নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউন্টার হেজিমনি

সহজ সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। চিন্তার ক্ষেত্রে যুক্তিবোধ এবং প্রমাণ-দলিলকে গুরুত্ব দেই।

কাউন্টার হেজিমনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপারেশন ফ্লাশ আউট : ফরহাদ মজহার

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:০৫

নাম দেয়া হয়েছিল ‘অপারেশান ফাশ আউট’Ñ অর্থাৎ হেফাজতিদের শহর থেকে টিয়ার গ্যাস ছুড়ে গুলি মেরে বোমা ফাটিয়ে যে ভাবেই হোক তাড়িয়ে দিতে হবে। শহর সাফ করতে হবে। শহর ধনী ও বড়লোকদের জায়গা। ভদ্রলোকদের নগর। সুশীলদের রাজধানী। যাদের পাহারা ও রা করবার দায়িত্ব র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও মজুদ। পুলিশের প থেকে ওই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিকিউরড শাপলা’; অন্য দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একই অপারেশনের নাম দেয় ‘অপারেশন ক্যাপচার শাপলা’। চরিত্রের দিক থেকে এটা ছিল মূলত একটি সামরিক অভিযান। নিজ দেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের বিরুদ্ধে সাঁজোয়া যান ও মারণাস্ত্রসহ ঝাঁপিয়ে পড়া। অপারেশান ফাশ আউটÑ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে, নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ভীতিকর সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজে দিগ্বিদিক প্রকম্পিত করে গ্রাম থেকে আসা মানুষগুলোকে মেরেকেটে তাড়িয়ে দাও। শহর নিরাপদ করো সেই গুটি কয়েকের জন্য যাদের কাছে ১৬ কোটি মানুষ তাদের জীবন ও জীবিকা জিম্মি না রেখে বেঁচে থাকতে পারে না।শহরে কি তাহলে গ্রামের মানুষের কোনো স্থান নাই? আছে। শহরেও মাদরাসা আছে। কিন্তু তার উপস্থিতি অদৃশ্য। তাকে থাকতে হবে, না থাকার মতো শহুরে ভদ্রলোকদের নজর থেকে দূরে। তবে শহর সীমিত েেত্র গরিব ও গা-গতরে খাটা মানুষদের সহ্য করতে বাধ্য হয়। সহ্য করে কারণ তাদের নোংরা ও নীচু প্রকৃতির কাজগুলো করবার জন্য সস্তা শ্রমের দরকার হয়। বাড়ির বুয়া, চাকরবাকর, দাড়োয়ান, গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার, মিউনিসিপ্যালিটির আবর্জনা সরাবার জন্য লোকজন, ইত্যাদি। এদের ছাড়া আবার ভদ্রলোকদের জীবন মসৃণ রাখা কঠিন। এদের ছাড়াও শহরে সহ্য করা হয় পোশাক কারখানার জন্য কিশোর ও কিশোরী সস্তা শ্রমিকদের। কিন্তু তাদের থাকতে হয় বদ্ধবস্তিতে এক ঘরে দশ-পনেরো জন। যে মজুরি পায় তা ঘরভাড়া দিতেই চলে যায়। খাবার ঠিকমতো খায় কি না সন্দেহ। কিন্তু তারাও যখন কারখানায় কাজ করে তখন তাদের তালা মেরে রাখা হয় জেলখানার বন্দীর মতো। কারখানায় আগুন লাগলে যেকোনো দুর্ঘটনায় তারা পুড়ে মরে, হুড়োহুড়ি করে বেরোতে গিয়ে পায়ের চাপায় পিষ্ট হয়ে লাশ হয়ে যায়। ভবন ধসে পড়ে প্রায়ই। তখন তাদের জ্যান্ত কবর হয়। রানা প্লাজা ধসে গিয়ে চাপা পেয়ে মরেছে হাজারেরও বেশি মানুষ।



যে জালিম ব্যবস্থা গরিবকে নিরন্তর গরিব করে রাখে, যে ব্যবস্থায় পুঁজির কাছে নিজেকে বেচে দিয়ে নগণ্য মজুরির ওপর জন্তু-জানোয়ারের মতো শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা ছাড়া আল্লাহর দুনিয়ায় মজলুমের প্রাণধারণের কোনো উপায় আর অবশিষ্ট থাকে না, সেই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করতে এসেছিল হেফাজত। কেন এসেছিল? কারণ তার জীবের জীবন থেকে এই ব্যবস্থা যা কেড়ে নিতে পারে নি তা হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, নিজের ইমান-আকিদার প্রতি অঙ্গীকার এবং নবী করিমের (সা:) প্রতি অগাধ প্রেম। কুৎসিত ও কদর্য ভাষায় বাক ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার নামে তার জীবনের শেষ এই সম্বলটুকুরও অবমাননা, অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছে শহরের মানুষ। হেফাজত তার ঈমান-আকিদার জায়গা থেকেই প্রতিবাদ করেছে। যে ভাষা তার জানা সেই ভাষাতেই। কিন্তু তার দাবি ও ভাষা শহরের মানুষের কাছে মনে হয়েছে পশ্চাতপদ। যে ভাষায় শহরের মানুষ ঔপনিবেশিক মনিবের গোলামি করতে করতে ‘আধুনিক’ হয়েছে এবং এখন যে ভাষা সে দৈনন্দিন সাম্রাজ্যবাদের দাসবৃত্তিতে নিয়োজিত থাকতে থাকতে রপ্ত করে চলেছে, সেই ভাষার বাইরে অন্য কোনো ভাষা শহরের মানুষ বুঝতে অম। গোলামির ভাষা নিরন্তর যে বদ্ধচিন্তাকাঠামোর জন্ম দেয়, তার প্রথম অন্ধবিশ্বাস হচ্ছে ধর্মমাত্রই পশ্চাতপদতা, মধ্যযুগীয়। ধর্মমাত্রই প্রতিক্রিয়াশীল। ফলে ধর্মের ভাষায় যারা কথা বলে তারা পশ্চাতপদ ও প্রতিক্রিয়াশীল। হেফাজতিরা ধর্মের ভাষায় কথা বলে। নিজের পে যুক্তি খাড়া করে কোরআন-হাদিস থেকে। ফলে তারা প্রতিক্রিয়াশীল ও সভ্যতার শত্রু। এদের ঢাকায় সমাবেশের অনুমতিই বা দেয়া হোল কেন? এদের েেত্র দরকার অপারেশান ফাশ আঊট।



সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্তযুদ্ধের এই কালপর্বে ইসলামের জায়গা থেকে নিজেদের অধিকার ও মর্যাদা রার কথা বলা আরো বড় অপরাধ। যারা বলে তারা সভ্যতার শত্রু, সাম্প্রদায়িক, বর্বর ও সন্ত্রাসী ইত্যাদি। শহরের মানুষ ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষগুলোর আত্মমর্যাদাবোধের গভীরে যে রক্তরণ ঘটিয়েছে, তা অনুধাবন করতেও এইকালে অম। অতএব তাদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যার পরিকল্পনা করতে পারা কঠিন কিছু নয়। এটা তাদের কাছে বিবেক, রাষ্ট্রচিন্তা বা মানবাধিকারের কোনো মামলা নয়। বর্বরের দলকে স্রেফ গুলি করে শিা দেয়ার ব্যাপার। বর্বরের দলকে আগে ঢুকতে দাও শহরে, তারা শহরে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে তাণ্ডব করে বেড়াচ্ছে, সেই খবর নিজেদের নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশানে দেখাও। শহরের ধনী ও মধ্যবিত্তকে আতঙ্কিত হতে দাও। দোকানপাট ভবন পুড়িয়ে দাও। কোরআন শরিফও পুড়িয়ে দিয়ে দাবি করো হেফাজতিরাই এই কাণ্ড করেছে। একসময় আলো বন্ধ করে দাও। ব্ল্যাক আউট করো। তারপর শাপলা চত্বরে যে জায়গায় এই সব প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাতপদ দাড়িওয়ালা-টুপিওয়ালা লোকগুলো একত্র হয়েছে তাদের ওপর হামলা করো। চালাও হত্যাযজ্ঞ। মারণাস্ত্রের ভয়ঙ্কর আওয়াজে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠলেও কিচ্ছু আসে-যায় না। প্রাণঘাতী বুলেটই হেফাজতিদের প্রাপ্য।



পুলিশের একজন বড়কর্তা দাবি করেছেন তারা বিভিন্ন ধরনের ‘নন-লেথাল অস্ত্র’ ব্যবহার করেছেন। এই সব নাকি ‘প্রাণঘাতী’ নয়। ‘নন-লিথাল’ ধারণাটি ব্যবহারের পেছনে নির্মানবিক বা ডিহিউম্যানাইজড চিন্তা কাজ করে। যেমন আজকাল পরিবেশ সচেতন দেশে কোথাও একপাল গরু-ছাগল বা হরিণ বা কোনো বন্য প্রাণীর েেত্র লেথাল অস্ত্র ব্যবহার করলে পরিবেশবাদীদের কাছে ‘ কৈফিয়ত’ দিতে হয়, তেমনি যেন এখানে বন্য জন্তুজানোয়ার নিয়ে কথা হচ্ছে। যাদের ওপর অস্ত্র প্রয়োগ হচ্ছে তারা মানুষ এবং এই সমাজের অন্তর্গত, তাদের আত্মীয়স্বজন-ছেলেমেয়ে রয়েছে সেই দিকগুলো বিবেচনার বাইরে থেকে গিয়েছে। তেমনি থেকে গিয়েছে এই মানুষগুলো পঙ্গু হয়ে গেলে বাকি জীবন কিভাবে কাটাবে সেই গুরুতর মানবিক প্রশ্ন। শহীদ হয়ে যাওয়া এক কথা আর চিরজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে বেঁচে থাকা আরো ভয়ঙ্কর। অথচ যাদের ওপর এই সব মারণাস্ত্র ব্যবহার হয়েছে তারা এ দেশেরই নাগরিক। নাগরিকতার কথা দূরে থাক, মানুষ হিশাবেই তাদের বিবেচনা করা হয় নি।



তবে ‘নন-লেথাল অস্ত্র’ ব্যবহারের ব্যাপারে অবশ্য ছবি, ভিডিও ফুটেজ ও আহতদের দেয়া তথ্য ভিন্ন কথা বলে। সাংবাদিকদের তোলা ছবি দেখে অভিযোগ উঠেছে অপারেশনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একে-৪৭ রাইফেল ও চাইনিজ রাইফেল (বিজিবি ও র‌্যাব), একে-৪৭-এর ইউএস ভারসান এম-১৬, মেশিনগান, সাবমেশিন কারবাইন, চাইনিজ রাইফেল, শটগান (র‌্যাব-পুলিশ) ইত্যাদি।



সঙ্গত কারণেই এই সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। কতজন মানুষ হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে গণমাধ্যমগুলো বিতর্ক করছে। কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বীভৎস ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে আছে, লুকাবার কোনো উপায় নাই। লাশ কিভাবে ময়লা-আবর্জনা সরাবার গাড়িতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে সে বিষয়ে নানান জল্পনাকল্পনা চলছে। এখন লড়াই চলছে এক পরে তথ্য প্রকাশ আর অন্য পরে তথ্য লুকানোর প্রাণান্ত প্রয়াসের মধ্যে। অভিযোগ উঠেছিল, সেই রাতেই লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। বলাবাহুল্য সরকার ক্রমাগত তা অস্বীকার করেছে। তবে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করা হয়েছে। তারা একটি নতুন ভিডিও ফুটেজ পেয়েছে যাতে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শেষ রাতে গাড়িতে লাশ তোলা হচ্ছে। জুরাইন কবরস্থানের কবর খননকারী আবদুল জলিল জানিয়েছেন, সেই রাতে তিনি ১৪ জন দাড়িওয়ালা লোককে কবর দিয়েছেন। তাদের মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। তবে আবদুল জলিল বাক প্রতিবন্ধী; তাই তিনি ইশারায় পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। নিহতের সংখ্যা হাতের আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেন তিনি। তাদের কোথায় দাফন করা হয়, তা-ও দেখিয়ে দেন আবদুল জলিল।



একটি দেশের সরকার আলো নিভিয়ে অন্ধকারে তিনটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজারেরও বেশি সদস্য নিয়ে নিজেরই নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, এই সত্য আর লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। রীতিমতো অবিশ্বাস্য হলেও এই নির্মম ও অবিশ্বাস্য ঘটনাই বাংলাদেশে ঘটেছে।



কিন্তু তার পরেও এই সরকার ও রাষ্ট্রের পে ওকালতি করবার লোকের অভাব হবে না। এই তর্ক চলবে। যার যার শ্রেণিস্বার্থের বিষয়! সমাজে বিভিন্ন শ্রেণি ও শক্তি তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে তথ্য ও পরিসংখ্যান নিয়ে নানা ভাবে হাজির হতে থাকবে। হেফাজতে ইসলাম এক দিনে ঢাকায় কী ‘তাণ্ডবই’ না করেছে তার সচিত্র কাহিনী প্রচারিত হতে থাকবে টেলিভিশানে। হঠাৎ করে দেখা গেল গাছপ্রেমিকের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। হেফাজতিরা শহরের গাছ কেটে তা রাস্তায় ফেলে রেখেছে, আর কিছু গাছ জ্বালিয়েছে। সাঁজোয়া যান ও জলকামান ব্যবহার করে মিছিলগুলোর ওপর পুলিশ ও সরকারের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর হামলা ঠেকাতে এই গাছগুলো ব্যবহার হয়েছে তাতে কোনোই সন্দেহ নাই। রোড ডিভাইডারগুলো উঠিয়ে এনেছে ব্যারিকেড দেয়ার জন্য। নিরস্ত্র মানুষেরা অম হলেও চায় প্রতিরাব্যবস্থা। কাগজ, টায়ার, ডালপালা ও অন্যান্য দাহ্যপদার্থ জ্বালাতে হয়েছে, কারণ পুলিশ বৃষ্টির মতো কাঁদুনে গ্যাস ছুড়েছে। আগুন কাঁদুনে গ্যাসের জ্বালা কমায়। সন্দেহ নাই হেফাজত যেখানে পেরেছে তাদের ওপর সরকারের চালানো হামলা প্রতিরোধ করেছে। কিন্তু সেটা করেছে নিরস্ত্র জনগণ যেভাবে হাতের কাছে যা পায় তা-ই দিয়ে। হেফাজত মোমের পুতুল ছিল না। রক্তমাংসের জীবন্ত মানুষ ছিল, যাকে আঘাত করলে সে খালি হাত হলেও প্রতিরোধ করে।



এটা ঠিক হেফাজতকে ঢাকা শহর থেকে ‘ফাশ আউট’ করা হয়েছে। এটা ছিল নিষ্ঠুর ও নির্মানবিক কিন্তু সবচেয়ে সহজ কাজ। সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে ইসলাম প্রশ্নের মোকাবিলা করা। বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাসের কেন্দ্রে হেফাজতে ইসলাম শুধু নিজের জন্য একটি জায়গা করে নেয় নি, বরং এটা বুঝিয়ে দিয়ে গেছে ইসলাম বাংলাদেশের সমাজ, রাজনীতি ও সংস্কৃতির কেন্দ্রীয়, গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ধারক প্রশ্ন। এই প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যেতে পারবে না। বাংলাদেশের আগামি দিনের রাজনীতি বারবারই ৫ ও ৬ তারিখের হত্যাযজ্ঞকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতে থাকবে, ইতিহাসও লেখা হবে এই রক্তাক্ত অভিজ্ঞতাকে ধারণ করে। রাজনৈতিক চেতনার পরিগঠন কোনো বিমূর্ত তত্ত্ব মুখস্থ করে দানা বাঁধে না, বাস্তব ঘটনা থেকেই নতুন বয়ান তৈরি হয়। তার রূপ কী দাঁড়াবে তা এখনি বলার সময় আসে নি, কিন্তু জনগণের সংগ্রাম এগিয়ে যাবে, পিছিয়ে যাবে না। এই হত্যাযজ্ঞ থেকে কী শিা সাধারণ মানুষ গ্রহণ করে তার ওপর নির্ভর করবে আগামি দিনের লড়াই-সংগ্রামের চরিত্র। পুরা ঘটনার মূল্যায়ন বিভিন্ন শ্রেণী ও শক্তির ভূমিকা বিচারের ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের আগামি রাজনীতির গতিপ্রকৃতি। ক্রমেই এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে এবং উঠতে বাধ্য যে এ লড়াই নিছকই ইসলামপন্থী বনাম ইসলামবিদ্বেষী বা বিরোধীর নয়, লড়াইয়ের এই প্রকাশ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বাস্তবতায় বাইরের দিক মাত্র। ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও ঘৃণার গোড়ায় নিছকই বিশ্বাসশূন্যতা বা ধর্মহীনতা কাজ করে না, প্রবল শ্রেণি ঘৃণাও কাজ করে। হেফাজতে ইসলাম নিজেও তার নিজের জায়গা থেকে এই সত্য জানে ও বোঝে। নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে হেফাজতে ইসলাম তার একটি ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘আজ মানুষ থেকে মনুষ্যত্ববোধ বিদায় নিয়েছে। মানুষ হিংস্র দানবে রূপান্তরিত হয়েছে। নিজের প্রতিপালকের পবিত্র বাণী ও নির্দেশনা প্রতিনিয়ত উপেতি। আজ মানবতা ও নৈতিকতার আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে গেছে। চারিদিকে শুধু মজলুম নিষ্পেষিত শোষিতদের চিৎকার, শাসকদের শোষণ, জালেমদের জুলুম, বিত্তশালীদের অত্যাচারে যেন জমিন ফেটে যাবে। এই শোষণ ও নিষ্পেষণের যাঁতাকল থেকে বিপন্ন মানবতাকে মুক্তি দেবার জন্যই হেফাজতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছে।

যদি তা-ই হয় বাংলাদেশের গরিব, নির্যাতীত, নিপীড়িত জনগণ ও খেটে খাওয়া মানুষের মুক্তির নতুন বয়ান তৈরির ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। ধনী ও উচ্চবিত্তরা ইসলাম ততটুকুই বরদাশত করে, যতণ তা গরিবের হক ও ইনসাফের ব্যাপারে কোনো কথা বলে না, নিশ্চুপ থাকে। জালিমের কাছে ইসলাম ততণই ধর্ম যতণ তা মসজিদের চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ। ধর্ম যতণ ব্যক্তিগত ও পারলৌকিক স্বার্থোদ্ধারের উপায় মাত্র ততণই তা ধর্ম বলে বিবেচিত। কিন্তু ধর্ম যখন ব্যক্তির বদ্ধ গণ্ডি অতিক্রম করে সমাজে-সংস্কৃতির পরিসরে ও রাজনীতির পরিমণ্ডলে দাবি এসে দাবি করে গণমানুষের অধিকার আদায় ও ইনসাফ কায়েমও তার সঙ্কল্পের অন্তর্গত, তখন তার বিরুদ্ধে হেন কোনো মারণাস্ত্র নাই যা নিয়ে জালিম ঝাঁপিয়ে পড়ে না।

অপারেশান ফাশ আউট সেই সত্যই নতুন করে প্রমাণ করল মাত্র।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:২৬

এই আমি সেই আমি বলেছেন: হেফাজতিদের না সরালে পরদিন সকালে কি করত সেটা বল নব্য খত্নাকারি ? ওরা ৫ তারিখে যা করেছে সেটা দেখেই অনুমান করা যায় । তোদের হাহাকার কেন সেটা আমরা ঠিকই বুঝি । খালেদার মহা পরিকল্পনা ভেস্তে গেল এটাই তোদের আফসোস ।

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:২৭

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: কিন্তু তার পরেও এই সরকার ও রাষ্ট্রের পে ওকালতি করবার লোকের অভাব হবে না। এই তর্ক চলবে। যার যার শ্রেণিস্বার্থের বিষয়! সমাজে বিভিন্ন শ্রেণি ও শক্তি তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে তথ্য ও পরিসংখ্যান নিয়ে নানা ভাবে হাজির হতে থাকবে। হেফাজতে ইসলাম এক দিনে ঢাকায় কী ‘তাণ্ডবই’ না করেছে তার সচিত্র কাহিনী প্রচারিত হতে থাকবে টেলিভিশানে। হঠাৎ করে দেখা গেল গাছপ্রেমিকের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। হেফাজতিরা শহরের গাছ কেটে তা রাস্তায় ফেলে রেখেছে, আর কিছু গাছ জ্বালিয়েছে। সাঁজোয়া যান ও জলকামান ব্যবহার করে মিছিলগুলোর ওপর পুলিশ ও সরকারের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর হামলা ঠেকাতে এই গাছগুলো ব্যবহার হয়েছে তাতে কোনোই সন্দেহ নাই। রোড ডিভাইডারগুলো উঠিয়ে এনেছে ব্যারিকেড দেয়ার জন্য। নিরস্ত্র মানুষেরা অম হলেও চায় প্রতিরাব্যবস্থা। কাগজ, টায়ার, ডালপালা ও অন্যান্য দাহ্যপদার্থ জ্বালাতে হয়েছে, কারণ পুলিশ বৃষ্টির মতো কাঁদুনে গ্যাস ছুড়েছে। আগুন কাঁদুনে গ্যাসের জ্বালা কমায়। সন্দেহ নাই হেফাজত যেখানে পেরেছে তাদের ওপর সরকারের চালানো হামলা প্রতিরোধ করেছে। কিন্তু সেটা করেছে নিরস্ত্র জনগণ যেভাবে হাতের কাছে যা পায় তা-ই দিয়ে। হেফাজত মোমের পুতুল ছিল না। রক্তমাংসের জীবন্ত মানুষ ছিল, যাকে আঘাত করলে সে খালি হাত হলেও প্রতিরোধ করে।

২| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:৪৮

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ঢাকা শহরের মানুশ জনকে কি মানুষ মনে হয় না? এখানে গরু ছাগ্লের ল্যাদানো নিষিদ্ধ। যা তান্ডব শুরু করছিলো ছাগ্লের দল, অনেক্টা বনের পশুদের মত। এদের ঢাকায় আসার অনুমতি দেয়াই ঠিক হয় নাই।

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: নির্বিচার গুলি করে তো তাদেরই মারা হইছে, তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম হেফাজতিরা তাণ্ডব চালাইছে, কিন্তু এই তাণ্ডবের জন্য ওদের যেভাবে গুলি করে মারা হইল তাতে তা তো পাশবিক কাজকেও হার মানায়

৩| ১৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:০৬

অপ্রিয় সত্য বলেছেন: নিচের কবিতাটি এই বরবাদ মগবাজারের এবাদত নামা 'র অংশবিশেষ।
"
নবীজীর নাম? উঁহু, তার নামও নেবোনা মালিক,
শুধু খদিজার নাম- অপরূপ খদিজার নামে,
একবার দুনিয়ায় আমি সব নাম ভুলে যাব,
তোমাকেও ভুলে যাব ভুলে যাব নবীকে আমার।"

সে নিজে ফরিদা আক্তারের সাথে লিভ-টুগেদার করে এখন বাঙ্গালীকে নতুন করে মুসলমানী করাতে আসছে।এখানে তার সম্পর্কে একটু প্রশংসা করা হয়েছে, আগ্রহীরা পড়তে পারেন।

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৪

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: এই কবিতার ভাবার্থ না বুঝে আজাইরা ডিরেক্ট অর্থ করে আপনি ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, যদি কবিতা না বুঝেন তাইলে আমার কিছু বলার নাই, আর যদি বুঝেও এটাকে ব্যাবহার করে ফরহাদ নিন্দায় রত থাকতে চান তাহলে আপনাকে তিরস্কার

৪| ১৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:১২

পোকা বলেছেন: একজন নাস্তিক ফারহাদ মজহার এর এই লেখার কোন দাম নাই। খালেদা জিয়ার সাথে উনি রাত ১১টায় কি মিটিং করে জাতি জানতে চায়।

যারা পবিত্র কোরান শরীফে আগুন দেয় তাদের হয়ে দালালী করার জন্য নাস্তিক ফারহাদ মজহার এবং জামাত সাপোর্টার জামাতীদের কুকুরের মত নিধন করে পাকিস্তানে পাঠানো উচিত।

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: কোরআনে আগুন কে দিল তার তদন্ত হোক, এটা কারা করেছে সেটা বুঝতে হবে, হেফাজতকে ফাঁসানোর জন্য এই নোংরা কাজ যারা করল তাদের বিচার হওয়া দরকার

আপনাদের রক্তে আছে শুধু নিধন আর নির্মূলের চেতনা, ইয়াহিয়ার প্রেতাত্মা ভর করেছে, পাকিস্তানের শাসকদের মত নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে সব কিছুকে "জামাত" অস্ত্র দিয়ে মোকাবিলা করার অপচেষ্টা

জামাতকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করে গণহত্যাকে ধামাচাপা দেয়ার ভণ্ডামি বাদ দেন

৫| ১৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ভাই আফনে কি উনার ভাবশিষ্য ? B-)) B-))

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২০

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: যেখানে বিরোধী মত বলতে কিছু নাই, সেখানে ফরহাদ সাহসী কিছু মত দেয় বলেই লেখাটা শেয়ার দেয়া

৬| ১৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:০৫

কলাবাগান১ বলেছেন: হাহাকার কেন সেটা আমরা ঠিকই বুঝি । খালেদার মহা পরিকল্পনা ভেস্তে গেল

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২১

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: " খালেদার মহা পরিকল্পনা ভেস্তে গেল" আর হাসিনা জয়ী হল" এটা নিয়ে খুশি থাকেন, কিন্তু বাংলাদেশ তার নাগরকিদের উপর যে হত্যা আর রক্তপাত শুরু করল তা কলঙ্কজনক

৭| ১৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:০৭

েশখসাদী বলেছেন: মানুষ আর মানুষ নাই । সরকারের উপর থেকে নীচের মানুষগুলো অবলীলায় মিথ্যা কথা বলছে । নিরীহ মানুষকে গুলি করে মারছে - তারপরও দালালের অভাব হয় না ।

এর পরিণতি হবে যারা দালালী করছে - তাদের উপরই দুর্যোগ আসবে যাদের পক্ষ হয়ে দালালী করছে তাদের দ্বারাই । স্রষ্টা কারো উপর জুলুম করেন না, তারা নিজেরাই তাদের উপর জুলুম করে ।

দলকে সমর্থন করতে গিয়ে যারা মনুষ্যত্ববোধকেই হারিয়ে ফেলে - মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেনা - তাদেরও পরিণতি ওরকমই হবে ।

হেফাজত ধ্বংস হয় নি বরং তাদের শিক্ষা হয়েছে যে , তাদের দুর্বলতা কোথায় আর শত্রুর চরিত্র কিরূপ। তারা আবার আসবে তখন আর তারা হারবেনা - ইনশাল্লাহ ।

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: সহমত, মানবিকতা এদের গোষ্ঠী চেতনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত! দলবাজির নমুনা দেখেন উপরের এসব লোকজনই নিজেদের দলের বা মতাদর্শের ১ জনও মরলে দুনিয়া উল্টাই দেয় মানবিকতার মায়াকান্না করে

৮| ১৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:১৯

ফারুক মৃধা বলেছেন: হাম্বা নাস্তিক ভাদাদের চোখ খুলবে না কখনো

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: দলকে সমর্থন করতে গিয়ে যারা মনুষ্যত্ববোধকেই হারিয়ে ফেলে - মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেনা - তাদেরও পরিণতি ওরকমই হবে ।পুলিশের গুলি খেয়ে মারা গেলে বুঝবে দালালির পরিণতি কি?

৯| ১৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:৩১

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলেছেন: েশখসাদী বলেছেন: মানুষ আর মানুষ নাই । সরকারের উপর থেকে নীচের মানুষগুলো অবলীলায় মিথ্যা কথা বলছে । নিরীহ মানুষকে গুলি করে মারছে - তারপরও দালালের অভাব হয় না ।

এর পরিণতি হবে যারা দালালী করছে - তাদের উপরই দুর্যোগ আসবে যাদের পক্ষ হয়ে দালালী করছে তাদের দ্বারাই । স্রষ্টা কারো উপর জুলুম করেন না, তারা নিজেরাই তাদের উপর জুলুম করে ।

দলকে সমর্থন করতে গিয়ে যারা মনুষ্যত্ববোধকেই হারিয়ে ফেলে - মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেনা - তাদেরও পরিণতি ওরকমই হবে ।

হেফাজত ধ্বংস হয় নি বরং তাদের শিক্ষা হয়েছে যে , তাদের দুর্বলতা কোথায় আর শত্রুর চরিত্র কিরূপ। তারা আবার আসবে তখন আর তারা হারবেনা - ইনশাল্লাহ ।

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: পুলিশের গুলি খেয়ে মারা গেলে বুঝবে দালালির পরিণতি কি?

১০| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
অভিযানে গুলিতে কেউ মারা যায় নি, দুএকজন যাদেরকে নিখোজ বলে দাবি করা হচ্ছিল, দেখা গেছে তারা মাদ্রাসার পরিক্ষা হলে যথারিতি উপস্থিত!
Click This Link

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: দুই ১ জনের উদাহরণ দিয়ে সব হত্যাযজ্ঞকে নাকচ করে দেয়া মিথ্যাচার

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: শাপলা অভিযানে গুলিবিদ্ধ আলেমের মৃত্যু, জানাযায় বাধা
Click This Link

১১| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

জামান2021 বলেছেন: সরকারের উপর থেকে নীচের মানুষগুলো অবলীলায় মিথ্যা কথা বলছে । নিরীহ মানুষকে গুলি করে মারছে - তারপরও দালালের অভাব হয় না ।

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: পুলিশের গুলি খেয়ে মারা গেলে বুঝবে দালালির পরিণতি কি?

১২| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

বিপুল কুমার বিশ্বাস বলেছেন: দলকে সমর্থন করতে গিয়ে যারা মনুষ্যত্ববোধকেই হারিয়ে ফেলে - মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেনা - তাদেরও পরিণতি ওরকমই হবে ।
পুলিশের গুলি খেয়ে মারা গেলে বুঝবে দালালির পরিণতি কি?


এই কথার ক্ষেত্রে সহমত ।

১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: মানবিকতার সার্বজনীন ধারণা বাদ দিয়া যারা দলবাজিতে বাজিমাত করতে চায় তাদের নিন্দা জানাই

১৩| ১৮ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:০২

এই আমি সেই আমি বলেছেন: কয়েক হাজার মারা যায়নি বলে অনেকের আফসোস কাঁঠাল ঠিকমত পাকল না বলে তাই কিলিয়ে কাঁঠাল পাকাবার চেষ্টা অর্থাৎ গুজব দিয়ে সেটাকে হাজারে পরিণত করা আবার কয়েক জন মারা গেছে বলে অনেকে আত্মতৃপ্তিতে ঢেকুর তুলছে । কয়েক হাজার মারা যেমন অন্যায় তেমনি কয়েক জন মারাও তেমনি অন্যায় । কথা সেটা নয় এই কয়েক হাজার বা কয়েক জন মারা যাবার পরিস্থিতি সৃষ্টি হল কেন ? কই আগের বার তো সেটা হয়নি । হেফাজত বা সরকার কেন ৪৮ ঘণ্টার মাজেজা বুঝল না । তারা কেন ঢাকার প্রবেশ পথ থেকে ফিরে না গিয়ে ঢাকা আসার বায়না ধরল আর সরকার কেন তাদের এই অনুমতি দিল । জামাত হিজবুতিরা যে তাণ্ডব চালাবে এই খবর সরকার এবং হেফাজত উভয়ের কাছেই ছিল । হেফাজত কেন তার দাড়ি বাড়িয়ে দিল হাত মুছবার জন্য শিয়ালের কাছে ? তবে যে বাজারে গুজব জামাতের কাছে হেফাজত বিক্রয় হয়েছে আর বাবু নগরীর হয়েছে মন্ত্রী হবার খায়েশ সেটাই কি সত্য ?


৭১ সালে জামাত কেন পাকিস্থান কে সাপোর্ট করেছিল ধর্ম সহ নানা যুক্তি দেখায় , আর হেফাজতিরাও ৫ই মের পক্ষে নানা যুক্তি দেখায় । ইসলাম ত নয়ই পৃথিবীর কোন ধর্মই তাদের এই তাণ্ডব কে সমর্থন করতে পারে না ।
আপনি দেখালেন আর এক আষাঢ়ে যুক্তি কাঁদানে গ্যাস থেকে বাচবার জন্য তারা গরিব হকার দের দোকানপাট আর কুরান পুড়েছে । যেমন রানী শীত নিবারণের জন্য পুড়িয়েছিল গরিব প্রজার ঘর বাড়ি । যদিও আপনি অনুযোগ করেছেন সবায় তার পছন্দ মত যুক্তি দেয় । আপনিই তার থেকে কতটুকু মুক্ত ।

শেষ করার আগে আর একটি কথা । এই কথায় কথায় তলোয়ার নিয়ে ছুটে যায় বলেই আজ ৬০ লক্ষ ইহুদি ১২০ কোটি মুসলমানরে দৌড়ের উপর রাখছে ।





১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৫৯

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: Click This Link

১৪| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৪৮

এই আমি সেই আমি বলেছেন: পুলাপানের ললিপপের মত clik this link হাতে ধরিয়ে দিলেন । জামাতি পেজের ফটোশপের এই অখাদ্য আপনি ভক্ষণ করেন ঠিক আছে , কিন্তু আরেক জনের পাতে দেবার চেষ্টা করেন কেন ? এই রকম বহু ভণ্ডামির নমুনা আমি দিতে পারি ।

পারলে আমার মন্তব্যের উত্তর দিন আর উত্তর না দিলে অন্তত অনুধাবন করার চেষ্টা করুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.