![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাকী নিঃসঙ্গ পথিক ; কিছুটা বিমর্ষ, একটু যেন বিষন্ন, আর সামান্য ভাবুক! ভালবাসি পড়তে, ভাল লাগে চিন্তা করতে, মাঝেমাঝে চেষ্টা করি টুকটাক লেখার... যদিও লিখার যোগ্যতা বলতে তেমন কিছু নেই, তবু ভাল লাগে বলে লিখি, লিখবো। আমার কলম যতদিন জাগবে কথা বলবে মানুষের, কথা বলবে শ্রমিকের, কথা বলবে দিনমজুরের কথা বলবে অদ্বিতীয়া লাস্যময়ী এই দেশটারই ... হয়তো তেতো, হয়তো মিষ্টি, হয়তোবা মধুবর্ষী জলতরংগ; হয়তো মিষ্টি সুরেলা গুনগুন, কিংবা সান্ধ্য আবীর ছোঁয়ানো হর্ষ-কলতান কিংবা প্রকম্পিত বজ্র নিণাদ -যাইহোক, যখনই হোক আর যেভাবেই যাহোক, যতদিন জাগবো স্বকীয়তা নিয়েই... নাহয় নামহীন হয়ে অলক্ষ্যেই, কিন্তু কথাগুলি রেখে যাবো .... আর দিনশেষে আমার স্যালুট টা আমি ওই সাধারণে মিশে থাকা নামহীন অসাধারণ দেরকেই দেই আছেন যারা মানুষের সাথে, মাটির সাথে, দেশের সাথে মিশে সবটা কামনীয় ইপ্সিত অনুভব-অনুরাগ, যুক্তি- সামর্থ্য আর ভালোবাসা দিয়ে সবটুকু স্বকীয়তায়,সবটুকু ভালোলাগায় আর সবটা মহানুভবতায় স্বীয় এরিস্ট্রোক্রেসী প্রিয় জন্মভূমির ধুলোর তরে ঘসে মিশিয়ে দিয়েই...দৃঢ়ভাবেই......
চলছে ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে বৃহৎ সবচেয়ে নজরকাড়া, সবচেয়ে আলোড়ন ফেলা, সবচেয়ে জাকজমক পূর্ণ, সবচেয়ে ব্যয়বহুল, সবচেয়ে চমকপ্রদ, সবচেয়ে গুরুত্ববহ এবং অর্থবহ আসর কিংবা আয়োজনটি-বিশ্বকাপ ফুটবল!
সারা দুনিয়ার ক্রিড়াভক্ত, ক্রিড়া অনুরাগী এবং ক্রিড়ার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিটা মানুষেরই সবচেয়ে আকাংখিত ক্রিড়ায়োজন ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল!! আমি নিজেও এর বেক্তিগত ভাবে এর থেকে দূরে সরে থাকতে পারিনা, তাই খেলা দেখছি, যেমন দেখতাম, দেখছে সারা বাংলাদেশই, দেখছে সারা বিশ্ব... সমরথন দিচ্ছে, অনুপ্রেরণা দিচ্ছে, মন্তব্য করছে, আলোচনা সমালোচনা সবই করে যাচ্ছে লাগাতার...
অনলাইনে বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে প্রথম পোস্টটা দিয়ে দিলাম তাই নিজের মতাদর্শ এবং চিন্তা ভাবনাসহ ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, চিন্তন এবং কথকতার আলোকেই নিজের পছন্দ অপছন্দ এবং আশপাশের ফুটবল ভক্ত এবং সমোঝধার সত্তাগুলোর সাথে র যাবতীয় মিথস্ক্রিয়ার আলোকেই..
আধুনিক ফুটবল এখন স্ট্র্যাটেজির কারণে অনেক ঘরানায় পরিণত। কেউ আছে হল্যান্ডের ঘরানার টোটাল ফুটবল খেলে। কেউ আছে ইত্যালির মতো ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলে। কেউ আছে আফ্রিকান দেশ তথা নাইজেরিয়ার মতো পাওয়ার ফুটবল খেলে। ইংল্যান্ড খেলে ইউরোপীয় ঘরানার ফুটবল। ল্যাটিন আমেরিকার দুই খ্যাতিমান দেশ ও চিরবৈরী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই ধরনের ফুটবল খেলে। ব্রাজিলের খেলাকে 'জোগো বনিতো' বলা হলেও আর্জেন্টাইন ফুটবলশৈলীও ল্যাটিন সুষমামণ্ডিত। ইউরোপের দেশ ফ্রান্স, ইংল্যান্ড খেলে স্পিডি ফুটবল বা গতিময় ফুটবল। জার্মান খেলে মধ্য মাঠ নির্ভর ফুটবল। তাদের মধ্য মাঠের মূল সেনানীই হলো লিবেরো। কলম্বিয়ানদের ফুটবলে গোলকিপারও স্ট্রাইকার হয়ে যায় ক্ষেত্র বিশেষে। পর্তুগালের ফুটবলে ইউরোপীয় ও ব্রাজিলীয় শৈলীর শংকরায়নের দেখা মেলে। এশিয়ান দেশগুলোর ফুটবলে ঘাটতি অনেক। না তারা শৈল্পিক, না তারা শক্তিধর। তাদের না আছে গতি না আছে তুখোড় রণকৌশল। তারপরও এশিয়ানরা মিশ্র ঘরানার ফুটবলে পারদর্শী হয়ে উঠেছে বিদেশী কোচের বদৌলতে।
ফুটবল বিশ্বে ১৯৫৮ সালে এক কালো মানিক শিল্পীর উত্থানে বেড়েছে গ্ল্যামার। পেলে নামের জাদুকরি ফুটবল শিল্পীর ছোঁয়ার ফুটবল আর ক্রীড়াতে আটকে না থেকে হয়ে গেছে শিল্প। সেই যাদুশিল্পী কালো মাণিকের নাম "পেলে" পেলের দেশ ব্রাজিল সেই শিল্পের ধারক-বাহক-জনক। ফুটবল বিশ্ব আজ তাই দু ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ ব্রাজিলের মতো ফুটবল খেলে আর অন্যভাগ ব্রাজিলের মতো খেলে না। ফুটবল শিল্পের জনক ব্রাজিলের খেলাকে তাই ডাকা হয় 'জোগো বনিতো' বা 'সুন্দর ফুটবল' বলে।
ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা দল ১৯৭০ এবং ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপের দল দুটি। ১৯৭০-এ পেলে খেলেছেন শেষ বিশ্বকাপ। পেলে, তোস্তা, রিভেলিনো , জাগালো, গ্যারিঞ্চা, ভাভা- সব বিখ্যাত খেলোয়াড়ে ঠাসা দলটি তৃতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ জিতে জুলেরিমেকে আটকে রাখে ব্রাজিলে। এরপর হতে নতুন কাপের প্রবর্তন হয়। প্রবর্তিত হয় ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ। ১৯৮২-এর ব্রাজিল দলে ছিলো এক চিকিৎসক-দার্শনিক খেলোয়াড়- "সক্রেটিস"। ছোট ছোট পাসে খুব নান্দনিক ফুটবল খেলতেন। তিনিই দলপতি। ছিলেন সাদা পেলে খ্যাতির মহাতারকা "জিকো"। ছিলেন "ফ্যালকাও"। কিন্তু সেই দলের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েনি। পাবলো রসির দানবীয় উত্থানে ইতালির কাছে ধরাশায়ী হয়ে বিদায় নেয় ইতিহাস সেরা ব্রাজিলের জোগো বনিতোর ধারকেরা।
এরপর ফুটবল দুনিয়া বোধহয় অপেক্ষায় ছিলো কোন অভাবনীয়, অচিন্তনীয়, রোমাঞ্ছকর অসাধারণ যাদুকরী ফুটবল দেখার ...
হুমমমম!!!
ফুটবল বিশ্বকে সত্যিই আর বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ...
সেই কালোত্তীর্ণ ফুটবল যাদু সুষমা এসে গিয়েছেলো, ধরা দিয়েছিলো সারা দুনিয়া মাতিয়ে দিয়ে কালজয়ী এক আর্জেন্টাইন যাদুকরের পায়ে ...
নাম তাঁর "ডিয়েগো ম্যারাডোনা"। ক্যাম্পাসের ১৯৭৮ সালের সাফল্যের পর কার্লোস বিলার্দোর শিষ্য ম্যারাডোনাই ১৯৮৬তে আর্জেন্টিনাকে এনে দেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় শিরোপা - বিশ্বকাপ। একরকম একাই অসামান্য যাদুকরী স্কিল আর স্পিড দেখিয়ে ঝাঁজ লাগিয়ে দিয়ে মোহনীয় দক্ষতার ঘোর লাগিয়ে সারা ফুটবল বিশ্বের চোখে আর্জেন্টাইন শিল্প সুষমা মন্ডিত ফুটবল কে নিয়ে যান আরো আরো বহু বহু উচ্চতায়। কিন্তু এই ক্ষণজন্মা ফুটবল যাদুকর বেশিদিন খেলতে পারেননি! খুবই অল্প সময়ে লাঞ্ছনা নিয়ে(!) একরকম জোড় করেই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় ফ্লাডলাইটের আড়ালে!! ১৯৯০-এ এসে ধরা পড়ে যায় ডোপ কেলেঙ্কারী।
একক নৈপুণ্য অবশ্য ফুটবল দুনিয়া দেখেছে আরো আগে থেকেই। দেখেছে শুধু দুটো পায়ে ধরা দেয়া অসামান্য অভাবনীয় ছন্দকল্পের এবং যাদুশিল্পের মিশেলের দক্ষতায় ফুটবল আসরের সবচেয়ে বড় কাপটি নিজের করে নেয়ার নৈপুণ্য, যাদুঝলক!
১৯৬৬ বিশ্বকাপে শিরোপা না জিতেও বিশ্বকাপের আলো যেন পুরোটাই কেড়ে নিয়েছিলেন "ইউসেবিও", ১৯৭৪ বিশ্বকাপে ইয়োহান ক্রুইফ, ১৯৮৬ বিশ্বকাপে সাধারণ একটা দল নিয়েও মেক্সিকোয় আর্জেন্টিনার হাতে চলে আসে দ্বিতীয় শিরোপা "ডিয়েগো ম্যারাডোনার" পায়ের যাদুঝলকের সাথে সাথে, ১৯৯৪ তে একক নৈপুণ্য দেখান "রবার্তো বাজ্জো", ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ী দল হিসেবে ব্রাজিলের ঘরে যে শিরোপাটা যায় তার পায় পুরোটা জুড়ে যে ভুবন নন্দিত তারকা স্ট্রাইকার নাম তাঁর "রোমারিও ডি সুজা ফারিয়া" সংক্ষেপে "রোমারিও" -যার পায়ের ঝলকে, নিদারুণ দক্ষতায় এবং মনোমুগ্ধকর শিল্প কুশলের সাথে সাথে ব্রাজিল এক রকম উড়ে চলে যায় শিরোপার পথে। এই অসাধারণ স্ট্রাইকার এবং ফুটবল শিল্পী ফরোয়ার্ড ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল টিমে লেজেন্ড দের মধ্যে তৃতীয় যার অবস্থান ব্রাজিল ন্যাশনাল টিমের জন্য করেছেন ৫৫ টি গোল ৭০ টির ও বেশি এপ্যেয়ারেন্স থেকে, ব্রাজিলিয়ান লীগ ফুটবলে ২য় টপ স্কোরার করেছেন দেড়শোর ও বেশি গোল (১৫৪ টি), এবং বর্ণাঢ্য লিজেন্ডারি ফুটবল জীবনে ছুঁয়েছেন হাজার গোলের মাইলফলক, হয়েছেন ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ও ...
১৯৯৮-এ "জিনেদিন জিদান"এর উত্থান ছিলো আরো একটি চমকপ্রদ ঘটনা ফুটবল দুনিয়ায়। ফ্রান্সের এই যাদুকরের পায়ে বিধাতা এমনই স্কিল ঢেলে দিয়েছিলেন যে ২০০৬ এর তারায় তারায় ভরা ব্রাজিল যেন একরকম স্তব্ধ হয়ে স্রেফ উড়েই গিয়েছিলো জিদান যাদুতে। কিন্তু শেষ অবধি ফিফা বর্ষসেরা এই মহাতরকারও সুন্দর শেষ টুকু হয়নি, ২০০৬ ফাইনালে ইতালিয়ান মাতেরাজ্জির সাথে মাঠের অযাচিত অশোভন কেলেঙ্কারিতে তাকেও বিদায় নিতে হয়।
২০১০-এ হট ফেভারিট হয়ে তারায় তারায় ছেয়ে আসে লাল স্রোতের টগবগে স্পেন। বিশ্ব জয় ও করে যায়। কিন্তু এতো জয়ের পরও ফুটবল খ্যাতির পুরোধা জুড়ে আজো এখনো আছে লাতিন আমেরিকান ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনা ...
ওটুকু তাঁদের শোকেস থেকে আজো কেউ কেড়ে নিতে পারেনি, হয়তো পারবেও না অদূর ভবিষ্যতে ...
ব্রাজিল যেখানে যায় সেখানে যায় সাম্বা। আর এবার তো খোদ সাম্বার দেশেই হচ্ছে বিশ্বকাপ। তাই অনুপম, অতুলনীয় সাম্বা নৃত্যশৈলীতে ব্রাজিলের গ্যালারী বর্ণিল হয়ে উঠবে যা আর বলার অবকাশ রাখে না। ব্রাজুকা ফুটবলে তিন তিনটি ক্যামেরার সংযোজন শুধুই কি খেলাকে ধরার জন্যে?- অবশ্যই নয়। এতে স্বাভাবিক ভাবেই আঁচ করে নেয়া যায়, যে গ্যালারির ক্যারিশমাও ফুটে উঠবে নান্দনিক হয়ে।
মাঠে যখন হলুদ-সবুজের শিল্পীরা ছোট ছোট পাসে কিংবা দৌড়ে দৌড়ে ছন্দময়তায় ফুটবলকে শাসন করে রচনা করে শিল্পকর্ম তখন মনে হয় ফুটবল খেলার চেয়ে সহজ কাজ পৃথিবীতে আর নেই। প্রতিপক্ষের গোলকীপারের সামনে এসে ব্রাজিলীয় শিল্পী যখন নিজে গোলে শট না নিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সতীর্থকে ঠেলে দেয় তখন একাকী গোলরক্ষক বোকা বনে যান। এ-ও কি সম্ভব? এটা যে ব্রাজিল, সম্ভবতো তার হতেই হবে। বিশেষত ইউরোপিয়ান কিংবা আফ্রিকান উভয় ফুটবলেই যেখানে একক কিংবা দ্বৈত নৈপুণ্য কথা বলে, যেখানে কথা বলে সেলফিশ ফুটবল ব্রাজিল সেখানে ফুটবল মাঠকে করে ক্যানভাস। অনেকটা সময় নিয়ে মনের খুশিমত রং চড়াতে থাকে ইচ্ছেমত, যেদিকে যখন খুশি, এ যেন একরকম শিল্পই! আঁকতে থাকে নিখুঁত আক্রমণ সুষমা, কখনোবা গোল তকমা, মাঝমাঠের চোখ ধাঁধানো পায়ের সিম্ফনি বলের উপর, মুহুর্মুহু ঝলক কিংবা রুদ্ধ প্রাচীর ডিফেন্স আর্ট ...
আপনার চোখ জুড়ে রাজ্যের ঘুম নামতে পারে, আপনার দেহ ক্লান্ত হতে পারে, আপনার শ্রান্ত চিত্ত ক্লিষ্ট থাকতে পারে, কিন্তু ফুটবল মাঠে ব্রাজিলকে দেখতে থাকলে আপনি কাঁপতেই থাকবেন জ্বরে- এ জ্বর মন মাতানো শিল্পের জ্বর, এ জ্বর চোখ ধাঁধানো আর্টের জ্বর, এ জ্বর নান্দনিকতার জ্বর, এ জ্বর মোহনীয় ফুটবলের জ্বর, এ জ্বর জোগো বনিতোর জ্বর আর এর জন্যই দর্শক মাতোয়ারা হয়, আপ্লুত হয়, তৃপ্ত হয় ... জোগো বনিতোর ওই সুন্দর ফুটবলের জন্যে আর গ্যালারীর সাম্বা শৈলীর জন্যে মিশেলের জন্য। আপনি যেই হোন, ব্রাজিল আপনাকে জাগাবেই ...
ব্রাজিলের গত ম্যাচের গোলধামাকার পরে অনলাইনে বিশেষত ফেসবুকের জয়োৎসব দেখলাম।
দেখলাম আর্জেন্টাইন, জার্মান, স্প্যানিশ, ইতালিয়ান সাপোর্টারদের নানারকম কথাবার্তা, ইঙ্গিত, তর্ক বিতর্ক। দেখলাম আজকালকার অন্ধ ব্রাজিল সাপোর্টারদের ভাবসাব তুলোধুনো ইত্যাদি এবং ইত্যাদিও!
উহারা গোল আর জয়েই 'সুন্দর-ফুটবল' খুঁজে পাচ্ছেন(!) অথচ "জোগো-বণিতো"র ধারকবাহকদের, 'সুন্দর-ফুটবল' এর তকমা আঁটা তারাদের কিংবা নান্দনিক মোহনীয় ব্রাজিলীয় ফুটবলের ছায়া আমি এই ব্রাজিলে খুঁজে ফিরছি, কিন্তু আফসোস... দেখছিনাহ!
এই দলে ভারসাম্য নাই, ছন্দ নাই, ধারাবাহিকতা নাই, টাইমিং ঠিক রেখে নিখুঁত পাস-ক্রস ডেলিভারি রিসিভিং কিংবা ফিনিশিং প্রায় সবই হযবরল, অনেককিছুই লেজেগোবরে, বেশিরভাগই ভারসাম্যহীণ। বলকে দুটো পা দিয়ে কথা বলানোর যে ব্রাজিলীয় ঐতিহ্য তাই এই দলটায় বোধহয় ধোঁয়াটে। আমি মোহনীয় ভিনগ্রহের সেই ফুটবল নির্যাশ এদলটায় দেখিনা- স্ট্রিক্টলি স্পিকিং।।
সবচেয়ে নির্মম সত্য হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাপের মত আসরে সাফল্যের ছাপ রাখা এবং শিরোপাজয় উভয়েই যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দরকার তা হচ্ছে -চাপ নেয়ার ক্যাপাবিলিটি এবং দক্ষতার সাথে তার যথার্থ মোকাবেলা নৈপুণ্য --যা এই দলটায় একেবারেই অনুপস্থিত!
এই দলটায় টান আছে, কিন্তু তা ইউরোপিয়ান পাওয়ার ফুটবলের টান, ব্রাজিলিয়ান এটাকের বিন্দুবিসর্গও আমি এদলটায় দেখছিনা। এদলের ওই ভারসাম্যহীন এটাকিং লাইনের পুরোটা জুড়ে আছে একজনই বলতে গেলে-নেইমার। অথচ, "ব্রাজিলীয়ান-ফুটবল" বলে যে জিনিসটাকে আমি দেখেছি তা কখনোই 'ওয়ান-ম্যান-আর্মি' টাইপ কিছুনাহ! 'ওয়ান-ম্যান-আর্মি' টাইপ কিছুনা বলেই কালোমানিক কিংবদন্তী পেলেকেও শুনতে হয়েছে "কৈ এর তেলে কৈ" ভাজার অপবাদ। যা কিন্তু আপনারা ফুটবল বোদ্ধা ব্রাজিল সমালোচকরাই দিয়েছিলেন।
পেলের কালোত্তীর্ণ ভুবন ভোলানো অমর যাদুকরী স্কিলের ঝাঁঝ ইতিহাস থেকে কমাতে আপনারা ফুটবল বোদ্ধারাই বলেছেন, "সে ছিলো চমৎকার সব মুক্তাখচিত অর্ণামেণ্টের মাঝে বসানো একটা বিরল গোলাপি মুক্তাদানা যা ঝলক দিচ্ছে"।
সেখানে অস্বাভাবিক দক্ষ সব সতীর্থদের সাথে নিয়ে বিশ্ব জয়কে দেখিয়েছেন তাঁর একার কৃতিত্ব নয় বলে তুলনায় উঠিয়ে এনেছেন পরের প্রজন্মের আরেক ভুবন নন্দিত অমর কিংবদন্তী ম্যারাডোনাকে এবং যেহেতু ম্যারাডোনা প্রায় সম্পূর্ণ একার প্রচেষ্টায় একটা দলকে টেনে নিয়ে গেছেন এতোটা ওপরে সেহেতু ওই হাস্যকর কম্পেরিজনে তাকেই জয়ী ঘোষনা করেছেন এবং করেনও! আপনাদের সহায় হয়েছে ওয়েল অরগানাইজড মিডিয়া ফ্যাসিলিটি, ভিডিও ফুটেজ এবং ক্যামেরা -যার প্রায় কিছুই ছিলোনা পেলের সময়।
আমি ওই কম্পেরিজনটাকে হাস্যকর কেন বলছি জানেন? কারণ, অমন ক্ষণজন্মা দুই কিংবদন্তীর তুলনা করাটা বোকামি ছাড়া কিছুনয়! হয়তো আগামী সহস্র অব্দেও ফুটবল দুনিয়ায় অতুলনীয় ঠিক ওই রকম দুজন ফুটবল জাদুকরের মুখ দুনিয়া দেখবে কিনা সন্দেহ আছে যথেষ্ঠই।।
উজবুকদের ওই পেলে–ম্যারাডোনা ভোটাভোটির অবতারণা এখানে তাদের অবতীর্ণ ওই যুক্তিটা দিয়েই তাদের আবারো একটা জিনিস মনে করিয়ে দেবার জন্যই, এই সেই জোগো-বনিতোর দেশ যার কোচদের আজীবনই সেই মধুর সমস্যা টায় ভুগতে হয়েছে, এতো কোয়ালিফায়েড এতো ক্লাস, স্কিলের এতো ক্যাটাগরি ব্রাজিল মাতার জন্ম দেয়া খুদে খুদে পা জোড়ায়, যে কোন দুজোড়া পা কে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে কোন দুজোড়া কে মাঠে খেলাবেন...
এক চিরন্তন ব্রাজিলীয় দ্বন্দ, এক মিষ্টি যন্ত্রণা। এবারের দলটির দায়িত্বে থাকা অভিজ্ঞ কোচ লুই ফিলিপ স্কলারিও যার আঁচ অন্তত দুবার পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেই। কিন্তু, বাস্তব সত্য টা হচ্ছে, এই এবারের সাইড বেঞ্চ টা নিয়ে তাঁর বোধহয় না খুব একটা দ্বন্দে ভুগতে হচ্ছে বা হবে!
ব্রাজিলের গতকালকের গোলধামাকার পরে একনিষ্ঠ এক ফুটবলবোদ্ধা ব্রাজিল সাপোর্টার ভ্রাতা কহিলেন, এখন যুগ পাল্টেছে, এখন সময় মিডিয়া এনালাইসিসের। সফল ফুটবল টিম হবার জন্য সেই সেযুগের নিখুঁত ফিনিশিং লাগবেই, কিংবা সে যুগের মত হলেই ভালো, নইলে খারাপ তেমনটা নয়! ফুটবল বোঝার জন্য এখন অত স্কিলের দরকার নাই! ভালো ভিডিও এনালাইসিস ই যথেষ্ঠ! আমি এই খেলায় পিউর ব্রাজিলীয় এটাক নৈপুণ্য দেখছি, যা গত ম্যাচেও দেখা যায় নি! হোপ সো, ব্রাজিল টিম উইল কেরি অন ইন অর্ডার টু গো ফরোয়ার্ড আপহোল্ডিং দিজ স্ট্র্যাটেজি!
বললাম,
আমিও ব্রাজিল সাপোর্টার, কেন জানেন? -আমি মৌসুমি-হুজুগে-মূর্খ ফুটবল ভক্তদের মাঝে পড়ি না। আমি হুজুগে ভক্তদের অন্ধ কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়িতে নাই।
আমি ব্রাজিল সাপোর্টার, কেন জানেন? -আমি সবচে চড়াই উৎরাই আর উজান ঠেলে হৃৎপিণ্ডে ফুটবল আঁকা দলটার সাফল্যের নয়, ভক্ত তাদের পায়ের স্কিলের।
আমি ব্রাজিল সাপোর্টার, কেন জানেন? -ব্রাজিল জেতে বলে নয়! ব্রাজিলের ঝুলিতে সবচে বেশি শিরোপা আর হিস্টোরিক্যাল ডোশিয়ারে সবচেয়ে বেশি তারকা ফুটবলারের পদধূলি বলেও নয়!
আমি ব্রাজিল সাপোর্টার ক্লাব ফুটবল আর পাওয়ার ফুটবলের দিকে ঝুঁকে পড়া বিশ্বে এই একটা দলই আছে যাদের পায়ে কথা বলেনা হিট, কথা বলে ছন্দ, কথা বলে ভিনগ্রহের ফুটবল। যাদের জন্ম এমন কোন জায়গায় যেখানে পাওয়ার আর ক্লাব ফুটবলের জনক, আর লালনকারিদের মত সাজানো প্লে গ্রাউন্ড নাই! নাই কোটি ডলার ঢালা ফ্লাড লাইট আর হেভিওয়েট গ্যালারী সজ্জিত সুপরিসর স্টেডিয়ামও। নাই উন্নত কোচিং সিস্টেম, নাই দামী বুট-জার্সি-বল। হুম অবশ্যই সময় পাল্টেছে। সেই সাথে পাল্টেছে সেদেশের অনেক কিছুই, এখন অনেক ফ্যাসিলিটি ইউরো ফুটবলের মতই সেখানেও এভেইল এবল যার কিছুই একসময় ছিলোনা। সাউথ আমেরিকার বিশেষত ব্রাজিলের ফুটবল মাতম তারও বহু আগে থেকেই...
“পিউর ব্রাজিলিয়ান এট্যাক” বলতে আপনি যা বুঝাচ্ছেন, আমি তার ছায়া খুজছি এখনো এই দলটায়। পিউর ব্রাজিলিয়ান ছন্দের যতটুকু এই দলটায় আছে তার প্রায় সবটাই জুড়ে আছে শুধু একজন ফরোয়ার্ড বা স্ট্রাইকার। বাকিদের পায়ে অনেকটাই ইউরোপিয়ান পাওয়ার ফুটবলের টান। এই ব্রাজিলে আমি সেই ব্রাজিলের ছায়া এখনো খুঁজে ফিরছি-যা এখনো পাইনি সেভাবে-যা সত্যি। গোল মানেই সুন্দর ফুটবল না। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের যে সৌন্দর্য, তা এই দলের অনেক খেলোয়াড়ের পায়েই এখনো ফোটেনি, অনেকের হয়তো ফুটতে শুরু করলেও অসম্পূর্ণই বলবো। সবশেষে আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে এই দলটা কতটুকু চাপ নিতে পারবে। সেখানে দরকার নিয়মিত ছন্দ আর অভিজ্ঞতার, যা এই দলে নেই বলতে...!
স্কিল এক জিনিস টান ভিন্ন জিনিস, বলের উপর দুটা পায়ের সিম্পনি তোলা আর পাসিং এক জিনিস পাওয়ার হিট নেয়া ভিন্ন জিনিস। সুযোগমত বল নিয়ে টান দেয়াটা ইউরোপিয়ান স্টাইল, ব্রাজিলিয়ান নয়। আমি কোনটাকেই ছোট করছিনা, খারাপ বলছিনা। তবে, "ব্রাজিলিয়ান সৌন্দর্য" কথাটায় একটু কথা থেকে যায় যে... ব্রাজিলিয়ান ফুটবল যে নান্দনিকতার দাবীদার তার মূলে তাদের প্রতিটা খেলোয়াড়ের সুদীর্ঘ এমনকি প্রায় সারা জীবনের সাধনা শুধু পায়ের সাথে বলের কথা বলাতেই। ওই জিনিস আমি কোথাও প্রায় কোন সফল ফুটবলেই দেখিনি। সবচেয়ে বড় কথা ওয়ার্ল্ড কাপের মত হেভিওয়েট দের আসরে চাপ নেয়াটা যেখানে স্বাভাবিক এবং তার সুদক্ষ সফল এবং নিখুঁত সুনিপুন মোকাবেলা করাটা যেখানে সাফল্যের প্রধান এবং প্রথম শর্ত সেখানটায় এদলটার স্ট্যাটাস আপ টু দ্যা মার্ক নয়।।
সাফল্য বলুন সুন্দর ফুটবল বলুন তার ব্যাক গ্রাউন্ড, তার বেস কখনই পাল্টে যায় না!
যেটা কোন যুগ কালের ব্যাপার নয়! যেটা ব্যাপার নয় কোন গুড ভিডিও এনালাইসিসেরও।। ব্যাপার সাধনার, ব্যাপার নিয়মিত ছন্দের, ব্যাপার এক্সপেরিয়ান্সেরও।
ব্রাজিল যখন এটাকে যায় তখন সেখানে তা একার টান থাকেনা, সেখানে বলের ওপর ছয় থেকে আট জোড়া পায়ের জাদুঝলক, নিখুঁত ড্রিবলিং, ক্রসিং এবং টাইমলি রিসিভিং আর সুন্দর মুহুর্মুহু এবং সাকসেসফুল পাসের মিশ্রণ থাকে-যেগুলো অনায়াসে যেকোন দূর্ভেদ্দ ডিফেন্স এবং গোলকিপারকে হতভম্ব করে দেয়, এবং দিতে সক্ষমও।।
এই দলটায় তার পরিবর্তে আছে ভারসাম্য হীন একক নৈপুণ্যের প্রচেষ্টা আর ইউরোপিয়ান পাওয়ার ফুটবলের হিট! যাকে আর যাই হোক অন্তত ব্রাজিলিয়ান সৌন্দর্য বলতে চাইলে শুধু অত্যুক্তি না, ব্রাজিলিয়ান সৌন্দর্যের সাথে রসিকতাই হবে।।
এ সৌন্দর্য এমনই যে আপনাকে মাতাবেই, এ সৌন্দর্য এমনই যে আপনাকে জাগাবেই, এ সৌন্দর্য এমনই যে আপনাকে রাঙাবেই ...
কি মোহনীয় ফুটবল শিল্পে , কি ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী সাম্বার ছন্দে ছন্দে .............
আমি বলছিনা লিজন্ডদের সমাহার মানেই ভালো ফুটবল!
আমি বলছিনা তারায় তারায় ভরা একাদশ মানেই মোহনীয় ফুটবল!
বলছি শুধু ফুটবলের সৌন্দর্য গোল হলেও সুন্দর ফুটবল মানেই গোল নয়!!
অস্বীকার করছিনা, ফুটবল ইজ ইন ইটস বিউটি হোয়েন ব্রাজিল প্লেইজ ইট।।
বাট, দিস ব্রাজিল টিম ইজন্ট শোয়িং আস দ্যাট স্টাফ ফর হুইচ দে আর বিলাভড!
ব্রাজিল সাপোর্টার হিসেবে খেলা শেষ হবার পর থেকে এই পর্যন্ত বিশাল ফেসবুক ফিডের প্রায় কোন স্ট্যাটাসই বাদ দেইনি। অন্ধ হযবরল চিতবাত, গাঁজাখুরি সাপোর্ট কিংবা নিজ ফেভারের মুগ্ধতার আতিশায্যে অন্যান্য দের হেয় করা, ইতরামি পূর্ণ বাক্যালাপ স্যাটায়ার রচনা সবই নোংরামি! স্কিপ করে গেলাম। পছন্দসই কয়েকটা পোস্ট পেলেও, একদম মনের মত কথাটা পেলাম এখানটায়...
“ এই ডিফেন্স আর ফ্রেড লইয়া কাপ যেতবে? কাপ চেনো যুবক?
সাবাস নেইমাররররররররর”
-ব্লগার বাঙ্গাল
সবশেষে একটা কথাই শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই বিশ্ব উৎসবের আসর উপভোগ করছি ঠিক আছে, কিন্তু এই মহা আসরে আজো আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের নামটা উঠে আসেনি- যা আমাদের জন্য শত আনন্দেও সবচেয়ে দুঃখজনক, এবং ভাববার বিষয়! সুদূর পাশ্চাত্যের যেই দেশগুলির খেলা আমরা দেখছি, যাদের সাফল্যে এতো আনন্দবোধ করছি, যাদের ব্যর্থতার জন্য আক্ষেপ হচ্ছে চিন্তা হচ্ছে, আদৌ কি তারা আমাদের কথা ভাবছে বা ভাববে!? আমাদের এই হৃদয়ানুভূতিতে তাদের উপকার হোক না হোক জাতি হিসেবে আমাদের কোন উপকার নিহিত নেই।।
অতএব, সব সার্থক হবে সেদিনই যেদিন আমাদের লক্ষ্য প্রাণের ত্যাগ আর রক্ত বিসর্জনের পর অর্জিত ওই লাল সবুজের পতাকা বিশ্ব নন্দিত এমন আসরে উত্তোলিত হবে গর্বের সহিত। সেদিনই আমরা ক্রিড়া প্রেমী হিসেবে সার্থক হবো তার আগে নয়।।
অতএব, আমাদের জন্মদাত্রী মাতা এই সুন্দরতম দেশটি আজ ওই ফুটবল আসরে নেই বলে আমরা হয়তো অজানা ভিনদেশী ওই দূর দেশগুলোকে নিয়ে এতোটা উচ্ছসিত এতোটা উল্লসিত! সমর্থন দেই ভালো কথা, কিন্তু দেশ জুড়ে থাকুক হৃদয় মঞ্জিলের সবটুকোয় ... এতকিছুর মধ্যে মাতোয়ারা হয়ে দেশীয় ফুটবলটাকে যেন ভুলে না যাই ... কামনা এটুকুই
২৬ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: তাই মনে করছি আমিও ...
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ শরৎ দা ...
শুভকামনা নিরন্তর ...
২| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সবশেষে একটা কথাই শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই বিশ্ব উৎসবের আসর উপভোগ করছি ঠিক আছে, কিন্তু এই মহা আসরে আজো আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের নামটা উঠে আসেনি- যা আমাদের জন্য শত আনন্দেও সবচেয়ে দুঃখজনক, এবং ভাববার বিষয়! সুদূর পাশ্চাত্যের যেই দেশগুলির খেলা আমরা দেখছি, যাদের সাফল্যে এতো আনন্দবোধ করছি, যাদের ব্যর্থতার জন্য আক্ষেপ হচ্ছে চিন্তা হচ্ছে, আদৌ কি তারা আমাদের কথা ভাবছে বা ভাববে!? আমাদের এই হৃদয়ানুভূতিতে তাদের উপকার হোক না হোক জাতি হিসেবে আমাদের কোন উপকার নিহিত নেই।।
কথাগুলো খুব ভালো লাগলো। সমর্থন নিজ জায়গায় কিন্তু নিজের দেশকে গঠনে নিজেদের আসল দায়িত্ব আমাদের ভুলে যাওয়া অনুচিত।
২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা ...
সমর্থন নিজ জায়গায় কিন্তু নিজের দেশকে গঠনে নিজেদের আসল দায়িত্ব আমাদের ভুলে যাওয়া অনুচিত -আমিও তাই মনে করি ...
ভালো থাকবেন ...
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
ভারসাম্য বলেছেন: আমিও ব্রাজিলের সমর্থক কিন্তু গোঁড়া না। তাই এবারকার খেলা এখনো সন্তুষ্ট করতে পারে নি আমাকে।
এত সুন্দর একটি তথ্যপূর্ণ মনোজ্ঞ পোস্টে কোন কমেন্ট নেই দেখে খারাপ লাগছে। আমি অবশ্য প্রিয়তেই রাখছি লেখাটিকে।
+++
২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন:
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন ...
কমেন্ট নিয়ে চিন্তিত হবেন না ভাই ...
যারা পড়বেন এবং প্রয়োজন মনে করবেন অবশ্যই মন্তব্য দেবেন, সময় সুযোগ পেলে ...
সেসব নিয়ে ভাবিনা!
আমার কথা আমি বলতে পারছি এটুকুই বড় আমার কাছে বেক্তিগত ভাবেও ...
তবে প্রিয়তম সামহোয়্যারে এমুহূর্তে ব্লগার এবং ভিজিটর উভয়ই ই অপেক্ষাকৃত আগের চেয়ে কম! যা চিন্তার এবং দুঃখ জনকও একজন সাধারণ ব্লগার হিসেবে ...
তবে বোধকরি, সমস্যাটা সাময়িক এবং অবশ্যই অবশ্যই দৃঢ়ভাবেই আশা রাখি খুব শীঘ্রই বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারের কেন্দ্রবিন্দু এবং শিরোমণি আমাদের সবার প্রিয় সামহোয়্যার ইন তার আগের অবস্থানে ফিরে যাবে ...
শুধু আমাদের সবার নিয়মিত হবার অপেক্ষা ...
আশা রাখছি অচিরেই পুরোনো ব্লগার রাও অনেকেই ফিরবেন প্রিয় প্ল্যাটফর্মটায় ..
পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ ...
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮
ভারসাম্য বলেছেন: অনেক আগে ওপেন করে রেখেছিলাম, তখন কোন মন্তব্য ছিল না। :#>
লেখাটিও বেশি আগের নয়। আশা করছি আরো মন্তব্য আসবে এবং আলোচনা জমে উঠবে। সেরকম অনেক উপাদান আছে এই পোস্টে।
শুভকামনা।
২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আপনার প্রথম মন্তব্য দেয়ার সময় লেখাটি পোস্ট হবার মাত্র ৩৫-৪০ মিনিট পেরিয়েছিলো
এরই মধ্যে কিন্তু মন্তব্য এসেছে, নির্বাচিত হয়েছে, দুবার প্রিয়তেও গেছে...
আমিও আশা করছি আলোচনা জমে উঠবে, আলোচনারই অপেক্ষায়...
তবে কিছু ছবি সহ লিংক বাদ রয়ে গেছে ইন্টারনাল প্রবলেমের জন্য সম্পাদনা সম্পূর্ণ করতে পারিনি এখনো ... !
আমার নেট কানেকশনেও প্রবলেম করছে , আশা করি সুসম্পন্ন করতে পারবো "সিম্পল" এই কাজটা ...
অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা আপনাকেও ...
৫| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮
ভারসাম্য বলেছেন: অনেক আগে ওপেন করে রেখেছিলাম, তখন কোন মন্তব্য ছিল না। :#>
লেখাটিও বেশি আগের নয়। আশা করছি আরো মন্তব্য আসবে এবং আলোচনা জমে উঠবে। সেরকম অনেক উপাদান আছে এই পোস্টে।
শুভকামনা।
২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪
আমি নী বলেছেন: ভালই লিখেছেন, সহমত।
২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ...
৭| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্কোলারির উপর ভরসা আছে। এই লোক আজ পর্যন্ত যে কয়টা দলের হয়ে কোচার হয়েছেন সব কয়টা দল সফলতা পেয়েছে। নিশ্চয় তার গেম প্ল্যান খারাপ হবার কথা না। আপনার কথার সাথে আমিও একমত যে ব্রাজিল এবারের টিমটা একেবারেই নতুন ও আনকোরা হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার মত কোন দল নয়। তবে আমি তারপরেও আশাবাদী। দেখা যাক চিলির সাথে ম্যাচটা কি হয়। এখানেই ফয়সালা হয়ে যাবে।
আর বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখবো সেদিনই যেদিন অন্তত খেলাধুলা হবে দুর্নীতি মুক্ত।
২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: লুই ফিলিপ স্কলারির কোচিং আমারো পছন্দের, আই মিন ভরসা আছে বলতে যা বোঝাচ্ছেন...
অত্যন্ত অভিজ্ঞ এবং সুদক্ষ কুশলী একজন আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন এবং সফল ফুটবল কোচ ...
আমি কেন কেউ ই বলবে না তাঁর গেম প্ল্যান খারাপ তো দূরের কথা ছন্নছাড়া কিংবা অগোছালো ভঙ্গুর টাইপ কিছু হবার কিংবা হবে..!
পছন্দ করি বলেই তো তাকিয়ে আছি সামনের ম্যাচ গুলোর সাফল্যের অপেক্ষায়, সেই সাথে অপেক্ষায় ক্রমে ছন্দে ফেরার...
একটা কথা অবশ্য ভুল বলেননি, বাংলাদেশের ফুটবলের যে বর্তমান চলমান পশ্চাদপদতা আর মিইয়ে যাওয়া অবস্থা, তার পেছনটায় দেখতে গেলে দেখা যাবে, স্পষ্টতই মূলে কুঠারাঘাত করছে দুর্নীতি!
"বাফুফে" যে আগাগোড়া দুর্নীতি গ্রস্থ তা কারো অজানা না থাকলেও সংশোধনের কোন হাত নেই...!
বাস্তবতা!
২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: নক আউট পর্বের আগামী ২৮ জুনের চিলির সাথে ব্রাজিলের ম্যাচ টা দেখার অপেক্ষায় আমি নিজেও, সে ম্যাচ টা আর যাই হোক অতটা সোজা হবার কথা না, লাতিন আমেরিকান পরাশক্তি বলে কথা ...
ওই ম্যাচ টাই হয়তো অনেক কথা বলে দেবে, জানিয়ে দেবে অনেক কিছুই ...
অপেক্ষায় ...
৮| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
প্রকৌশলী নির্ভিক রাইডার বলেছেন: তথ্য পূর্ণ যৌক্তিক এবং ভরা পোস্টটা প্রিয়তে নেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না/
কিন্তু আমার কিছু কথা আছে,
ব্রাজিলের নান্দনিক ফুটবলের বা জোগো বনিতো ব্রান্ড হয় সক্রেটিস জিকোদের আমলে/ ৮২-৯০ এর বিশ্বকাপের ব্রাজিলিন স্কোয়াড এই জোগো বনিতো খেলত/ এই টিম ফুটবল নৈপুণ্যে ভিন্ন গ্রহের খেলা খেললেও দরশক মাতালেও তারা সাফল্য লাভ করতে পারে নাই/ পরে ৯৪ সালের ব্রাজিলিয়ান কোচ পেরেইরা এই জোগো বনিতো বাদ দিয়ে ম্যাচ জয়ের সাদা মাটা ট্যাকটিসের দিকে ঝুঁকে যান আর সফলও হন। তাই আপনি যদি এখন সেই নান্দনিক ফুটবল আশা করেন তবে ব্রাজিল কিন্তু কাপ নাও পেতে পারে/
২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আমি কিন্তু কোথাও বলিনি সাফল্যের পূর্বশর্ত সেই নান্দনিক জোগো বণিতোর ফুটবল! আমি বলছি, যারা গত ম্যাচের গোল চমকে অভিভূত হয়ে এটাকে পিউর ব্রাজিলীয় এটাক বলে আক্ষায়িত করছেন, তাদের আরেকটু পেছনটা ঘেঁটে আসা উচিত। আরেকবার ফিরে দেখা উচিত "ব্রাজিলীয়-সৌন্দর্য" শব্দযুগল আসলে কি বোঝায় ..
জিকোদের সময়কার ফুটবলের সাফল্য ব্যর্থতায় যদি যেতে চান তবে ভিন্ন প্রসঙ্গ এসে যায়। আমি সেকথা বলিনি, ৯৪ তে পেরেইরার সফল ব্রাজিল সাদা মাটা ট্যাকটিস বা যাই অবলম্বন করুক, আপনি সেই রোমারিও-রিকার্ডো-রোনাল্ডো দের পায়ের সাথে এখনকার টিমের পাগুলি মেলান, আমি বলছিনা এখনকার কেউ অযোগ্য। কিন্তু ৯৪ এর সেই টিমেও কিন্তু সাদামাটা টেকটিসে খেললেও সুন্দর ফুটবল কিংবা পাসিং নিখুঁত ফুটবলের কথা ভুলে যায়নি। মোদ্দাকথা সেখানে অভিজ্ঞতার ছাপ ছিল, যা দরকারি, সেখানে ছিল সম্পূর্ণতা -যা এখানটায় ধোঁয়াটে ...
সাফল্যের জন্য সুন্দর ফুটবল নয় যেকোন লেভেলের ফুটবল তা সে পাওয়ার ফুটবল ই হোক আর মারদাঙ্গা ফুটবল ই হোক গোল পেলেই চলে। নইলে, বিশ্ব ফুটবল আসরের কাপটা শুধু সাউথ আমেরিকার শোকেসের জন্যই বরাদ্দ থাকতো, বাইরে যেতো না...
আপনার কমেন্টটা পছন্দ হয়েছে, থ্যাংকস ...
শুভেচ্ছা জানবেন ...
৯| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
প্রকৌশলী নির্ভিক রাইডার বলেছেন: কাপ না পেলে যত সুন্দর ই খেলুক সাপোর্ট পাবেকি মনে করেন ?
২৭ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আচ্ছা, আপনার এই প্রশ্নে উত্তর দেবার আগে আমি দুটো কথা বলে নিই কেমন?
আপনি আমার লেখার মাঝ থেকে এমন একটা লাইন পয়েন্ট আউট করে বের করুন যেখানে আমি বলেছি বা বলতে চেয়েছি যে সুন্দর ফুটবল কিংবা ওই "জোগো বনিতো"ই সাফল্যের পূর্ব শর্ত! আমি সাফল্য নিয়ে যেকথাটা এখানে বলেছি সেটা হচ্ছে সাফল্যের সাথে সুন্দর ফুটবল যতটা না জড়িত তার চেয়ে বেশি জড়িত গুরুত্ব পূর্ণ এবং কঠিন মুহূর্তে চাপ নেয়ার ক্যাপাবিলিটি এবং দক্ষতার সাথে তার যথার্থ মোকাবেলা নৈপুণ্য অন্তত বিশ্বকাপের মত আসরে ...
যদি সুন্দর ফুটবলই সাফল্যের জন্য বলতাম তাহলে স্টেটিস্টিক্স দেখাতাম সুন্দর ফুটবলের সাফল্যের! যা আদৌ বাস্তব নয়! সাফল্যের জন্য গোল হলেই চলে ...
ব্রাজিল এমনকি পিউর ব্রাজিলীয় ছন্দ নিয়ে কথা বলতে গেলে তা কখনোই শুধু গোল পাওয়াতে সীমাবদ্ধ নয়, যেমনটি ছিলোনা...
এবারে আপনার প্রশ্নে আসি, হুম আমি সাপোর্ট করবো, যেমন করতাম, আপনি নিশচয়ই গোল না পেলে করবেন না, তাই নয় কি!??
১০| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭
সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। গুড পোস্ট।
২৭ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই ...
আপনার সংকলন পাচ্ছিনা অনেকদিন ...
ছেড়ে দিলেন ? না ব্যস্ততা??
১১| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: প্রতিযোগীতার কাছে আবেগের ঠাই নাই। জেনারেশন টু জেনারেশন সংষ্কৃতির পরিবর্তন একটি অবশ্যম্ভবী ঘটনা। আপনার মত অনেকেই ব্রাজিলের নান্দনিক ফুটবলের সমর্থক কিন্তু যারা প্রতিযোগীতায় লড়ছে তারা খোঁজে রণকৌশল। ব্রাজিলের প্রতিপক্ষরা সময় নিয়েছে কিন্তু ঠিকই নান্দনিক ব্রাজিলকে ঠেকানোর কৌশল রপ্ত করেছে। সে জন্যই ব্রাজিলকে ১৯৭০ এর পর ৯৪ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে, রণকৌশল বদলাতে হয়েছে।
বিশ্বকাপ ফুটবল কোন প্রদর্শণী ম্যাচ না এটা প্রতিযোগীতা মূলক খেলা কাজেই জয় পাওয়াটাই এখানে মুখ্য।
২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ভালো বলেছেন, প্রতিযোগীতার কাছে আবেগের ঠাই নাই। জেনারেশন টু জেনারেশন সংষ্কৃতির পরিবর্তন একটি অবশ্যম্ভবী ঘটনা
এবারে আমি বলছি শুনুন, নান্দনিক ফুটবলে ধারকবাহকেরা কিন্তু প্রতিযোগীতা জয় করার জন্য সুন্দর ফুটবলকে ভুলে বসেননি!
যদি ভুলেই বসতেন, তবে সুন্দর ফুটবলের খেলোয়াড় দের যারা ১৯৭০ এর শিরোপাজয়ী ব্রাজিল টিমের হয়ে খেলেছেন তাঁদের আপনি কি বলবেন!?
নান্দনিক ফুটবল বলুন সুন্দর ফুটবল যাই বলুন প্রতিযোগীতার রণকৌশল আর দর্শক মাতানো মোহনীয়তা দুটোকে আপনি যদি দুই কাতারে ফেলেন তবে লাতিন আমেরিকান শিরোপা গুলোর বেশিরভাগের টেমপ্লেট ই খাপছাড়া হয়ে যাবে!
আপনার কথামত যদি ব্রাজিলের জোগো বনিতোর কথা বাদ ও দিয়ে দিই, সেখানেই চলে যায় প্রথম দুটো শিরোপা, তার পরবর্তী তিনটি শিরোপায় হুবুহু জোগো বনিতো না হলেও সুন্দর ফুটবলের আঁচ নেই, স্কিল নেই, মোহনীয়তা নেই কিংবা সেগুলো ইউরোপিয়ান স্কিল কিংবা আফ্রিকান পাওয়ার ফুটবলের এচিভমেন্ট বলে দেখাতে পারবেন কোন যুক্তি!?
আমিও মানি বিশ্বকাপ ফুটবল কোন প্রদর্শণী ম্যাচ না এটা প্রতিযোগীতা মূলক খেলা - কিন্তু সেখানে প্রতিটা দল তার নিজ স্টাইলেই এগোয়, এগুতে হয়ও! দর্শকের মন ভরানো কে আপনি যদি স্রেফ উগড়ে কিংবা স্কিপ করে গিয়ে চান জয় দিয়ে শোকেশ ভরতে, আপনি তা পারবেন না! অন্তত বিশ্বকাপে তো নাই!
এখানে একটা শিরোপা জয় অত সহজ নয়! যে দলটি সে পর্যন্ত পৌঁছে তার অবশ্যই অনেকগুলো বিষয়কে গনায় নিয়ে মাথায় নিয়ে হিসাবে নিয়েই পৌছতে হয়।
আপনি যেমন সুন্দর ফুটবলের মাঝে সাফল্যের ছোঁয়া দেখছেন না, সোজা কথায় আমিও একেবারে আনকোরা নতুনত্বের মাঝে শিরোপার ঝাঁঝ দেখছিনা!
বিগত ম্যাচ গুলো যেমনই হোক, নক আউট পর্ব থেকে কিন্তু পরাশক্তিদের মোকাবেলা করতে হবে এবং সেখানে চাপ থাকবে অবশ্যই অবশ্যই যেখানে দরকার কিছু অভিজ্ঞতার দক্ষ ক জোড়া পায়ের সাথে সাথে কথাটা ভুলে যাওয়া উচিত হবে বলে মনে করিনাহ!
১২| ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আরেকটি আটিপিকেল পোস্ট। ফুটবল এবং বিশ্বকাপ নিয়ে আমার পড়া সেরা এনালিসিস।
//অস্বীকার করছিনা, ফুটবল ইজ ইন ইটস বিউটি হোয়েন ব্রাজিল প্লেইজ ইট। বাট, দিস ব্রাজিল টিম ইজন্ট শোয়িং আস দ্যাট স্টাফ ফর হুইচ দে আর বিলাভড!// -আমি অবশ্য প্রথম কথাটিতেও বিশ্বাস করি না।
আর্জেন্টিনার মধ্যেও আমি ‘প্রচলিত মোহনীয়তার’ সত্যতা পাই না।
আসলে মিডিয়ার কিছু কর্ম আছে এখানে!
শেষে যা বললেন বোল্ড লেটারে, ঠিক সেই কারণেই এত আনন্দের মধ্যেও কোথায় যেন সুর হারিয়ে যায়। যারা আমাদের কাছে এক সময় হেরেছে, তারা আজ বিশ্বকাপে।
অভিনন্দন, প্রিয় অ্যানোনিমাস... জাস্ট লাভড ইট!
২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সেরা এনালাইসিস বলে লজ্জায় ফেলে দিলেন প্রিয় ব্লগার ...
আমি শুধু আমার সামান মতামতটুকু বললাম, এনালাইসিস করার মত দুঃসাহস বোধ করিনা আসলে ...
জানিই বা আর কতোটুকু!? ওই দুরুহ কাজের ভার নাহয় বিজ্ঞজনের কাধেই থাক ...
হুম, মিডিয়ার কর্ম তো আছেই, এযুগে ওই জিনিস এর কর্মই সবচেয়ে প্রখর!
তবে, দেখুন অন্ধ ভক্তির কারণে বিনোদনের এই বিশাল আয়োজনকে যারা বেক্তিগত রেষারেষির পর্যায়ে নিয়ে ফেলছেন আমাদের দেশে তাঁদেরইবা কতোখানি ভুগতে হচ্ছে!
ওই সুদূর ভিনদেশীদের সাপোর্ট দেই আমার দেশ সেখানে নেই বলে, এবং তাঁদের খেলা ভালোলাগে বলে। তারা হারলে জিতলে কিংবা বাদ পড়ে বিদায় নিলে তার প্রভাব আমাদের মনে ছুয়ে থাকবে বড়জোড় ঘন্টা কিংবা দিন দুই! কিন্তু তার জন্য অন্ধ হয়ে তর্কে জড়িয়ে যে সম্পর্ক নষ্ট করছি তার প্রভাবটুকু থাকবে কতোটা সময় ...!
আর সব কথার শেষ কথা শেষ অংশটুকুই, এজন্যই তা বোল্ড করা ...
যেদিন আমাদের দেশ যারা যোগ্যতার দাবীতে বিচারে কোন অংশে পিছিয়ে নয় তারা ওই বিশ্ব আসরে বির দর্পে বেড়াবে সেদিনই আমাদের খেলা দর্শন কিংবা খেলা বোদ্ধা হওয়া মানাবে ..
তার আগেতো বেমানান ...!
অসাধারণ সুন্দর সেরা মন্তব্য টার জন্য মন থেকে ধন্যবাদ আএবং ভালোলাগা সবরকম প্রিয় ব্লগার ...
২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ফুটবল ইজ ইন ইটস বিউটি হোয়েন ব্রাজিল প্লেইজ ইট - কথাটি আমার নয়, কথাটা বেশিরভাগ ব্রাজিল ভক্তের যাদের কথাগুলোর জবাবে কথাগুলোর অবতারণা ...
সাদামাটা কষ্ট বিহীন পোস্টটা ভালো লেগেছে জেনে আমি সত্যিই খুবই খুশি ...
১৩| ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩০
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: শুরু-শেষ আর চমৎকার সব ফটুকগুলা ছাড়া মাঝখানের লেখাগুলো পড়ার ধৈর্য্য হলনা । তবে আপনে ব্রাজিল সাপোর্টার জেনে খুশি হলাম ।
ব্রেইস ইয়োরসেলফ .... হেক্সা আসছে
২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: হাহাহাহাহা ........!
চমৎকার ফটুকগুলো দেইখা যে তুষ্টিত হইয়াছেন, এবং উহা জানাইতে ভোলেন নাই - আমি তাতেই খুশি
দেখা যাক হেক্সা আসলে তো কথাই নাই ...
অপেক্ষায় ...
২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: কিন্তু অতীব দুঃখের সহিত জানাচ্ছি যে, চমৎকার আরো বেশ অনেকগুলো ফটুক এবং কিছু লিংক বাদ রয়ে গেছে
সাময়িক সার্ভার ইরর দূর হলেই এড করে দেয়ার চেষ্টা করবো সময় মিললে ...
ভালো থাকবেন , হেক্সা দেখার পথের শুভেচ্ছা ...
১৪| ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ছবিগুলো চমৎকার ! পোষ্ট ও ভালো লেগেছে !
নক আউট থেকে প্রতিদিনের ম্যাচে যে ভালো খেলবে সেই জিতবে !
যে কোন দল বিশ্বকাপ নেয়ার ক্ষমতা রাখে , সঠিক সময়ে জ্বলে উঠা দিয়ে কথা !
২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: নক আউট থেকে প্রতিদিনের ম্যাচে যে ভালো খেলবে সেই জিতবে !
যে কোন দল বিশ্বকাপ নেয়ার ক্ষমতা রাখে , সঠিক সময়ে জ্বলে উঠা দিয়ে কথা -সহমত অভি ভাই ...
সবরকম শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা ...
ভালো থাকবেন অবশ্যই ...
১৫| ২৭ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৪:০৭
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ফুটবল নিয়ে চমতকার একটি পোস্ট। আপনার বিশ্লেষণ খুব ভালো লাগল। আমি ব্রাজিলের সমর্থক নই কিন্তু ব্রাজিলের খেলাকে অবজ্ঞা করার মত মূর্খ সমর্থকও নই। ব্রাজিল বিশ্ব ফুটবলে সব সময়ই নান্দনিকতার পরিচয় রেখে এসেছে। ব্রাজিল দলের নান্দনিক ফুটবল আপনার মত আমিও মিস করছি। সাফল্যের পিছে ছুটতে গিয়েই হয়ত ব্রাজিলের নান্দনিক ফুটবল আজ হারিয়ে যাচ্ছে। সফলতা অবশ্যই মুখ্য। কিন্তু ব্রাজিলের শিল্পিত ফুটবলকে ঠিক রেখে কেউই সফলতা পাবার নতুন পথ খুঁজে দেখে নি। ব্রাজিলের খেলার শেষ নান্দনিকতার চিহ্নটাও ডুঙ্গা কোচ হবার পরে মুছে ফেলেছিলেন।
অতএব, আমাদের জন্মদাত্রী মাতা এই সুন্দরতম দেশটি আজ ওই ফুটবল আসরে নেই বলে আমরা হয়তো অজানা ভিনদেশী ওই দূর দেশগুলোকে নিয়ে এতোটা উচ্ছসিত এতোটা উল্লসিত! সমর্থন দেই ভালো কথা, কিন্তু দেশ জুড়ে থাকুক হৃদয় মঞ্জিলের সবটুকোয় ... এতকিছুর মধ্যে মাতোয়ারা হয়ে দেশীয় ফুটবলটাকে যেন ভুলে না যাই ... কামনা এটুকুই
শেষের কথাগুলোর সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত।
২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন:
একটা সত্যি কথা বলি আপনাকে এমন সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ দেয়ার আগে ... ব্রাজিল সমর্থক না হয়েও যত সুন্দর একটা গঠনমূলক মন্তব্য দিলেন অনেক ব্রাজিল সমর্থক ও এধরণের সুচারু চিন্তাশীল মন্তব্য করতে পারেনা ...!
আপনার মন্তব্যটাতে সহমত এবং ভালোলাগা ...
আর শেষের কথাগুলোই তো মূল কথারে ভাই ...
ভালো থাকবেন প্রিয় প্রবাসী পাঠক ...
শুভকামনা রইলো ...
১৬| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
অতএব, আমাদের জন্মদাত্রী মাতা এই সুন্দরতম দেশটি আজ ওই ফুটবল আসরে নেই বলে আমরা হয়তো অজানা ভিনদেশী ওই দূর দেশগুলোকে নিয়ে এতোটা উচ্ছসিত এতোটা উল্লসিত! সমর্থন দেই ভালো কথা, কিন্তু দেশ জুড়ে থাকুক হৃদয় মঞ্জিলের সবটুকোয় ... এতকিছুর মধ্যে মাতোয়ারা হয়ে দেশীয় ফুটবলটাকে যেন ভুলে না যাই ... কামনা এটুকুই : সহমত ।
২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৩
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বাস্তবিকই তাই কামনা আর এর জন্যই পোস্টটারও অবতারণা ..
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ...
ভালো থাকবেন , শুভকামনা রইলো ...
সবরকম ..
১৭| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
এস.এম.সাইদুল আরেফীন বলেছেন: অনবদ্য হয়েছে
২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:০০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ ...
১৮| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সার্ভার এর ইন্টারনাল প্রবলেম এবং নেট কানেকশনের সাময়িক বিচ্যুতির জন্য লিংক এড করা গেলো না!
কিছু ছবি সহ যে অংশটুকু বাদ পড়েছে সেটুকু কমেন্টে এখানে দিয়ে দিচ্ছি ...
এরপর ফুটবল দুনিয়া বোধহয় অপেক্ষায় ছিলো কোন অভাবনীয়, অচিন্তনীয়, রোমাঞ্ছকর অসাধারণ যাদুকরী ফুটবল দেখার ...
হুমমমম!!!
ফুটবল বিশ্বকে সত্যিই আর বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ...
সেই কালোত্তীর্ণ ফুটবল যাদু সুষমা এসে গিয়েছেলো, ধরা দিয়েছিলো সারা দুনিয়া মাতিয়ে দিয়ে কালজয়ী এক আর্জেন্টাইন যাদুকরের পায়ে ...
নাম তাঁর "ডিয়েগো ম্যারাডোনা"। ক্যাম্পাসের ১৯৭৮ সালের সাফল্যের পর কার্লোস বিলার্দোর শিষ্য ম্যারাডোনাই ১৯৮৬তে আর্জেন্টিনাকে এনে দেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় শিরোপা - বিশ্বকাপ। একরকম একাই অসামান্য যাদুকরী স্কিল আর স্পিড দেখিয়ে ঝাঁজ লাগিয়ে দিয়ে মোহনীয় দক্ষতার ঘোর লাগিয়ে সারা ফুটবল বিশ্বের চোখে আর্জেন্টাইন শিল্প সুষমা মন্ডিত ফুটবল কে নিয়ে যান আরো আরো বহু বহু উচ্চতায়। কিন্তু এই ক্ষণজন্মা ফুটবল যাদুকর বেশিদিন খেলতে পারেননি! খুবই অল্প সময়ে লাঞ্ছনা নিয়ে(!) একরকম জোড় করেই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় ফ্লাডলাইটের আড়ালে!! ১৯৯০-এ এসে ধরা পড়ে যায় ডোপ কেলেঙ্কারী।
একক নৈপুণ্য অবশ্য ফুটবল দুনিয়া দেখেছে আরো আগে থেকেই। দেখেছে শুধু দুটো পায়ে ধরা দেয়া অসামান্য অভাবনীয় ছন্দকল্পের এবং যাদুশিল্পের মিশেলের দক্ষতায় ফুটবল আসরের সবচেয়ে বড় কাপটি নিজের করে নেয়ার নৈপুণ্য, যাদুঝলক!
১৯৬৬ বিশ্বকাপে শিরোপা না জিতেও বিশ্বকাপের আলো যেন পুরোটাই কেড়ে নিয়েছিলেন "ইউসেবিও", ১৯৮৬ বিশ্বকাপে সাধারণ একটা দল নিয়েও মেক্সিকোয় আর্জেন্টিনার হাতে চলে আসে দ্বিতীয় শিরোপা "ডিয়েগো ম্যারাডোনার" পায়ের যাদুঝলকের সাথে সাথে, ১৯৯৪ তে ঝলক দেখান "রবার্তো বাজ্জো", ১৯৭৪ বিশ্বকাপে ইয়োহান ক্রুইফ
১৯৯৮-এ "জিনেদিন জিদান"এর উত্থান ছিলো আরো একটি চমকপ্রদ ঘটনা ফুটবল দুনিয়ায়। ফ্রান্সের এই যাদুকরের পায়ে বিধাতা এমনই স্কিল ঢেলে দিয়েছিলেন যে ২০০৬ এর তারায় তারায় ভরা ব্রাজিল যেন একরকম স্তব্ধ হয়ে স্রেফ উড়েই গিয়েছিলো জিদান যাদুতে। কিন্তু শেষ অবধি ফিফা বর্ষসেরা এই মহাতরকারও সুন্দর শেষ টুকু হয়নি, ২০০৬ ফাইনালে ইতালিয়ান মারসেলো লিপ্পির সাথে মাঠের অযাচিত অশোভন কেলেঙ্কারিতে তাকেও বিদায় নিতে হয়।
২০১০-এ হট ফেভারিট হয়ে তারায় তারায় ছেয়ে আসে লাল স্রোতের টগবগে স্পেন। বিশ্ব জয় ও করে যায়। কিন্তু এতো জয়ের পরও ফুটবল খ্যাতির পুরোধা জুড়ে আজো এখনো আছে লাতিন আমেরিকান ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনা ...
ওটুকু তাঁদের শোকেস থেকে আজো কেউ কেড়ে নিতে পারেনি, হয়তো পারবেও না অদূর ভবিষ্যতে ...
১৯| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
আছিফুর রহমান বলেছেন: কিছু তথ্যের গ্যাপ আছে, যেমন ব্রাজিলের ৭০ এর দলে গ্যারিঞ্চা ছিল না, রিভেলিনো, টোস্তাও কে মিস করেছেন, ৮২ তে মিস করেছেন এডারকে। স্পেন পাওয়ার ফুটবল খেলে না, অনেকটা আর্জেন্টাইন স্টাইলে খেলে, আর জাগো বনিতোকে আপনি সব কিছুর সুন্দর সম্বনয় বলতে পারেন। জাগো বনিতোতে যেমন গতি আছে, তেমনি ব্যক্তি কারিশমা আছে। আমার কাছে ৭০ এর দলটির থেকে ৮২ এর দলটিকে ভাল লাগে। ৭০ এ একজন ভালো স্ট্রাইকার ছিল, ৮২ তে ছিল না। এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। জাগো বনিতোর কিছু ঝলক ক্যামেরুন ম্যাচে দেখা গেছে।
২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:০২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: শুধু তথ্যের গ্যাপ না! খানিক কথা বার্তা, কিছু লিংক এবং কয়েকটা ছবিও বাদ রয়ে গেছে ...!
গতকাল পোস্টটা দেয়ার পর থেকে তিনবার চেষ্টা করেছি , কিন্তু ইন্টারনাল সার্ভার ইরর জনিত সমস্যার দরুন এবং আমার নেট কানেকশানের সাময়িক প্রবলেমের জন্য!
রিভেলিনো, টোস্তা ৭০ বিশ্বকাপ ব্রাজিলের হয়ে শুধু খেলেনই নি, মাতিয়েছিলেন ও, গোলও পেয়েছিলেন ...
কিন্তু দুঃখ জনক ভাবে পোস্টের কিছু অংশে তাঁদের কথা আসে নি, যা পরে যোগ করেছি, কিন্তু এখনো বেশ অনেকটাই যোগ করা বাকি, বিশেষত লিংক এবং ছবিগুলো ...
আশা করছি আজ রাতের মধ্যে কমপ্লিট করতে পারবো যদি সার্ভারে কোন ইন্টারনাল কিংবা গেটওয়ে প্রব না করে ...
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ...
২০| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: অপুর্ব সব ছবি আর চমৎকার একটা লেখা। খুব ভাল লাগল।
২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:১০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ...
২১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
rakibmbstu বলেছেন: সবচেয়ে নির্মম সত্য হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাপের মত আসরে সাফল্যের ছাপ রাখা এবং শিরোপাজয় উভয়েই যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দরকার তা হচ্ছে -চাপ নেয়ার ক্যাপাবিলিটি এবং দক্ষতার সাথে তার যথার্থ মোকাবেলা নৈপুণ্য --যা এই দলটায় একেবারেই অনুপস্থিত!
ekmot noi .......
২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:২১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সবচেয়ে নির্মম সত্য হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাপের মত আসরে সাফল্যের ছাপ রাখা এবং শিরোপাজয় উভয়েই যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দরকার তা হচ্ছে -চাপ নেয়ার ক্যাপাবিলিটি এবং দক্ষতার সাথে তার যথার্থ মোকাবেলা নৈপুণ্য --যা এই দলটায় একেবারেই অনুপস্থিত! আমার মতে ইহাই ঠিক! আপনার কিছু বলার আছেকি!?
থাকলে দেরি কেন! বলে ফেলুন, ঝেড়ে কাশুন না ...
যুক্তি দিয়ে কথাটা খন্ডন করুন ...
এবারের ব্রাজিল টিমে সেরা একাদশে একমাত্র গোলকিপার জুলিও সিজার ছাড়া আমি সেরকম কাউকেই দেখিনা ...
আপনি দেখেন নাকি সেরকম কিছু!??
২২| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা ফুটবলকাব্য। অনবদ্য।
২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ...
শুভেচ্ছা জানবেন ...
২৩| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। রবার্টো ব্যাজিওর নামও বাদ পড়েনি তাহলে রোমারিও বাদ পড়ে গেল কিভাবে। ব্রাজিলটিমকে নতুন করে বিশ্বকাপ জেতা শিখিয়েছেন তিনি।জিকো সক্রেটিস সমৃদ্ধ দল যা পারেননি রোমারিও তা করে দেখিয়েছেন। গত শতাব্দীর পেলের পরে সেরা স্ট্রাইকার হলেন এই রোমারিও।
পোস্টে ভাললাগা ।
২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ভুল ছিলো, আসলে একটা প্যারাই গোটা বাদ পড়ে গিয়েছিলো ...
বাদ রয়ে গিয়েছিলো কিছু ছবি কিছু লিংক যেগুলো এখনো যোগ করতে পারছিনা ...
আশা করি খুব শীঘ্রই যোগ করে দিতে পারবো ...
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ...
শুভকামনা জানবেন নিরন্তর ...
২৪| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৫৩
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
পাক্কা বিশ মিনিট লাগল পড়তে, একটা সেকেন্ডও নষ্ট হয়নি। দারুন তথ্যমুলুক পোস্ট। বিশ্বকাপের পুরো ইতিহাস।
আর আঠার প্লাস ছবি এতগুলা কিনু, বদ পুলা
প্লাস।
২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৪৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বিশ্বকাপের পুরা ইতিহাস দেখলেন কই!? শিরোনামে কহিয়াছি ব্রাজিল নামচা ...
ইহা একখানা অল্প মশলায় রান্না করা রেসিপি - বুঝিয়া নেন
আঠারো প্লাস ছবির দিকেই খালি চোখ যায় মিয়া!? এইসব লক্ষণ তো ভ্যালা না!!
ভাগ্যিস সবগুলা দেই নাই
২৮ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৪:৪০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ইহা আঠারো প্লাস নয়! ইহা ঐতিহ্যবাহী সাম্বা ...
২৫| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৫৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ++++
২৮ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৫:৪৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ...
২৬| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।
২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার যাচ্ছেতাই হাজিরামূলক পোস্টটা দেখার জন্য ...
ছিলামনা বেশ কদিন...
২৭| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন একটা পোষ্ট! জাস্ট অসাম!!!
২৮ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অসাধারণ একটা মন্তব্য ও ...
জাস্ট অসাম!!!
২৮| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৮
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: উপভোগ্য হোক বিশ্বকাপ।
শুভেচ্ছা রেখে গেলাম।
২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:০২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ ..
২৯| ২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৩২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এই দলে ভারসাম্য নাই, ছন্দ নাই, ধারাবাহিকতা নাই, টাইমিং ঠিক রেখে নিখুঁত পাস-ক্রস ডেলিভারি রিসিভিং কিংবা ফিনিশিং প্রায় সবই হযবরল, অনেককিছুই লেজেগোবরে, বেশিরভাগই ভারসাম্যহীণ। বলকে দুটো পা দিয়ে কথা বলানোর যে ব্রাজিলীয় ঐতিহ্য তাই এই দলটায় বোধহয় ধোঁয়াটে। আমি মোহনীয় ভিনগ্রহের সেই ফুটবল নির্যাশ এদলটায় দেখিনা- স্ট্রিক্টলি স্পিকিং।।আপনার এই বাক্যটিকে অস্বীকার করার জো নেই। আমি বলা যায় জন্মগত ভাবেই ব্রাজিলের সমর্থক কিন্তু এবারের টিম দেখে,ফ্রেড,অস্কারদের দেখে তেমন আশা করতে পারছি না। ঘুরে আবার সেই আপনারই কথায় "ওয়ান ম্যান আর্মি" নেইমারের কথায় আসতে হচ্ছে। কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে সে এই চাপ সামলাতে পারছে না।
অতীতে পেলেল সাথে যেমন গারঞ্চা,ভাভা এবং নিকট অতীতে রোনাল্ডোর সাথে বেবেটো,রিভাল্ডো,রোনাল্ডিনহো ছিল বর্তমানে কিন্তু নেইমারের সাথের সবাই ফ্লপ। সবাইতো ম্যারাডোনা নয় ।।
তবে সুন্দর বিশ্লেষনসহ পুরো লেখাটিই পছন্দের তালিকায় থাকলো। ধন্যবাদ।
আর সত্যিই আমরা সবাই বিশ্বকাপ জ্বরে ভুগছি।।
২৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অতীতে পেলেল সাথে যেমন গারঞ্চা,ভাভা এবং নিকট অতীতে রোনাল্ডোর সাথে বেবেটো,রিভাল্ডো,রোনাল্ডিনহো ছিল বর্তমানে কিন্তু নেইমারের সাথের সবাই ফ্লপ। সবাইতো ম্যারাডোনা নয় -চমৎকার একটা কথা বলেছেন হ্যাপী!
ঠিক এই কথাটাই বোঝাতে চাচ্ছিলাম কয়েকজন ফুটবল বোদ্ধা ব্রাজিল ভক্ত কে...!
অনেক্ষন তর্ক টর্ক করে, যেই লাউ সেই কদু!
বলতেসেন, আমার নাকি উচিত ব্রাজিল কোচের সাথে কথা বলা -এতো যখন বেশি বুঝি!
আচ্ছা, বলেনতো আপনি গতকালকের নক আউট পর্বের প্রথম ম্যাচ এ চিলির সাথের খেলাটায় কি বুঝলেন? -এর পরেও কি উনারা একই কথা বলবেন কিনা কে জানে!!
কালকের খেলার পরে কয়েকজন দেখলাম, বলছেন সিজারের মত অভিজ্ঞ গোলকিপার থাকায় চমৎকার হলো!
আমি একথাটা মানি যে জুলিও সিজার এই টিমে অনেকটা রত্ন স্বরূপ। কিন্তু আমি খুব কম দেখেছি এভাবে গোলকিপারের হাতের দিকে তাকিয়ে অন্তত ব্রাজিলকে ঝুলে থাকতে ...!
যাহোক, ভাগ্যিস তাহাদের মত ফুটবল বোদ্ধা হইনি! আমি সাধারণ দর্শক, সাধারণ সমর্থক - এভাবেই সস্তিবোধ করছি।
৩০| ২৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১৩
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমি মনে করি আমাদের ভাববার সময় এসেছে -- আর বসে থাকা নয় -- একসময় আমাদের ফুটবল খুবই উপভোগ্য একটি খেলা ছিল--এই বোধটাকে আবারও জাগাতে হবে। ফুটবলের উন্নতি সাধন করতে হবে। প্রতিটি এলাকা/ওয়ার্ড/ইউনিয়ন/জেলা পর্যায় হতে ফুটবলারদের উঠিয়ে আনতে হবে -------আর কত অন্য দেশের জয়গান !!! ক্রিকেটের মত বাংলাদেশ ফুটবলেও বিশ্ব মাতাবে এই হোক আমাদের প্রত্যাশা --
২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আমি মনে করি আমাদের ভাববার সময় এসেছে -- আর বসে থাকা নয় -- একসময় আমাদের ফুটবল খুবই উপভোগ্য একটি খেলা ছিল--এই বোধটাকে আবারও জাগাতে হবে। ফুটবলের উন্নতি সাধন করতে হবে। প্রতিটি এলাকা/ওয়ার্ড/ইউনিয়ন/জেলা পর্যায় হতে ফুটবলারদের উঠিয়ে আনতে হবে -------আর কত অন্য দেশের জয়গান !!! ক্রিকেটের মত বাংলাদেশ ফুটবলেও বিশ্ব মাতাবে এই হোক আমাদের প্রত্যাশা -সহমত আপনার সাথে ... ভালো কয়েকটা কথা বলেছেন ...
আমাদের ফুটবল খনিতে যে কন্টেন্ট ছিলো আমরা তা বের করে আনার পরিবর্তে কুলুপ এঁটে দিয়েছি একরকম ...
বাফুফে এখন পক্ষপাত দোষে দুষ্ট, দুর্নীতির আখড়া! আমরা ক্রিকেটটাকে যেভাবে জীবনের সাথে জড়িয়ে নিয়েছি ফুটবলে দৃষ্টি তার সিকিভাগ ও আর সেজন্যে নেই।
-যা প্যাথেটিক
৩১| ২৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১৬
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সাধ্যমত ম্যাচগুলো দেখার চেষ্টা করছি ----উপভোগ করছি প্রায় প্রতিটি ম্যাচ --- আগে করতাম আর্জেন্টিনা -- এখন আর কোন দলকেই নয়-- বরং ফুটবল নামক শৈল্পিক খেলা যে ভাল করছে তাকেই সমর্থন করছি -- ভাল লাগছে---ভীষণ ভাল লাগছে
২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আমিও তাই করছি ...
সাধ্যমত ম্যাচগুলো দেখার চেষ্টা করছি ----উপভোগ করছি প্রায় প্রতিটি ম্যাচ ---
আসলে খেলা জিনিসটাকে অত আহামরি সিরিয়াসলি না নিয়ে, উচিত উপভোগ টাই করা ...
কিন্তু আমরা যে আবেগি জাতি, প্রায় ই খেলাটারে পারসোনাল লাইফে নিয়া এসে অনর্থক ঝামেলা বাড়াই, কলহে জড়াই!
শুধু এই কথাটাই আমার মত ফুটবল প্রেমী সবাইকে বলতে চাই আবারো ...
নো ম্যাটার হুইচ টিম ইউ সাপোর্ট, সাপোর্ট ফ্রম ইয়োর ওন ভিউ অব পারস্পেক্টিভ...
ফুটবল শুভেচ্ছা রইলো ফুটবল প্রেমী সবার জন্যই...
এনজয় দ্যা ওয়ার্ল্ড কাপ এজ মাচ এজ পসিবল এভার...
২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আমিও তাই করছি ...
সাধ্যমত ম্যাচগুলো দেখার চেষ্টা করছি ----উপভোগ করছি প্রায় প্রতিটি ম্যাচ ---
আসলে খেলা জিনিসটাকে অত আহামরি সিরিয়াসলি না নিয়ে, উচিত উপভোগ টাই করা ...
কিন্তু আমরা যে আবেগি জাতি, প্রায় ই খেলাটারে পারসোনাল লাইফে নিয়া এসে অনর্থক ঝামেলা বাড়াই, কলহে জড়াই!
শুধু এই কথাটাই আমার মত ফুটবল প্রেমী সবাইকে বলতে চাই আবারো ...
নো ম্যাটার হুইচ টিম ইউ সাপোর্ট, সাপোর্ট ফ্রম ইয়োর ওন ভিউ অব পারস্পেক্টিভ...
ফুটবল শুভেচ্ছা রইলো ফুটবল প্রেমী সবার জন্যই...
এনজয় দ্যা ওয়ার্ল্ড কাপ এজ মাচ এজ পসিবল এভার...
৩২| ৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:০৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মাঝে মাঝে আমাদের সমর্থনটা বাস্তবতাকেও অস্বীকার করে।অন্ধভক্তি যাকে বলা যায়।
চিলির সাথে পুরো ব্রাজিল টিমটাকেই আমার কেমন যেন নার্ভাস মনে হয়েছে। নেইমারের একার পক্ষেও যা বহন করা সম্ভব হয় নি। একমাত্র সিজারই ছিল মধ্যমনি। একাই রক্ষা করেছে পুরো টিমটাকে।না হলে.............।
৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৫২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সিজার এই টিমের তুরুপের তাস! আমি প্রথম যেদিন এই টিমটাকে দেখি ফিল্ডে, সেদিনই অন্তত যাকে দেখে আশ্বস্ত হয়েছিলাম সেই হচ্ছে জুলিও সিজার।
তাঁকে পছন্দ করি আগের বিশ্বকাপ থেকেই, ওয়ার্ল্ড ক্লাস এবং ওয়ার্ল্ড সেরা একজন কিপার ...
তবে, এই দলে তার সমকক্ষ অন্তত অভিজ্ঞতায় কাছাকাছি তেমন কেউ নেই, যেটার ফলাফল কিছুটা হলেও ফুটে উঠেছে অন্তত গত ম্যাচটায় চিলির সাথে চাপের মুখে ...
আমি বলেওছি একবার ওয়ার্ল্ড কাপে কিছু কিছু মুহূর্তে সবচেয়ে দরকার চাপ নেয়ার এবং সামলানোর মত দক্ষতার - যার জন্য দরকার অভিজ্ঞতার ...
৩৩| ৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৩৪
কথার_খই বলেছেন: একটা পরামর্শ চাই!
মোবাইলে পোষ্ট আপলোড করতে পারছিনা! ছবি সাপোর্ট করতেছেনা
৩০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: মোবাইলে কিছুটা ঝামেলা হচ্ছে বোধহয় সামহোয়্যার ইনে গত কয়েক দিনে ...
সার্ভার মেন্টেইনেন্সের কাজ চলছে বোধহয় , একটু অপেক্ষা করুন, পিসিতে দেয়া যাচ্ছে ছবি ...
কিংবা মডারেটরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ...
৩৪| ৩০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
রোদেলা বলেছেন: ব্রাজিলের অন্ধ সমর্থক আমি,কিন্তু একসাথে এতো তথ্য জানা ছিল না।আজ অনেক জানলাম। ধন্যবাদ।
৩০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অন্ধ সমর্থক ...
ধন্যবাদ আপনাকেও ...
৩৫| ৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: পোস্টে মাইনাস দেয়ার দুঃসাহস টা কে দেখাইলো!!
আমার পোস্টে মাইনাস ....!!!
বুকের পাটা থাকেতো সামনে আয় বেটা! চাঁদ বদন চেহারাটা দেখে চুমা দেই
৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: রাতের আঁধারে চুপিসারে হায়...
কে যে আসে যায়, গোয়েন্দাগিরী ফলায়...
কেবা বোঝে হায়, একেলা অবেলায়...
কেউ দেখেনাই, কেউ বোঝে নাই
কোন সে চোর পাজি...!
ধরবো তোরে, বাঁধব কষে শুনে রাখ আজি...
৩৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১০
বাঙ্গাল অ্যানোনিমাস বলেছেন: দারুণ এনালাইসিস, মাঈনউদ্দিন মইনুল এর কমেন্টের সাথে একমত আমিও।
তবে, সাম্বার ছবি একটু কম দেয়া যেত না ?
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ।
ছবি গুলো খারাপ লাগছে আপনার?
৩৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পড়লাম। ছবি গুলোও ভালো। কমেন্ট ও পড়লাম। এ পর্যন্ত যে কয়টা ম্যাচ দেখেছি এবার বিশ্বকাপে ব্রাজিল আর চিলির খেলা দেখতে বসে আধামরা হয়ে গেছিলাম। দুর্দান্ত একটা ম্যাচ ছিল।
বিশ্বকাপের এবারের আসরে বড় বড় দলগুলো যে পরিমাণ চাপ নিয়ে খেলেছে তাদের নামের কারণে বা বিগত ইতিহাসের জন্য সেটা ছিল ছোট দলগুলোর জন্য আশীর্বাদ।
আমি ফুটবল বোদ্ধা নই তাই উপস্থিত হলাম কোন আলোচনা ছাড়াই ।
আশা করছি এবারের কাপ ব্রাজিলেই থাকবে
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বিশ্বকাপের এবারের আসরে বড় বড় দলগুলো যে পরিমাণ চাপ নিয়ে খেলেছে তাদের নামের কারণে বা বিগত ইতিহাসের জন্য সেটা ছিল ছোট দলগুলোর জন্য আশীর্বাদ -সহমত আপনার সাথে ...
উপস্থিত হবার জন্য ধন্যবাদ আলোচনায় ...
আমিও নই বোদ্ধা ... তবে উপভোগ করতে তো দোষ নেই, তাই করছি উপভোগ আর সবার মতোই ...
শুধু আশা না, চাওয়াও এটাই ...
এবারের কাপ ব্রাজিলেই থাকবে
৩৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৫
নিশাত তাসনিম বলেছেন: আমি তো আর্জেন্টিনার সাপোর্ট করি । আপনার প্রিয় দল আজকে কলম্বিয়ার (পড়ুন ঢাকা আবহানীর) সাথে জিতে যাবে সহজেই ।
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ইশশ! আমার প্রিয় ব্লগার যাও এত্তোদিন পরে হাজির হলেন ব্লগে, এসেই কিনা আমারে পচায় দিলেন , ঢাকা আবহানীর !? কলম্বিয়াকে আবাহনী বলছেন!? :-&
আর্জেন্টিনা কিন্তু আবাহনীর চেয়ে ভালো অপোনেন্ট পায় নি
দেখা যাক কি হয় ...
শুরু হচ্ছে খেলা ,...
৩৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৫০
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বিশাল পোস্ট।
শুভেচ্ছা রইলো।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ...
শুভেচ্ছা আপনার জন্যও...
৪০| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
জুন বলেছেন: এই শেষ সময়ে আমার আর কি বলার আছে
তবে ফুটবল খেলা পছন্দ করি। পছন্দের টিম ব্রাজিল নাই তবে আরেক টিম জার্মানি আছে
ব্রাজিলের এবারের দল তেমন শক্ত ছিলনা, তার উপর তারকা নির্ভর থাকায় এমন ফলাফল যেমন ঘটলো পর্তুগালের বেলায়
+
১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: শেষ সময়ে কিছু বলার তেমন না থাকলেও আমার মনেও আপনার এই কথাটুকুরই অনুরণন ... ফুটবল খেলা পছন্দ করি। পছন্দের টিম ব্রাজিল নাই তবে আরেক টিম জার্মানি আছে
হুম মানি ব্রাজিলের এবারের দল তেমন শক্ত ছিলনা, তার উপর তারকা নির্ভর কিছুটা তাও মানি , কিন্তু এখনো সেই গ্রুপ পর্বের কথাগুলোই বলবো, সবচেয়ে প্রকট ছিল গুরুত্ব পূর্ণ যেকোন মুহূর্তে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ছোঁয়ার, যার অভাব সেমি ফাইনালে একেবারে নগ্ন ভাবেই ফুটে উঠেছে , কি ডিফেন্স কি মিডফিল্ড সবখানেই ...
যাহোক, ৯৪ বছর আগের (১৯২০) মারাকানা ট্র্যাজেডি জন্ম দিয়েছিলো পেলে, গারিঞ্চা, টোস্টা দের মত কিংবদন্তী দের, টানা নিজ শোকেসে ভরে নিয়েছিলো ব্রাজিল তিন তিনটা বিশ্বকাপ আর এই ২০১৪ র ট্র্যাজেডি ও হয়তো ব্রাজিলকে ফিরিয়ে নেবে সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলে জন্ম দেবে আরো অনেক অনেক কিংবদন্তীদের যাদের পায়ে আবারো কথা বলবে ফুটবল, কথা বলবে ভিনগ্রহের ফুটবল শিল্প শৈলী, আবারো পাওয়া যাবে শেরপার স্বাদ...
কামনা এটুকুই সাধারণ একজন ব্রাজিল সমর্থক হিসেবে ...
৪১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪২
আরজু পনি বলেছেন:
অনেক তথ্য আর ঝকঝকে ছবিতে ঠাসা দারুন এক পোস্ট।
অনেকের নাম দেখে চেহারা গুলো স্মৃতিতে ভেসে উঠলো।
স্টেডিয়ামের ছবি গুলো অসাধারণ !
রমজানের শুভেচ্ছা রইল, এ্যানোনিমাস ।
-------
দুই দিন এসেছি মন্তব্য করতে । একদিন ব্রাউজারের ভেজালে আর গতকাল মন্তব্যের মাঝখানে ইলেকট্রিসিটি চলে গিয়েছিল।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বাব্বাহ! একটা মন্তব্য করতে এত্তো কষ্ট করেছেন! :!> এসেছিলেন যে খেয়াল করেছিলাম ...
সুন্দর মন্তব্যের জন্য এবং স্পেশালী সম্বোধনটার জন্য স্পেশাল থ্যাংকস!
এবং এবং রমজানের শুভেচ্ছা...
৪২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৩৭
গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: হায় ব্রাজিল
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫
৪৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫০
সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: তথ্য আছে, বিশ্লেষণও আছে। তাই ভাল লাগল। আমি একমত আপনার এই বিশ্লেষণের সাথে। ফেসবুকে আর্জেণ্টিনাকে নিয়ে আপনার লেখার লিংকে ক্লিক করে পড়ে আসলাম। ওটাও ভাল লাগল। ওখানে মন্তব্য করতে পারলাম না কারণ এখন কিছুদিন আমি ফেসবুকে লগইন করব না ঠিক করেছি। আপাতত ফেসবুক জগতকে বিদায়।
ভাল থাকুন। আরো আরো ভাল লিখুন।
১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ...
৪৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
২৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ঈদ মোবারককজজ ...
৪৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা ভাই
কেমন কাটল ঈদ ?
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন:
ঈদ মোবারক মাহমুদ ভাই ...
ঈদ কেটেছে মোটামুটি, আবারো ফিরতে হলো কর্ম ব্যস্ততায়...
মনটা যদিও এখনো পড়ে আছে নিজভূমেই ...
তবু তো ফিরতেই হয় ...
ঈদের কদিন অনলাইনে সময় দিতে পারিনি ...
এখন বিলম্ব শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হচ্ছে ...
কেমন ছিলেন, ঈদ কেমন গেল??
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২১
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: খুবই ইন্টারেস্টিং সাবজেক্টিভ পোস্ট। ++++। আলোচনা তৈরি হবার অনেক অনেক ক্লু আছে।