নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ দেখতে পছন্দ করি, এবং মানুষের গল্প শুনতে পছন্দ করি...
ভিক্ষুক রহিম।
সারাদিন ভিক্ষা করায় তার পেশা।
না আছে সংসার, না আছে ঘর-বাড়ি।
আজ এই রাস্তায়, তো কাল ওই রাস্তায়।
ইনকাম ভালোই। দিনে প্রায় ৩০০-৪০০ টাকার মত ইনকাম।
দুপুরে বিরানী, রাতেও বিরানী।
তার একটা টাকার বস্তা আছে। মূলত টাকাগুলো সেখানেই রাখে।
চুল থেকে সারা শরীরে ময়লা, আর গন্ধ।
ইচ্ছে করেই এমন থাকতে পছন্দ করে, যাতে কোন মতলবি লোক তার পাশে না ঘেঁষে...
এভাবেই চলে দিনকাল। দিনশেষে সে প্রায় তার টাকার হিসাব একটি কাগজে লিখে রাখে।
২০ হাজার টাকা। তাও তিনমাসে।
মনে মনে নিজের মধ্যে একটা তৃপ্তি কাজ করে।
দিনের সব খরচ মিটানোরপরও আমার কাছে ২০ হাজার টাকা। সে তো অনেক টাকা...
আমি এভাবেই একদিন কোটিপতি হয়ে যাবো। নিজের জন্য একটা বিল্ডিং করবো।
এসব ভেবে ভেবেই সে রোজ ঘুমায়।
একদিন সে আর উঠে না।
সকাল পেরিয়ে দুপুর হলো, তার উঠার নাম নেই...
কয়েকজন পথচারী আগ বাড়িয়ে দেখতে গেলো, কী সমস্যা তা জানার জন্য...
নেই কোন নড়াচড়া। চেহারায় বসে আছে মাছি। নাকে, কানেও। পথচারীদের সন্দেহটাও তাই বাড়তে থাকলো...
একজনে মুখে রুমাল দিয়ে দেখলো রহিম আর বেঁচে নেই...
তাদের মধ্যে একজন বলে উঠলো, ওই ওকে কেউ হাসপাতালে নিয়ে যা, সে মারা গেছে। এখানে থাকলে তো পরিবেশ দূষিত করবে...
কয়েকজন মানবিক মানুষ থাকেই। তারা নাকে শক্ত করে রুমাল বেঁধে রহিমের লাশটাকে একটি ভ্যানে তোলার জন্য এগিয়ে আসলো...
রহিমকে ভ্যানে তুলতেই, একজন পথচারী তার বস্তাটাসহ ভ্যানে তুলতেই বস্তা ফুটো হয়ে গেলো, ভ্যানের পেরেকে...
ওরে সব টাকা। পথচারী যে যেভাবে পারলো, টাকা তোলার প্রতিযোগীতায় নামলো।
একজন মানবিক পথচারী সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো, আপনারা এগুলো কী করছেন? ওগুলো সব ওই লাশের টাকা। সব ওর লাশের পাশে রেখে দেন...
পাশ থেকে ভিক্ষুক রহিমের আত্মা হাসে, আর বলে, হায়রে বোকারা, ওগুলো আমার টাকাও না, তুদের টাকাও না, ওগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা। চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে...
২২ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপা...
ভালো ও সুস্থ থাকবেন সবসময়...
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৪২
সোহানী বলেছেন: বর্তমানকে ফাকিঁ দিয়ে মানুষ শুধু জমায় ভবিষ্যতের জন্য। কিন্তু এ ভবিষ্যত কবে আসবে কেউ জানে না। তারপর দেকা গেল সে ভবিষ্যত হয়তো এসে গেছে কিন্তু তাও খরচ করতে পারে না কারন তার যে সে অভ্যাসই নেই।
ভালো লাগলো ।