নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন অতি সাধারন বাংলাদেশী। আমি আমার দেশ ও দেশের মানুষকে খুব ভালবাসী। আগ্রহী যে কেউ আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে পারেন।
শ্যামলী থেকে কলেজ গেট পর্যন্ত এলাকাটায় বাংলাদেশের অন্যতম ভালো হাসপাতাল গুলোর সমাগম.. এখানে আছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, সরকারি কিডনি হাসপাতাল মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, শিশু হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, যক্ষা হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল। প্রতিটি হাসপাতালেই প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন, তাই এই রাস্তাটায় অধিকাংশ সময় জ্যাম লেগেই থাকে। এই রাস্তাটা অনেক বড় বৈশিষ্ট্য হলো ঠিক কলেজ গেটের পরেই এ দেশের সরকার মানে, প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাসভবন। আর এটাও এ রাস্তায় যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ। উনার সাক্ষাৎ প্রার্থী বিভিন্ন দেশের গণ্যমান্য এবং দেশের জ্ঞানী গুণী মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে সব সময়। আজকেও রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে অতিরিক্ত ১ ঘন্টা আসতে আরো এক ঘন্টা লেগেছে। আমরা যারা সুস্থ স্বাভাবিক, তারাই জ্যামে বসে থাকতে থাকতে অসুস্থ বোধ করি, তাহলে যারা চিকিৎসা সেবা নিতাই এ রাস্তায় যাতায়াত করেন তাদের কি অবস্থা হতে পারে সহজেই অনুমেয়। অন্য বিষয়ে রোগীদের কথা না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু হৃদরোগ, পঙ্গু এবং নিউরোসাইন্সের হাসপাতালের রোগীদের প্রতিটি সেকেন্ডেই চরম মূল্যবান। এখানে কয়েক মুহূর্তের দেরিতে একটি জীবন বিপন্ন অথবা চলে যেতে পারে, মানে মৃত্যু হতে পারে। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের জীবনই অতি মূল্যবান এবং এটা আমাদের সংবিধানেই স্পষ্টভাবে লেখা আছে। গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নারী উদ্যোক্তাদের সংবর্ধনা এবং ভোজন পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। উনাদের কর্মকাণ্ড সমাপ্ত না হওয়ার পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল একেবারে প্রায় স্থবির হয়েছিল। ভেতরে যখন আমন্ত্রিত নারী উদ্যোক্তাগণ, মোরগ পোলাও কাবাব ইত্যাদি ভোজনে ব্যস্ত ছিলেন, সাধারণ জনগণ তখন রাস্তায় গরমে জ্যামে আটকে নাকাল হচ্ছিলেন। ভেতর থেকে যারা বাইরে এসে বাসে উঠেছেন, এমন কয়েকজন মহিলার সাথে কথা বলে জানা গেল ভিতরে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার ও পানীয় থাকার পরও, অনেকেই খাবার ও পানীয় নিয়ে বাঙালির চিরাচরিত স্বভাবগত কারণেই বিশৃঙ্খলা করেছেন। এই মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশটা যদি এলাকার গুরুত্ব বিবেচনা করে অন্যত্র, কোন আন্তর্জাতিক হোটেল অথবা অন্য কোন স্থানে, যেমন চীন মৈত্রী সম্মেলন, অথবা বসুন্ধরা সম্মেলন কেন্দ্রগুলোতে আয়োজন করা যেত তাহলে আজকে জনগণের মানে রাস্তায় চলাচলকারীদের এই ২/৩ ঘন্টা জ্যামে বসে নাকাল হতে হতো না। আজকের এই জ্যামের কারণে জানিনা কারো অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ গিয়েছে কিনা, যদি গিয়ে থাকে তবে, তার মৃত্যুর দায় রাষ্ট্র কোনভাবে এড়াতে পারে কি ??
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৪৩
সাইবার সোহেল বলেছেন: হুম... ঠিকই বলেছেন, জনগনের টাকায় ভি.আই.পি বাজি...
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভি আই পি নামক জন্তদের জন্য জ্যাম দীর্ঘস্থায়ী হয়।