নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক কিছু বলার আছে

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি

সকল কাঁটা ধন্য করে ....বদলে দেবো সবকিছু ,যতক্ষন আমি “আমার আমি” ততক্ষন সংগ্রাম,নিজেকে ছাড়া আর কাউকে করিনা সালাম (বিঃদ্রঃ এই ব্লগে আমার যা কিছু ছবি ও লেখা কোনকিছুই আমার অনুমুতি ছাড়া অন্য কোথাও কোনভাবে প্রকাশ করা যাবে না

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেইড বলগার সাহিত্যিকের বিরুদ্ধে প্রগতির ভেক ধরা শব্দ-তালেবানদের মধ্যযুগীয় লড়াই ও অমানবিক **মারা (১৮+) ঃ ড়েসিডেন্ট পাইপ

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

'ছাগানুভুতি' আসলে সব শালারই আছে! প্রগতিশীলতার ভেক ধরা কেউ কেউ এতোদিন নিপুণভাবে অভিনয় করে আসছিল যে, 'ছাগানুভুতি' জিনিসটা শুধু হেফাজতিদেরই আছে, ধর্মান্ধদেরই আছে, মৌলবাদিদেরই আছে। এই বেলা হামারা পেয়ারা কায়কাউসের পুলার দুধভাই এর বাপ আলুর বস চটিনাথ আবদুল হাইয়ের ছোট্ট একটি গল্প একেবারে হাতেনাতে প্রমাণ করিয়ে ছাড়লো যে, প্রগতিশীলতার ভেক ধরে যারা হেফাজতিদের বিরোধিতা করে আসছিল, বাক-স্বাধীনতার কথা বলে চোখের জল ফেলছিল, তারাও আসলে হেফাজতি গোত্রেরই, তারাও আসলে মৌলবাদিই, হেফাজতিদের মতো তারাও হামারা পেয়ারা আলুর দুধভাই এর সামান্য শাহবাগে নাস্তেকদের চরিত্রহননের পর্নোগ্রাফি সহ্য করতে পারে না।
রসুনের সবগুলো কোয়াই আসলে এক জায়গায়। এতোদিন ধরে বাক-স্বাধীনতার ধ্বজা ধরার অভিনয় যারা করে আসছিলেন, ছোট্ট একটি গল্প এর কারনে তারা দ্বারা আমাগো মতন পাকিমন পেয়ারা আলুর দালাল আর ড়েসিডেন্ট ভাঁড় দের আন্ডূ পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। এই লোকগুলোই এতোদিন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যেভাবে চোখের জল ফেলে আসছিলেন, তার সব একত্র না করলেও, তোড়ে এই রেশিডেন্ট ভাঁড় নিক ও তার লেটেস্ট অপারেটর আফা এর বলগে কমেন্ট এর প্রাণ সঞ্চার করা যেতো নিশ্চিত।
হেফাজতের ধর্ম-'ছাগানুভুতি' নিয়ে এতোদিন ধরে কতোই না ঠাট্টা, কতোই না মশকরা তারা করে আসছিলেন! অথচ ছোট্ট একটি গল্পের ভার বহন করতে গিয়ে তাদের 'ছাগানুভুতি' এতোটাই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে যে, রীতিমতো হেফাজত স্টাইলে তারা এই চটিলেখক হাই এর কল্লা চাইছে, পত্রপত্রিকা পোড়ানোর উৎসবে মেতেছে। ছ্যা ছ্যা ছ্যা। আবার ঐদিকে ফেসবুক আসিয়া ছামুতে এখন পাত্তা পুত্তা পাই না, এই ড়েসিডেন্ট নিক এর অপারেটর আফা নিজের ইশট্যাটশ এ মাঝে মাঝে ফিকশন পাইপ এর নাম লন, তাও কেউ পাত্তা দেয় না।
আমার নিজের ধারণা, আলু শ্রেফ পুটু বাচাতে ক্ষমা চেয়েছে। সেটিই স্বাভাবিক। কারণ প্রথম আলো তো আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম কিংবা গাণ্ধী আশ্রম নয় যে, তারা জনসেবা করার জন্য পত্রিকা বের করেছে। কিন্তু এদিকে যে আমাদের রেশিডেন্ট নিকের অবস্থা যা তা। বিশ্বের যে কোনো দেশেই সংবাদপত্র হলো একটি বাণিজ্যিক পণ্য। তবু প্রথম আলোর এই ক্ষমাপ্রার্থনা মুক্তচিন্তাকে কিছুটা হলেও ব্যাহত করবে। তাদের এই ক্ষমাপ্রার্থনার নিন্দা জানাই।

লেখক কী লিখবেন, সেটি তার স্বাধীনতা
চটিনাথ আবদুল হাইয়ের সেই ছোট গল্পে মাগুর গিয়া নামের একটি মাগুর মাছের জীবনকথা চিত্রিত হয়েছে। চাঁদে যেমন সাঈদীর ছবি খুঁজে পেয়েছেন অনেকে, ঠিক তেমনি ওই গল্পে গণজাগরণ মঞ্চের কোনো এক নারীকর্মীর জীবনকাহিনী খুঁজে পেয়েছেন কল্পনার জোর খাটিয়ে। অনেকে এনেছেন অশ্লীলতার অভিযোগ। চটি সাহিত্যে যৌনতা থাকাটা কি অবৈধ কোনো কিছু? ভাবছিলুম নায়লা নাইম এর দুনিয়ায় এইটা কুন ব্যাপার না। কিন্তু সব সালা শাহবাগে নাস্তিক। কোনো লেখা কারো ভালো লাগতে না পারে, কারো কোনো লেখা একজনের কাছে অশ্লীল মনে হতে পারে, তিনি আপত্তি জানাতেই পারেন। ক্ষুব্ধ কেউ সমালোচনাও করতে পারেন শালীন ভাষায়, সাহিত্যের প্রথা মেনে। আবার কারো কাছে সেই একই লেখা অশ্লীল মনে নাও হতে পারে। কিন্তু একজন লেখকের লেখা একেবারে বাতিল করে দেওয়া যায় না। লেখকের কলমের ওপর ফিল্টার বসানো যায় না। লেখক কী লিখবেন, সেটি পুরোপুরিই তার নিজের স্বাধীনতা। অমুক-তমুক এই নির্দেশ দিতে পারেন না যে, লেখক এই শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন আর ওই শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না। অমুক বিষয়ে লেখা যাবে আর তমুক বিষয়ে লেখা যাবে না। এগুলো শ্রেফ তালেবানি মানসিকতা। জামায়াতে-হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে এইসব প্রগতিশীল-মোল্লার খুব বেশি তফাৎ নেই। চটিনাথ আবদুল হাইয়ের লেখাটির ক্ষেত্রে যা ঘটছে, তা হচ্ছে লেখকের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ - স্পষ্ট করে বললে শব্দ-তালেবানি। ব্লগ ও ফেসবুকের কল্যাণে এই শব্দ-তালেবানি ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। এই তালেবানদের হাতে লেখকের স্বাধীনতা পরাস্ত হতে পারে না। একপাল শব্দ-তালেবানের হাতে লেখকের স্বাধীনতা ভূলুন্ঠিত হবে- এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তা না হলে হয়তো এমন একদিন আসবে, প্রগতিশীলতার ভেক ধরা এই শব্দ-তালেবানরা তাদের পছন্দসই শব্দ কিংবা প্লটের তালিকা ধরিয়ে দেবে লেখকের হাতে। আর লেখক সেই তালিকা দেখে দেখে শ্লীল সাহিত্য-আইনসম্মত সাহিত্য রচনা করবেন।

শব্দ-তালেবানদের প্রতিহত করা জরুরি
প্রগতির স্বার্থে যে কোনো মূল্যে এই শব্দ-তালেবানদের প্রতিহত করা জরুরি। এই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য লড়েছি অতীতে, লড়বো সারাজীবনই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: তেমন কিছু বুঝলাম না। লিংক প্লিজ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.