নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

১৪৩

সাইবার সোহেল

আমি একজন অতি সাধারন বাংলাদেশী। আমি আমার দেশ ও দেশের মানুষকে খুব ভালবাসী। আগ্রহী যে কেউ আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে পারেন।

সাইবার সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধু আইন বা বিচারই কেন সবার জন্য সমান, :|| চিকিৎসা কেন নয়!!! B:-)

১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৪:৫৭

আদিকাল বা সেই ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি যে, আইন বা বিচার সবা্র জন্য সমান। শুধু একমাত্র আইন বা বিচারই কেন সবার জন্য সমান?? আর অন্য বিষয়গুলো কেন নয়? কেন সবার জন্য নয় একরকম শিক্ষা, খাদ্য না হলে নাই হলো, নাইবা হলো একই রকমের বাসস্থান… কিন্তু চিকিৎসার মতো এমন অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়তেও কেন বৈষম্য থাকবে?? দেশ তো কারও একার নয়, সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে নিয়েই দেশ। কোন গোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কোন ভাবেই দেশে সুষ্ঠ ভাবে চলতে পারেনা, শুধু দূনীতিবাজ এবং অপরাধী ছাড়া। যদিও বলা হয় আইন বা বিচার সবার জন্য সমান.. কিন্তু আসলে, মানে বাস্তবেও কি তাই? কখনই না..। এর অজস্র প্রমাণ আমরা হরহামেশাই পাচ্ছি, কিন্তু সেটা স্বীকার করছিনা। তেমনি আমাদের নেতাগণ সব সময়ই যতই বলুক যে, দেশের শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত বিশ্বের মতো, কিন্তু ওনারা নিজেরাই তা বিশ্বাস করেন না..। ওনাদের অনেকের সন্তানই বিদেশে লেখাপড়া করে, আর ওনারা তো সমান্য সর্দিকাশি, কিংবা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যও দেশের বাইরে চলে যান। ওনাদের কেন এমন দৈতাচরন, এটা আমার মতো হয়তো অনেকেরই বোধগম্য নয়। দেশে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে একের পর এক আধুনিক ও উন্নত যন্ত্রপাতি ও সুযোগসুবিধা সংবলিত হাসপাতাল চালু হলেও কোন তাহলে এত হাজার হাজার মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে ছুটছেন? আধুনিক ও উন্নত যন্ত্রপাতি ও সুযোগসুবিধা সংবলিত হাসপাতালের মধ্যে সর্বশেষ সংযোজন হলো রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে প্রায় ১২ বিঘা জমির ওপর মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি অ্যান্ড সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। যেটা গতবছর ১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বহুল কাঙ্ক্ষিত এ হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইভস্টার মানের বিশেষায়িত এ হাসপাতালে থাকবে আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ নানান সুবিধা। আর খরচও থাকবে সাধারণের নাগালে। ১৩ তলাবিশিষ্ট হাসপাতালটির রয়েছে দ্বিতল বেজমেন্ট। ৭৫০ শয্যার হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগে থাকবে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ শয্যার আইসিইউ। জরুরি বিভাগে থাকবে ১০০ শয্যা, ভিভিআইপি কেবিন ছয়টি, ভিআইপি কেবিন ২২টি এবং ডিল্যাক্স শয্যা থাকবে ২৫টি। সেন্টারভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে আটটি করে শয্যা। হাসপাতালটিতে থাকবে এক্স-রে, এমআরআই, সিটি-স্ক্যানসহ অত্যাধুনিক সব ডায়াগনস্টিক সুবিধা। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে বিশেষজ্ঞসহ মোট ৩শ চিকিৎসক ও ১২শ স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করার কথা রয়েছে। ছয়টি বিশেষায়িত সেন্টারের মাধ্যমে চলা এ হাসপাতালে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের পাশাপাশি দুই বছরের জন্য ৫৬ জন কোরীয় কনসালট্যান্ট কাজ করবেন। যারা দেশীয় জনবলকে আরও দক্ষ করতে ভূমিকা রাখবেন। এখানে বিশ্বমানের চিকিৎসা বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, রোবোটিক অপারেশন, জিন থেরাপির ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়া হাসপাতালে সুন্দর পরিবেশের জন্য থাকবে সানকেন গার্ডেন, রুফটপ গার্ডেন ও বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব সুযোগ-সুবিধা। থাকবে উন্নতমানের আধুনিক ব্যবস্থাপনার বহির্বিভাগ, ইনফো ডেস্ক এবং ডিজিটাল ইনফরমেশন সেন্টার।
হাসপাতালটি নির্মাণে এক হাজার ৩শ কোটি টাকার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া দিয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। এ ঋণ ৪০ বছর মেয়াদি। তবে প্রথম ১৫ বছর কোনো টাকা পরিশোধ করতে হবে না। তারপর থেকে ০ দশমিক ১ শতাংশ সুদে এ ঋণ শোধ করতে হবে। এত টাকা খরচ করে নির্মিত এত আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকার পরও কেন আমাদের মাননীয় সড়ক ও সেতু মন্ত্রী জনাব ওবাদুল কাদের সাহেব নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ৯ আগষ্ট সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গিয়েছিলেন ??? সব সময়ই শুনি, আর নির্বাচনের সময় আরও বেশী শুনি যে, ওনারা হলেন জনগনের সেবক… তাহলে ওনারা যাদের সেবক তাদের সিংহভাগ যদি দেশে থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন, তাহলে ওনারা সেবক হিসাবে জনগনের টাকায় কেন বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান?? ওনার শুধু মুখে মুখেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রকৃতভাবে হৃদয়ে ধারণ করেন না। যদি করতেন তাহলে আর এই দৈত চরিত্রের প্রকাশ করতেন না। আর সকল ক্ষেত্রে এই বিশৃঙ্খলা ও সেচ্ছাচারিতাও বিরাজ করতো না। এই যে এখন ডেঙ্গু আক্রান্তের পর যাদের রক্তের অনুচক্রিকা বা প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে, খবরে দেখালো, তাদের নাকি ক্যান্সারের কেমো ও রেডিও থেরাপিতে প্লাটিলেট কমলে যে ঔষধ দেয়া হয়, সেটা দেয়া হচ্ছে অনেক হাসপাতালে, আর তাৎক্ষণিক ক্ষতি না হলেও ভবিশ্যতে সমুহ ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। আর চাহিদা বাড়ার কারনে দামও নেয়া হচ্ছে ইচ্ছা মতো…। আর গত ১৩ আগষ্ট প্রায় সকল পত্রিকাতেই একটি খবর এসেছে যে, গত ১৬ বছরে ১০ বার মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে আর তাতে সুবিধা নিয়েছে দুই হাজারের মতো শিক্ষার্থী। তাহলে বর্তমানে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার যে কি ভয়াবহ অবস্থা সেটা সহজেই অনুমেয়। আমাদের নীতি নির্ধারকরা এসব খবর ভালোভাবেই জানেন তাই, আর এদেশে চিকিৎসা করাতে ভরসা পান না, সাধারণ জনগন মরলে কার কি আসে যায়, এই হলো ওনাদের অধীকাংশের মানসিকতা…। কিন্তু আমি শত নই, সহস্রভাগ নিশ্চিত যে, যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন, আর কোন কারনে অসুস্থ তাহলে তিনি কখোনই বিদেশে যেতেন না.. কারণ তিনি দেশ ও দেশের মানুষকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। তাঁর বাংলার মানুষ, তাঁর কৃষক, তাঁর মুজুর, তাঁর শ্রমিক, চিকিৎসা নেবে দেশের সাধারণ হাসপাতালে আর ওদের কষ্টের করের টাকায় উনি পিতা হয়ে নিজের উন্নত চিকিৎসা করাবেন বিদেশে!!! এটা তো কল্পনারও অতীত…। আগে তিঁনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেন তারপর সুধরে নিয়ে, সংশ্লিষ্টদের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির ব্যবস্থা করতেন, আর ভবিশ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেই ব্যবস্থাও করতেন। শুধু মুখে আদর্শের কথা না বলে সত্যিকার ভাবে যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সকল স্তরে বাস্তবায়ন করা যেত তাহলে আমাদের এই দেশ আর আগেই আরও অনেক দুর এগিয়ে যেত…। দয়ালু আল্লাহ্ তা আলা বঙ্গবন্ধুর মতো একজন সাধাসিধা মহৎ হৃদয়ের মানুষকে বেহেস্ত দান করুন, জাতীয় শোক দিবসে এটাই কামনা করছি।
দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন


প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে শত শত শিক্ষার্থীকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে: সিআইডি

বিদেশে চিকিৎসা


মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে শুধু মাত্র দূর্নীতি টা বন্ধ করা গেলে, আমাদের দেশ সোনার দেশ হয়ে যেতো।

১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সাইবার সোহেল বলেছেন: ঠিকই বলেছেন. .। আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি যেখানে দূর্নীতি ও প্রতারণা এখন আর অন্যায় নয়, এটা একটা শিল্প। এগুলোকে ব্যবহার করে কে কতটা লাভবান হতে পারে তাই নিয়েই ব্যাস্ত থাকে সবাই..। /:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.