নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভৌতিক মানব

ভৌতিক মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্যুটকেস

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৭

আজ কুসুম বাপের বাড়ি যাচ্ছে।শ্বশুর‌‌,শাশুড়ির মুখভার।

ছোট দেওর শান্ত,সে তার হরিণচোখের আকুতি নিয়ে

মেজভাবির পাশে দাঁড়িয়ে আছে।তার ইচ্ছে মেজভাবি

যদি না যায়,তবে সে তার কোকিল দুটি দিয়ে দেবে।



ইতিমধ্যেই স্যুটকেস গোছাতে‌ গোছাতে অনুরোধটি

বার চারেক শুনেছে কুসুম।এত উদ্বেগের মধ্যেও

সে তার হাসি চেপে রাখতে পারেনি।



এ‌ বাড়ির পশ্চিম দিকের আমগাছটিতে প্রতিদিন

দুটি কোকিল এসে বসে।কুহুরবে বসন্তবার্তা জানায়।

শান্তর দাবী,কোকিল দুটি তার।



জুতোর ফিতে বাঁধতে_বাঁধতে ইমরান বলল‌‌__

ন’টার লোকাল ধরতেই হবে।নইলে রাত হয়ে যাবে।



পথেঘাটে এখন আর নিরাপত্তা নাই।দিনদুপুরে চুরি,

ছিনতাই,ধর্ষণ,খুন হয়।তাই দুরের পাড়িতে রাত মানেই

আতঙ্ক।



কুসুমের মনেও সংশয়।তার আব্বা আর আছেন কিনা।

মা গেছেন অনেকদিন।বৃদ্ধ মানুষটি পুত্রবধুদের

ইন্তেজার হয়ে ছিলেন এতদিন।আচমকা পক্ষাঘাত।

পুত্রবধুরা যে যার বাপের বাড়ি চলে গেছে।তাই

কুসুমকে তলব।



সেবাযত্ন বিষয়টি কুসুমের বড় সাধনার ধন।কালো

মেয়ে তাই দিয়ে বিষময়ী শাশুড়ি আর গোমড়ামুখো

শ্বশুরের মন জয় করেছে।তাঁরা এখন পৃথকন্ন বড় বউ

আর আত্মজা ছায়ার চেয়েও আপন ভাবেন কুসুমকে।



ছায়া কলতলায় ব্রাশ করছিল।বাপমায়ের ভাবগতিক

তারও আজকাল ভাল লাগে না।প্রায় পনেরো দিন

আগে,সে তার স্যুটকেস নিয়ে বাপের বাড়ি এসেছে।



তার স্বামী ফয়জল সরকারী চাকরী করে।মা তার ঘাড়ের বোঝা হয়ে আছে।ছায়ার তাই রাগ করে চলে

আসা।এখন কেন কে জানে মনে হচ্ছে,কাজটা ঠিক

হয়নি।



কুসুমরা চলে যাওয়ার ঘন্টাখানেক পরে ফয়জল এল।

ঝড়_বিধ্বস্ত চেহারা।কষ্টের হাসি মুখে ফুটিয়ে সে

বলল:মা’কে দেশের বাড়িতে রেখে এলাম।



পৃথিবীটা বুঝি কাঁপছে।ছায়ার কেন কে জানে মনে

হলো,কুসুমের স্যুটকেসটা বোঝা নয়।বলল:চল,

আমরা তাঁকে ফিরিয়ে আনি।জ কুসুম বাপের বাড়ি যাচ্ছে।শ্বশুর‌‌,শাশুড়ির মুখভার।

ছোট দেওর শান্ত,সে তার হরিণচোখের আকুতি নিয়ে

মেজভাবির পাশে দাঁড়িয়ে আছে।তার ইচ্ছে মেজভাবি

যদি না যায়,তবে সে তার কোকিল দুটি দিয়ে দেবে।



ইতিমধ্যেই স্যুটকেস গোছাতে‌ গোছাতে অনুরোধটি

বার চারেক শুনেছে কুসুম।এত উদ্বেগের মধ্যেও

সে তার হাসি চেপে রাখতে পারেনি।



এ‌ বাড়ির পশ্চিম দিকের আমগাছটিতে প্রতিদিন

দুটি কোকিল এসে বসে।কুহুরবে বসন্তবার্তা জানায়।

শান্তর দাবী,কোকিল দুটি তার।



জুতোর ফিতে বাঁধতে_বাঁধতে ইমরান বলল‌‌__

ন’টার লোকাল ধরতেই হবে।নইলে রাত হয়ে যাবে।



পথেঘাটে এখন আর নিরাপত্তা নাই।দিনদুপুরে চুরি,

ছিনতাই,ধর্ষণ,খুন হয়।তাই দুরের পাড়িতে রাত মানেই

আতঙ্ক।



কুসুমের মনেও সংশয়।তার আব্বা আর আছেন কিনা।

মা গেছেন অনেকদিন।বৃদ্ধ মানুষটি পুত্রবধুদের

ইন্তেজার হয়ে ছিলেন এতদিন।আচমকা পক্ষাঘাত।

পুত্রবধুরা যে যার বাপের বাড়ি চলে গেছে।তাই

কুসুমকে তলব।



সেবাযত্ন বিষয়টি কুসুমের বড় সাধনার ধন।কালো

মেয়ে তাই দিয়ে বিষময়ী শাশুড়ি আর গোমড়ামুখো

শ্বশুরের মন জয় করেছে।তাঁরা এখন পৃথকন্ন বড় বউ

আর আত্মজা ছায়ার চেয়েও আপন ভাবেন কুসুমকে।



ছায়া কলতলায় ব্রাশ করছিল।বাপমায়ের ভাবগতিক

তারও আজকাল ভাল লাগে না।প্রায় পনেরো দিন

আগে,সে তার স্যুটকেস নিয়ে বাপের বাড়ি এসেছে।



তার স্বামী ফয়জল সরকারী চাকরী করে।মা তার ঘাড়ের বোঝা হয়ে আছে।ছায়ার তাই রাগ করে চলে

আসা।এখন কেন কে জানে মনে হচ্ছে,কাজটা ঠিক

হয়নি।



কুসুমরা চলে যাওয়ার ঘন্টাখানেক পরে ফয়জল এল।

ঝড়_বিধ্বস্ত চেহারা।কষ্টের হাসি মুখে ফুটিয়ে সে

বলল:মা’কে দেশের বাড়িতে রেখে এলাম।



পৃথিবীটা বুঝি কাঁপছে।ছায়ার কেন কে জানে মনে

হলো,কুসুমের স্যুটকেসটা বোঝা নয়।বলল:চল,

আমরা তাঁকে ফিরিয়ে আনি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.