নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....
এক ধনী ব্যক্তি আপন স্ত্রীর সাথে বসে খানা খাচ্ছিলেন। উন্নত খাবার বিধায় ঘটা করেই তারা বসেছেন। এমন সময় এক ভিক্কুক এসে দরজার পাশে দাঁড়াল। ব্যাপারটা তাদের কাছে খুবই অস্বস্তিকর ও অপমানজনক মনে হলো। তাই ভিক্কুককে তাদের ধমক শুনতে হলো এবং সে চলে গেল।
কখনো কখনো মানুষের দু-একটি আমল এমন হয়, যার ফলে আল্লাহর গজব তেড়ে আসে। এ দম্পতির বেলায়ও তাই হলো। অল্প দিনের ব্যবধানে তাদের বিবাহ বন্ধনে ফাটল ধরল। এমনকি বিচ্ছেদের মতো তিক্ত ঘটনাও ঘটে গেল। স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে এলো। চার মাস ১০ দিন ইদ্দতের সময় পূর্ণ করল। তারপর অন্যত্র দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে হলো। দ্বিতীয় স্বামীও ছিল ধনী। একদিন তারা দু’জন খেতে বসল। এ সময় একজন ফকির এসে দরজার সামনে দাঁড়াল। স্ত্রী বলল, ইতঃপূর্বে আমি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলাম। ভয় হয়, আল্লাহর কোনো গজব আবার আঘাত করে কি না। তাই আমি একটু আসি। আগে ফকিরটাকে কিছু দিয়ে আসি। স্বামী বলল, ঠিক আছে যাও। আগে ফকিরকে বিদায় করো, তারপর খানা খাবো।
স্ত্রী দরজায় অপেক্ষমাণ ফকিরের কাছে যখন গেল, সাথে সাথে চমকে উঠল, এ যে তার আগের স্বামী! ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠে দ্রুতগতিতে বর্তমান স্বামীর কাছে ফিরে এলো। বলল, ফকিরটা যে আমার প্রথম স্বামী! সে ছিল খুব ধনী। একবার তার সাথে খেতে বসেছিলাম, আজ যেমনিভাবে আপনার সাথে বসেছি। এমন সময় দরজায় এক ভিক্কুকের আওয়াজ শুনলাম। ভিক্কুকটিকে আমার এ স্বামী তাড়িয়ে দিয়েছিল। যার কারণে সেও আজ ভিক্ষার ঝুলি নিলো।
বৃত্তান্ত শোনার পর স্বামী বলল, আরো বিস্ময়কর সংবাদ শুনবে কি? স্ত্রী বলল, বলুন, শুনব। স্বামী বলল, জানো তোমাদের দরজার সেদিনকার সেই ফকির আজ তোমার স্বামী। আমাকেই তোমরা তাড়িয়ে দিয়েছিলে।
এই হলো আল্লাহর কারিশমা। ধনদৌলতের মালিককে বানালেন ফকির। ফকিরকে করলেন ধনী।
আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।
এই ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা পেলাম যে, ভিক্কুকের সাথে রূঢ় ব্যবহার করা উচিত নয়।
(হজরত আশরাফ আলী থানভী রহ)
হজরত জাবের রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, একজনের খাবার দু’জনের জন্য যথেষ্ট। দু’জনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট। চারজনের খাবার আটজনের জন্য যথেষ্ট।
এ হাদিসে একটি মূলনীতি পেশ করা হয়েছে; তা হলোঃ খাওয়া চলাকালীন কোনো মেহমান অথবা ভিক্কুক এলে এই বলে তাদেরকে বঞ্চিত করা যাবে না যে, এখানে তো একজনের খাবার, শরিক করা হলে কম হয়ে যাবে। বরং তাকেও খাবারে শরিক করে নেবে। এতে আল্লাহ তা’আলা বরকত দেবেন।
২| ২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রেম, সাম্যতা, মানবতা, সহানুভূতি, সকল কিছুর বিকাশে কত তাগিদ ইসলামে।
আহা আমরা যদি সত্যিকারের মুসলিম হতে পারতাম।
আল্লাহর শপথ এই দেশ সারা বিশ্বে অনুকরণীয় হয়ে থাকত। ধরে জনে শৌয্যে আল্লাহর রহমতে সকলকে ছাড়িয়ে যাবার সক্ষমতা পেত।
৩| ২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
তুন্না বলেছেন: আল্লাহ সবাই কে হেদায়েত করুক। আমিন...
৪| ২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
ডি মুন বলেছেন: ভালো লাগলো
৫| ২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
মো.সাইফউদ্দীন মজুমদার বলেছেন: ভাল লাগলো।
৬| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:০৯
অলস_ছেলে বলেছেন: সকল প্রসংসা আল্লাহর জন্য ... আমিন
৭| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:১৪
জহির উদদীন বলেছেন: আল্লাহ সবাই কে হেদায়েত করুক। আমিন...
৮| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:২৪
কায়সার আহমেদ কায়েস বলেছেন: ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ।
৯| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
নাহিদ তামিম বলেছেন: ২৫ বছরের সচল মানুষ যদি ভিক্ষা চাই তাকে ভিক্ষা দেওয়ার যুক্তি কতটা এটা কি একটু ব্যাখ্যা করবেন??
১০| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪০
সাজিদ ঢাকা বলেছেন: উম ম ম ম
১১| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
পানকৌড়ি বলেছেন: প্রথম অংশটুকু হাদিস নাকি গল্প ?
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
মমবাতি বলেছেন: ভাল লাগলো।