![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাকী নিঃসঙ্গ পথিক ; কিছুটা বিমর্ষ, একটু যেন বিষন্ন, আর সামান্য ভাবুক! ভালবাসি পড়তে, ভাল লাগে চিন্তা করতে, মাঝেমাঝে চেষ্টা করি টুকটাক লেখার... যদিও লিখার যোগ্যতা বলতে তেমন কিছু নেই, তবু ভাল লাগে বলে লিখি, লিখবো। আমার কলম যতদিন জাগবে কথা বলবে মানুষের, কথা বলবে শ্রমিকের, কথা বলবে দিনমজুরের কথা বলবে অদ্বিতীয়া লাস্যময়ী এই দেশটারই ... হয়তো তেতো, হয়তো মিষ্টি, হয়তোবা মধুবর্ষী জলতরংগ; হয়তো মিষ্টি সুরেলা গুনগুন, কিংবা সান্ধ্য আবীর ছোঁয়ানো হর্ষ-কলতান কিংবা প্রকম্পিত বজ্র নিণাদ -যাইহোক, যখনই হোক আর যেভাবেই যাহোক, যতদিন জাগবো স্বকীয়তা নিয়েই... নাহয় নামহীন হয়ে অলক্ষ্যেই, কিন্তু কথাগুলি রেখে যাবো .... আর দিনশেষে আমার স্যালুট টা আমি ওই সাধারণে মিশে থাকা নামহীন অসাধারণ দেরকেই দেই আছেন যারা মানুষের সাথে, মাটির সাথে, দেশের সাথে মিশে সবটা কামনীয় ইপ্সিত অনুভব-অনুরাগ, যুক্তি- সামর্থ্য আর ভালোবাসা দিয়ে সবটুকু স্বকীয়তায়,সবটুকু ভালোলাগায় আর সবটা মহানুভবতায় স্বীয় এরিস্ট্রোক্রেসী প্রিয় জন্মভূমির ধুলোর তরে ঘসে মিশিয়ে দিয়েই...দৃঢ়ভাবেই......
লেখালেখি আর সময়ের ক্যালকুলাসটা বড় অদ্ভুত। সময় বয়ে চলছে দ্রুততর গতিতে দৃপ্তভাবে। আর লেখালেখির জগতে তার গতি ক্ষিপ্রতা কিংবা বহুরুপিতা যেন আরোও প্রাঞ্জল আরোও প্রকট। নবীন লেখকদের সাহিত্যচর্চা এখন অনেকটাই হয়ে গেছে অনলাইন নির্ভর। কবিতার খাতা মুড়ে কবিতা লেখাটা হয়ে ওঠেনা আর... ডায়েরীর পাতাগুলো যেন মলিন শুকনো পড়ে রয় ....
...অনলাইনে বাংলার জয়জয়কার এখন। একবিংশ শতকের এভাগে এসে আমরা বাঙালীরা বাংলা ভাষা, সাহিত্য এবং বাংলায় মত প্রকাশের, আলোচনা সমালোচনার দক্ষতায় বাংলাকে দ্রুত ছড়িয়ে দিয়েছি অনেক বিস্তৃত পরিসরে। অনলাইনে বাংলা লেখালেখি হচ্ছে বেশ কবছর ধরেই। যদিও খুব লম্বা নয় সময়টি। কিন্তু এ সামান্য সময়েই বাংলা আর বাঙালী লেখকদের অর্জন কিন্তু অসামান্য। অনলাইনের গুণে সাইবার তথা ইন্টারনেট নির্ভর এ বিশ্বায়নের যুগে সমগ্র বিশ্বে বাংলা পরিচিতি পেয়েছে, স্বীকৃতি পেয়েছে, বাহবা কুড়িয়েছে, সম্মান কুড়িয়েছে, পেয়েছে সার্বজনীন গ্রাহ্যতা। বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিকীকরণে বাঙালী লেখক গণ যেমন অতীতেও ছিলেন কলম হাতে সর্বাগ্রে এ সাইবার যুগে এসেও যেন কীবোর্ড হাতে সর্বাগ্রে সম্মুখেই...
বাঙালী লেখকগণ জুড়ে আছেন এসব অগুনতি অর্জনের আর স্বীকৃতির পুরোধা জুড়েই। বাঙালী লেখকগণ যে এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছেন, পড়ছেন তা কিন্তু একেবারে অনর্থক কিংবা অবাক করার মত কিছু নয়। নষ্টালজিক ব্যপারগুলো ইদানিং সামনে চলে আসে বারবারেই। কারণ এখন চর্তুদিকে তাকালে দেখি লেখালেখির স্টাইল পাল্টেছে, পাল্টেছে পঠন প্রক্রিয়াও, পাল্টেছে প্রকাশভঙ্গিরও এবং প্রকাশ মাধ্যমও। প্রিন্টিং মিড়িয়া চাপা পড়ে প্রায় হেরেই গেছে ইলেক্ট্রনিক মিড়িয়ার কাছে। ইলেক্ট্রনিক মিড়িয়ার সুবিধা হল লেখা প্রকাশের জন্য অতো বেশী স্ট্রাগল করতে হয় না। তবে প্রকাশের পরে কতোটুকু বাহবা পেলেন সেটা দেখবার বিষয়!
আমাদের শুরুর সময়টা ঠিক এরকম ছিলোনা। সেই ছোট্ট বেলায়, স্কুলের বাৎসরিক সাহিত্য সাময়িকীর জন্য লেখা লিখতে হবে... এখনো মনে পড়ে, আহা কি সে এক অদ্ভুত শিহরণ খেলে যেতো ছোট্ট মনে। স্কুলের শিক্ষক থেকে হেড স্যার প্রতিতা মানুষ এমনকি বন্ধুবান্ধবের অভিভাবক পর্যন্ত দেখবে আমার ক্ষুদে হাতের বাঁকাতেড়া লেখা!! একি কম কথা! আকাঙ্ক্ষা, আবেগ আর চাপা উল্লাস নিয়ে লেগে পড়তাম একতা কিছু লিখতে... সেই সে লেখালেখির শুরু... প্রথম প্রথম দু চার লাইন কবিতা বানানোর বৃথা চেষ্টা। ভাবতাম লাইনের শেষে ছন্দ মিললেই বুঝি কবিতা হয়ে যায়! এরপর একটা দুটো করে প্রকাশ পেতে থাকলো প্রতিটা সংখ্যাতেই লেখাগুলোর কোন না কোনটা... একসময় দুর্বার কলেজ জীবনে পা দিলাম, আহা বুকে সে কি সাহস আর পায়ে আঠারোর তেজ! সেই তেজের বসে লেখার ঝাঁঝটাও গেল আরো দু ধাপ বেড়ে। যদিও সেরকম প্রকাশের অভিপ্রায়ে ছোট ছোট কবিতায় আর সীমাবদ্ধ রইলো না লেখাগুলো, হয়ে যেতে লাগলো দানবাকার। তারপর, একদিন অনেক সাহস এক করে নিয়ে কবিতা গল্পে রুপ নিলো। এরপর ইচ্ছা জাগে থ্রিলার উপন্যাস লিখবো, সেবা প্রকাশনীর প্রকাশিত রহস্য উপন্যাস গুলো পড়ার শখ বহু আগে থেকেই...লুকিয়ে লুকিয়ে পড়তাম ডিগ্রি লেভেলে পাঠ্য রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে শরৎচন্দ্র, নজরুল, সমরেশ, বঙ্কিম, মুজতবা আলী সহ বাংলা ভাষার নানা কালজয়ী সাহিত্যিক দের লেখা গল্প,রম্য,গদ্য গুলো। উপন্যাসের প্রতি আগ্রহ হাইস্কুল লেভেলের শুরুতেই একেবারে। কোনটা চেয়ে নিয়ে, কোনটা কলেজ লাইব্রেরীর অতিকায় সব সেলফ থেকে চুরি করে, কোনটা লুকিয়ে কারো বাসা থেকে। কেন জানিনা, ছোটবেলায় কোথাও বেড়াতে গেলে তা সে যেকোন ধরণের জায়গায়ই হোক না কেন আমার মন আঁকুপাঁকু করতো কোন চিপাচাপায় কোন ফাঁকে চমৎকার কোন বই চোখে পড়ে কিনা! এমনিতে কথা বলতাম খুব খুবই কম, আর বই একটা জুটে গেলে তো আর চিন্তাই নেই, আমার বুঝি আর কাউকে দরকারও নেই... লম্বা ডুব দিতাম... সেখান থেকেই বোধহয় প্রথম শব্দ গাঁথুনি, প্রথম উপন্যাস লেখার অভিপ্রায়... আর সেই ধবধবে কাগজে গোটা গোটা অক্ষরের প্রাণবন্ত লেখা গুলো এখন কেড়ে নিয়ে গেল অনলাইন...
অনলাইনে বসে থেকে যাই বা দু চার কথা লেখা হয় তাঁর বেশিরভাগই গভীরতার দাবীদার বেশি প্রাঞ্জলতার কম, কম আবেগের।হাত থেকে পড়ে গেল কলম, চলে এলো কীবোর্ড। শুরু নিজের লেখা নিজের মত সাজিয়ে ইচ্ছেমত পাবলিশ করার... শুরু টুকিটাকি ব্লগিং এর ... শুরু ফেসবুকিং এর... শুরু অনলাইন অ্যাক্টিভিজমের ....
এখনকার জেনারেশনের মধ্যে ফেইসবুকের যে একটা ঝোঁক তৈরি হয়েছে সেটা এর আগে কোন কিছু নিয়ে অতোটা হয়নি। ফেইসবুক যেন হয়ে উঠেছে তাদের জীবন চলার পথে দিন রাতের নিত্য সঙ্গী। রাতে ঘুমেতে যাবার আগ পর্যন্ত আর ঘুম থেকে উঠেই বাসি বিছানায় ফেইসবুকের নিউজফিড-নটিফিকেশন-ইনবক্স চেক করা নিত্য রুটিন। ফেইসবুক ফিডের নীল সাদার জমিতে হামেশাই ফুটছে জীবন চরিত, ফুটছে সম্পর্ক, জীবন গড়া-ভাঙার নানা রং, বিনোদন, আমোদ, খেলাধুলা,প্রযুক্তি ফুটছে সাহিত্য, ফুটছে দর্শন, মতামত বিনিময়, এমনকি বিতর্ক এবং বিশ্লেষনও।
তবে, ইলেকট্রনিক মিড়িয়াতে লেখা প্রকাশ হওয়া যত সহজ সমাদর পাওয়াটা কিছু ক্ষেত্রে ঠিক ততোটাই কঠিন। প্রাসঙ্গিক একটা ছোট্ট উদাহরণ হতে পারে, ফেসবুকের কবিতার আসরগুলো কিংবা গল্প রম্য লেখালেখির গ্রুপগুলো…. এসব গ্রুপ গুলাতে গ্রুপ মেম্বাররাই অনেক সময় অন্যের লেখায় মন্তব্য করে না।
বর্তমানে আমাদের দেশে অনলাইন নির্ভর সাহিত্য চর্চা বা লেখালেখির জন্য ফেসবুকের বাইরে বাংলা ব্লগ প্ল্যাটফর্ম গুলো বেশ জনপ্রিয় ....
তবে এখানেও নতুনরা সবাই খুব সহজে জায়গা তৈরি করে নিতে পারেন না। যারা পুরানো ব্লগার আছেন এবং যারা নিয়মিত ব্লগে থাকেন কারো কারো দৃষ্টিকোন থেকে তাদের কেউ কেউ নাকি খুবই স্বার্থপর ঘরানার হন। যদিও তাঁদের সবাই সেরকম নন বলেই মনে করি, এবং কোয়ালিফায়েড আদর্শ যেকোন অভিজ্ঞ ব্লগার যথেষ্ঠ দায়িত্বশীল এ ব্যাপারে, যথেষ্ঠর চেয়েও বেশি উদার। তাঁরা নতুন ব্লগার দের লেখা পড়েন ধৈর্য নিয়েই, মন্তব্য করেন, সুন্দর গঠনমূলক উপদেশ দেন কিভাবে লেখাটাকে আরোও ফুটিয়ে তোলা যেত, কিভাবে আরোও উপভোগ্য কিংবা পাঠক প্রিয় করা যেত, কিভাবে আরোও রুচিশীল এবং যৌক্তিক উপস্থাপনা সম্ভব হতো, তাঁরা যত্ন নিয়েই শুধরে দেন নতুন লেখক/ ব্লগার দের ভুলগুলো ….
বর্তমান সময়ে ফেইসবুকের প্রবল আগ্রাসণ থেকে মুক্তি নিয়ে অনেকে শত ব্যস্ততার ফাঁকেও একটু সময় করে চলে আসেন ব্লগে। ভালোভালো লেখা লিখেন, লিখবার প্রচেষ্ঠা নেন। কিন্তু সেই প্রবল আগ্রহে ঠাসা নতুন চোখের নতুন নতুন লেখাগুলো প্রথম প্রথম তেমন কেউ পড়েও না। নতুন নতুন ব্লগারের অনেক ভালো ভালো লেখা দেখা যায় বিশ ত্রিশ বার মাত্র পঠিত হয়। কমেন্ট হয়তো দু একটা। এতে করে নতুন ব্লগাররা একসময় ব্লগে লেখালেখি করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। মনে হয়, ব্লগ বুঝি তাঁদের গ্রহন করতে চায় না বা চাচ্ছে না!
কিন্তু, অন্যের লেখা খুঁটিয়ে পড়া বা মন্তব্য করায় খুব একটা অগ্রসর হননা! যেটা তাঁদের ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়ায় অদক্ষতার প্রতিফলন হিসেবে তাঁদের ব্লগিং কে অপূর্ণই রেখে দেয় নির্মমভাবে!
কেউ এই নির্মমতাকে মেনে নিয়ে হার মানেন, চলে যান লেখালেখির জগত থেকে দূরে কোথাও, কেউবা উৎসাহ হারিয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন, কেউ আবার এই কৌশলটি ধরে ফেলেন করে ফেলেন রপ্ত দৃঢ়ভাবেই…..
ফলাফলঃ একে একে তাঁর লেখাগুলোর পাঠক বাড়তে থাকে, মন্তব্য বাড়তে থাকে, একসময় এমন অবস্থান তৈরি হয় যে তাঁর লেখায় আলোচনা, তৈরির ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে যায় ……
এই ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়ার আছে নানাদিক। যেমন আছে উন্নত ঘরানার এবং পরিপক্ক লেখনী উন্মোচনের মত দিক, তেমনি আছে ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়ায় পারঙ্গমতার সাথে সাথে ব্লগিয় হিটম্যান কিংবা সেলিব্রিটি তকমা তথা অঘোষিত কিংবা স্বঘোষিত ব্যাজ অঙ্গে জুড়ে নেবার মতো দিকও! এই ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়ার হাত ধরে যেমন উঠে আসতে পারে ভাঙা হাতের কাঁচা, আধা পাকা দু চার কলম লেখা থেকে চমৎকৃত কিংবা আবেশি ক্ষমতাধর কোন লেখকস্বত্বার যিনি, হবেন মননে, সৃজনে, বচনে, মনোজ্ঞতায় এবং উপস্থাপনায় সর্বাঙ্গীণ ভাবে পারদর্শী। ঠিক তেমনি এই ব্লগ গুণটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করেও বেরিয়ে আসতে পারে ব্লগ ত্রাস কিংবা ব্লগ হিটম্যান যেখানটায় সেলিব্রিটি তকমা থাকলেও লেখালেখির সুমিষ্ট সুষমা থাকবেনা।।
তবে, সহ ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়া যে ব্লগিং এ কতোটা গুরুত্ববহ তা লিখে বলে দিতে হয় না বৈকি।
এর সবচে বড় সুফল... সফল এবং সুদক্ষ ব্লগার তৈরিতে।
আর এর সবচেয়ে বড় অভাববোধ এবং আক্ষেপযোগ্য ব্যর্থতা... অকালে ঝড়ে যাওয়া হতাশ কোন অজানা ব্লগ নক্ষত্র!!
একেবারে প্রথমটায়, যখন আমরা অনলাইন কমিউনিটিতে আসি তখন প্রায় সবক্ষেত্রেই আমাদের প্রায় সব নবীন লেখকের জন্যই যে দ্রুব সত্য চিত্রটি দাঁড়ায় তার যথাযথ মোকাবেলাটা একটু কঠিন বৈকি!
এতো এতো সুলেখক, এতো এতো সুপরিচিত লেখকের মাঝে ক্ষুদ্রতায় ঘেড়া, হয়তো সামান্য ছোট ছোট ভুলেও ভরা নতুন নতুন আগ্রহী চোখের নতুন নতুন লেখাগুলো যে অকস্মাৎ জনপ্রিয়তা পাবেনা সেটা স্বতঃসিদ্ধ। কিন্তু, জনপ্রিয়তা নাহোক, আনকোড়া নতুন হাতের নতুন চোকের ছোট ছোট কল্পনা, আবেগ, দর্শন, মতাদর্শ, চিন্তাভাবনা আর অগুনতি স্বপ্নের বহিঃপ্রকাশগুলোয় যে ন্যূনতম সমাদর, গঠনমূলক আলোচনা সমালোচনা কিংবা অডিয়েন্স ফিডব্যাক থাকবেনা সেটা কেন দৃষ্টিকোণ থেকেই কাম্য নয়, হবার অপেক্ষাও রাখেনা। আর যদি হয়ে থাকে তবে সেখানটাতেই বলবো সুদক্ষ এবং যথার্থ ব্লগিয় পারঙ্গমতা কিংবা মিথস্ক্রিয়ার অভাববোধটা প্রকোট!!
নতুন নতুন হাতের সব লেখা গুলোর প্রতি, নিজের কষ্টের আর অনেকখানি জমানো আবেগ, অনেকখানি পুঞ্জিভূত স্বপ্ন তাড়নার ঝালর আর নতুন সৃষ্টির আশা উদ্দিপনা প্রথমেই অনেকখানি চাপা পড়ে কিংবা কারো কারো ক্ষেত্রে একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়ে যায় অডিয়েন্স ফিডব্যাক না পেলে .... ফোয়ারা হয়ে চারিদিক সুসজ্জিত, সুষমামন্ডিত করাটা আর হয়ে ওঠেনা ....!
তবে লেখালেখি কিংবা ব্লগিং চালিয়ে যেতে থাকলে সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা হয়, ধীরে ধীরে মনের গন্ডিটা অনেক বড় হয়ে যায় ... জ্ঞানের পরিধির সাথে সাথে বাড়তে থাকে দৃষ্টিভঙ্গীর প্রসারতাও ....
ফলাফলঃ একজন পূর্ণাঙ্গ লেখক কিংবা ব্লগার
সর্বোপরি, ব্লগ যেন এমন এক সাচ্ছন্দবোধের জায়গা এমনই এক দীক্ষালয়, এমনই এক মন অলিন্দের খোড়াকের আশ্রম যেখানটায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখছি, মন পাকছে তাতে রং চড়ছে কিন্তু চুল পাকছে না! একটু একটু করে বড় হচ্ছি যেন কিন্তু বুড়ো হচ্ছিনা ...
এই মন্তব্য শূন্যতা কিংবা ব্লগিয় হতাশার ব্যাপারে কথা হয়েছিলো অনেকের সাথেই ... কেউ মত দিলেন, ব্লগ এডমিন প্যানেলের করণীয় সম্পর্কে, কেউ মত দিলেন পুরানো ব্লগার তথা রথি মহারথিদের অনর্থক অহম সম্পর্কে, কেউ বা দোষ দিলেন নবীন লেখকদের অযৌক্তিক অভিযোগকে, কেউ বা পুরানোদের অভিমানকে, কেউ হয়তো বলে বসলেন ব্লগ কর্তৃপক্ষের উচিত অধিক মন্তব্যের যথাযথ পুরষ্কারের ব্যবস্থার কথা ...!
কোনটা কতটুকু দায়ী সে ব্যাপারে না বলতে চাইলেও এটুকু বলা যায়, পুরষ্কার দিয়ে যেকোন কাজকে উৎসাহিত করা গেলেও মন খোড়াকের বারান্দাটা ঠিক সাজানো যায় না।
ব্লগ আয়োজিত পুরষ্কার ঘোষিত হলে, অনেক অযাচিত কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুঁইফোঁড় মন্তব্যকারীর আবির্ভাব হবে বটে কিন্তু প্রাণময় তথা মনের ছোঁয়া যুক্ত বুকের উচ্ছাস মাখা কিংবা গঠনমূলক যৌক্তিক মন্তব্যের সংখ্যা বাড়বে কি আদৌ!?
এগুলো যেহেতু পুরষ্কার ঘোষনা করে করা সম্ভব নয় সেহেতু, এ পন্থায় কোয়ালিফায়েড ব্লগার তৈরি ও ব্লগের পক্ষে সম্ভবপর কিংবা যৌক্তিক নয়!
এখন লেখালেখি অনলাইন নির্ভরই। এর পেছনটায় আছে বহুবিধ বহু বিষয়াদী। সেসব নিয়ে আলোকপাত করতে গেলে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে যাবে লেখা। আগেও বেশ কবার বলেওছি। আর আমার নিজেরও লেখার হাতেখড়ি অফলাইনেই, সেই স্কুল জীবনেই। অসমাপ্ত সহস্র কবিতার আঁকিবুঁকি পাতা সাজিয়ে সাজিয়ে গল্পের খাতা মোড়ার সাহসটুকুও করে ফেলি একদিন-তখনো হাই স্কুলের গন্ডি পেড়িয়েছি কি পেড়ুইনি! এখন আর লেখালেখিটা সেই সুরতে, সেই আদলে বা ধাতে নেই। নিজেও অনলাইন কেন্দ্রিক এমনকি অনলাইন ফ্রিক হয়ে গেছি।
তবে, লেখা প্রকাশ যেভাবেই হোক, যেখানেই হোক, যে প্ল্যাটফর্মেই হোক, যখনই হোক না কেন মুক্ত বিহঙ্গের মতই হওয়া উচিত। প্রতিটা লেখকেরই খোলা একটা আকাশ থাকা উচিত, মুক্তভাবে দেখার আকাশ, মুক্তভাবে ভাবার আকাশ, মুক্তচিন্তা করার আকাশ, মুক্তকলমের লাইন টানার আকাশআর সে আকাশে ভাসা প্রতিটা লেখারই ডানা থাকা উচিত...
এখানে হিট কিংবা সমাদরের বিষয়গুলি একেবারেই তুচ্ছ! যদিও এটা সত্য যে নতুন অবস্থায় যথেষ্ঠ সমাদর না পেলে কিংবা ফিডব্যাক না হলে লেখার স্পৃহা মরে যায় অনেক ক্ষেত্রেই।
কিন্তু বাস্তবতা যে এমনই! তা হোক অনলাইন কিংবা অফলাইন। বরং অনলাইনের ক্ষেত্রে তা আরো প্রবল এবং ব্যাপক। এখানে যেকোন লেখককেই যথেষ্ঠ সমাদর কিংবা ফিডব্যাক পেতে হলে প্রথমে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিতে হবেই! নতুবা তিনি যত ভালোই লিখুন না কেন- রেস্পন্স কম আসবে- অবশ্যই প্রথমদিকটায়। কেননা, ভালো লেখা, ভালো আর্টের লেখা তার আর্ট দিয়েই পাঠক তৈরি করে নেবে... তা সে যেখানে যখনই হোক।।
ফেসবুকের ব্যাপার গুলো কিছুক্ষেত্রে নোংরামি পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট, কখনোবা ঘোলাটে, এবং বিরক্তিকর! ব্লগেও কিছুকিছু ক্ষেত্রে তাই।
তবে ব্লগের চমৎকার একটা ভালো দিক হচ্ছেঃ-
সেখানে কমন একটা স্টেজে দাঁড়িয়ে প্রতিটা লেখা। নেই উঁচু নিচু বা খাটো মাঝারী প্ল্যাটফর্ম কিংবা ব্যাসমেন্ট। ব্যাকগ্রাউন্ড -সে যাই হোক, প্রতিটা লেখাই ব্লগ দাঁড় করায় সমতানে গাঁথা এক তাল লয়ে। ব্লগ কখনোই কোন লেখক কিংবা লেখাকে ছোট বড় করে পাল্লায় উঠিয়ে উপস্থাপন করে না অডিয়েন্সের কাছে। যা ফেইসবুকে হয় বা হচ্ছেও। ব্লগ বাছবিচার করেনা নতুন কি পুরান লিজেন্ডারি কি প্রাইমারীরও। ব্লগ মাপে না পপুলারিটি, ফেম, কিংবা অনুসারীর সংখ্যাও , ব্লগ দেখেনা পেইড অডিয়েন্স রিচে প্রাপ্ত গুরু লাইক কিংবা ভালোলাগা সূচকও! ব্লগ যা মাপে, তা হচ্ছে রাইটিং স্কিল ক্যাপাবিলিটি কিংবা লিখন যোগ্যতা, লেখার মান কিংবা কিছুক্ষেত্রে দক্ষতার অভিপ্রকাশ। ব্লগ যা দেখে তা হচ্ছে বাক স্বাধীনতার দুয়ার প্রতিটা লেখকের কলমের সামনে উন্মুক্ত অবারিত লাইন টানবার সুযোগ নিশ্চিত হয়েছে কিনা। ব্লগ যা দেখে তা হচ্ছে চিন্তার পরিশীলতা, বহুমাত্রিকতা, উন্মুক্ততা এবং সর্বোপরি যৌক্তিকতাও।
৫-৬ বছরের ব্লগীয় অভিজ্ঞতা আর মিথস্ক্রিয়ায় হাত পাকানো ব্লগারের হাতের কীবোর্ডের লেখা যে পাতায় প্রকাশ করে সদ্য একাউন্ট জেনারেল হওয়া যেকোন নতুন ব্লগারের লেখাও প্রকাশ করে সেই একই পাতায়। যেটা ফেইসবুকে হয়না।
হ্যা, সেখানেও পরিচিতির ব্যাপারটা আছে, হয়তো প্রকটভাবেই আছে- কারণ তা থাকাটা স্বাভাবিক!
এটাকে মেনে নিয়েই এগুতে হবে। কিন্তু নতুনদের অনেকেই মনে করেন, যেটা মেনে নেয়াটা কষ্টকর এবং কিছুটা দুঃখজনকও বটে তা হচ্ছে, পুরানো পরিচিত হাত পাকা, মুখ পাকা ব্লগার দের অহমিকা কিংবা হাস্যকর ভার্চুয়াল এরিস্ট্রোক্রেসি! মনে হয়, উনারা বুঝি লিখতেই জন্মেছেন, শত শত মন্তব্য পেতেই জন্মেছেন, ভালোলাগা পেতেই জন্মেছেন, লেখা পড়তে নয়, মন্তব্য করতে নয়, ভালো লাগলেও ভালোলাগা জানাতে নয়! এ কেমন অহম! নতুন ব্লগারদের ব্লগার কিংবা লেখকদের ভালো লেখাকে কেন তিনি বা তারা সাধুবাদ জানাবেন না, প্রশংসা কিংবা গঠনমূলক সমালোচনা করবেন না-সেদিকটা প্রশ্নবিদ্ধতার সম্মুখীন হয় বটে।।
আসলে ওইসব লেখকেরা যত হিট কিংবা মন্তব্যই পান না কেন, যত সৃজনশীলতার মননশীলতার ডোশিয়ার, সার্টিফিকেট ই পান না কেন ভক্ত সুহৃদের কাছ থেকে, আমি বলবো তাঁদের সে সার্টিফিকেটের একেবারে গোড়াতেই অস্ফুট রয়ে গেছে গলদ!
একজন ব্লগার তখনই মানসম্মত ব্লগার হবেন, যখন তিনি নিজের একটা লেখার পাশাপাশি অন্য দশজনের দশটা লেখা যত্নসহ পড়বেন, চিন্তাভাবনা করবেন, বিশ্লেষন করতে জানবেন, গঠনমূলক এবং যৌক্তিক সমালোচনা করতে পারবেন নিজের একটা চিন্তাভাবনা, দর্শন থিসিস কিংবা কোন টপিক্যাল অ্যানালাইসিস যৌক্তিক উপস্থাপনার সাথে সাথে আরো দশটা উপস্থাপনার পরিমাপ করবার যোগ্যতা রাখবেন।
অন্যদিকে,
একজন লেখকের এজায়গাটায় ঠিক সেরকম কোন বাঁধাধরা নীতি নিয়ম কানুন নেই। কেননা তিনি লিখবেন একেবারেই ইচ্ছামত মনের আনন্দে। রিডার, কমেন্টার কিংবা বিশ্লেষকেরও তাঁর দরকার নেই। অন্য একজন সমসাময়িক লেখকের লেখা পড়বার ও তাঁর কোন বাধ্যবাদকতা নেই। তেমনি প্রকাশের ক্ষেত্রেও তাঁর লেখা তাঁরই হাতে। যদিও এজায়গাটায় একটা গুরুত্বপূর্ণ এবং লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, লেখকের লেখা যখন তিনি কোন অনলাইন কমিউনিটি তথা ব্লগে প্রকাশ করবেন তখন তাঁকে ব্লগার বলা যায় বা যাবে কিনা…..?
অবশ্যই অনলাইনে ব্লগে লিখলে তিনি ব্লগার হিসেবে পরিগণিত হবেন ঠিক, কিন্তু শুধুই নিজের জন্য লেখালেখি কিংবা দায়বদ্ধতাহীন অনলাইন এক্টিভিজমের কারণে ব্লগে লিখেও তিনি ভালো লেখক হলেও ভালো ব্লগার হিসেবে গণ্য হবেন না।।
তাঁকে ব্লগ পোস্টগুলোর সুবাদে ব্লগার বলা গেলেও তিনি একপেষে ব্লগার। কেননা পূর্ণাঙ্গ ব্লগার হিসেবে পরিগণিত হতে গেলে অবশ্যই অবশ্যই তাঁকে দায়িত্বশীল ব্লগিং করতে হবে, সেক্ষেত্রে যেকোন বিষয় প্রাধান্য পেতে পারে তাঁর ব্যক্তিগত মতাদর্শ, দৃষ্টিকোণ এবং পছন্দ অপছন্দ অনুসারে কিন্তু অবশ্যই অবশ্যই তাঁকে ভাবতে হবে স্বদেশ নিয়ে তাঁকে এনালাইসিস করতে হবে গুরুত্ববহ নানা জাতীয় আন্তর্জাতিক এবং সমসাময়িক বিষয়াদী এবং সমস্যাবলী নিয়ে। তাঁকে বিশ্লেষন করতে জানতে হবে, নিজ মতের পক্ষে যথার্থ যুক্তি প্রমাণ এবং রেফারেন্স সহ সম্পূর্ণ আঙ্গিকের উপস্থাপনা জানতে হবে। এসবের সবগুলো গুনের একেবারে পরিপূর্ণ না হোক মোটামুটি উপস্থিতি ব্যতিত কখনোই একজন ব্লগ লেখককে পূর্ণাঙ্গ এবং কোয়ালিয়ায়েড ব্লগার বলা যাবেনা।। ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়ার ব্যাপারটি তো উপরি থেকেই যাচ্ছে এক্ষেত্রে…. ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়ায় যিনি যত বেশি পারদর্শী হবেন, ব্লগার হিসেবেও তাঁর অবস্থান ততটা মজবুত এবং পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
তবে লেখালেখির জগতে যে অলিখিত মৌলিক ধ্রুবসত্যটি বিরাজমান তা হচ্ছে,
লেখক হিসেবে হোক কিংবা ব্লগার হিসেবে হোক, একজন লেখক কিংবা ব্লগার তখনই আদর্শ লেখক কিংবা ব্লগার হবেন যখন সর্বাগ্রে তিনি একজন আদর্শ পাঠক হবেন।
আর ব্লগার হিসেবে একজন লেখক তখনই আদর্শ ব্লগার হবেন যখন সবগুলো যৌক্তিক মতাদর্শ কিংবা লেখার যথার্থ বিশ্লেষণ পূর্বক নিজ মতামত সুচারু এবং বলিষ্ঠ ভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হবেন।
অতএব, এটুকু সহজে বলে দেয়া যায় সামারি আকারে, ব্লগার মাত্রই লেখক বটে, কিন্তু লেখক মাত্রই ব্লগার নন।
তবে, সমসাময়িক নানা দায়িত্বশীলতার এবং প্রয়োজনীয়তার ব্যাপার গুলো বাদ দিলে,একজন প্রকৃত লেখকের অবস্থান অনেক উঁচুতে …
একজন সৃজন শিল্পী যিনি নিজ রুচি এবং মন মননের মিশেলে সৃষ্টি করেন ...
কিংবা একজন চিত্রকর যিনি নিজ মনের রং তুলির প্রতিচ্ছবি তাঁর কলমের আঁচড়ে ফেলেন ...
কিংবা একজন স্থপতি যিনি মনোদুয়ার খুলে দেন... কলমের আঁচড়ে সাজান নতুন সভ্যতার নব রূপরেখার বুনিয়াদ…..
পরিশেষে এটুকুই বলার আছে, ব্লগার কিংবা লেখকের দর্শন কিংবা কর্মপদ্ধতি সে যাই হোক না কেন, সর্বাগ্রে কাম্য হচ্ছে, বাংলার জন্য কাজ করে যাওয়া নিরলসভাবে ...
আমরা তো বাংলা ব্লগের চরমতম উৎকর্ষই কামনা করি মনের একেবারে ভেতরটা থেকেই, যখন বাংলা ব্লগ মাত্র তার কৈশোর টা পেরুচ্ছে ...
এরই মধ্যে বাংলা ব্লগে এসেছে নানা উত্থান-পতন, নানা শিহরণ জাগানো, নানা কল্পনাকেও হার মানানো, নানা চমৎকৃত হবার মত, নানা দুঃখ পাবার মত ঘটনাও ...
এসেছে অগণিত প্রাপ্তি, এসেছে অকল্পনীয় সব অর্জন ...
কিন্তু, এতো কিছুর পরেও বাংলা ব্লগ যেন এখনো বয়স এবং কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এখনো যৌবনে পা রাখেনি ... !
বাংলা ব্লগের এ ঊষালগ্নে এর প্রাণ বাঙালী ব্লগারদের প্রত্যেক কেই একতাবদ্ধ হয়ে, বুকে বাংলাকে ধারণ করে মেধার সবটুকু ঢেলে দিয়ে উচিত বাংলা ব্লগকে সমৃদ্ধ করা এবং বাংলা ব্লগের জন্য কাজ করে যাওয়া নিরলসভাবে ...
কেননা, বাংলা ব্লগের জন্য কাজ করা মানে বাংলার জন্য কাজ করা, আর বাংলার জন্য কাজ করা মানে বাংলাদেশ তথা আমার মাতৃভূমির জন্য কাজ করা ...
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বর্তমান পাঠক শূণ্যতা কিংবা স্বল্প মন্তব্যের অবস্থার ভিতর দিয়ে বাংলা ব্লগ নতুন একটা পর্যায় অতিক্রম করছে , আশা করছি এর পরেই সুর্যোদয় অপেক্ষা করছি ! -সহমত সুতীব্রভাবে ...
চ্যাট বক্সের মত অপ্রোয়জনীয় ১০ টা কথার কমেন্টের চেয়ে লিখার ব্যাপারে ছোট্ট ছোট্ট আলোচনার কিংবা শুধু ভালো লাগা মন্দ লাগা জানিয়ে যাওয়া ৫ টা কমেন্ট কি লেখকের জন্য অধিক লাভজনক নয় কি ? -এজায়গাটায় আমার মনের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি আমি ... আমার কথাও ঠিক তাই ... অবশ্যই অবশ্যই লাভজনক ...
ব্লগ ফেসবুক থেকে আলাদা তার গভীরতায় , ফেসবুকের গতিশীলতা আছে ! তবে আরেকটা কথা আছে , অনেকটা আমাদের পছন্দের নেতার বক্তব্য শুনেই হাততালি দেয়ার মত ! ব্লগ সেই সুযোগ টা দেয় না , ব্লগে আপনাকে আপনার ব্যাক্তিত্বের প্রকাশ ঘটিয়ে অবস্থান করে নিতে হবে, সামাজিক হতে হবে এবং অবশ্যই পাঠকদের জন্য অন্তত কিছু হলেও দিতে হবে !
ভালো লিখা , ব্লগীয় মিথস্ক্রিয়া এবং সামাজিক আচরণ ,দেশ ও আন্তর্জাতিক স্পর্শকাতর ইস্যূগুলোতে আপনার জনমুখী মতামতই আপনাকে ব্লগে শান্তি দিবে ! - চমৎকার এবং সুচিন্তিত ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক কয়েকটা কথা এখানে বললেন ...
এমন কথার আশা করা যায় এমন চমৎকার ব্লগারদের কাছ থেকেই ... এমন সুচিন্তিত এমন গঠনমূলক পরিশীলিত প্রাঞ্জল মন্তব্যই বাংলা ব্লগের প্রাণ ...
প্রিয় অভি, আমি কাকে যেন বলেছিলাম একজায়গায় মন্তব্যের জন্য পুরষ্কার ব্যাপারটা অর্থহীন! কিন্তু আপনার এ মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে কিছুটা ভুল বলে ফেলেছিলাম!
যে মন্তব্য ব্লগাদেরর বুকের উচ্ছাস কে প্রকাশ করে দেয়, সে ধরণের মন্তব্য আসলে ৫ টা হলেও ব্লগ প্রাণময় থাকবে ...
আপনি আরেকবার প্রমাণ করে দিলেন মন্তব্যে প্রিয় অভি ...
শুভকামনা সর্বদা ... সবরকম ...
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪১
বনমানুষহনুমান বলেছেন: একমত ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ ...
শুভেচ্ছা ...
৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
নতুন করে মনে হয় কিছু বলার নাই। ফেসবুকে কিছু কথা শেয়ার করেছিলাম।
আপনার কাছে এমন একটি পোস্টই আশা করছিলাম। আশার চেয়ে অনেক বেশি পেলাম।
+++++++++
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কান্ডারি ... ফেসবুকে আপনার লেখাটা পড়েই মূলত আমার এ লেখাটার কথা মনে আসে, সেখানেই বলেছিলাম সময় করে পোস্ট করে দেবো, স্বল্প পরিসরে হলেও...
আসলে এখানে কোন তথ্য প্রমাণ কিংবা রেফারেন্সের অবতারণার প্রয়াস ছিলো না ...
একান্তুই মনে যা ছিল আর অভিজ্ঞতায় যা দেখা তাই শেয়ার করা ...
আসলে এই পোস্টটার ক্রেডিট অনেকটাই আপনার ...
৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একজন ব্লগার আর লেখকের মধ্যে দারুন তুলনা চিত্রায়িত করেছেন।তবে আমি বলবো ব্লগার ও লেখক দুজনেরই দায়বদ্ধতা রয়েছে। রম্য লিখেও সমাজকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো যায় কি হওয়ার ছিল আর কি হচ্ছে? বিষাদের কবিতা থেকে ও তেমনি প্রকাশিত হয় বিষাদের লুকানো বেদনা। তাই কখনো ছোট্ট একটি কবিতা হয়ে ওঠে দিকদর্শন, কিংবা গল্প হয়ে ওঠে জীবনের দর্শন। আর সরেজমিনে সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে একজন কবি বা গল্পকার হয়ে ওঠেন ব্লগার । আমার তাই মনে হয়।
তাই ব্লগার একজন লেখক একজন কবি একজন অনলাইন এক্টিভিস্ট।ভাল লিখেছেন।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ভালো বলেছেন সেলিম ভাই ...
সত্যিই ব্লগার হোন কি লেখক হোন সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি, এবং সবশেষে নিজের প্রতি দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই কারোই ...!
তবে, আমি এখানটায় ইদানীংকার অনলাইন অ্যাক্টিভিটির বিচারে অনলাইন লেখকদের দায়বদ্ধতার দিকটি সামান্য আলোকপাত করতে চেয়েছি মাত্র ...
রম্য লিখেও সমাজকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো যায় কি হওয়ার ছিল আর কি হচ্ছে? বিষাদের কবিতা থেকে ও তেমনি প্রকাশিত হয় বিষাদের লুকানো বেদনা। তাই কখনো ছোট্ট একটি কবিতা হয়ে ওঠে দিকদর্শন, কিংবা গল্প হয়ে ওঠে জীবনের দর্শন। আর সরেজমিনে সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে একজন কবি বা গল্পকার হয়ে ওঠেন ব্লগার -চমৎকার সত্য কথাগুলোয় পুরোপুরিই সহমত ...
যখন অনলাইন ছিলোনা, তখন কি লেখকগণ লেখনীর মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন করেননি!? অবশ্যই তা হয়েছে ...!!
৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
ইমিনা বলেছেন: অনেক মূল্যবান কথা আছে এখানে। তাই আরো একটু সময় নিয়ে স্থিরতার সাথে পড়তে হবে। পোস্ট লিংক নিয়ে রাখলাম।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইমিনা ... পোস্ট লিংক নিয়ে রাখবার জন্য ...
পড়বেন সময় করে ...
তবে এ লেখাটায় তেমন কোন তথ্যাদি যুক্ত করবার প্রয়াস নেই নি... শুধু বাংলা ব্লগ এবং ব্লগিং নিয়ে কিছু কথা বললাম ...
৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১১
ডি মুন বলেছেন: ব্লগ যা মাপে, তা হচ্ছে রাইটিং স্কিল ক্যাপাবিলিটি কিংবা লিখন যোগ্যতা, লেখার মান কিংবা কিছুক্ষেত্রে দক্ষতার অভিপ্রকাশ। ব্লগ যা দেখে তা হচ্ছে বাক স্বাধীনতার দুয়ার প্রতিটা লেখকের কলমের সামনে উন্মুক্ত অবারিত লাইন টানবার সুযোগ নিশ্চিত হয়েছে কিনা। ব্লগ যা দেখে তা হচ্ছে চিন্তার পরিশীলতা, বহুমাত্রিকতা, উন্মুক্ততা এবং সর্বোপরি যৌক্তিকতাও।
অত্যন্ত চমৎকার পোস্ট। প্রিয়তে রাখলাম এবং শেয়ার দিলাম।
আর আপনাকেও ধন্যবাদ এ লেখাটার জন্য।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মুন শেয়ার করবার এবং প্রিয়তে রাখবার জন্য ...
আপনাদের শেয়ারে বাংলা ব্লগ এবং ব্লগিং নিয়ে ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার এ স্বল্প সময়ের প্রকাশের প্রয়াস অনেক নতুন ব্লগার দেখবেন যা পোস্টটার জন্য অনেক বড় পাওয়া ...
৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৭
ডি মুন বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বেশ কিছু পুরাতন ভালো ব্লগার অহেতুক ক্যাচাল এড়াতে আর ব্লগে আসেন না , কেউ বলে সামু ছাগুর খোয়াড় , কেউ বলে সামু নাস্তিকের আড্ডা খানা , কেউ বলে সামু আওয়ামী পন্থী তাই ওনারা কেউই ব্লগে আসেন না ! কি অদ্ভূত ! সাথে ব্লগকে ব্যাক্তিগত হীন স্বার্থে ব্যাবহার করার মত বাজে দিক তো রয়েছেই !
বর্তমান পাঠক শূণ্যতা কিংবা স্বল্প মন্তব্যের অবস্থার ভিতর দিয়ে বাংলা ব্লগ নতুন একটা পর্যায় অতিক্রম করছে , আশা করছি এর পরেই সুর্যোদয় অপেক্ষা করছি ! চ্যাট বক্সের মত অপ্রোয়জনীয় ১০ টা কথার কমেন্টের চেয়ে লিখার ব্যাপারে ছোট্ট ছোট্ট আলোচনার কিংবা শুধু ভালো লাগা মন্দ লাগা জানিয়ে যাওয়া ৫ টা কমেন্ট কি লেখকের জন্য অধিক লাভজনক নয় কি ?
আমিও আমার বন্ধুদের সবসময় বলি, একঘন্টা ফেসবুকে থাকার চেয়ে ২০ মিনিট ব্লগে থাকলে অনেক কিছু জানা যায় শেখা যায়।
অভি ভাইয়ের মন্তব্য খুব ভালো লাগল। অনেক কথাই বলে দিলেন তিনি। ধন্যবাদ অভি ভাই
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আমারো খুবই ভালো লেগেছে তাঁর মন্তব্য ...
চমৎকার কিছু কথা বলে গেছেন যেগুলো আমাদের বাঙালী ব্লগার দেয় জন্য উৎসাহদায়ক এবং মনে রাখবারই মত...
সত্যিই একঘন্টা ফেসবুকে থাকার চেয়ে ২০ মিনিট ব্লগে থাকলে অনেক কিছু জানা যায় শেখা যায়
৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২০
মুদ্দাকির বলেছেন:
ব্লগিয় এরিস্টোক্রেসি ভালো লাগেনা। অপ্রয়োজনীয় লেখা না লেখার চেষ্টা করি। মন্তব্য পেতে খুব ভালো লাগে! কিন্তু হায়...............।
বুঝি অনেকেই নিয়মিত পড়েন তাই ভালো লাগে।
অনেক শিক্ষনিয় লেখা, ভালো লেগেছে।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সত্যিই এসব ব্যাপার গুলো বাংলা ব্লগের জন্য কলঙ্কজনক বলেই মনে করি ...
আমরা তো বাংলা ব্লগের চরমতম উৎকর্ষই কামনা করি মনের একেবারে ভেতরটা থেকেই ...
কিন্তু এসব ব্যাপার চরম হতাশাজনক, যখন বাংলা ব্লগ তাঁর কৈশোর টা পেড়ুচ্ছে ...
এরই মধ্যে বাংলা ব্লগে এসেছে নানা উত্থান-পতন, নানা শিহরণ জাগানো, নানা কল্পনাকেও হার মানানো, নানা চমৎকৃত হবার মত, নানা দুঃখ পাবার মত ঘটনাও ...
এসেছে অগুনতি প্রাপ্তি, এসেছে অকল্পনীয় সব অর্জন ...
কিন্তু, এতো কিছুর পরেও বাংলা ব্লগ যেন এখনো বয়স এবং কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এখনো যৌবনে পা রাখেনি বলেই মনে করি ... !
বাংলা ব্লগের এ ঊষালগ্নে এর প্রাণ বাঙালী ব্লগারদের প্রত্যেক কেই একতাবদ্ধ হয়ে, বুকে বাংলাকে ধারণ করে মেধার সমস্তটা ঢেলে দিয়ে বাংলা ব্লগকে সমৃদ্ধ করা এবং বাংলা ব্লগের জন্য কাজ করে যাওয়া নিরলসভাবে ...
কেননা, বাংলা ব্লগের জন্য কাজ করা মানে বাংলার জন্য কাজ করা, আর বাংলার জন্য কাজ করা মানে বাংলাদেশ তথা আমার মাতৃভূমির জন্য কাজ করা ...
আমার জীবন ধন্যই বলবো যদি কিছুমাত্রও করে যেতে পারি ...
ধন্যবাদ আপনাকে ...
৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভালো লাগা পোষ্ট!
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ ...
শুভেচ্ছা রইলো ...
১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৯
উপপাদ্য বলেছেন: ব্লগ বিষয়ে দারুন একটা লেখা। কারন বাংলা ব্লগের উৎকর্ষ সাধন, ব্লগের বিস্তার ও বিশ্লেষনের মূল্যবান একটা দলিল হয়ে থাকবে পআনার এই লেখটি।
ভালো থাকুন।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আগেও বলেছি, বাংলা ব্লগের অগণিত অর্জনের পরেও বয়স এবং কিছু বিশেষ দিক থেকে বাংলা ব্লগ এখনো তাঁর কৈশোর টা পাড়ি দিচ্ছে ....
বাংলা ব্লগের পূর্ণাঙ্গ যৌবন প্রাপ্তির দিনগুলোতে আমরা থাকবো কিনা জানিনা, তবে আমাদের প্রতিটা কাজ , বাংলা ব্লগ তথা বাংলার জন্য করে যাওয়া প্রতিটা সফল কাজ সেদিন বাংলা ব্লগ দলিল না হোক, অন্তত প্রারম্ভিকা হিসেবে শোভা পাবে ....
বাংলা ব্লগ তথা বাংলার সেই পূর্ণিমা তিথির স্বপ্ন বুনে যেতে চাই ...
১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০১
জাফরুল মবীন বলেছেন: ভাই মুনতাসির নাসিফ পোস্টটা প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ও ৯ম লাইক দিয়ে গেলাম।শরীরটা ভাল লাগছে না তাই একটু তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাচ্ছি।পাখির চোখে একবার পড়েছি।পুরোটা ভালভাবে পড়তে হবে।ব্লগে আমার জেনারেল হওয়া প্রায় ১০০দিন হলো।আমি মনে হয় আমার অভিজ্ঞতার কথাটা শেয়ার করব যাতে নতুন ব্লগাররা একটা বাস্তব উদাহরণ পেতে পারে।এ ধরণের আলোচনা পোস্টটি স্টিকি করলে সবাই লাভবান হত।ভাল থাকবেন ভাই।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ...
বাংলা ব্লগের এ সময়টায় আমাদের উচিত আমাদের সমস্ত অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান তা যতোটুকু সীমাবদ্ধ পরিসরেই হোক সবার সাথে মন খুলে শেয়ার করা ... কেননা, তাতে অনাগত কিংবা অপেক্ষাকৃত নতুনদের জন্যও অনেক গঠনমূলক এবং শিক্ষণীয় দিক রয়ে যাবে ...
আপনার কসমেটিক্স নিয়ে গবেষণা মূলক তথ্যবহুল পোস্টটা দেখেই মনে মনে বলেছিলাম, এই পোস্টটা স্টিকি না হয়েই পারেনা ...!!
সেখানে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ চেয়েও মন্তব্য দিয়ে এসেছিলাম ...
পোস্টটা স্টিকি হয়েছে, যার মাধ্যমে এখন অনেক বহিরাগতও গুরুত্বপূর্ণ ওই ব্যাপার গুলো সম্পর্কে অবগত হবেন বলেই মনে করি ...
আবারো ধন্যবাদ , ধন্যবাদ ব্লগে ফিরে আসবার জন্য ...
১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: ব্লগে লিখলেই ভাল ব্লগার নয়- একমত । ব্লগিংয়ের জন্য মিথস্ক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কেউ কেউ মিথস্ক্রিয়া নিয়ে নেগেটিভ কথা বলেন। তারা ব্লগিং বুঝেন না । তবে মিথস্ক্রিয়ায় পুরনোদের দায়িত্ব বেশি
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: পুরোপুরি সহমত মামুন ভাই ...
১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: বাংলা ব্লগিংয়ের এই দুঃসময়ে খুবই প্রয়োজনীয় একটি লেখা । সময়োপযোগী এই পোস্টের জন্য প্রিয় নাসিফ কে ধন্যবাদ ।
ব্লগিং দিকনির্দেশনামুলক গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্ট স্টিকি করা হোক ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই ...
যদিও পোস্টটা স্টিকি হয়নি, তবু, প্রায় হাজার বার দেখা হয়েছে এরই মধ্যে... শেয়ার ও হয়েছে বেশ কবার দেখলাম ...
বাংলা ব্লগের এ সময়টায় আমাদের প্রতিটা ব্লগ লেখক, পাঠকেরই উচিত ব্লগের জন্য মন থেকে একটু চিন্তা করা ... যতটুকুই যে যেখান থেকে যেভাবে পারি, বা পারছি করে যাওয়া ...
যেহেতু, বাংলা ব্লগের জন্য যেটুকুই বা করলাম পরোক্ষভাবে হলেও তা যে করলাম আমার মাতৃভাষার জন্যই ... তা যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন ...
আপনাদের মত অভিজ্ঞদের পাশে পেয়ে ভালোলাগছে সত্যিই ...
১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
কিছু যৌক্তিক ও গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরেছেন। পোষ্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ ...
১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৩
নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: বেশ কাজে দিবে, মনোযোগ দিয়ে পড়লাম পোষ্টটি। আর আমাদের মত নুতনদের জন্য বেশ সহায়ক হবে।
ব্লগে আমরা নিজে লেখা যেমন পোষ্ট করবো তেমনি অন্যের লেখাগুলোও পড়ার অভ্যাস তৈরী করবো।
যাইহোক স্বল্পতার জন্য বিস্তারিত আলোচনায় গেলামনা।
সময় পেলে আবার আসবো----পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম।
ধন্যবান আপনাকে মূল্যবান পোষ্টটি সাজাবার জন্য।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ নাসরিন ...
হ্যাপি ব্লগিং ...
ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন আর থাকুন বাংলা ব্লগের সাথেই, থাকুন বাংলার সাথে ...
শুভকামনা ...
১৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৫
মহানাজমুল বলেছেন: *এত সব কাহিনীর জন্যই নিজের ব্যক্তিগত সাইটে লিখি। এখানে আসলেও খুব একটা লিখি না,কমেন্ট করি না।
*এটা ঠিক যে একজন লেখকের জন্য অনেক কমেন্ট বা ভিউ দরকার নেই। সে নিভৃতে লিখে যাবে। সবাই তাকে মুল্যায়ন করবে এমন না। অনেক বড় বড় লেখকরাও জীবদ্দশায় মুল্যায়ন পান নাই। তাহলে? নিজের মনমত লিখে যাও।
*আবার কিছু লেখা আছে যা নিজের ব্যক্তিগত ব্লগ/ডায়রীতে শোভা পায় না; আবার সেগুলো সাহিত্যকর্মও না, কোন ধরনের সংবাদ বা সংবাদ বিশ্লষণও না। যেমন: কোন একটা বই বা নাটক/সিনেমার রিভিউ। দেখলাম,পড়লাম- ভালো লাগলো; উপলব্ধিটা শেয়ার করতে চাই। ফেসবুকের নিতান্তই ব্যক্তিগত সার্কেলের সাথে এই আবেগটা খাপ খায় না, যারা ওই পর্যায়ের শিল্পসাহিত্য অনুরাগী। ফলে কিছু লেখার গন্তব্য শুধুমাত্রই ব্লগ,যথার্থভাবে কমিউনিটি ব্লগ। কিছু লেখার সৃষ্টিই হয়তো কমিউনিটি ব্লগের জন্য,যা অন্য কোন মাধ্যমে বেমানান।
* দায়িত্বশীল ব্লগিংয়ের মাধ্যমেও যে অনেকের মনে স্থান নেওয়া যায় তার উদাহরণ ইমন জুবায়ের। তিনি ইতিহাসের কত বৈচিত্রময় তথ্য আমাদের জানিয়েছেন। তা কমিউনিটি ব্লগ না হলে হয়তো সম্ভব ছিল না।
* আরেকটা ব্যপার পৃষ্ঠপোষকতা। নবীনদের লেখায় উৎসাহ দিলে কারো ইজ্জত কমে না, এটা সবার বোঝা উচিত।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সহমত ...
ব্যক্তিগত ব্লগ সাইট ম্যানেজ করে লেখালেখি করাটা তোহ আর সবার পক্ষে সম্ভবপর নয়...!
যারা পারেন বা পারবেন তাঁরা ইচ্ছানুযায়ী লেখেন / লিখবেন ...
তবে আমজনতার জন্য, সাধারণের মুক্ত মত প্রকাশের জন্য, মুক্তচিন্তার বিকাশের জন্য, কিংবা নাগরিক সাংবাদিকতা অথবা সাহিত্য চর্চার জন্য হলেও কমিউনিটি ব্লগের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য বলেই মনে করি ...
১৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৫
মহানাজমুল বলেছেন: *এত সব কাহিনীর জন্যই নিজের ব্যক্তিগত সাইটে লিখি। এখানে আসলেও খুব একটা লিখি না,কমেন্ট করি না।
*এটা ঠিক যে একজন লেখকের জন্য অনেক কমেন্ট বা ভিউ দরকার নেই। সে নিভৃতে লিখে যাবে। সবাই তাকে মুল্যায়ন করবে এমন না। অনেক বড় বড় লেখকরাও জীবদ্দশায় মুল্যায়ন পান নাই। তাহলে? নিজের মনমত লিখে যাও।
*আবার কিছু লেখা আছে যা নিজের ব্যক্তিগত ব্লগ/ডায়রীতে শোভা পায় না; আবার সেগুলো সাহিত্যকর্মও না, কোন ধরনের সংবাদ বা সংবাদ বিশ্লষণও না। যেমন: কোন একটা বই বা নাটক/সিনেমার রিভিউ। দেখলাম,পড়লাম- ভালো লাগলো; উপলব্ধিটা শেয়ার করতে চাই। ফেসবুকের নিতান্তই ব্যক্তিগত সার্কেলের সাথে এই আবেগটা খাপ খায় না, যারা ওই পর্যায়ের শিল্পসাহিত্য অনুরাগী। ফলে কিছু লেখার গন্তব্য শুধুমাত্রই ব্লগ,যথার্থভাবে কমিউনিটি ব্লগ। কিছু লেখার সৃষ্টিই হয়তো কমিউনিটি ব্লগের জন্য,যা অন্য কোন মাধ্যমে বেমানান।
* দায়িত্বশীল ব্লগিংয়ের মাধ্যমেও যে অনেকের মনে স্থান নেওয়া যায় তার উদাহরণ ইমন জুবায়ের। তিনি ইতিহাসের কত বৈচিত্রময় তথ্য আমাদের জানিয়েছেন। তা কমিউনিটি ব্লগ না হলে হয়তো সম্ভব ছিল না।
* আরেকটা ব্যপার পৃষ্ঠপোষকতা। নবীনদের লেখায় উৎসাহ দিলে কারো ইজ্জত কমে না, এটা সবার বোঝা উচিত।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সহমত ...
১৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:০৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আবেগের।হাত থেকে পড়ে গেল কলম, চলে এলো কীবোর্ড। শুরু নিজের লেখা নিজের মত সাজিয়ে ইচ্ছেমত পাবলিশ করার... শুরু টুকিটাকি ব্লগিং এর ... শুরু ফেসবুকিং এর... শুরু অনলাইন অ্যাক্টিভিজমের .
আমার মতে ফেসবুক এবং ব্লগের মাঝে পার্থক্য আছে। ফেসবুকে আজকাল দেখা যায় ভূয়া খবর,লাইকএর বানিজ্য আর ফটোসপের কারিগরী। যা প্রায় অনুপস্থিত ব্লগে। এখানে কিছু পোষ্ট করতে হলেও পুরো দায়িত্ব নিয়েই করতে হয়। কারন আছে পাঠক,যরা শুধু পড়বেই না সাথে জানতেও চাইবে। ভূয়া তথ্য দিয়ে এখানে পার পাওয়া যায় না।
আর দায়বদ্ধতার কথা ঠিকই আছে। শুধু প্রিন্টে নিজের নাম এবং লেখা দেখে খুশী হয়ে "আমি কি হনুরে" ভাব দেখালে হবে না। এক্ষেত্রে আনর বক্তব্যকেই সমর্থন করা ছাড়া পথ দেখছি না।।
পরিশেষে আমর কথা, ব্লগকে শুধু লেখালেখির বা নিজের ভাল-মন্দ লাগার প্লাটফর্ম হসাবেই ব্যাবহার করলে হবে না,তাতে থাকতে হবে স্বকীয়তা,দেশের পরিস্থিতি,হতভাগা ছিন্নমূলদের কথা,প্রিন্টিং মিডিয়াতে অপ্রকাশিত খবর,এলাকা ভিত্তিক দুঃখ-দুর্দশা তথা অনাচারের কথা(এককথায় দেশের পুরো দিক।)কারন অনলাইন মিডিয়া হিসাবে ব্লগের গুরুত্ব। উদাহরন হিসাবে বলা যায়তিউনেশীয়া, মিসর, সিরিয়ার কথা এসব দেশে ব্লগাররাই তাদের স্বৈরাচার সরকারে পদানত করতে সক্ষম হয়েছে। সুতরাং ব্লগের গুরুত্ব আজ কোথায়??
ধন্যবাদ ভাল একটি ব্লগের জন্য। যা থেকে অনেকেই,অনেককিছু চাইলে শিখতে পারবে।।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: এখানে কিছু পোষ্ট করতে হলেও পুরো দায়িত্ব নিয়েই করতে হয়। কারন আছে পাঠক,যরা শুধু পড়বেই না সাথে জানতেও চাইবে। ভূয়া তথ্য দিয়ে এখানে পার পাওয়া যায় না -সহমত ...
"আমি কি হনুরে" ভাবটা তো যেন তেন ছাগল দেখায় না অনলাইনে ভাই! যাদের দেখবেন এ কলার মোচাটা চিবুচ্ছে তাহাদের বুঝিয়া নেবেন অনলাইনের "রামছাগল" ...
ব্লগকে শুধু লেখালেখির বা নিজের ভাল-মন্দ লাগার প্লাটফর্ম হসাবেই ব্যাবহার করলে হবে না,তাতে থাকতে হবে স্বকীয়তা,দেশের পরিস্থিতি,হতভাগা ছিন্নমূলদের কথা,প্রিন্টিং মিডিয়াতে অপ্রকাশিত খবর,এলাকা ভিত্তিক দুঃখ-দুর্দশা তথা অনাচারের কথা(এককথায় দেশের পুরো দিক।)কারন অনলাইন মিডিয়া হিসাবে ব্লগের গুরুত্ব -চমৎকার বলেছেন ..
তিউনেশীয়া, মিসর, সিরিয়ার কথা উহ্য রেখে যদি শুধু আমাদের এশিয়ার কথাই ধরি তবু ব্লগের গুরুত্ব অপরিমেয় ... তবে, আমাদের আলোচ্য এবং বিবেচ্য হবে বাংলা ব্লগ, বাংলায় ব্লগিং এবং বাংলা ব্লগের জন্য আমাদের কার কতোটুকু কি কি দেবার আছে নিজ অবস্থান থেকে ...
সেগুলোই সমৃদ্ধ করবে বাংলা ব্লগকে একদিন, নিয়ে যাবে বিশ্ব ব্লগ মানচিত্রে অনন্য কোন এক উচ্চতায় ...
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী ...
১৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:১২
সাদরিল বলেছেন: আপনার আরো কয়েকটি পোস্টের মতো এটিও ফেভারিটে
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ সারদিল ...
শুভকামনা নিরন্তর ...
২০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:০৭
রাজিব বলেছেন: খুবই সুন্দর পোস্ট এবং এরপরের কমেন্টগুলো ততটাই ভাল হয়েছে। ব্লগিং ও লেখালেখি দুদিকেই আমার অনেক বছরের অভিজ্ঞতা একেবারে পেটের দায়ে বলতে পারেন।
আমি আসলে ব্লগার ও লেখকের মধ্যে একেবারেই কোন পার্থক্য দেখতে পাই না। ব্লগিং হচ্ছে একটি প্লাটফর্ম বা মিডিয়া যেখানে মানুষ লিখতে পারে। হয়তো অনেকেই লেখক বলতে আরেকটু সিরিয়াস কিছুকে বুঝাচ্ছেন আর ব্লগার বলতে যে কেউ লিখছে এমন গোত্রের কেউ। তবে এ ধরনের সংজ্ঞা বা মুল্যায়নের সঙ্গে আমি একেবারেই একমত নই।
সংবাদপত্রে লিখছি ২০ বছর ধরে (১৯৯৪) আর ব্লগে ৯ বছর ধরে (২০০৫)। ব্লগে যেমন দক্ষ ব্লগার আছেন আবার কাঁচা ব্লগার আছেন, সংবাদপত্রেও তাই। হ্যা, তবে সংবাদপত্রে ভুল ধরার জন্য ও ভাষার মান ও লেখার মান উন্নত করার জন্য সাব এডিটর, বিভাগীয় সম্পাদক, প্রুফ রিডার সহ ৩/৪ ধরনের লোক থাকেন। ব্লগে সেটি নেই। এটাই একমাত্র পার্থক্য বলে আমার মনে হয়েছে।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: রাজিব ভাই, আপনার মত ব্লগারের মন্তব্য আমার ব্লগটাকে সমৃদ্ধই করে বলে মনে করি ...
আপনার চমৎকার বাস্তব দৃষ্টিকোণ যৌক্তিকতার প্রশ্ন তোলবার অপেক্ষা রাখেনা ...
আসলে ব্লগ তো একধরনের ইচ্ছেখাতা কিংবা অনলাইন ডায়েরী অবশ্যই, এমন ডায়েরী যাতে আমার লেখাগুলো আমি ছাড়াও আরো অনেকে দেখতে পান, পাবেন, পেয়ে থাকেন ...
তবে, যেহেতু আমি নিজে ছাড়াও আরো অনেকে পরবর্তীতেও লেখাগুলো আমার অক্ষরগুলো পড়ে, বা পড়তে পারে এবং মন্তব্য করতে পারে/পারবে সেহেতু, এখানটাতেই এসে যায় ওই মিথস্ক্রিয়া জনিত ব্যাপার গুলো ... আপনাকে তো বলবার কোন কিছুই নেই নতুন করে ...!
নাগরিক সাংবাদিকতারও এক সুন্দর আয়োজন কিংবা মিলনায়তন এই ব্লগিং কমিউনিটি গুলো ...
সংবাদপত্রের সাথে এর তুলনা কতোটা যৌক্তিকতা রাখে জানিনা, তবে অবশ্যই সংবাদপত্রের অবস্থান সার্বিক বিবেচনায় ব্লগের অনেক অনেক আগে ... কিন্তু, সেখানে মত প্রকাশের কিংবা লেখা প্রকাশের অবাধ সুযোগ তো সবার জন্য সমানভাবে উন্মুক্ত নয় ... যা ব্লগে আছে ...
মোদ্দাকথা, সংবাদপত্র যেকোন স্বাধীন-পরাধীন রাষ্ট্রের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ, ব্লগ আদৌ তা নয়! সংবাদ পত্রের দায়বদ্ধতার কাছে ব্লগ স্রেফ শিশু... আর সংবাদ পত্রের পরিসর এবং ব্যাপ্তির কাছেও ব্লগ নেহাতই শিশু ...! সংবাদপত্র যেখানে সমাজের, রাষ্ট্রের দর্পণ ব্লগ কোন কোন এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তির দর্পণ ...
অবশ্যই ব্লগেও সর্বাঙ্গীণ বিষয়াণুক্রমিক আলোচনা, উপস্থাপনা এবং নাগরিক সাংবাদিকতা হয়, হচ্ছে বা হওয়া সম্ভবও ...
কিন্তু, সংবাদপত্রের তুলনায় তার নিয়মানুবর্তিতা, প্রয়োজনীয়তা, এবং দায়বদ্ধতা নিতান্তই তুচ্ছ ...
২১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:০৫
না পারভীন বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট। পুরো পোস্ট সেই সাথে মন্তব্যগুলো ও মন দিয়ে পড়লাম
পাঠক প্রিয় লেখক হতে গেলে প্রচুর পড়তে হবে, জীবনকে কাছ থেকে দেখতে হবে, অন্যের লেখাকে উৎসাহ দেয়া ও লেখকের দায়িত্ব।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ খুঁটিয়ে পড়বার জন্য ...
অবশ্যই পড়তে হবে, দেখতে হবে, এবং শুনতে হবে ...
যিনি যত পড়বেন, শুনবেন, দেখবেন তাঁর ঝুলি তত সমৃদ্ধ হবে স্বাভাবিকভাবেই ...
আর সমৃদ্ধ ঝুলি থেকে যখন কোন লেখা আসবে, তা সমৃদ্ধ হয়েই আসবে ... সেটাও স্বাভাবিকতার প্রেক্ষিত বজায় রেখেই ...
শুভকামনা রইলো..
২২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩
সুফিয়া বলেছেন: আমার শরীরটা আজ খুব অসুস্থ। মনটাকে একটু চাঙ্গা করার জন্য ব্লগে একটু ঢু মারতে এসেছিলাম। কিন্তু আপনার লেখাটা দেখে ঢু মেরে চচলে যাওয়া আর হলনা। পুরো লেখাটাা যেন এক নি:শ্বাসে পড়ে ফেললাম, যদিও শরীর সায় দিিচ্ছনিা। লেখালেখির বর্তমান পেক্ষাপটে আপনি অনেক বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। নি:সন্দেহে এটি একটি কালোত্তীর্ণ লেখা। আপনার চিন্তা-চেতনার বিচার তাই সময়ই করবে।
আপনার সাথে আমি এখানে অনেক বিষয়ে একমত। তবে মূল কথা যেটা বলেছেন সেট হলো সব ব্লগারা লেখক হতেপারেন কিন্তু সব লেখকরা ব্লগার নন। এখানেই প্রাক ইলেকট্রিক মিডিয়ার যুগের সাথে বর্তমান ইলেকট্রিক মিডিয়ার পার্থক্য। আমি যখন লেখালেখি শুরু করি সেটা আশির দশকের কথা। খাতার পর খাতা ভরে ফেলে একদিন সাহস হলো পত্রিকায় লেখা পাঠাতে। সেটা ছোট্ট একটি কবিতা। তারপর দুরুদুরু বক্ষে অপেক্ষা লেখাটা আদৌ ছাপা হবে কি-না। যখন ছাপা হলো তখনকার নেই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। অার আজ এই ইলেকট্রিক মিডিয়া কত সহজ করে দিয়েছে একজন নতুন লেখকের লেখা ছাপাবার সুযোগ। একজন নতুন লেখক এ থেকেই তো আসল উৎসাহ পেয়ে যায়। এরপর নিজের পারঙ্গমতাকে কাজে লািগয়ে পরিপূর্ণ লেখক হয়ে উঠে লেখালেখির জগতে টিকে থাকার সুযোগটা পুরোপুরি তার উপর নির্ভর করে।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার আন্তরিক প্রাঞ্জল মন্তব্য সুফিয়া ...
আমার এ সামান্য চিন্তার প্রকাশ তথা ব্লগর ব্লগর যে আপনার অসুস্থতার মধ্যেও সবটুকু মনযোগ কাড়তে পেরেছে, আমার এতে নিজেকে যেন ধন্য মনে হচ্ছে সত্যি ....
আর সবচেয়ে ভালোলাগলো আপনার লেখালেখির শুরুর কাহিনীটুকু জানতে পেরে ... সেই আশির দশক ...
অনেক অনেক আগে থেকেই লেখালেখিতে জড়িয়ে আছেন ...
অনেক অনেক লেখা লিখেছেন, লিখছেন হয়তো লিখবেনও , কিছুমাত্র হয়তো আমাদের পড়বার সুযোগ হয়েছে, হয়তো আরোও আরোও অনেকগুলো পড়ার সুযোগ হয়ে যাবে ...
দেখুন না, এখানেও কিন্তু ওই "ব্লগ" ই জড়িত ... কি সুন্দর আপনার লেখা পৌঁছে দিচ্ছে আমার চোখে আর আমারটা আপনার ...
ভালো থাকবেন সুফিয়া ... আরোও অনেক লিখবেন আমাদের জন্য ...লিখবেন নিজের জন্য ... লিখবেন বাংলা ব্লগের জন্যও - পাঠক হিসেবে এটা কামনা করি ...
দ্রুত পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরুন আমাদের মাঝে ... নিরন্তর শুভকামনা ..।
২৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১১
আলম দীপ্র বলেছেন: অনেক পরিশ্রম করে ও দক্ষ হাতে লিখেছেন । খুবই ভাল লাগল ।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ...
২৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০২
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আপনার লেখাটি মন দিয়ে পড়লাম ! ++
বক্তব্যের সাথে দারুনভাবে সহমত পোষণ করছি ।
নিচে অনেকেই সুন্দর বাস্তবিক মন্তব্য করেছেন !
তবে লেখাটিতে একই ধরণের বিষয় বারবার
উঠে আসায় লেখার আকার অপ্রয়োজনীয়ভাবে
বৃদ্ধি পেয়েছে । এছাড়া কিছু সহজ বানান ভুল
চোখে পড়েছে !
আমাদের সবার ব্লগিয় পথচলা সুন্দর/আনন্দময় হোক !
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সুন্দর গঠনমূলক একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ স্বপ্নচারী গ্রানমা ...
আপনি দারুণভাবে সহমত পোষণ করছেন জেনে ভালো লাগলো খুবই ...
আর সহজ বানান ভুল কয়েকটা সময় স্বল্পতায় টাইপিং এর সুফল ...
২৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
সুমন কর বলেছেন: গ্রেট পোস্ট। ব্লগের প্রতি কতটা আন্তরিক হলে এ ধরনের পোস্ট তৈরি করা যায়, সেটা বুঝতে কারো কষ্ট হবার নয়।
প্রতিটি প্যারায় ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে, ব্লগের প্রতি দায়িত্বশীল মনোভাব।
নতুনরা ব্লগে আরো সময় দেক, পুরোনো ব্লগরা আরো দায়িত্বশীল নিয়ে ব্লগিং করুক এটাই কাম্য।
কষ্টসাধ্য পোস্টে ১২তম লাইক।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই মন থেকে ভালোলাগা সহ ...
খুবই ভালোলাগছে যে আপনি পড়েছেন তাড়াহুড়োয় লেখাটা যত্নের সাথে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ...
বাংলা ব্লগের জন্য কিছু করছি মানেই যে আমার বাংলা ভাষার জন্য কিছু করছি, আমার কাছে এটাই সর্বাগ্রে মনে হয় .... হোক তা যতোই ক্ষুদ্রতর কিংবা স্বল্প পরিসরে নেয়া প্রয়াস....!
মোদ্দাকথা, আপনি যেটা বললেন এককথায় সেটাই ....
নতুনরা ব্লগে আরো সময় দিক, পুরোনো ব্লগাররা আরো দায়িত্বশীলতা নিয়ে ব্লগিং করুক কামনা আমাদের সবার সেটাই ...
এগিয়ে চলুক বাংলা ব্লগ দৃপ্ত মহিমায় ... বিশ্ব ব্লগ মানচিত্রে সমৃদ্ধতম অবস্থানের দিকে আমার ভাষা বাংলাকে বুকে নিয়ে ...
২৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। আমার আর নতুন করে কিছু বলার অবকাশ রাখেন নি!
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই ...
আপনি সময় নিয়ে পড়েছেন আমার স্বল্প সময়ের অগোছালো ব্লগ চিন্তাগুলো, খুবই ভালোলাগছে সেজন্য...
২৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: very nice post
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ ...
২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:০২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ ...
২৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: দায়িত্বশীল একটি পোস্ট।
আপনার সাথে সহমত।
কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি পোস্টটি স্টিকি করার্র।
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সোহেল ভাই ...
প্রিয় সহব্লগারদের মধ্যে বেশ অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেলাম ...
আমি উৎফুল্ল ...
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যও ধন্যবাদ অশেষ... পোস্টটা স্টিকি হয়নি বটে! কিন্তু, দেখুননা, আলোচনা কিন্তু থেমে নেই ...
অনেক ব্লগার অংশগ্রহন করেছেন, আরোও অনেকে দেখেছেন পোস্টটা অনেকেই অফলাইনে দেখেছেন শুধু, মন্তব্য করেননি, অথবা সময় পাননি ...
পোস্টটা নাগরিক ব্লগ কর্তৃপক্ষ স্টিকি করেছিলো যখন সেখানে দিই... যদিও ভিজিটর তুলনামূলক কম ছিলো সেখানে ...
ভালো থাকুন প্রিয় সহব্লগার ...
শুভকামনা নিরন্তর ...
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সোহেল ভাই ...
প্রিয় সহব্লগারদের মধ্যে বেশ অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেলাম ...
আমি উৎফুল্ল ...
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যও ধন্যবাদ অশেষ... পোস্টটা স্টিকি হয়নি বটে! কিন্তু, দেখুননা, আলোচনা কিন্তু থেমে নেই ...
অনেক ব্লগার অংশগ্রহন করেছেন, আরোও অনেকে দেখেছেন পোস্টটা অনেকেই অফলাইনে দেখেছেন শুধু, মন্তব্য করেননি, অথবা সময় পাননি ...
পোস্টটা নাগরিক ব্লগ কর্তৃপক্ষ স্টিকি করেছিলো যখন সেখানে দিই... যদিও ভিজিটর তুলনামূলক কম ছিলো সেখানে ...
ভালো থাকুন প্রিয় সহব্লগার ...
শুভকামনা নিরন্তর ...
২৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
একজন আবীর বলেছেন: ব্লগ যেন এমন এক সাচ্ছন্দবোধের জায়গা এমনই এক দীক্ষালয়, এমনই এক মন অলিন্দের খোড়াকের আশ্রম যেখানটায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখছি, মন পাকছে তাতে রং চড়ছে কিন্তু চুল পাকছে না! একটু একটু করে বড় হচ্ছি যেন কিন্তু বুড়ো হচ্ছিনা ...
চমৎকার লাগল এটুকু বিশেষ করে।
বাংলা ব্লগ নিয়ে আলচনা পোস্টটা স্টিকি হলে হয়ত আলচনা আসত, কমেন্টে কয়েকজন বললেন,পড়লাম। ++++
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ আবীর ...
চমৎকার একটা অংশ ...
আমারো প্রিয় একটা অংশ ওটা এই অগোছালো লেখায় ...
পোস্ট স্টিকি হয়নি বটে, তবে আলোচনা আসছে ...
৩০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুরো লেখাটি পড়লাম। আপনার সাথে দ্বিমত করার অবকাশ নেই। তবে ব্লগার মাত্রেই লেখক নন এবং লেখক মাত্রেই ব্লগার নন, এ কথা ধ্রুব সত্য। অনলাইনে লেখালেখির কারণে এই অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছে। অফলাইনে এ সমস্যা নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্লগিং মিথস্ক্রিয়া থেকে কিছুটা বিচ্যুত। প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখালেখি করতে করতে অনলাইন মিডিয়ায় এসেছি বলে হয়তো এমনটা হয়ে থাকতে পারে। আবার বয়সও একটা ফ্যাক্টর।
যাই হোক, আপনার পোস্টটি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ, মুনতাসির নাসিফ।
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ আবুহেনা ভাই ...
আপনার লেখায় অভিজ্ঞতার সে ছোঁয়া সেজন্য বরাবরই থাকে ...
তবে প্রিন্টিং কিংবা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় লেখালেখি করার সুযোগ তো আর সবার ভাগ্যে জোটে না ...
তাঁদেরকে ব্লগে পাওয়া বাংলা ব্লগের জন্য একটা আনন্দঘন পাওয়াই বলবো ...
৩১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
জুন বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর বিশ্লেষন । কিছু বলার সুযোগ রাখেন নি নাসিফ ।
বই পড়ার নেশার কথা পড়ে নষ্টালজিক হয়ে পরলাম।
+
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় জুন আপু...
সত্যি বই পড়ার ক্ষেত্রে চুরির স্বভাবটা নেহাত খারাপ নাহ!
দুনিয়াতে এই একটা জিনিস চুরিতে বোধহয় বাধা থাকা উচিত নয় ...!
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় জুন আপু...
সত্যি বই পড়ার ক্ষেত্রে চুরির স্বভাবটা নেহাত খারাপ নাহ!
দুনিয়াতে এই একটা জিনিস চুরিতে বোধহয় বাধা থাকা উচিত নয় ...!
৩২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সুন্দর বিশ্লেষণ। তবে ‘ব্লগার’ আর ‘লেখক’-দের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করার ব্যাপারে আমি একমত নই। এটা মনে রাখতে হবে যে, সবার কোয়ালিটি, এ্যাটিচুড সমান না, সম্ভবও না। কেউ কেউ পোস্ট লিখেন খুব কম, কিন্তু অন্যের পোস্ট খুব বেশি পড়েন, কমেন্টও করেন প্রচুর। কেউ কেউ একের পর এক পোস্ট দিয়ে যান, অন্যের পোস্ট পড়বেন তো দূরের কথা, নিজের পোস্টে অন্যের কমেন্টের জবাবও দেন না। কিন্তু এঁরা সবাই ব্লগার। বলতে পারেন ভালো ব্লগার, নবীন ব্লগার, নাক-উঁচু ব্লগার, ইত্যাদি, কিন্তু সবাই সর্বৈব ব্লগার।
নতুন ব্লগারদের অভিযোগের ব্যাপারটা সত্য। কিন্তু তাঁদের মধ্যে অনেকেরই ব্লগিং সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই। আমাকে একজন নবীন ব্লগার বললেন, ব্লগে পোস্ট পাবলিশ করার শ্রেষ্ঠ সময় কোনটি? প্রতিদিন কয়টা করে পোস্ট পাবলিশ করা উচিত? কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন তিনি এখনো অন্য কোনো ব্লগারের কোনো পোস্ট পড়েন নি, কমেন্ট করাও হয় নি। আমার মনে হয়, কোনো ব্লগার যখন নিক ওপেন করেন, তখন সর্বপ্রথম যে মেসেজটি তাঁর ই-মেইলে পাঠানো হয় তাঁর ব্লগ এ্যাক্টিভেট করার জন্য, ওখানে এ ধরনের কিছু নির্দেশনাবলি যুক্ত করা যেতে পারে। যেমন, একজন নবীন ব্লগারকে অন্যান্যদের সাথে মতবিনিময় করতে হবে, অন্যান্যদের পোস্ট পড়তে হবে, কমেন্ট করতে হবে, তাতে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়বে ও বন্ধন দৃঢ় হবে।
ফেইসবুকের সাথে যে তুলনাটা করেছেন, সেটা ঠিক আছে। তবে ফেইসবুকিংকে আমরা বেশিরভাগই শুধু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্টেটাস প্রকাশের মাধ্যম হিসাবেই ব্যবহার করে আসছি। ফেইসবুকেও লেখালেখির শক্তিশালী চর্চা হয়ে আসছে। ঐ চর্চাটা আরও বেশি কার্যকরী হওয়াতে অনেকেই ব্লগ ছেড়ে ফেইসবুকে চলে যাচ্ছেন। ব্লগের একটা লিমিটেশন আছে, যেমন কাউকে ট্যাগ করা যায় না, বা নিউজফিড নেই, যা ফেইসবুকে আছে। ব্লগে মেসেজিং সম্ভব নয়, কিন্তু ফেইসবুকে আছে। ফলে কোনো কোনো ব্যক্তি ফেইসবুকে আরও বেশি সক্রিয় ও সফল হয়ে উঠছেন।
আবার প্রিন্ট মিডিয়ায় যারা প্রতিষ্ঠিত, তারা ব্লগে একটা নিক হয়তো ওপেন করেছেন, মাঝে মাঝে ঢুঁ মারেন, দু-একটা পোস্টও দেন, কিন্তু প্রিন্ট মিডিয়ায় বেশি সম্পৃক্ত থাকার দরুণ সময় পান না, ফলে ব্লগে তাঁরা অনুপস্থিত থাকেন, কিন্তু ফেইসবুকে কিন্তু ঠিকই সক্রিয় রয়েছেন।
একেকটা মিডিয়ার একেকটা স্বাদ। প্রিন্ট মিডিয়ার চাহিদা কোনোদিনই কমবে না, বাড়বে। কোনো ব্লগার প্রিন্ট মিডিয়ায় স্থান পেয়ে গেলে আর ব্লগে থাকবেন না। ব্লগ হলো লেখালেখি শুরু ও চর্চা করার সূতিকাগার। এখান থেকে পরিণতি লাভ করা যায়, কিন্তু প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতির জন্য প্রিন্ট মিডিয়ায় না গিয়ে উপায় নেই।
বাংলা ব্লগ শুরু হওয়ার পর আমরা ভেবেছিলাম এই বুঝি প্রিন্ট মিডিয়া মিইয়ে গেলো। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি ব্লগগুলোই বরং মিইয়ে যাচ্ছে। অগুনতি খবরের কাগজ বা লিটল ম্যাগের মতো ব্লগের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে। অনেক ব্লগারই একাধিক ব্লগে ও ফেইসবুকে লিখে থাকেন। ফলে, অন্যদের ব্লগ পড়ার চেয়ে নিজের পোস্ট পাবলিশ করার প্রতিই আমাদের বেশি ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।
ভালোলাগা ও ভালোবাসা রইল।
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার বলেছেন, আসলেই সবাই অবশ্যই অবশ্যই ব্লগার ... ভালো ব্লগার, নবীন ব্লগার, নাক-উঁচু ব্লগার, ইত্যাদি, কিন্তু সবাই সর্বৈব ব্লগার ... পোস্টেও একবার বলেওছি সেকথা, ব্লগে লেখালেখির সুবাদে প্রত্যেকেই ব্লগার বলে পরিগণিত হবেন, তাঁদের মধ্য থেকে কেউ হয়ে উঠবেন পূর্ণাঙ্গ থেকে পূর্ণাঙ্গতর এবং পরিপূর্ণ দক্ষ ব্লগার কেউ হয়তো কিছুটা আড়ালেই রয়ে যাবেন তুলনামূলক অদক্ষতার ছাপ রেখে রেখে কিংবা আত্মকেন্দ্রিক থেকে থেকে কিছুটা একপেশে ব্লগার হিসেবে...
নতুনদের মধ্যে অনেকেরই ব্লগিং সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকাটা আমার দৃষ্টিকোণ থেকে স্বাভাবিক হিসেবে নেয়া উচিত। কেননা, আমিতো মনে করি, আজকে যারা নতুন, আনকোরা কিংবা আনাড়ি ব্লগার তাঁরা একদিন পুরনো হবেন, ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়ায় হাত না পাকুক ব্লগিয় অ্যালগরিদম আয়ত্তে নিয়ে নেবেন, পূর্ণ থেকে পূর্ণতর হবেন, অভিজ্ঞ হবেন ...
আজকে যারা পুরনো, অভিজ্ঞ, দক্ষতার সার্টিফিকেট ধারী কিংবা সেলিব্রিটি তকমাধারি তাঁদের প্রত্যেকেই একদিন নতুনই ছিলেন ...
অতএব, যেটা হওয়া উচিত, প্রত্যেক পুরনো, অভিজ্ঞ এবং সুপরিচিত ব্লগারের দায়িত্বশীল হিসেবে এগিয়ে আসা উচিত প্রত্যেক নতুন থেকে নতুনতর, নব্য ব্লগার তথা ব্লগ অতিথিকে সাদরে বরণ করে নেবার জন্য ... তাঁদের যেখানে যেখানে যতটুকু অসম্পূর্ণতা, যতটুকু অপূর্ণতা আছে কিংবা থাকবে সেগুলো সযত্নে সংশোধন করে কিংবা ধরিয়ে দেবার দায়িত্বটাই যে পুরনোদের পুরনো হওয়াকে সার্থক করবে, দায়িত্বশীল ব্লগার হিসেবে পূর্ণাঙ্গতা দেবে, ব্লগের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার সাক্ষ্য হবে ...
ফেইসবুকেও লেখালেখির শক্তিশালী চর্চা হয়ে আসছে। ঐ চর্চাটা আরও বেশি কার্যকরী হওয়াতে অনেকেই ব্লগ ছেড়ে ফেইসবুকে চলে যাচ্ছেন। ব্লগের একটা লিমিটেশন আছে, যেমন কাউকে ট্যাগ করা যায় না, বা নিউজফিড নেই, যা ফেইসবুকে আছে। ব্লগে মেসেজিং সম্ভব নয়, কিন্তু ফেইসবুকে আছে। ফলে কোনো কোনো ব্যক্তি ফেইসবুকে আরও বেশি সক্রিয় ও সফল হয়ে উঠছেন।
আবার প্রিন্ট মিডিয়ায় যারা প্রতিষ্ঠিত, তারা ব্লগে একটা নিক হয়তো ওপেন করেছেন, মাঝে মাঝে ঢুঁ মারেন, দু-একটা পোস্টও দেন, কিন্তু প্রিন্ট মিডিয়ায় বেশি সম্পৃক্ত থাকার দরুণ সময় পান না, ফলে ব্লগে তাঁরা অনুপস্থিত থাকেন, কিন্তু ফেইসবুকে কিন্তু ঠিকই সক্রিয় রয়েছেন।
একেকটা মিডিয়ার একেকটা স্বাদ। প্রিন্ট মিডিয়ার চাহিদা কোনোদিনই কমবে না, বাড়বে। কোনো ব্লগার প্রিন্ট মিডিয়ায় স্থান পেয়ে গেলে আর ব্লগে থাকবেন না। ব্লগ হলো লেখালেখি শুরু ও চর্চা করার সূতিকাগার। এখান থেকে পরিণতি লাভ করা যায়, কিন্তু প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতির জন্য প্রিন্ট মিডিয়ায় না গিয়ে উপায় নেই - এখানকার প্রতিটা বক্তব্য বাস্তব সত্য এবং পুরোপুরি একমত আমি আপনার সাথে প্রিয় ব্লগার ...
তবে, প্রতিটা মিডিয়ার ভূমিকাই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অসামান্য, কোনটাকে ছোটবড় করে দেখাটা নিরর্থক!
ভালোলাগা এবং শুভকামনা রইলো নিরন্তর প্রিয় ব্লগার ...
৩৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪
নাজনীন পলি বলেছেন: মনযোগ দিয়ে পড়লাম । খুবই দরকারি কিছু কথা লিখেছেন । আমি এখানে কয়েকটা লেখা পোস্ট দিয়ে দেখেছি পাঠক নাই আবার এই একই লেখা অন্য ব্লগে লিখে অনেক পাঠক পেয়েছি । এটা আসলে হয়েছে অন্য ব্লগে আমার পরিচিতি আছে আর এখানে নতুন এই কারনে । ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য ।
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ঠিক ধরেছেন ...
এখানেও ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়া ...
শুভকামনা ...
৩৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার আজকের লেখাটি আমি মানের বিচারে দেখছি না। সাহিত্য মূল্যও বিবেচনা করছি না। হয়তো আপনিও সেই চেষ্টা করেন নি। বিষয়ের বিচারে একটি চমৎকার পর্যবেক্ষণ আপনি তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন।
পুরো লেখায় অন্যের লেখা পড়া, মন্তব্য প্রদান, মিথষ্ক্রিয়া, লেখক বনাম ব্লগার, ব্লগার বনাম পাঠক, পাঠক বনাম লেখক ইত্যাদি দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। লেখাটি দীর্ঘ হলেও তাৎপর্যপূর্ণ।
কমিউনিটি ব্লগ একটি সামাজিক ক্ষেত্র। মাইক্রো সোসাইটি। মতান্তরে, বৃহৎ সমাজ। যা হোক। এখানে সামাজিক লেখক হবার প্রয়োজনীয়তাটি সর্বাধিক। শুধু লেখক হলে হয়তো অন্যের লেখায় মন্তব্য করার দায়িত্বটি তত গুরুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু ব্লগারের ক্ষেত্রে মন্তব্য দেওয়া আর লেখা প্রকাশ করা প্রায় সম গুরুত্বের। ব্লগ নিয়ে আমার লেখাগুলোতে দৃষ্টি দিলে দেখবেন যে, ঠিক এসব বিষয় নিয়েই আমি বেশি আলোকপাত করেছি।
//নতুনদের অনেকেই মনে করেন, যেটা মেনে নেয়াটা কষ্টকর এবং কিছুটা দুঃখজনকও বটে তা হচ্ছে, পুরানো পরিচিত হাত পাকা, মুখ পাকা ব্লগার দের অহমিকা কিংবা হাস্যকর ভার্চুয়াল এরিস্ট্রোক্রেসি! মনে হয়, উনারা বুঝি লিখতেই জন্মেছেন, শত শত মন্তব্য পেতেই জন্মেছেন, ভালোলাগা পেতেই জন্মেছেন, লেখা পড়তে নয়, মন্তব্য করতে নয়, ভালো লাগলেও ভালোলাগা জানাতে নয়! এ কেমন অহম!//
-এটি কোনভাবে কাম্য নয়। প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে, অথবা শহরে থাকার সুবিধা নিয়ে, অথবা গতিশীল ইন্টানেট প্রাপ্তির সুবিধা নিয়ে কেউ কেউ হয়তো আগে ব্লগিং শুরু করেছেন। তার মানে, বলা ঠিক হবে না যে তারা জৈষ্ঠ্য লেখক। আজকে যে ব্লগারটি নিবন্ধন করেছেন, তিনি ৮বছরের জৈষ্ঠ্য ব্লগারের চেয়ে ভালো লিখতে পারেন। নতুন ব্লগার মানেই নতুন লেখক না-ও হতে পারে। তাই জৈষ্ঠ্যতার অহংকার নিরেট আহম্মকী। অহংকার মানেই আহম্মকী। ভালো লেখক মানে আলোকিত মানুষ। যত জ্ঞান তত নিরহংকার।
অনেক সময় নিয়ে একটি ভালো লেখা উপহার দেবার জন্য অ্যানোনিমাসকে ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা
২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: একদম সত্যিটাই ধরেছেন... সাহিত্য মূল্য কিংবা মানের বিচারে পরিমাপ যোগ্য তো নয়ই বরং সাজানো কোন লেখাও নয় এটা।
বরঞ্চ, আমার ক্ষুদ্র ব্লগিং অভিজ্ঞতায় এবং নতুন পুরনো নানা ব্লগারের ব্লগ চিন্তা, ব্লগিং সম্পর্কে মতামত, অভিমত এবং সর্বোপরি বাংলা ব্লগ নিয়ে নিজের সামান্য কিছু চিন্তা ভাবনাগুলোকে শব্দ ফ্রেমে আটকেছি -যা একেবারেই পূর্ব প্রস্তুতি কিংবা পরিকল্পনা ছাড়াই... যা অভিজ্ঞতায় এবং চিন্তায় ছিলো বা এসেছে তাই শুধু টাইপ করে গেছি ... এইযা...
আপনার চমৎকার আন্তরিক মন্তব্যে আমি মুগ্ধ ... কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা এখানটায় যোগ করেছেন যা ছাড়া হয়তোবা ব্লগ নিয়ে আমার এই ব্লগর ব্লগর পূর্ণতা পেতোনা ...
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আপনার এই কথাটুকু আমার কাছে ...
নতুন ব্লগার মানেই নতুন লেখক না-ও হতে পারে। তাই জৈষ্ঠ্যতার অহংকার নিরেট আহম্মকী। অহংকার মানেই আহম্মকী। ভালো লেখক মানে আলোকিত মানুষ। যত জ্ঞান তত নিরহংকার
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার ... পড়বার এবং চমৎকার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য ...
৩৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পুরানো পরিচিত হাত পাকা, মুখ পাকা ব্লগার দের অহমিকা কিংবা হাস্যকর ভার্চুয়াল এরিস্ট্রোক্রেসি! মনে হয়, উনারা বুঝি লিখতেই জন্মেছেন, শত শত মন্তব্য পেতেই জন্মেছেন, ভালোলাগা পেতেই জন্মেছেন, লেখা পড়তে নয়, মন্তব্য করতে নয়, ভালো লাগলেও ভালোলাগা জানাতে নয়! এ কেমন অহম!
-পুরোনোদের খুব ঝাড়ে নতুন পোলাপানরা আইসা। লম্ফঝম্পের সঙ্গে সঙ্গে কখনো অসাধু তৎপরতাও দেখায়। আমি মনে করি নতুন বা পুরোনো ব্যাপারটা মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়- আপনার লেখা পাঠককে টেনে আনবে। আবার আপনি যার লেখায় মন্তব্য করলেন তিনিও উৎসাহী হবেন আপনার ব্লগে ঢুঁ মারতে। তাহলে মিথস্ক্রিয়া ব্যাপারটাই প্রধান হয়ে উঠলো না?
আমার লেখা পড়তে তো আপনাকে আমি বাধ্য করতে পারি না। আবার আপনি না পড়লে তা যে অহমই একমাত্র কারণ তাই নিশ্চিত হবো কী করে?
কোনো কোনো ব্লগার মনে করেন তার পোস্ট নিয়ে ভালো-মন্দ কিছু বলার অর্থ যে তিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন। কিন্তু এটাও জানা প্রয়োজন যে, জ্ঞানীর অনেক কাজ মূর্খকেও ছাড়িয়ে যায় আবার মুর্খের এক আধটা কাজও জ্ঞানীর জ্ঞানকে পরিহাস করতে পারে। তার মানে কিন্তু এটা না যে, জ্ঞানী মুর্খের কাতারে নেমে গেলেন আর মূর্খ জ্ঞানীর কাতারে উঠে এলেন।
কোনো কোনো ব্লগারের চোখে মন্তব্য সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ, কারো কাছে কতবার হিট হলো। আবার এমনও আছে একটি বিশ্লেষণী মন্তব্যকেই গুরুত্ব দেন বেশি। একজন ব্লগার আছেন বয়স বেশি না, মাত্র ( ৮ মাস ২ সপ্তাহ)। তার লেখা অনেক ভালো হয়, ভুল ব্যাপার, অতি বোঝার ব্যাপারও থাকে। কিন্তু তার ব্লগে আমি কমেন্ট করি না। এমন হতে পারে আমার কমেন্টের কারণে সে আমাকে শত্রু ভাবতে আরম্ভ করবে। উলটো আমার চরিত্র হননে সরব হবে। তার মানে কি এই যে আমার অহম কাজ করছে? তা নয়, কাজ করছে ভীতি।
ভালো লেখে মানেই সে সব সময় ভালো লেখে না। এমন কেউ হয়ও না, কাজেই সব সময় মন্তব্য দিয়ে যে ব্লগারের বা ব্লগের মানোন্নয়ন ঘটাবেন, সেই ব্লগারের কারণেও হয় না। এমন বিষয়ে অনেক বিতর্ক হয়ে গেছে।
যাই হোক, সোনা ভাই যে বললেন প্রিন্ট মিডিয়ার কথা- আমিও সে কথাই বলি। অমলাইন পত্রিকা আর ব্লগে কোনো পার্থক্য দেখি না আমি। একটাতে সম্পাদক সরাসরি সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সক্রিয় কোথাও বা সম্পাদক কিছুটা আড়ালে থাকেন এতটাই পার্থক্য বলা যেতে পারে।
কাজেই পুরোনো নতুন ভালো খারাপ বলে বিভেদের দাগ টানবার চেয়ে ভালো ব্লগিঙের দিকে মনোযোগী হওয়া জরুরি। আবারও বলি- আপনি নিজেই নিজের লেখার মান নির্ধারক হইতে যাইবেন না- ইহা অপচেষ্টা। আপনার লেখা আকর্ষক হইলেই পাঠক স্বেচ্ছায় নিজের মতামত প্রদান করিবেন।
পরিশেষে পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: জ্ঞানীর অনেক কাজ মূর্খকেও ছাড়িয়ে যায় আবার মুর্খের এক আধটা কাজও জ্ঞানীর জ্ঞানকে পরিহাস করতে পারে। তার মানে কিন্তু এটা না যে, জ্ঞানী মুর্খের কাতারে নেমে গেলেন আর মূর্খ জ্ঞানীর কাতারে উঠে এলেন -চমৎকার একটা কথা বলেছেন জুলিয়ান ...
মনে থাকবে অনেকদিন কথাটা আমার ...
নতুন বা পুরোনো ব্যাপারটা মোটেও গুরুত্বপূর্ণ কিংবা মুখ্য নয়- সহমত! লেখাই পাঠক টানবে, নিজগুণেই টানবে ... আমার কথাও তাই! আর অবশ্যই আমি আমার লেখা পড়তে কিংবা মন্তব্য করতে আপনাকে বাধ্য করতে পারিনা এবং শুধু মন্তব্য দিয়ে ব্লগের মানোন্নয়ন সম্ভব নয় -এটাও মানি ভালোভাবেই ...
অনলাইন পত্রিকা কিংবা নিউজ পোর্টাল এবং কমিউনিটি ব্লগের মধ্যে পার্থক্য খুব নেই মনে হলেও আমি মনে করি পার্থক্য অবশ্যই আছে ...
পূর্বে এব্যাপারে বলেওছি ভিন্ন একজনের মন্তব্যের জবাবে- সেটা এই পোস্টেই ...
নিজেই নিজের লেখার মান নির্ধারক হইলে সেটাকে অবশ্যই কমিউনিটি ব্লগিং এর ভালোদিক বলা যায় না...!!
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জুলিয়ান...
৩৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৭
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: সর্বোপরি, ব্লগ যেন এমন এক সাচ্ছন্দবোধের জায়গা এমনই এক দীক্ষালয়, এমনই এক মন অলিন্দের খোড়াকের আশ্রম যেখানটায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখছি, মন পাকছে তাতে রং চড়ছে কিন্তু চুল পাকছে না! একটু একটু করে বড় হচ্ছি যেন কিন্তু বুড়ো হচ্ছিনা .
খুব ভালও বলেছেন।
আমি ব্লগ ভালোবাসি।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আমার যে এমনটাই মনে হয় ব্লগে যতক্ষণ কাটাই ...
একেবারে আমার মনের কথাটুকুই এখানটায় আছে, দারুণ পিক আপ করেছেন ...
আরেকটা কথা এমনও যোগ করা যেতে পারে, যারা ব্লগ ভালোবাসে, তাঁদের আমি নিজে ভালোবাসি ...
৩৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) ,
প্রচন্ড ঋজু শব্দে গেঁথে তোলা , ভাবনায় দাগ কেটে যাবার মতো একটি বিষয় নির্মান ।
বক্তব্যে বিষয়ের ব্যবচ্ছেদ আর সহ-ব্লগারদের মন্তব্যের অঙ্গসজ্জায় ঝলমলে সেজে উঠেছে তা । নতুন কোনও অলংকার জুড়ে দেয়ার প্রয়োজন রইলোনা আমার দিক থেকে ।
এ নির্মান বাঁধিয়ে রাখার মতো । তাই রাখলুম ।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমেদ ভাই ...
আমার এ সামান্য চিন্তার প্রকাশ কারো ভাবনায় দাগ কেটে যাবার মতো মনে হয়েছে জেনে খুবই আনন্দিত বোধ করছি ...
বক্তব্যে বিষয়ের ব্যবচ্ছেদ আর সহ-ব্লগারদের মন্তব্যের অঙ্গসজ্জায় আরো একটা ঝালর যোগ করেছে আপনার সুন্দর ভালোলাগা এ মন্তব্য ...
এ ক্ষুদ্র নির্মাণ বাঁধিয়ে রাখায় সত্যি কৃতজ্ঞ এবং উল্লসিত বোধ করছি ...
ভালোলাগা রইলো নিরন্তর...
৩৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৬
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
দারুন এক লেখা।
মন্তব্যগুলো পড়ে নিই এখন!!!
আসল কথা কি জানেন, আগে ব্লগের হিট ছিলো, এখন তেম্নটা নাই।
আর এই পোস্ট কি মডুরা চোখে দেখে নাই??
স্টিকি হয় নাই কেন???
আবালের দল!!
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: এই পোস্ট মডু দেখেছে ...
স্টিকি হয়নাই কেন সেটা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন, সেটা নিয়ে মাথাব্যথা নাই ...
দেখুননা, স্টিকি না হয়েও নতুন পুরানো অনেক ব্লগার কিন্তু আলোচনায় অংশ নিয়েছেন ... এবং ইতোমধ্যে প্রায় দেড় হাজারবার পোস্টটা দেখাও হয়েছে ...
স্টিকি করে কি হবে...!? অসার পোস্ট ...
৩৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:২৩
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: ১৬ তম প্লাস।
অনেক অনেক বিজ্ঞ বক্তব্য এসেছে মন্তব্যে। আমি ব্লগার নই, লেখকও নই। আমার তাই এখানে কিছু বলার সাহস করাটা ঠিক না বলেই মনে করছি।
তবে পুরাতন অভিজ্ঞ ব্লগারদের প্রতি নতুন ব্লগারদের যে মনোভাবের কথা বললেন সে ব্যাপারে আমার একটা ছোট অভিজ্ঞতার কথা বলি। ব্লগে আসার পর থেকেই আমি পুরাতন অভিজ্ঞ একজনের ব্লগ নিয়মিত পড়ি আর মন্তব্যও করি। তার লেখা ভাল লাগে তাই। আমাকে তার লেখায় সবসময় মন্তব্য করতে দেখে অন্য একজন পুরাতন ব্লগার বলেছিলেন, ওনারা তো একটা সিন্ডিকেট। নিজেরাই নিজেদের ব্লগ পড়ে ব্লগের হিট বাড়ায় আর মন্তব্যের মধ্যে গল্প করে লেখাটাকে জনপ্রিয় বানায়। অন্য ভাল ব্লগাররাও এই সব সিন্ডিকেটের কারণে ব্লগে তেমন পাত্তা পায় না। আবার অন্য একজন বলেছিলেন, মডুদের মধ্যে পরিচিত কেউ না থাকলে নাকি লেখা বেশিভাগ সময়ই প্রথম পাতায় যায় না। আমি তখন কেবল এসেছি ব্লগে। ব্লগের কিছুই বুঝিনা ঠিক মত। তখনই কিন্তু পুরাতন ব্লগাররাই আমার মনে তাদের সহব্লগারদের প্রতি বিদ্বেষ ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা করলেন এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে। এভাবে অনেক নতুন ব্লগারই হয়তো বিভ্রান্ত হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে নতুন ব্লগারদেরই বা কি করনীয় বলেন? এই মন্তব্যগুলোর সত্যতার প্রশ্নে যাচ্ছি না। কিন্তু সহব্লগারদের প্রতি এমন মনোভাব নিয়ে যারা ব্লগিং করছেন তাদের থেকে মিথস্ক্রিয়ার বিষয়টা কি আদৌ আশা করা যায়?
যাই হোক, আপনার লেখার মূল বক্তব্যের সাথে একটু বেশিই অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে গেল মনে হয় মন্তব্যটা। দুঃখিত।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আপনার কথাগুলোও নতুন ব্লগারদের অভিযোগের মতো সত্যই বলবো, কেননা আমিও তাই দেখেছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ... ব্লগে নতুন একাউন্ট খোলা মানুষটা হয়তো প্রিয় কোন ফেবু লেখক কিংবা প্রিয় কোন ব্যক্তিত্বের কোন লেখার লিংক ধরে ব্লগে প্রথম এসেছিলেন, এক দুটো লেখা বড় বড় বিস্ময়ভরা চোখে দেখে দেখে কৌতূহল বাড়তে বাড়তে ইচ্ছে যাগে সেখানে মন্তব্য করবার, প্রশ্ন করবার, কিংবা ওরকম এক দুটো কথা নিজের মতো সাজিয়ে লিখবার, প্রকাশ করবার ... সেখান থেকেই ওই ব্লগ আগন্তুক ব্লগে তাঁর নতুন নিকটি রেজিস্ট্রেশন করেন সাধারণত ...
ওই নতুন কীবোর্ড হাতে নেয়া কিংবা ব্লগের ক্যানভাসে নতুন রঙিন স্বপ্ন বোনা চোখ গুলো পানসে হয়ে চুপসে যায় এধরণের মন্তব্য শুনে শুনে, কিংবা এধরণের ব্যাপার গুলো দেখে দেখে ...!
-যা নিজেদের জন্য যেমন হতাশার, ব্লগের জন্য তেমনি ক্ষতিকর... কেননা আমাদের জানা নেই এভাবে হারিয়ে গেলেন, যাচ্ছেন কতো কতো নাজানা চমৎকার লেখনী..!
তবে, সিন্ডীকেটিং এর সত্যতা অস্বীকার করবারও উপায় নেই!! এখন যদিও তার প্রভাব ব্লগে কম, তবুও তা আছে, আছে বলেই ব্লগে গুণী লেখকের পাশাপাশি সেলিব্রিটি তকমাও আছে, শুধু আছেই না বরং শোভাও পাচ্ছে বেশ! সিন্ডিকেটিং আছে বলেই হয়তো কেউ অসাড় সেলিব্রিটি হচ্ছেন আর একই সাথে কেউ হারিয়ে যাচ্ছেন, হারিয়ে যাচ্ছে এমন অনেক অনেক চমৎকার লেখা যা সৃষ্টি হবার ই সুযোগটুকু পায়নি ...
আমি নতুন ব্লগারদের মোটেও দোষ দেই না। আবার নতুন গজানো কিছু পাকনাদের কিংবা ব্লগিয় রাজনীতিবিদদেরও আস্কারা দেবার অর্থ দেখিনা ...
সবশেষে বলি, লেখার কোয়ালিটিটাই সবচেয়ে বড় জিনিস সবকিছু ছাপিয়ে .. তা সে যেখানেই হোক না কেন .. সেলিব্রিটি তকমা না জুটুক, কিছু চমৎকার আন্তরিক পাঠকের হৃদয় তা তৈরি করে নেবেই নিজের জন্য, আর তা নিজ গুণেই...
যাহোক, মন্তব্য দিতে গেলে কিংবা কিছু বলতে গেলে যোগ্যতা কেন লাগতে যাবে বুঝলাম নাহ...! এমন বাস্তব উদাহরণ যুক্ত একটা চমৎকার মন্তব্যের জন্য দুঃখিত কেন হতে হবে তাও বোধগম্য হলো নাহ ...!
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: প্লাসের জন্য ধইন্যা ...
৪০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমি নিজেকে দিয়ে একটা উদাহরণ যোগ করবো আপনার এই পোষ্টে। আমি সামুতে নিক খুলেছি প্রায় দুই বছর হল। কিন্তু জাহাজে চাকরীর সুবাদে আমি কখনোই ব্লগে নিয়মিত হতে পারতাম না। যার কারনে আমার ব্লগের বয়স বাড়লেও আমি ছিলাম একেবারে নবীবের মতোই।
গত দুইমাস আগে নতুন রুপে সামুতে প্রত্যবর্তন করার সময় আমার প্রথম পোষ্ট ছিল নবীনের আগমণ; সামুর নিয়মিত ব্লগাররা কেন স্বাগত জানাবে না? লেখাটিরে আমার অভিযোগ ছিল নতুন ব্লগারদের দিকে আমরা কেন উপরে উঠে আসার হাত বাড়িয়ে দিই না।
দেশে ছুটিতে এসে নিয়মিত সামুতে রাত দিন পড়ে থেকে আমি এখন সামুতে যে জায়গায় আছি তাতে আমি নিজে সন্তুষ্ট। আমার ঐ লেখায় সেলিম আনোয়ার ভাইয়ের একটা মন্তব্য ছিল পুরাতনরা ব্লগকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে এটা তাদের কৃতিত্ব। আর নতুনরা পুরাতনদের সঙ্গে নিয়েই এটাকে আগামীতে নিয়ে যাবে। কোয়ালিটি টিকে যায় নতুন পুরাতন টপকে।
কথাটার প্রমান পেয়েছি আমি।
অনেক নবীন ব্লগার আপনার এই পোষ্ট দেখবে তাই তারা যেন অনুপ্রানিত হয় এজন্য এই কথাগুলো এখানে বললাম।
চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালোলাগা জানবেন।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আপনার সে লেখাটি আমি পড়েছিলাম ... অনেক কথা বলবার ইচ্ছাও সেখানে ছিলো ... কিন্তু ব্যস্ততার এমনই অবস্থায় অবস্থান করছিলাম যে লগ ইন করে কথা বলবার সময়টুকু পাচ্ছিলাম না ... লেখাটার লিংক রেখে দিয়েছিলাম, পরে সেখানে যাবার জন্য আবার ... ধরে নেন, এই পোস্টেই বলে দিয়েছি কিংবা কিছুটা জবাব দেবারও চেষ্টা করেছি আপনার ওই পোস্টের ...
ব্লগার সেলিম আনোয়ার ভাইয়ের মন্তব্যটি চমৎকার এবং সঠিক ..
পুরানোরা ব্লগকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে এটা তাদের কৃতিত্ব। আর নতুনরা পুরাতনদের সঙ্গে নিয়েই এটাকে আগামীতে নিয়ে যাবে এবং কোয়ালিটি টিকে যায় নতুন পুরাতন টপকে ... আমার মনের কথাই বলেছেন তিনি এখানটায়...
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকেও মৃদুল ...
ভালো থাকুন নিরন্তর এবং বাংলা ব্লগের সাথে জুড়ে থাকুন চমৎকার সব লেখা নিয়ে ...
৪১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অনেক চমৎকার করে অনেক বিষয় এর বিশ্লেষণ তুলে এনেছেন, সাথে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু ব্লগারের খুব দারুণ মন্তব্য! সব মিলিয়ে আমি এটকে খুব জমজমাট একটা পোস্ট বলবো!
শুভেচ্ছা রইলো!
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ ৎঁৎঁৎঁ ...
শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্যও ...
৪২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অনেক জ্ঞানতথ্য , দুনিয়া এখন অনেক অগ্রসর । কাগজ পেন্সিল দেখার জন্য একসময় আমাদের যাদুঘরে যেতে হবে ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: তাই!? কি জানি হবে হয়তো!
৪৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৩
কথার_খই বলেছেন: সহমত
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ...
৪৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩২
আরজু পনি বলেছেন:
অফলাইনে পড়েছিলাম আগেই...এখন লাইক আর প্রিয় নিশ্চিত করতে এলাম ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল, অ্যানোনিমাস।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক শুভেচ্ছাসহ ...
৪৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৭
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: দারুন লেগেছে লেখাটা, গুড ওয়ান।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন:
আর আমার কাছে সবচেয়ে দারুণ লেগেছে আপনাকে অনলাইনে দেখে এবং এতোদিন পর ব্লগে মন্তব্য করতে দেখে ...
ভালো আছেন নিশ্চয়ই প্রিয় ব্লগার ...
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আবারো কি হারায় যাবেন!?
৪৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক দিন পর একটা চমৎকার পোষ্ট পেলাম যেখানে ব্লগ এবং ব্লগারদের অনেক ব্যাপার উঠে এসেছে। পোষ্টে প্লাস!
অফ লাইনে কয়েকবার পড়েছি। এই পোষ্টে সবচেয়ে ভালো লাগছে ব্লগারদের আলোচনায় অংশগ্রহন। তাই ইচ্ছে করেই একটু দেরী করে এলাম। আলোচনা জমুক!
আবার ফিরে আসব পোষ্টে!
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৩
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: অফলাইনে আপনি পোস্টটা পড়েছেন কয়েকবার জেনে আনন্দিত হয়েছি খুবই কাল্পনিক ভাই ...
পাশাপাশি নোটুন পুরানো বেশ কজন ব্লগারের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন ও ব্লগ নিয়ে ব্লগর ব্লগর পোস্টটাকে সার্থক করে তুলেছে ...
কদিন অনলাইনের বাইরে থাকতে হয়েছে বিধায় মন্তব্য গুলোর সবগুলোর জবাব দিতে দেরী হয়ে গেলো খানিকটা ...
আপনাদের পাশে পেয়ে সত্যিই কৃতার্থবোধ করছি ...
৪৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৩৬
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: লেখক হওয়ার চেষ্টায় ব্লগিং করলে ব্লগিং এর আসল রস পুরোপুরি আস্বাদন হয়তো কখনোই করা যায় না। নিঃসন্দেহে ব্লগ নতুন/পুরাতন লেখকদের লেখালেখির ভালো একটা জায়গা। ব্লগার ও লেখক দুটোকে আলাদা করাই ঠিক বলে মনে হয়।
প্রকৃতপক্ষে ব্লগ পাঠকরাই ব্লগে দীর্ঘ দিন টিকে থাকে!
+
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সহমত ফারজুল ভাই ...
ব্লগই যে নতুন পুরানো লেখক পাঠকের প্রাণ তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা বলেই মনে করি...
একগ্রচিত্ত ব্লগ পাঠক হওয়াটা তো ভাগ্যের ব্যাপার মনে করি আমি ...
আপনাকে ব্লগে দেখে ভালোলাগলো ...
ভালো থাকবেন অবশ্যই ...
৪৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
সোহানী বলেছেন: চমৎকার লিখনি আর সঙ্গত যুক্তি....... সহমত।
তবে আমার নিজস্ব উপলব্ধি, আমি ৬/৭ বছর ধরে সামুর সাথে আছি। আগে অনেক তথ্যবহুল ও পরিশ্রমী লিখা পেতাম যা ইদানিং কম দেখি। আর আরো অনেক প্রিয় ব্লগার কে ও ইদানিং দেখি না। তবে মাঝের যে হিংস্র সময় টুকু থেকে এ সময়টা অনেক ভালো আছি নি:সন্দেহে।
ধন্যবাদ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী ...
ব্লগে সুদীর্ঘ একটা সময় যেহেতু পাড়ি দিয়েছেন অনেক অনেক জেনেছেন, দেখেছেন, বুঝেছেন, হয়তো বলেওছেন - আপনার সামনে নতুন করে কোন কিছু আলোকপাত করা নিষ্প্রয়োজন বলেই মনে করি ...
তবে, আপনারা যারা অভিজ্ঞ ব্লগার আছেন তারাই কিন্তু ভালো বলতে পারবেন বাংলা ব্লগ তার উত্থান-পতন এবং বহমান সময়টাকে খুলে খুলে বিশ্লেষণ করে... যা হয়তো অনেক অনাগত কিংবা নতুনের মনে ব্লগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা এবং ভালোলাগার জন্ম দেবে...
বাংলা ব্লগ আপনাদের সব অভিজ্ঞ ব্লগারের কাছে অবশ্যই অবশ্যই চিরঋণী থাকবে চিরকাল ...
ইদানীং এ অভিযোগটা অবশ্য হরাহামেশাই পাই, আগে অনেক তথ্যবহুল ও পরিশ্রমী লিখা পেতাম যা ইদানিং কম দেখি
আমি এর জন্য ব্লগোস্ফিয়ারকে দায়ী না করে বরঞ্চ বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারের প্রতিটা অণু পরমাণু কে সক্রিয় হবার অনুরোধ করবো নিজ নিজ জায়গা থেকে ...
একটা কথা মনে পড়ছে খুব করে, আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে...!?
৪৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
শের শায়রী বলেছেন: অসাধারন লেখা আর সেই মাপের মন্তব্য সত্যি বলছি ভাই কিছুটা দোদ্যুল্যমান ছিলাম এই মাপের একটা পোষ্টে আমি কি মন্তব্য দেব? শুধু বুজি এখানে আপনি দ্বিমত রাখার কোন অবকাশ রাখেন নি।
তবে সামান্য একটু যোগ করে যাই, কিছু ভালো চারাগাছ খুব বেশি না ৮/১০ টা চারা গাছ যদি অভিজ্ঞরা নার্সিং করে প্রস্ফুটিত করে তবে তারাই আবার ব্লগ কে সামনে টেনে নেবে এক্ষেত্রে আমি পুরানো যারা ব্লগের প্রতি ভালোবাসা আছে তাদের কে সামনে এসে নার্সিং করার দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করব।
ব্লগ সম্পর্কিত অসাধারন লেখা। অনেক কিছু ভাবনার খোরাক দিয়ে গেল।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৩
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আপনার যোগ করা অংশটায় আমার চোখ আটকেছিলো কিছুক্ষণ ....
আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য যাদের পড়া দরকার তারা পড়লেই ভালো লাগবে আমার ...
আপনার কথাটার তাৎপর্য যেন সবার কাছে পৌঁছায় - এটুকুই চাওয়া আমার ...
ধন্যবাদ প্রিয় শের শায়রী....
ভালোলাগা নিরন্তর ...
৫০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
বৃশ্চিক রাজ বলেছেন: ম্যানহাটনের স্কুলে দেখেছি কতটা উৎসাহ দেয়া হয় বাচ্চাগুলোকে। সেখানে ফার্স্ট সেকেন্ড বলে কিছু নাই। গ্রেডিং সিস্টেম। বাচ্চাগুলো কি সুন্দর লেখা পড়া করে। যে সব বাচ্চা প্রথম প্রথম পড়তে চায়না তারাও উৎসাহ পেয়ে মনযোগী হয়ে উঠে। কিন্তু দেশে থাকতে দেখেছি সবাই শুধু সবাইকে ল্যাং মারার কাজেই ব্যাস্ত থাকত। নিজে পড়াশোনা করবে তা না শুধু অন্যের দোষ ত্রুটি খুঁজে বের করাতেই ছিল উস্তাদ। ওদের পড়াশোনা হবে কি করে ? আপনি বলুন দেখি ব্রো
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: জাতি হিসেবে আমরা ওই "ল্যাং মারা" স্বভাবটা পরিত্যাগ করতে না পারি, অন্তত চারাগাছগুলোকে ভালো খারাপ পাল্লায় না তুলে পরিচর্যাটুকু যখন থেকে করতে শিখবো তখন থেকেই ওই ম্যানহাটনের স্কুলের মতো আমাদের স্কুলেও ক্ষুদে পা গুলো দক্ষতার ছাপ রাখতে পারবে ...
৫১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ইলেক্ট্রনিক মিড়িয়ার সুবিধা হল লেখা প্রকাশের জন্য অতো বেশী স্ট্রাগল করতে হয় না। তবে প্রকাশের পরে কতোটুকু বাহবা পেলেন সেটা দেখবার বিষয়! লাইন গুলোতে পুরো লেখাটার অনেকটা ভাবই উঠে এসেছে।
চমৎকার সুগোছালো লেখায় ভালোলাগা অশেষ
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা ...
৫২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
আধখানা চাঁদ বলেছেন: অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছে করছে। যা পোস্টে এবং মন্তব্যে বলা হয়ে গেছে এতক্ষনে। তাই শুধু এতটুকুই বলব, একজন নতুন ব্লগারের উত্থান, তার আশা, তার চাওয়া এবং এ প্ল্যাটফর্মে লেখার ভালবাসায় টিকে যাওয়া সবকিছুই মিলে যায় এ লেখায়। আমি যেন পুরনো সামুতে নবীন আমিকেই খুঁজে পাই। আমি আমার পুরনো পোস্টগুলো ইচ্ছে করেই রেখে দিয়েছি যাতে আমার উন্নতি বা অবনতি আমি বুঝতে পারি। লেখালেখির পারংগমতা আমার কখনই ছিলনা। শুরুটা আপনার মতই, লিটল ম্যাগাজিনে লিখে নিজের নামটি ছাপা অক্ষরে দেখার আনন্দে বা কলেজ রিইউনিয়নের বইতে লেখায়। এরপর বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা পাঠানো এবং আশাহত হবার বেদনা, তারও অনেক পড়ে সামুতে। এবং অন্য ব্লগারের লেখায় মন্তব্য বা নিজের পোস্ট লেখাতেও চিরকালের আলসেমী। সবই আপনার লেখায় এসেছে।
সামুতে যে কয়টি ভাল পোস্ট পড়েছি, যার কথা বলতে পারব এখনও এটি তার মধ্যে একটি। অনেক অনেক অনেক ভাল লেখা। অভিনন্দন আপনাকে , ধন্যবাদ আপনাকে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখালেখির জগতটার সামান্যতম হলেও আমার ক্ষুদ্র লেখাটায় উঠে এসেছে বলে ...
জেনে ভালো লাগলো ... আসলে আমাদের অনেকেরই লেখালেখির শুরুটা অনেকটাই যেন এক... তারপর উত্থান পতন এবং পথচলা কিংবা থেমে যাওয়া যার যার মতো করে ...
সামুতে পড়া আপনার পছন্দের সব পোস্ট গুলোর মধ্যে এটাও পড়ে জেনে আরোও আনন্দ লাগলো ...
ধন্যবাদ আধখানা চাঁদ ...
শুভকামনা সবরকম ...
৫৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন:
প্রতিটা গিটে গিটে একমত। ব্লগ, ব্লগার, রাইটার নিয়ে এত চমৎকার বিশ্লেষন আগে চোখে পড়েনি। দু;খ হচ্ছে, আপনার সাথে, আপনার ব্লগের সাথে এত দেরিতে পরিচয় হল। যাক, মুটামোটি বেশ বড়ই লেখা, কিন্তু আপনার লেখনির গুণে কখন যে শেষ হয়ে গেল টেরই পেলাম না।
নতুন, পুরাতন ব্লগার, লেখক সহ অনেকের প্রতিই চমৎকার কিছু গাইড লাইন আছে, বেশ উপকারী আমার জন্য এবং নিঃসন্দেহে অনেকের জন্য। তবে আমি আসলে এক কথায় একটা বিষয় বলি, ভালো ও সততার সাথে চললে জীবনে কোন সমস্যাই সমস্যা বলে মনে হবে না; যদিও সাময়িক অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে; কিন্তু আখেরে ভালোর ভালোই হয়। এই নীতি সব জায়গায়, সর্বসময়ের জন্য প্রযোজ্য, কি ব্লগ কি ফেসবুক কি প্রিন্ট মিডিয়া।
অনেক ভালো লাগল গুণী লেখক। এখন থেকে আপনাক পিছ ছাড়ছি না। শুভেচ্ছা রইল।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন:
আপনার এ মন্তব্যে আমিযে রীতিমত লজ্জা পেয়ে গেলাম রে ভাই... :#>
ব্লগ নিয়ে ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় সামান্য কিছু কথা টাইপ করে ফেলেছিলাম আরকি, কোন পূর্ব-প্রস্তুতি চিন্তা ভাবনা ছাড়াই...
এমন মন্তব্যের আর ভালোলাগার প্রকাশের জবাব বা প্রতিউত্তর ঠিক কি হতে পারে স্বল্প সময়ে মাথায় আসছেনা...ঠিক! তবে আমিও আনন্দিত আপনার সাথে পরিচিত হয়ে ...
ব্যক্তিগত নানা ব্যস্ততায় ইদানীং ব্লগে আসা হয় খুবই কম, সামহোয়্যারে আমার আসা এমনিতেই অনেক দেরীতে অন্যান্য ব্লগের পরে... তবে এখানটায় ও পার করে দিলাম বছর খানেক ... অনেক অনেক গুণী লেখকের লেখা পড়বার সুযোগ হয়েছে, কথা বলবার চিন্তাভাবনা শেয়ার করবার ও সুযোগ হয়েছে ...
বিষয়ভিত্তিক নিকে পোস্ট করেও খুব কম সংখ্যক পোস্টই সামহোয়্যারে দেবার সুযোগ হয়েছে... পড়া হয়েছে তার অনেক বেশি...
সামহোয়্যারের কাছে আমি আশায়, ভালোলাগায় এবং প্রিয়তায় কৃতজ্ঞই বলবো ...
ভালো থাকবেন অবশ্যই ...
ভালোলাগা রইলো সবরকম ...
৫৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৭
শক্তপাল্লা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ আর ব্লগারদের চমৎকার সব মন্তব্য পড়ে ভাল লাগল। অনেক কিছু শেখার আছে নতুনদের জন্য।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ পড়বার জন্য ...
৫৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ,অনেক কিছু জানলাম , শিখলাম ও বুঝলাম ।আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ...
ভালো থাকবেম অবশ্যই ...
৫৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যুগটা ইন্টারনেটের তাই ভালো হোক মন্দ হোক লেখালেখি বা নিজের মত প্রকাশের জায়গাটাও তাই ইন্টারনেটই। মাইনূল ভাই বলেছেন, কমিউনিটি ব্লগ একটি সামাজিক ক্ষেত্র। মাইক্রো সোসাইটি। মাইনূল ভাইয়ের এই কথার সুত্র ধরে বলি। আমারো মনেহয় ব্লগে আসলে লেখকদেরই আসতে হবে এমন কোন কথা নেই। পাঠকমনাদের আগমনও থাকবে এখানে। অল্প বিস্তর ব্লগিং অভিজ্ঞতায় যতটুকু মনে হয়েছে এখানে লেখালেখির চাইতেও বেশী গুরুত্বপুর্ণ আপনার আমার সামাজিক আচরণ, একটি কম্যুনিটির অংশ হতে যা যা দরকার অনলাইন প্ল্যাটফর্মও তার ব্যাতিক্রম মনে হয়নি আমার কাছে। এদিকে ব্লগগুলো আমাদের একদিক দিয়ে বিরাট এক শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিয়েছে। হয়তো কেউ অফিসে সারাদিন ব্যস্ত থাকি, কেউ পড়াশোনায় বিভিন্ন ভাবে। কাজের ক্ষেত্রগুলোতে প্রায়ই সমমনা মানুষদের পাওয়া যায়না কিন্তু কাজের ফাঁকের অবসরে ব্লগ কম্যুনিটির মাধ্যমে সমমনাদের সাথে ভাবনা চিন্তা বা সামাজিকতার বিনিময় ঘটাতে পারি। এখন শুধু একটাই দায়িত্ব আমাদের ব্লগ কম্যুনিটি যাতে সঠিক পথে থাকে তাঁর জন্য সবাই সচেষ্ট হওয়া। এবং ব্যক্তিগত মতে বাংলা ব্লগ তার একটা স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেছে। আগের চাইতে ব্লগ অনেক বেশী শান্ত পরিচ্ছন্ন স্থিতিশীল। পাঠক ব্লগারের উপস্থিতি হয়তো কম বলতে পারেন অনেকে। তবে একই সাথে সিন্ডিকেটিং, পিঠ চাপড়াচাপড়ি, অহেতুক ট্যাগিং মাতৃভাষার যথেচ্ছা সভ্যতা বিবর্জিত ব্যবহার এসবের আধিক্যও অনেক কম। এটা একটা শুভ দিক। লেখালেখি বা সামাজিকতা রক্ষার সাথে সাথে আমরা চাই বিশ্ববাসীর কাছে একটি ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং স্মার্ট জাতি হিসেবে পরিচিতি পেতে।
আপনার লেখার সুত্র ধরেই কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ফেললাম। পোষ্টে ২২ তম ভালোলাগা।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ *কুনোব্যাঙ* চমৎকার একটা মন্তব্য করবার জন্য...
আপনি একে বলছেন "কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক কথা"...!? আমিতো দেখছি প্রায় অনেককিছুই সাবলীল ভঙ্গিমায় বলেদিলেন বাংলা ব্লগ এবং ব্লগিং নিয়ে ...
ব্লগ অবশ্যই একটা মাইক্রো সোসাইটি যার প্রাণই হচ্ছে তার ব্লগারেরা, একটা দেশ, সমাজ বা একটা জনপদ তৈরি হতে, পূর্ণাঙ্গ হয়ে গড়ে উঠতে যে মূল উপাদানটা কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে সমস্ত সার্কেল টা আঁকে তাই হচ্ছে তার জনগণ বা সদস্যবৃন্দ... ঠিক তেমনি ব্লগ নামক সোসাইটির প্রাণবিন্দুটাও ব্লগারগণই...
বাংলা ব্লগ এখন তার স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেছে বলছেন, হয়তোবা ভিজিটর- রেজিস্টার্ড ব্লগার তুলনামূলক কম...
বলছেন স্থিতিশীলতার কথাও...
সহমত আমি আপনার সাথে এজায়গাটায় যে ব্লগ এখন অনেক স্থিতিশীল শান্ত নদী, কিন্তু নদীতে যদি একান্তই অদক্ষতা জনিত হোক কিংবা বিপর্যয় হোক চর পড়ে, তখন কিন্তু গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যাবে ...
ঠিক এসময়টায় ব্লগে যারা অভিজ্ঞ, সিনিয়র এবং নিয়ন্ত্রক, নিরূপক, নির্বাচক আছেন তাঁদের দায়িত্বটা সবচেয়ে গুরুত্ববহ বলেই মনে করি ...
আমরা চাই অনলাইন নির্ভর এ যুগে বাংলা ব্লগ বাংলা ভাষার একটা শক্তিশালী রিপ্রেজটেটিভ, রিপ্রেজেন্টর এক কথায় মনিটর হিসেবে বৈশ্বিক ব্লগ মানচিত্রে উচ্চতম দৃঢ় কোন অবস্থানে গিয়ে দাঁড়াক...
যেমন করে আজ আমরা পড়ছি, তেমন করে ভবিষ্যতে সুদূর ভিনদেশীরাও বাংলা ভাষাকে জানতে, বাংলাদেশকে অনলাইন আয়নায় দেখতে বাঙালী জাতিকে দেখতে এই বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার ঘাঁটুক ...
তবেই বাংলায় ব্লগিং চির সার্থক...
৫৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭
ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: বিশ্লেষণ! +++
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ ...
৫৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তবে লেখালেখি কিংবা ব্লগিং চালিয়ে যেতে থাকলে সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা হয়, ধীরে ধীরে মনের গন্ডিটা অনেক বড় হয়ে যায় ... জ্ঞানের পরিধির সাথে সাথে বাড়তে থাকে দৃষ্টিভঙ্গীর প্রসারতাও ....
ফলাফলঃ একজন পূর্ণাঙ্গ লেখক কিংবা ব্লগার
সর্বোপরি, ব্লগ যেন এমন এক সাচ্ছন্দবোধের জায়গা এমনই এক দীক্ষালয়, এমনই এক মন অলিন্দের খোড়াকের আশ্রম যেখানটায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখছি, মন পাকছে তাতে রং চড়ছে কিন্তু চুল পাকছে না! একটু একটু করে বড় হচ্ছি যেন কিন্তু বুড়ো হচ্ছিনা ...
এই কথাগুলো যেন আমার মনের কথা। তাইতো অফিসের কাজের ফাঁকে, পরীক্ষার আগের রাতে, অসুস্থ শরীরে কাঁপা কাঁপা হাতে ব্লগে ঢুকি, ব্লগে লিখি, ব্লগে পড়ি, ব্লগেই বাঁচি।
শুভকামনা রইল।
+++ এবং প্রিয়তে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আমিও তাই প্রিয় বোকা মানুষ ...
যখন যতোটুকুই যে ফাঁক ফোঁকরে যেভাবেই সময় পেয়ে যাই একটা বার ব্লগে ঢুঁ মারি ...
আর পিসির ব্রাউজার ওপেন করলে যে ব্লগের জন্য ৫-৭ টা ট্যাব খোলাই থাকে ...
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় বোকামানুষ, পড়বার, প্লাস এবং প্রিয়তে নেবার জন্য...
৫৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়লাম। সময় নিয়ে মন্তব্যগুলোও পড়ব। তারপর মতামত জানিয়ে যাব পুরোপুরি। আপনার কথাগুলি ভাল লেগেছে আমার। '
শুভেচ্ছা রইল।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ ...
অবশ্যই বাংলা ব্লগ এবং বাংলায় ব্লগিং নিয়ে আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য জানাবেন ... সে অপেক্ষায় রইলাম ...
শুভেচ্ছা রইলো ...
৬০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেক বার আপনার লেখা পড়েছি ।। ভেবেছিলাম বড় কমেন্ট করব
- কিন্তু কি বলব সবই ত বলে দিলেন।
আমি শুধু একমত জানিয়ে গেলাম ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ ...
বাংলা ব্লগ নিয়ে আমার এ ব্লগর ব্লগর অনেকবার পড়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগছে ...
ভালো থাকবেন অবশ্যই আপনিও ...
নিরন্তর শুভকামনা ...
৬১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: সব সময় লেখক হতে চেয়েছি। ব্লগ কি জানতামই না..ব্লগার কি তাও না। অপর্ণাই আমাকে এই ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছিল। ভয় পেতাম নানা উল্টোপাল্টা পোস্ট দেখে, ভাবতাম এ কোথায় এসে পড়লাম রে, অপর্ণাই আমাকে বললো, তুমি তোমার ইন্টারেস্টেড ফিল্ডেই যাবে, পড়বে। পলিটিক্যাল পোস্টে না। আমিও এখন একজন ব্লগার! ব্লগিং করার খুব বেশি সময় পাই না, লেখারও না। অনেক লেখা অসমাপ্ত পড়ে থাকে। তবু সংসার আর অফিসের ব্যস্তার ফাঁকে এখন আমার নিজস্ব একটা জগৎ হয়েছে...।সময় পেলে সময় চুরি করে ব্লগে বসি। ভাবতে খুব ভালই লাগে। অফিস বা সংসারে শুধু দিতে দিতে নিজেকে হারিয়েই বসেছিলাম। এখন আমি নিজের জন্যও কিছু সময় রাখি....।লেখা পড়তে, লিখতে। খুব সুন্দর পোস্ট। বাংলা লেখালেখির জগৎকে বাড়াতে যারা আমাদের এই সুযোগ করে দিচ্ছনে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: লেখক হবার ইচ্ছা নিয়ে ব্লগিং...
কিংবা লেখক হবার মৃদু কিন্তু দৃপ্ত ইচ্ছেদের লুকানো মনের ব্লগ প্রাঙ্গণে আগমন, তারপর হাঁটি হাঁটি পা পা করে বেড়ে চলা...
নিজের চারদিকের প্রথমটায় অদ্ভুত ঠেকা ঠাহর করতে না পারা ভার্চুয়াল দুনিয়াটাকে প্রাণমনে ভালোবেসে ফেলা... এবং... এবং গড়ে নেয়া নিজের ব্লগ ভুবন বা ব্লগ বাড়ি...
এভাবেই আসলে প্রতিটা ব্লগারের শুরু... শুরু প্রতিটা ব্লগ লেখকেরও... যা উঠে এসেছে প্রাঞ্জলভাবে আপনার মন্তব্যে...
প্রত্যেকেই নিজ ভুবনে ইচ্ছা-স্বাধীন... নিজ রুচিবোধের প্রতিফলন ঘটিয়ে সাজিয়ে তোলে নিজভূম, সাজায় নিজ ভুবন... তারপর ঘুরে বেড়ায় সে ভুবনে ...
ব্লগেও তাই, কেউ কবিতা, কেউ গল্প/গদ্য কিংবা উপন্যাস প্রবন্ধ কেউবা রাজনীতি, কেউ তথ্য-প্রযুক্তি/ ফিচার, কেউবা রম্য... কেউ কেউ হয়তো অলরাউন্ডার ও থাকেন... সব ভুবনেই অবাধ বিচরন করতে পারেন ...
আর সময়...!?
সে যে বড় নিষ্ঠুর...! অন্যান্যের মতো ব্লগকেও ছাড় দেয়না এই সময় বটে...! তবে, ওইযে বললেন, সময় চুরি করে ব্লগে বসা...
এটুকুই ব্লগার তৈরি করে, তৈরি করে, মজবুত করে ভবিষ্যৎ লেখকদের এ সূতিকাগার...
৬২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: অসাধারণ প্রতি উত্তরের জন্য কৃতজ্ঞতা।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ...
৬৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১০
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনার পোস্টটা পড়ে বলার আর কিছু অবশিষ্ট নেই। ভার্চুয়াল জগৎ, ব্লগ, ফেইসবুক, ব্লগিয় ইন্টারেকশন। বাংলা ব্লগের প্রকৃত অবস্থা সবই ফুটে উঠেছে।
ফেবু'র সেলিব্রেটি মোহ কাটুক সবার এই কামনা করি।
ভালো থাকুন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সহমত...
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইলো...
৬৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কি অসাধারণ একটি লেখা। রিতীমত গবেষনা। প্রিয়তে রাখছি। আর আপনার পোস্ট প্রসঙ্গে আমার অনেক কিছুই বলার আছে। বলবো একসময়।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়তে রাখবার জন্য...
আমি আসলে গবেষণা মূলক চিন্তাধারা নিয়ে লেখাটা লিখিনি...
বলেওছি আগেই, বাংলা ব্লগ এবং নিজের সামান্য ব্লগিং অভিজ্ঞতা থেকেই এ ব্লগর ব্লগর...
সময় সল্পতায় ব্লগে সময় দেয়া হয় কম ইদানীং...
তবু আমার পোস্ট সম্পর্কে কোন সহব্লগারের মতামত জানবার জন্য উদগ্রীব রইলাম ধন্যবাদান্তে...
৬৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩
টুম্পা মনি বলেছেন: অসাধারণ লেখা। একেবারে পরিপূর্ণ। নতুন ব্লগার, পুরাতন ব্লগার সবার মনের কথাই উঠে এসেছে। ব্লগে আসার পর থেকেই আমার মনে হয়েছে এখানে লিখতে হলে কৌশলী হতে হয়। সহিষ্ণু হতে হয়। অনেক সময় আক্রমণাত্মক কমেন্টের জবাবে শুধু হাসি দিতে হয়। এটা বোধয় অনলাইন/ অফলাইন সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ধন্যবাদ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৩
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার পর্যবেক্ষণ...!
ধন্যবাদ আপনাকেও...
৬৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৮
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: চরমরকমের দুর্দান্ত পোস্ট। অত্যন্ত চমৎকার বিশ্লেষণ। পুরোপুরি একমত। শিহরিত হলাম কিছু অংশে। মন ছুঁয়ে গেল বেশ কিছু কথা। অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন, ফুটিয়ে তুলেছেন বিষয় গুলো। যেন কখন কোথায় কি বলতে হবে, পাঠক কখন কি শুনুতে চায়ছে সব আগে থেকে জেনেই পোস্ট লিখতে শুরু করেছেন।
অনেক অনেক বেশি ভাল লেগেছে নাসিফ ভাই!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: হাহাহা....!
যেভাবে বললেন মোটেও তা নয়...! এটা ৩০ মিনিটে নগদে তৈরি একটা পোস্টমাত্রই, তাও আহামরি কোন বিভাগীয় পোস্টও তা নয়...!
যৎসামান্য ব্লগর ব্লগর মাত্র, কিংবা ব্লগ প্যাঁচাল বলতে পারেন... পূর্ব প্রস্তুতিমূলক পোস্ট আমার এই ব্লগ নিকে খুবই কম বলতে গেলে...
সংকলন গুলো বাদ দিলে এটা একটা হতে পারে...
সময়ের অভাবে ব্লগে পোস্ট করা হচ্ছেনা বেশ কদিন...
আবারো কবে ফিরবো তাও জানিনা, তবে যখনই ফুসরত মেলে আপনাদের সহব্লগারদের মন্তব্যগুলো চেক করে যাই যতোটুকুই সম্ভব...
ভালো থাকবেন ইলিউশনিস্ট...
৬৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: আপনি কতটা গুছিয়ে লিখেছেন তা বোঝানোর জন্য ওই ভাবে বলেছি।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ...
৬৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০৮
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ধন্যবাদ এবং ঈদ মোবারাক...
৬৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:০৬
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা...
৭০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ও মিয়া ভাই, আপনি কুতায় হারালেন... বহুদিন খোঁজ-খবর নাই??
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ব্যস্ততায় অনলাইনে সময় দেয়া হচ্ছেনা...
সময় সুযোগ হলেই ফিরবো, আশা রাখি...
আপনি কেমন আছেন...??
৭১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪
ইমরান তপু-সরদার বলেছেন: কেন জানি খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ। :!>
৭২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
পাখির বাপ বলেছেন: যথাযথ গোছালো ও প্রাঞ্জল একটি লেখা! 'সুপ্ত প্রতিভাবানরা প্রতিদ্বন্দীতায় পারদর্শী' কন্সেপ্টটা এখন আর নেই। উলটো 'প্রতিদ্বন্দীতা থেকে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ হয়' কন্সেপ্টটাই এখন যথাযথ এবং তার প্রমান বাংলা ব্লগে নিত্য নতুন লেখকেরা! যাদের প্রতিভাটা বিকশিত হচ্ছে প্রতিদ্বন্দিতার সমানুপাতে।
৭৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪
সুমন কর বলেছেন: কই হারাইলেন !!!!
৭৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনাকে মিস করি ।
৭৫| ১৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কতদিন দেখিনা তোমায়
হয়না কথার বিনিময়,
আপনজনদের দূরে ঠেলে
এভাবে কি হারাতে হয়?
৭৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ব্লগে আছেন?
৭৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) [/sb
ব্লগার পরিসংখ্যান
পোস্ট করেছি: ১৭টি
মন্তব্য করেছি: ২৫৩৮টি
মন্তব্য পেয়েছি: ১০৩০টি
ব্লগ লিখেছি: ৩ বছর ১৮ ঘন্টা
অনুসরণ করছি: ২১০ জন
অনুসরণ করছে: ৮৪ জন
তৃতীয় বর্ষপূর্তির অভিনন্দন
৭৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এ ব্লগে আমার আভির্বাবের প্রায় বছর দুয়েক পুর্বের লিখা এটি । তাই এই মুল্যবান লিখাটি পাঠ করার সৌভাগ্য তখন হয়নি । তার পরেও ব্লগ সার্চ করে কেন যে এমন মুল্যবান লিখাটি পাঠ করা হয় নাই সে জন্য আফসোছের সীমা নাই ।
বাংলা ব্লগে লিখা লিখির পাঠক প্রিয়তার বিষয়টি দিয়ে যে লিখাটির শুরু তার সুন্দর পরিসমাপ্তি হয়েছে বেশ গ্রহনযোগ্য অনেকগুলি পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়ে, যা একই সাথে ব্লগ , ব্লগার নতুন কিংবা পুরাতন সকলকেই কোন না কোন ভাবে দিয়ে গেছে অনেক গুলি অনুসরনীয় ভাবনার বিষয় । অভিনন্দন জানাই পোষ্ট লিখককে বাংলা ব্লগের এই সাফল্য তুলে ধরে প্রকারান্তরে ব্লগারদেরকে ব্লগে লিখালিখিতে উৎসাহিত করে তুলার জন্য ।
একটি অতি মুল্যবান কথা যথা এখন চর্তুদিকে তাকালে দেখি লেখালেখির স্টাইল পাল্টেছে, পাল্টেছে পঠন প্রক্রিয়াও, পাল্টেছে প্রকাশভঙ্গিরও এবং প্রকাশ মাধ্যমও। প্রিন্টিং মিড়িয়া চাপা পড়ে প্রায় হেরেই গেছে ইলেক্ট্রনিক মিড়িয়ার কাছে। পাঠে ভাল লাগল । আসলেও ব্লগে যত সাচ্ছন্দে রংগীণ চিত্র বা ইমেজ সহকারে লিখা যায় প্রিন্ট মিডিয়াতে তা প্রকাশ কষ্টকর ও ব্যয় সাপেক্ষও বটে । লিখাটির কোন ফিড ব্যক পাওয়া যায়না সহজে । একটি লিখার বিষয়ে বহুমুখী পাঠক ফিডব্যাক অতি গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয় ।
স্কুলের বাৎসরিক সাহিত্য সাময়িকীতে লিখার প্রসঙ্গটি তুলে ধরে দারুন ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে সে দিনের লিখালিখির একটি চিত্র এবং তার থেকে অনলাইনে উত্তরণের বিষয়টিও হয়েছে বেশ উপভোগ্য ।
ফেইসবুকের প্রবল আগ্রাসণ থেকে মুক্তি নিয়ে অনেকে শত ব্যস্ততার ফাঁকেও কেমন করে সময় করে ব্লগে চলে আসেন সে প্রসঙ্গটিও যায়নি বাদ আলোচনা হতে, ব্লগে সফলতা কিংবা ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়ায় অদক্ষতার প্রতিফলন হিসেবে ব্লগিং কে অপূর্ণই রেখে অনেকেই নির্মমভাবে ব্লগ হতে নির্মমভাবে বিদায় গ্রহনের কথামালাো উঠে এসেছে সুন্দরভাবে । ব্লগিয় মিথস্ক্রিয়ার নানাদিক সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা হতে বেশ মুল্যবান অনেক দিক নির্দেশনা পাওয়া গেল লিখাটি হতে ।
পোষ্ট লিখকের এ কথার সাথে সম্পুর্ণ সহমত এতো এতো সুলেখক, এতো এতো সুপরিচিত লেখকের মাঝে ক্ষুদ্রতায় ঘেড়া, হয়তো সামান্য ছোট ছোট ভুলেও ভরা নতুন নতুন আগ্রহী চোখের নতুন নতুন লেখাগুলো যে অকস্মাৎ জনপ্রিয়তা পাবেনা সেটা স্বতঃসিদ্ধ। পোষ্টে ভাষার চমৎকারীতা ও ছন্দময় কথামালাও দৃষ্টি কাড়ে ।
লেখালেখি কিংবা ব্লগিং চালিয়ে যেতে থাকলে সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা হয়, ধীরে ধীরে মনের গন্ডিটা অনেক বড় হয়ে যায় ... জ্ঞানের পরিধির সাথে সাথে বাড়তে থাকে দৃষ্টিভঙ্গীর প্রসারতা যায় বেড়ে ফলে পাওয়া যায় একজন পূর্ণাঙ্গ লেখক কিংবা ব্লগার এই অতি তাত্বিক কথাটি সকলের জানা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করি ।
মন্তব্য শূন্যতা কিংবা ব্লগিয় হতাশার ব্যাপারে বলা কথাগুলো সে সাথে ব্লগ আয়োজিত একটি যথাযথ পুরষ্কার প্রসঙ্গটিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনার দাবী রাখে বলে মনে করি । সে সাথে ব্লগের চমৎকার একটা ভালো দিক নিয়ে আলোচনা কালে সুন্দরভাবে একটি ইউনিফর্ম প্লাটফরমের আওতায় সকল ব্লগারের লিখাগুলি থাকার যে কথামালা তুলা ধরা হয়েছে সেটাও বেশ প্রনিধানযোগ্য, এর ফলে ব্লগের প্রতি নতুনদের আস্থার ক্ষেত্রটি মনে হয় প্রসারিত হবে , সকলকে ভাবতে শিখাবে বাক স্বাধীনতার দুয়ার, কিংবা সকল ব্লগারের সমান মর্যাদার বিষয়টি প্রতিটা লেখকের কলমের সামনে সমানভাবে যে উন্মুক্ত তা বেশ প্রসংসার দাবী রাখে ।
লিখাটির শেষ পর্যায়ে এসে যখন দেখতে পাই লিখা আছে বাঙালী ব্লগারদের প্রত্যেককেই একতাবদ্ধ হয়ে, বুকে বাংলাকে ধারণ করে মেধার সবটুকু ঢেলে দিয়ে উচিত হবে বাংলা ব্লগকে সমৃদ্ধ করা এবং বা ব্লগের জন্য কাজ করে যাওয়া নিরলসভাবে একথায় বুঝা যায় ব্লগের প্রতি একজন কত একনিষ্ট হতে পারলে বলতে পারেন এমন কথা ।
তাই শ্রদ্ধাবনত চিত্তে কৃতজ্ঞতা জানাই এমন একজন পোষ্ট লিখককে ।
পরিশেষে বলতে চাই এ ব্লগে আমার বিচরণ মাত্র বছর খানের হল , এই অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কিছু নতুন কিংবা পুরাতন ব্লগারের লিখার সাথেই কিছু না কিছু পরিচিতি হয়েছে । অনেক পোষ্ট পাঠ শেষে মন্তব্যর ঘরে গিয়ে পাঠকের মন্তব্য দেখে কিছুটা হতাশা জেগেছে । অনেক ক্ষেত্রেই দেখতে পাই পোষ্টের বিষয় বস্তু সম্পর্কে কোন কিছু না বলে ভিন্ন প্রসঙ্গের অবতারনা হয়েছে বেশী করে , নিদেনপক্ষে পোস্টটির বিষয়বস্ত ভাল বা মন্দ তেমন দু একটি কথা সবাই বলে গেলে বুঝা যেতো পোষ্ট এর বিষয় বস্তুটি পাঠকের কাছে কেমন লেগেছে , তবে এটা সত্য মন্তব্যের ঘর পাঠকের একান্তই নীজের , এখানে অন্য কারো কিছু বলার নেই , তার পরেও পোষ্টটি পাঠে মন্তব্যের ঘরে নামার সময় অনেক কিছুই চোখে পড়ে যায় , অনেকের মুল্যবান মন্তব্য থেকেও অনেক কিছু জানা যায় , পাওয়া যায় কোন নতুন তথ্য । তবে এমনো দেখেছি কোন পোষ্টে প্রাসঙ্গগীক কোন তথ্য কিংবা কোন ইমেজ যুক্ত করলে মুল লিখক হোন বিব্রত এবং তা প্রকাশও করেন বিবিধ ভাবে ।
কোন পোষ্টে একজন ব্লগারের মন্তব্যের প্রকৃতি কিংবা স্টাইলটা কি রকম হবে, সে সম্পর্কে যা বলা হয়েছে এ পোষ্টের লিখাটিতে তা যদি দেখতে পারত সকলে তাহলে মনে হয় অনেক ভাল হতো । এই মুল্যবান পোষ্টটি বহূল পাঠক প্রিয়তা পাক এ কামনাই করি ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
৭৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৮
রাকু হাসান বলেছেন:
ব্লগে মোস্তফা কামাল পাশা ভাই পোস্ট দিলেন চিরতরে হারিয়ে যাওয়া দুইজন ব্লগার কে নিয়ে ,আরেক জন নিখোঁজ হওয়া নিয়ে । সেই সুবাধে নক্ষত্র স্বরুপ গুণী ব্লগার শের শায়রী নিকের সন্ধান পেলাম । তাঁর ব্লগে গিয়ে ,একটি প্রিয় পোস্টের তালিকায় চোখ রাখতেই এই অতি মূল্যবান পোস্টটি নজরে আসলো ।
পোস্টটি খুব ধীরে ধীরে পড়লাম । মন্তব্যকারীদের মধ্যে কিছু চেনা গুণী ব্লগারদের দেখে ভালো লাগছে । পোস্টের বিষয়ে বললে উপরে আলী স্যারের মত আরেকটি মন্তব্য করতে হবে । অনেকে অনেক কথা বলেছেন ,আমি মূলত এই পোস্টের সাক্ষী হয়ে থাকার জন্য মন্তব্য করছি । নতুনরা দেখবে ,আমি নতুন ।শেখার তাগিদেই অাপনার পোস্টে আসা । তাঁরাও একদিন আসবে আপনার মূল্যবান লেখা পড়তে ।
শুধু বলবো যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন । যদি এই পৃথিবীর বুকে থাকেন ,ফিরে আসুন আবার । দোয়া ও শ্রদ্ধা রাখছি আপনি এবং আপনার পরিবারের প্রতি ।
৮০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯
আরোগ্য বলেছেন: এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য যে আপনাদের মতো গুনীজনদের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত আমরা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ব্লগ যা দেখে তা হচ্ছে চিন্তার পরিশীলতা, বহুমাত্রিকতা, উন্মুক্ততা এবং সর্বোপরি যৌক্তিকতাও।
অনলাইন এক্টিভজম , ব্লগ , ফেসবুকের আগ্রাসণ , ব্লগীয় মিথস্ক্রিয়া , ব্লগার কিংবা লেখক বনাম হিট ব্লগার অনেক কিছুরই প্রাঞ্জল ও পরিপূর্ণ এই পোষ্ট টিতে ভালোলাগা না জানানোটা অন্যায় !
যে লাইনটা কোট করেছি সে লাইনটাতে তে সব কিছুই বলা আছে । ফেসবুক তো আমার কাছে দুই লাইনের একটা স্ট্যাটাসে তাৎক্ষনিক মনোভাব বন্ধুমহলে শেয়ার করা ছাড়া কিছুই নয় !
আর ব্লগ আমাকে দিয়েছে নিজের লেখালেখির শখটাকে পূর্ণতা দেয়ার জায়গা , এখানে আমি পাচ্ছি অনেক লেখকের নানা রকম লেখা পড়ার সুযোগ , পাঠকের কিংবা লেখকের মতামত , ভুল শুধরে নেয়ার সুযোগ !
প্রবীনদের ব্লগ বিমুখতার কারণ গুলো ও আমাদের সামাজিক দৈন্যতার দিকে কিছুটা হলেও আঙ্গুল তুলে । বেশ কিছু পুরাতন ভালো ব্লগার অহেতুক ক্যাচাল এড়াতে আর ব্লগে আসেন না , কেউ বলে সামু ছাগুর খোয়াড় , কেউ বলে সামু নাস্তিকের আড্ডা খানা , কেউ বলে সামু আওয়ামী পন্থী তাই ওনারা কেউই ব্লগে আসেন না ! কি অদ্ভূত ! সাথে ব্লগকে ব্যাক্তিগত হীন স্বার্থে ব্যাবহার করার মত বাজে দিক তো রয়েছেই !
বর্তমান পাঠক শূণ্যতা কিংবা স্বল্প মন্তব্যের অবস্থার ভিতর দিয়ে বাংলা ব্লগ নতুন একটা পর্যায় অতিক্রম করছে , আশা করছি এর পরেই সুর্যোদয় অপেক্ষা করছি ! চ্যাট বক্সের মত অপ্রোয়জনীয় ১০ টা কথার কমেন্টের চেয়ে লিখার ব্যাপারে ছোট্ট ছোট্ট আলোচনার কিংবা শুধু ভালো লাগা মন্দ লাগা জানিয়ে যাওয়া ৫ টা কমেন্ট কি লেখকের জন্য অধিক লাভজনক নয় কি ?
ব্লগ ফেসবুক থেকে আলাদা তার গভীরতায় , ফেসবুকের গতিশীলতা আছে ! তবে আরেকটা কথা আছে , অনেকটা আমাদের পছন্দের নেতার বক্তব্য শুনেই হাততালি দেয়ার মত ! ব্লগ সেই সুযোগ টা দেয় না , ব্লগে আপনাকে আপনার ব্যাক্তিত্বের প্রকাশ ঘটিয়ে অবস্থান করে নিতে হবে, সামাজিক হতে হবে এবং অবশ্যই পাঠকদের জন্য অন্তত কিছু হলেও দিতে হবে !
ভালো লিখা , ব্লগীয় মিথস্ক্রিয়া এবং সামাজিক আচরণ ,দেশ ও আন্তর্জাতিক স্পর্শকাতর ইস্যূগুলোতে আপনার জনমুখী মতামতই আপনাকে ব্লগে শান্তি দিবে !
বাংলা ব্লগে অনেক ঝড় - বাদল অতিক্রম করে বর্তমানে শান্ত নদীর মত বয়ে চলছে , যারা ঝড় তুলেছিলেন , দুই পক্ষই গেছেন , সাথে অনেক লেখক ও অহেতুক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে অভিমান করেছেন ,কেউ বা আগ্রহ হারিয়েছেন !
ঝড় তো থামতেই হয় , নদীতেও জোয়ার ভাটা থাকে , শান্ত নদীতেও শুদ্ধ অনেক পানি থাকে কিন্তু !