতে মতিঝিল শাপলা অভিযানকালে নিরস্ত্র আলেমদের উপর আইনশৃংখলা বাহিনীর এ্যাকশান, লাশ বয়ে নেয়া, কবর, গোরখোদক ও পরারাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার রয়েছে। এ ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে দাবি করা হয়, ওই অভিযানে নিহতের ব্যাপারে সরকার ভুল পরিসংখ্যান দিয়েছে।

সরকারের দাবি অনুযায়ী, ইসলামী দল হেফাজতে ইসলামের ‘ঢাকা অবরোধ’ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়।

তবে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানায়, ওই বিক্ষোভে ঠিক কতজন নিহত হয়েছে তা পরিষ্কার নয়।

গত শনিবার এইচআরডব্লিউর বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ সংবাদ সূত্রগুলো নিহতের সংখ্যা প্রায় অর্ধশত বলে জানিয়েছে। এছাড়া বহু আহত হয়েছে।

তবে আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাতকারে নিহতের ভুল তথ্য দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে দীপু মনি বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা যেতে পারে, এর তদন্ত হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘অন্তত ২৩টি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মোবাইল ফোন আছে। এখানে গোপন করার কিছু নেই। অনেকে নিহতের ভান করে শুয়ে থাকলেও পর তাদেরকে হেঁটে চলে যেতে দেখা গেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করে না। কিছু মানুষ যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে এ ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করে।’

সরকারি গোরস্থানের গোরখোদক বধির ও মূক আবদুল জলিল ইশরায় বলেন, বিক্ষোভের পর কেবল ওই রাতেই দাঁড়িওয়ালা ১৪ জন মানুষের কবর খুঁড়েছেন তিনি। লাশগুলোর অধিকাংশই ছিল গুলিবিদ্ধ।

এদিকে, ওই অভিযানে ঠিক কী ঘটে ছিল তা খুঁজে বের করতে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

১৪| ১৬ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
+++

আই স্যলুট ইউ ফর দিস ভ্যালুয়েবল পোষ্ট।

শোকেইজ্‌ড্।

:) :) :)

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!

১৫| ১৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

রাজীব দে সরকার বলেছেন: ইকবাল পারভেজ বলেছেন:
@রাজীব: দেশটা বাংলাদেশ, তোমার আব্বার দেশ ইন্ডিয়া না, যারে খুশি তারে রিমান্ডে নিয়া মাইরা ফেলবা|


@ইকবাল পারভেজ সাহেব, দেশটা তোমার আব্বার দেশ পাকিস্তানও না, যে ১৯৭১ এর মতো আবার ছাগলামী শুরু করবা! দেশের মানুষ তোমার আব্বাদেরকে চিনে ফেলেছে!!

১৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

মিতক্ষরা বলেছেন: অপারেশন শাপলা! নিহতরা কি কখনও ন্যায় বিচার পাবে?

১৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: "১৪ ডিসেম্বর বিগ্রেড অব ফ্রিডম ফাইটার" এটার মানে জানেন? Ekhon Eder E somoy.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.