নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ দেখতে পছন্দ করি, এবং মানুষের গল্প শুনতে পছন্দ করি...
আমি বিদ্যানন্দের প্রতিটি কাজকে সম্মান করতাম। যখন সরকারি চাকরি করতাম, তখন প্রায় চেষ্টা করতাম নামমাত্র কিছু দিতে। যদিও সবসময় কোন প্রতিষ্ঠানে কিংবা এতিম খানায় দান দিলে, চেষ্টা করতাম নিজের নামটা যেনো সবসময় আড়াল থাকে...
বিদ্যানন্দও তার মধ্যে একটি...
বিদ্যানন্দের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়ে যেতাম। ভাবতাম ভালো মানুষ এখনও আছে। যারা অসহায় মানুষদের নিয়ে ভাবে, তাদের পাশে শক্ত কুঠির মত থেকে সাহায্য করে...
আমার বিশ্বাসটা এমন পর্যায়ে পৌছে গেছে যে, বিদ্যানন্দ নিয়ে কেউ কিছু বললেই, তাকে পজেটিভলি বুঝানোর চেষ্টা করতাম।
এক টাকার আহারের গল্প শোনাতাম। গরীব মানুষদের একবেলা তৃপ্তি ভরে খাওয়ানোর গল্প শোনাতাম...
করোনাকালের সময় যেখানে যে যেভাবে পারছে, লুট করে নিচ্ছে, সেখানে বিদ্যানন্দের কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানাতাম...
আজ সত্যিই হতাশ হলাম। এমনকি আজও বন্ধু মাসুদের সাথে তর্কে জড়ালাম। মজিদ চাচার বিষয়টা ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দিলেও, ভূমি কেনার প্রশ্নে চুপ ছিলাম। মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জায়গা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় চুপ ছিলাম। একজন শিক্ষার্থীকে দাতার সম্মুখে না আনার প্রশ্নে চুপ ছিলাম...
এগুলো যদি সত্যিই হয়, তাহলে আমার কোন উত্তর নাই এইসব প্রশ্নে...
বিদ্যানন্দের প্রতিটি গল্প আর ছবিগুলো দেখে ভাবতাম, এরাই তো প্রকৃত মানুষ, যারা মানুষের পাশে থেকে, মানুষকে অসহায় থেকে সহায় করেছে। দুইবেলা পেট ভরে খাওয়াইছে...
বেশকিছু নিউজ খুটিয়ে খুটিয়ে পড়লাম। পড়ে মনে হলো, কাকে বিশ্বাস করেছি এতোদিন!
অসহায় মানুষদের পাশে থাকার স্বপ্ন দেখিয়ে, তারাও তো আর দশজনের মত নামমাত্র পাশে থেকেছে...
১০০ টাকার মধ্যে ১০ টাকা খরচ করে, বাকি ৯০ টাকা পকেটে ভরেছে।
লুটেরাদের সাথে আর বিদ্যানন্দের পার্থক্য থাকলো কই!
এই দেশের মানুষ আসলে বিশ্বাস করবে কাকে!
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বিষয়টি সকলের ভাবনার বিষয়। সামান্য কিছু তথ্যর ভিত্তিতে আমার সফট কর্নার ছিল।
এখন আমিও বিভ্রান্ত।