নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন অতি সাধারন বাংলাদেশী। আমি আমার দেশ ও দেশের মানুষকে খুব ভালবাসী। আগ্রহী যে কেউ আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে পারেন।
বর্তমানে রাজধানীর বা দেশের যা অবস্থা মানে দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি, প্রচন্ড যানজট, ভয়ানক দুষণ, সবক্ষেত্রে দুর্নীতি, ইত্যাদি অসংগতিতেও আমরা যেভাবে মানিয়ে নিচ্ছি ও দোষারোপ করে বা উপহাস করে দিনাতিপাত করছি, এসব দেখেই বহু পুরনো, এবং অনেকেরই পরিচিত একটা বিষয় নতুন করে মনে হলো।
উনিশ শতকের একটি বহুল আলোচিত বা সমালোচিত পরীক্ষা হলো উত্তপ্ত ব্যাঙ বা “The Boiling frog” পরীক্ষা। শরীরে আত্নার অবস্থান সনাক্তের জন্য ১৮৬৯ সালে জার্মান শরীর বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক লিওপোল্ড গোল্টজ্ সর্বপ্রথম এই পরীক্ষাটি করেন। এরপর নানা বিজ্ঞানীই এই একই পরীক্ষা করেন এবং এর ফলাফল বিভিন্ন জনের কাছে ভিন্ন হয়। তৎকালিন সময়ে কেউ এর ফল বিশ্বাস কেউ অবিশ্বাস করেছে আর তাই এটি একটি আলোচিত কিংবা সমালোচিত পরীক্ষা।
পরীক্ষাটি ছিল একটি জীবন্ত ব্যাঙকে একটি পানির পাত্রে রেখে তা ধীরে ধীরে উত্তপ্ত করতে থাকলে, ব্যাঙটি কোন রকমের আচরণ বা নড়াচড়া ছাড়াই পানির উত্তপ্ত মানে বাড়তি তাপমাত্রার সাথে নিজের শরীরের তাপমাত্রার সমন্ময় করে ধীরে ধীরে মারা যায়।স্বাভাবিক ভাবে দেখলে মনে হয়, ব্যাঙটিকে সিদ্ধ করে মারা হলো।
আসলে, এখানে ফুটন্ত পানি কিন্তু ব্যাঙয়ের প্রাণহানীর কারণ নয়। তার মৃত্যুর আসল কারণ হলো সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারা, মানে ঠিক সময়ে লাফ দিয়ে উত্তপ্ত পানির পাত্র ত্যাগ না করা। ব্যাঙটি প্রথমে আরাম অথবা আলসেমীতে নিজে দেহের শক্তি ক্ষয় করে তাপমাত্রার সাথে শরীরের সমন্ময় করতে থাকে, কিন্তু ক্রমাগত এ প্রক্রিয়া চালাতে গিয়ে ব্যাঙটি তার দেহের এত বেশী শক্তি খরচ করে ফেলে যে, পরবর্তীতে ইচ্ছা থাকলেও তার লাফ দিয়ে ফুটন্ত পানির পাত্র ত্যাগ করার কোন শক্তিই আর শরীরে অবশিষ্ট থাকে না।
ব্যাঙটি যদি পাত্রের পানির সাথে তার শরীরের তাপমাত্রা সমন্ময় না করে অল্প কিছু সময় পরই লাফ দিয়ে পাত্রটি ত্যাগ করতো তাহলে, হয়তো সে মারা যেত না। এই পরীক্ষার ফলাফল বিজ্ঞানের উপকারে লাগুক বা না লাগুক, পরবর্তীতে ব্যাপক ভাবে রুপক অর্থে ব্যাবহৃত হতে শুরু করে, যা আজও চলমান আছে। কারণ মানুষ বিশেষ করে বাঙালী অথবা বাংলাদেশী আমরা যারা আছি, তারা সকল বিষয়েই হয় নিজে মানিয়ে নিই, নতুবা অন্যকে মানিয়ে নিতে বলি।আমাদের মানুষিকতা এমন হয়ে যাচ্ছে বা গেছে যে, ঝামেলা বাড়িয়ে কি লাভ শুধু শুধু। কিন্তু এই ঝামেলা মুক্ত থাকতে গিয়ে একসময় আমরা জীবন থেকেই মুক্তি নিয়ে ফেলি, কিন্তু ঝামেলা মুক্ত জীবন আর পাই না…
সকল ধরনের অসংগতি, অব্যাবস্থাপনা, অনাচার বন্ধে আমরা কার্যৃকরি ব্যবস্থা গ্রহণের চেয়ে দোষারোপ বা বিষটা উপেক্ষা করতেই বেশী আগ্রহী। ভোগান্তীকেই আমরা খুশি মনে আমাদের নিয়তী হিসাবে মেনে নিয়েছি। যতদিন না আমাদের এই মানুষিকতার পরিবর্তন হবে, যতদিন না আমরা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত ও তার বস্তবায়ন করতে না পারবো, ততদিনই আমরা উত্তপ্ত ব্যাঙয়ের মত প্রাণ দিতেই থাকবো।
১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:১০
সাইবার সোহেল বলেছেন: সমাধানটাও সহজ হতো যদি, জ্ঞানপাপীদের সংখ্যা বেশী না হয়ে, প্রকৃতজ্ঞানী ও খাটি দেশ প্রেমিকের সংখ্যা বেশী হতো...
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:২৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আগামী ৩০ বছরের মাঝে দেশে বিপ্লব হবে?
১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৩
সাইবার সোহেল বলেছেন: যদি শিক্ষা ব্যবস্থা বা সিলেবাসের পরিবর্তন না হয়, আর যদি যোগ্য নেতৃত্ব না পাওয়া যায়, তাহলে ৩০ কেন ৩০০ বছরেও কিছু বদলাবে না.. অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে...।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:১৫
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কিছু ব্যাঙ লাফিয়ে পাত্র ত্যাগ করছে। এদের একাংশ অনেক ভালো পরিবেশ যেতে পারছে ঠিকই কিন্তু অনেকেই আবার সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছে।
মুক্ত অর্থনীতির নামে লুটপাঠ চললে আর আইনের কোনো প্রয়োগ না থাকলে এমনটিই হয়।
১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৬
সাইবার সোহেল বলেছেন: সহমত ভাইজান, হিরক রাজ্যে আছি আমরা..।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৫৮
বিটপি বলেছেন: লাফিয়ে পাত্র কেন ত্যাগ করতে হবে? পাত্রের তাপমাত্রা যাতে না বাড়ে - সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তবে পাত্রে যারা তাপ দিচ্ছে, তারা কিছু পাত্রের দিকে তাকিয়ে নেই - তাদের চোখ অন্যদিকে।
১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১৬
সাইবার সোহেল বলেছেন: তাপমাত্রা বাড়ানোর বিষয়তো পরে, আগে আমাকে কেন গরম পাত্রে থাকতে হবে?? এবিষয়ে প্রশ্ন বা প্রতিবাদ করার জ্ঞানটাই তো আমাকে দেয়া হয়নি.. কারণ, তাহলে তো আর এসব অসম ও অবৈধ সুযোগ পাওয়া যাবে না, ঠিক না?
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ব্যাংক কেন এক জায়াগায় স্থির হয়ে বসে থাকবে?
১০ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
সাইবার সোহেল বলেছেন: এখানে ব্যাংক কোথায় পেলেন!!! এখানে তো জীবন্ত প্রাণী ব্যাঙ, মানে ইংরাজিতে যাকে Frog বলা হয়, তার বিষয়ে মানে তার স্বভাব নিয়ে বলা হয়েছে...।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২৫
সোবুজ বলেছেন: সমস্যাটা সুন্দর ভাবে তুলে ধরছেন কিন্তু সমাধানটা সহজ না।