![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিনি অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে বসে আছেন ।ইদানিং আলো তার অসহ্য লাগে।চোখে আলো গেলে চোখ কটমট করে এবংচোখ থেকে অনবরত পানি পড়তে থাকে ।বিষয়টা নিয়ে তিনি ডাক্তারের সাথে দেখা করেছেন ।ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধও খাচ্ছেন নিয়মিত ।তবে সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না ।তার ধারনা সমস্যা আরো বাড়ছে ।তার চোখ থেকে এখন পানি পড়ছে ।দেখে মনে হতে পারে তিনি কাঁদছেন।
তিনি বসেছেন বারান্দায় পাতা রকিং চেয়ারে ।চেয়ারের হাতলের ওপর একটা নীল রংয়ের টাওয়েল রাখা ।তিনি টাওয়েলটা হাতে নিয়ে চোখ মুছলেন ।
আলো অসহ্যবোধ হওয়ায় তিনি খানিকটা লজ্জিত এবং বিষন্নবোধ করছেন ।মানুষ অন্ধকারের চেয়ে আলো পছন্দ করে বেশি ।প্রাচীন কালে আদি মানবেরা রাতের অন্ধকারে আগুন জ্বালিয়ে আগুনকে ঘিড়ে বসে থাকতো ।মানুষ বিপদে পড়লে আলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে পছন্দ করে ।আলো তাদের মনে খানিকটা হলেও আশার সঞ্ঝার করতে পারে ।আর আলো কি না তার অসহ্য লাগছে !
অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তিনি ঘোড়ের মধ্যে চলে গেলেন ।তিনি দেখতে পেলেন একটি কুয়াশাঘেড়া বিরানভূমি থেকে কি যেন ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে ।গাঢ় কুয়াশা সত্বেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে একটি শিশু হামাগুড়ি দিতে দিতে সামনে আসছে ।হঠাত্ কুয়াশা বিলীন হয়ে গেল ।কুয়াশার পরিবর্তে ঠাই নিল অপরূপ জোছনা ।রূপালী জোছনা গায়ে মাখতে মাখতে শিশুটি আসছে ।শিশুটি অবিকল বাবুর মত করছে ।কিছুক্ষণ হামাগুড়ি দিয়ে সোজা হয়ে বসে থাকে।তারপর চারপাশ দেখে আবার হামাগুড়ি দেয় ।শিশুটি দেখতেও বাবুর মত ।তিনি এবার কাঁপতে লাগলেন ।তার হাত পা সবই কাঁপছে ।
শিশুটি বসে আছে ।তার দিকে তাকিয়ে সে খুব মধুর ভঙ্গিতে হাসি দিল ।যেমন হাসিকেবল শিশুরা তাদের বাবার দিকে তাকিয়ে হেসে থাকে ।এবার তিনি আঁতকে উঠলেন ।শিশুটির হাসিও বাবুর হাসির মত ।তিনি ছটফট করছেন ।শিশুটি তার একেবায়ে কাছে এসে পড়লো ।এইতো সে বসে তারদিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ।যেন কোলে উঠতে চাচ্ছে ।
তিনি বিকট এক চিত্কার দিয়ে উঠলেন ।
রাহেলা বেগম রাহা ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলেন ।তিনি শফিক সাহেবের গায়ে হাত রেখে বললেন , 'এই তোমার কি হয়েছে?তুমি এমন করছো কেন ?'
শফিক সাহেব কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যালকরে তাকিয়ে থেকে বললেন , 'কিছু হয়নি ।এক গ্লাস পানি দিতে পারবে রাহা ?'
-তুমি উঠে বস ।আমি পানি দিচ্ছি ।
রাহেলা বেগম রাহা টেবিলের ওপর রাখা ল্যাম্পটা জ্বাললেন ।তারপর এক গ্লাস পানি এনে শফিক সাহেবের কাছে গেলেন ।শফিক সাহেব যন্ত্রের মত হাতে গ্লাসটা নিলেন ।পানিতে এক চুমুক দিয়ে গ্লাসটা রেখে দিলেন ।তার হাত পা এখনও কাঁপছে ।
-এই তুমি কি দুঃস্বপ্ন দেখেছো?ভয় করছে ?
-কই না তো ।
-তাহলে এরকম করছো কেন ?
-আর করবো না ।রাহা এক কাজ করতো ।ল্যাম্পটা নিভিয়ে দাও ।চোখে আলো লাগছে ।
রাহেলা বেগম রাহা হাত বাড়িয়ে ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিলেন ।তারপর শফিক সাহেবকে বললেন ,'এদিকে আসো তো ।তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিই ।'
শফিক সাহেব বাধ্য ছেলের মত কাছে এগিয়েগেলেন ।
রাহেলা বেগম রাহা তার মাথায় পরম মমতায়হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন ।তিনি চোখ বন্ধ করলেন ।এবং প্রায় সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়লেন ।ঘুমের মধ্যেও তিনি তার মাথায় হাতের পরশ টের পেলেন ।তিনি আরো গভীর ভাবে ঘুমিয়ে পড়লেন ।হঠাত্ তিনি শিউরে উঠলেন ।ওই তো অন্ধকারের দিখে মুখ করে থাকা লোকটাকে দেখা যাচ্ছে ।. .. . . .
ি
নি অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে বসে আছেন ।ইদানিং আলো তার অসহ্য লাগে।চোখে আলো গেলে চোখ কটমট করে এবংচোখ থেকে অনবরত পানি পড়তে থাকে ।বিষয়টা নিয়ে তিনি ডাক্তারের সাথে দেখা করেছেন ।ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধও খাচ্ছেন নিয়মিত ।তবে সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না ।তার ধারনা সমস্যা আরো বাড়ছে ।তার চোখ থেকে এখন পানি পড়ছে ।দেখে মনে হতে পারে তিনি কাঁদছেন।
তিনি বসেছেন বারান্দায় পাতা রকিং চেয়ারে ।চেয়ারের হাতলের ওপর একটা নীল রংয়ের টাওয়েল রাখা ।তিনি টাওয়েলটা হাতে নিয়ে চোখ মুছলেন ।
আলো অসহ্যবোধ হওয়ায় তিনি খানিকটা লজ্জিত এবং বিষন্নবোধ করছেন ।মানুষ অন্ধকারের চেয়ে আলো পছন্দ করে বেশি ।প্রাচীন কালে আদি মানবেরা রাতের অন্ধকারে আগুন জ্বালিয়ে আগুনকে ঘিড়ে বসে থাকতো ।মানুষ বিপদে পড়লে আলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে পছন্দ করে ।আলো তাদের মনে খানিকটা হলেও আশার সঞ্ঝার করতে পারে ।আর আলো কি না তার অসহ্য লাগছে !
অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তিনি ঘোড়ের মধ্যে চলে গেলেন ।তিনি দেখতে পেলেন একটি কুয়াশাঘেড়া বিরানভূমি থেকে কি যেন ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে ।গাঢ় কুয়াশা সত্বেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে একটি শিশু হামাগুড়ি দিতে দিতে সামনে আসছে ।হঠাত্ কুয়াশা বিলীন হয়ে গেল ।কুয়াশার পরিবর্তে ঠাই নিল অপরূপ জোছনা ।রূপালী জোছনা গায়ে মাখতে মাখতে শিশুটি আসছে ।শিশুটি অবিকল বাবুর মত করছে ।কিছুক্ষণ হামাগুড়ি দিয়ে সোজা হয়ে বসে থাকে।তারপর চারপাশ দেখে আবার হামাগুড়ি দেয় ।শিশুটি দেখতেও বাবুর মত ।তিনি এবার কাঁপতে লাগলেন ।তার হাত পা সবই কাঁপছে ।
শিশুটি বসে আছে ।তার দিকে তাকিয়ে সে খুব মধুর ভঙ্গিতে হাসি দিল ।যেমন হাসিকেবল শিশুরা তাদের বাবার দিকে তাকিয়ে হেসে থাকে ।এবার তিনি আঁতকে উঠলেন ।শিশুটির হাসিও বাবুর হাসির মত ।তিনি ছটফট করছেন ।শিশুটি তার একেবায়ে কাছে এসে পড়লো ।এইতো সে বসে তারদিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ।যেন কোলে উঠতে চাচ্ছে ।
তিনি বিকট এক চিত্কার দিয়ে উঠলেন ।
রাহেলা বেগম রাহা ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলেন ।তিনি শফিক সাহেবের গায়ে হাত রেখে বললেন , 'এই তোমার কি হয়েছে?তুমি এমন করছো কেন ?'
শফিক সাহেব কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যালকরে তাকিয়ে থেকে বললেন , 'কিছু হয়নি ।এক গ্লাস পানি দিতে পারবে রাহা ?'
-তুমি উঠে বস ।আমি পানি দিচ্ছি ।
রাহেলা বেগম রাহা টেবিলের ওপর রাখা ল্যাম্পটা জ্বাললেন ।তারপর এক গ্লাস পানি এনে শফিক সাহেবের কাছে গেলেন ।শফিক সাহেব যন্ত্রের মত হাতে গ্লাসটা নিলেন ।পানিতে এক চুমুক দিয়ে গ্লাসটা রেখে দিলেন ।তার হাত পা এখনও কাঁপছে ।
-এই তুমি কি দুঃস্বপ্ন দেখেছো?ভয় করছে ?
-কই না তো ।
-তাহলে এরকম করছো কেন ?
-আর করবো না ।রাহা এক কাজ করতো ।ল্যাম্পটা নিভিয়ে দাও ।চোখে আলো লাগছে ।
রাহেলা বেগম রাহা হাত বাড়িয়ে ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিলেন ।তারপর শফিক সাহেবকে বললেন ,'এদিকে আসো তো ।তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিই ।'
শফিক সাহেব বাধ্য ছেলের মত কাছে এগিয়েগেলেন ।
রাহেলা বেগম রাহা তার মাথায় পরম মমতায়হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন ।তিনি চোখ বন্ধ করলেন ।এবং প্রায় সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়লেন ।ঘুমের মধ্যেও তিনি তার মাথায় হাতের পরশ টের পেলেন ।তিনি আরো গভীর ভাবে ঘুমিয়ে পড়লেন ।হঠাত্ তিনি শিউরে উঠলেন ।ওই তো অন্ধকারের দিখে মুখ করে থাকা লোকটাকে দেখা যাচ্ছে ।. .. . . .
©somewhere in net ltd.