নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক কিছু বলার আছে

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি

সকল কাঁটা ধন্য করে ....বদলে দেবো সবকিছু ,যতক্ষন আমি “আমার আমি” ততক্ষন সংগ্রাম,নিজেকে ছাড়া আর কাউকে করিনা সালাম (বিঃদ্রঃ এই ব্লগে আমার যা কিছু ছবি ও লেখা কোনকিছুই আমার অনুমুতি ছাড়া অন্য কোথাও কোনভাবে প্রকাশ করা যাবে না

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাসুদ রানার "বিস্মরণ" , টিভি ও মুভির মাসুদ রানার হাল

০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ২:৩৯





জ্যাজ মাল্টিমিডিয়া মাসুদ রানা নিয়ে ছবি বানাচ্ছে বলে ধোয়া তুলে ঢাক ঢাক গুড় গূড় করছে, একবার বলা হল চ্যানেল আই এর রিয়েলিটি টিভি শো এর উইনার হবে মাসুদ রানা, আবার বলা হল । ২ খানা ছবি হবে
বলা বাহুল্য জ্যাজ এর উপ্রে ভরসা রাখা যায় না। মাসুদ রানার মত অমর সৃস্টি, সময়ের চেয়ে কয়েক যুগ আধুনিক সাহিত্য, বাংলাদেশিদের বিশ্ব আর আধুনিকতা আর মনের চোখ খুলে দেয়া মাসুদ রানাকে নিয়ে ইদানিং ব্লগে ক্লাশ ফাইভ পাশ স্টাইলে পোস্ট আসে!

মাসুদ রানাকে পর্দায় তুলে ধরা যাবে না তাহলে? অবশ্যি ধরা যাবে, তবে তার জন্য যোগ্য কন্টেন্ট / স্ক্রিনপ্লে/ ডিরেক্টর , যে কাজিদার মত দক্ষ হাতে রানাকে সাম্লাতে পারবে, তার অভাব আছে বটে।

এই পর্যন্ত রানাকে নিয়ে যা যা হয়েছে তার হাল দেখা যাক ( রানাভক্ত পাঠক মাত্রই ভুলে থাকতে চাই, যে "দিস শিট এক্সিস্ট"

১) মাসুদ রানা (১৯৭৪)

এই ছবি দিয়ে সোহেল রানা ওরফে মাসুদ পারভেজ চলচিত্রে নিজের জায়গা পোক্ত করেন বটে, এবং সেই সময়ের হিসাবে কেবল মাত্র " বাংলা ছবি" হিসাবে ছবিটা গড়মানের। কিন্তু মাসুদ রানা হিসাবে ? সব স্কেলেই ফেল। কাহিনি নেয়া "বিস্মরণ" ( Strictly for Cash by James Hadley Chase)। কাহিনির জনারা থ্রিলার, তবে স্পাই থ্রিলার না, বোধকরি তৎকালীন বাংলা ছবির বাজেট বিবেচনায় নিয়ে নন-স্পাই থ্রিলার এই বইকে বেছে নেয়া।

কাহিনিঃ বিসিআই থেকে এক মাসের ছুটি পেয়ে শ্রীলংকায় গেল মাসুদ রানা। মনে মনে ঠিক করে রেখেছে, কোন খুনোখুনি নয়, নেহায়েত শান্ত সুবোধভাবে কাটাবে ছুটিটা। কয়দিন কলম্বোতে বেড়িয়ে এবার সিলোন থেকে ট্রেনে যাচ্ছে কান্ডিতে।

স্বভাবসুলভ ভাবেই কামরার ভেতর চোখ বুলিয়ে সহযাত্রীদের পরখ করছিল ও, আর আন্দাজ করার চেষ্টা করছিল কে কেমন। ওর সামনের সিটের লোকটাকে মনে হল, নিতান্তই সহজ সরল তুচ্ছ এক গ্রাম্য লোক। একটু ভদ্র আর সুন্দর ব্যাবহার করতেই বিগলিত হয়ে কান্ডিতে ওকে তার হোটেলে থাকার অফার করে বসল লোকটা। তার সরলতা আর নাছোড়বান্দা আচরনে সম্মতি দিয়ে উঠে পড়ল ও তার হোটেলে। তারপর ঘটনাচক্রে জড়িয়ে পড়ল রঘুনাথ নামে গ্রাম্য দুর্ধর্ষ এক গ্যাংস্টারের সাথে।

সারাক্ষণ আগে পিছে করে লেগে আছে দশজন করে সশস্ত্র লোক! এই ছুটিটাও রানা পারল না আর নির্ঝঞ্ঝাটভাবে কাটাতে। ওকে স্রেফ বলে দেয়া হল, "এটা আমার এলাকা। এখানে আমার কথাই আইন। হয় আমার নির্দেশ মেনে নাও, নাহয় মরার জন্য রেডি হও।"

একদিকে রঘুনাথ, অপরদিকে হাজারো মানুষের টাকা, কোনদিকে যাবে রানা? নিজের প্রাণ বাঁচাতে কি শেষ পর্যন্ত মেনে নেবে রঘুনাথের কথা? নাকি নিরীহ গ্রামবাসীর কথা ভাবতে গিয়ে নিজের পৈত্রিক প্রাণটাই খোয়াবে?

গ্রাম্য হোটেলওয়ালার প্রশ্নে বলল ও, "এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। শুন, আমি যদি ফিরে না আসি, তাহলে আমার দেশ থেকে পাঁচ ছয়জন ছোকরা এসে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে যাবে রঘুনাথকে। তাদের একজনের বাম হাতটা হবে কাটা, নকল হাত থাকবে তার। তাদেরকে ইনফরমেশন দিয়ে সাহায্য কোরো।"

তারপর নিজের জীবন বাজি রেখে মাঠে নামল রানা। হাড়ে হাড়ে টের পেল কার সাথে লাগতে যাচ্ছে ও। স্টেডিয়াম থেকে এক সুন্দরী তরুণীর গাড়িতে চেপে বসল রানা। পিছে ধাওয়া করে আসছে রঘুনাথের লোকজন। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা আরেক গাড়ির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে পড়ল ওর গাড়ি।

চোখ খুলে নিজেকে স্বর্গে নয়, হাসপাতালের বেডে আবিস্কার করল রানা। কিন্তু ওদের কথা শুনে পাগল হওয়ার জোগাড় হল ওর। তারিখটা অন্তত আড়াই মাস পর! এতকাল তবে কোথায় ছিল ও? স্রেফ অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল এতদিন? এটাইবা কিভাবে সম্ভব? কিন্তু ডাক্তার তো বলছে গতকালই নাকি ভর্তি হয়েছে ও! তাও, এক্সিডেন্ট এর পরপরই নাকি এক পুলিশ অফিসার দেখতে পায় ওকে! তাহলে মাঝের এত্তগুলো দিন কোথায়ছিল ও? আর দূর্ঘটনাস্থল থেকে এত মাইল দূরেই বা এল কি করে? আশ্চর্য, ওরা ওকে অন্য নামেইবা ডাকছে কেন? ওর আপন ভাই পর্যন্ত এসে ওর খরচা দিচ্ছে, স্মৃতি ফেরাবার চেষ্টা করছে। ও আসলেই মাসুদ রানা তো?

নিজেকে পাগল ঠাউরানোর দশা হল রানার। সিদ্ধান্ত নিল, ভেদ করতে হবে এর রহস্য। স্মৃতি থেকে সম্পূর্ণ হারিয়ে গেছে কয়েকটা মাসের স্মৃতি।

ফুল মুভিঃ লিঙ্ক https://www.youtube.com/watch?v=ZSoc-DQe6HU

(আগ্রহী হলে মুভিটা দেখবার চেস্টা করে দেখতে পারেন, "বিস্মরণ" এর পাঠক মাত্রই কেবল হোচট খাবেন, তবে ৪৮ মিনিটের দিকের বিদেশী লাস্যময়ী নৃত্যশীল্পির বেলিড্যান্স কিছুটা সারপ্রাইজিং, প্রেজেন্টেশন এবং লুক এর গুনে ১৯৭৪ সালের তুলনায় অনেক বেশি বোল্ড (এবং খাপছাড়া) !! অলিভিয়া কে দুর্দান্ত স্মার্ট লেগেছে




২) প্রাচীর পেরিয়ে (১৯৯৪)

বাংলাদেশের ১ম "প্যাকেজ নাটক" , পরিচয় এই পর্যন্তই থাক!! মাসুদ রানা হিসাবে মনে হয় একটা সিন ও দেখলে হার্টফেল করা লাগবে। বিপাশারে সোহানা, আর আবুল হায়াতকে রাহাত খান ? আর এই ন্যাকামি সাইড ক্যারেক্টার গুলা বিসিআই ? আর ইউ কিডিং মি ? আর স্ক্রিনপ্লে কি বলব > কোথায় "পিশাচ দ্বীপ" , আর কোথায় এই গাঞ্জুইট্টা চিজ।

নোবেল কে যদিও মাসুদ রানা হিসাবে সবচেয়ে বেশি পটেনশিয়ালধারী মানা যেত, কিন্তু অভিনয়টা বেচারার হয় না। মাসুদ রানা ডার্ট বাইক চালায় ঢাকার রাস্তায়, বেগূনী রংবেরং এর জ্যাকেট পড়্বে ? হায়



https://www.youtube.com/watch?v=UXQT-g6Xpvk


৩) মাসুদ রানা এখন ঢাকায়

অভিনয়েঃ মুনমুন, জোনাকি, চুমকি , অমিত হাসান

কাজিদা এই ছবি দেখে কার্ডিয়াক এরেস্ট এর স্বীকার হয়েছিলেন কিনা জানিনা । আর বেশী কিছু বলা যাবেনা। ৯০ দশকের অস্লিল মুভির জোয়ারের ছবি

https://www.youtube.com/watch?v=vrx63U370h






বোনাসঃ অনন্ত জলি সাহেবের ১ম ছবি খোজ দা সার্চে রানাকে না দেখালেও তার উল্লেখ ছিল !! আর্মি ইন্টেলিজেন্স বসরুপি সোহেল রানার ১ম সংলাপ ছিল "রানা কোথায়?" , পরিচালক ইফতেখার নিজে ক্যামিও করেছিলেন, তার উত্তর " হি ইউজ অন ভ্যাকেশন স্যার"





























মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২০

আমি সাজিদ বলেছেন: জাস্টিস ইমতিয়াজ চৌধুরী এই যুগে নিজের ছেলেকে ঘাড় ধরে বিসিএস দেওয়াতেন। ওইসব স্পাইগিরি করে লাভ নেই।

পোস্টে ভালো লাগা। বিস্মরণ দেখেছি ইউটউবে। ভিডিও কোয়ালিটিতে ঝামেলা আছে একটু। আমার প্রিয় বইগুলোর তালিকায় বিস্মরণ আছে। তবে প্রথমে মুক্ত বিহঙ্গ। আপনার প্রিয় রানার বই কোনটা?

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৬

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: ্প্রিয় বই এর লিস্ট অনেক লম্বা, সবাই অগ্নিপুরুষ বা আই লাভ ইউ ম্যান কে রাখলেও, ঐ ২টা বই ই স্পাই জনারার না, আমার বরং ১ম দিকের ৭০ দশকের শুরুর বইগুলা এবং মুক্তিযুদ্ধের পরের বইগুলা দুর্দান্ত লাগে। দুর্গম দুর্গ (গানস অফ নাভারোণ) , মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা , ২টাই প্রিয় , সাথে এসপিওনাজ

২| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:২৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: একজন প্রমাণিত চরিত্র চোর ও অন্যকে দিয়ে বই লেখানো ব্যাক্তিকে এতো গুরুত্ব দেয়ার মানে কি?
বাংলাদেশ জন্যই ইয়ান ফ্লেমিংস-এর জেমস বন্ড চরিত্র চুরি আর বিশ্বের সেরা বইগুলি হুবহু অন্যকে দিয়ে অনুবাদ করিয়ে নিজের নামে চালানোর অপরাধে কোনো শাস্তি হয়না।
ইউরোপ-এ্যামেরিকা হলে কাজী বুঝতো,আইন কি জিনিস আর অন্যের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরির শাস্তি কতোটা ভয়াবহ।।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৭

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: ছেলেমানুষি এবং যুক্তিহীন মন্তব্য গ্রহনযোগ্য নয়

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর লেখা । অভিভূত হলাম

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৭

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: কি মুশকিল!! অভিভুত হবার মত কোন কন্টেন্ট তো এই পোস্টে নাই!

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:০০

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: মাসুদ রানা পড়তে গিয়ে সেই কৈশোরে কত রাত প্যারিসের ক্যসিনো,লস এঞ্জেল, কিংবা মায়ামী বিচ থেকে ঘুরে এসেছি, আর রিয়েলিটি শো দেখার পর মনে হয়েছে এ কোন বঙ্গদেশে বাস করি, ছ্যাচড়ামির ও তো একটা লেভেল থাকে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: কয়েক প্রজন্মকে আধুনিকতা শিখিয়েছে সেবার বইগুলো

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:২০

আমি সাজিদ বলেছেন: অনল চৌধুরী এরপর থেকে কাউকে চোর বলার আগে সাবধানে কথা বলবেন।

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১৫

বিপ্লব06 বলেছেন: মাসুদ রানা ক্যারেক্টারটারে পুরা বলাৎকার কইরা ফালাইছে, এই মুভিগুলায়। উপরআলা, তুমি আমারে কি দেখাইলা এইগুলা?

মাসুদ রানা হইল শ্যামলা(পড়তে হবে কালো), ৫ ফুট দশ ইঞ্চি, মেদহীন পেশিবহুল পেটানো শরীর, মিশুক আর পারসোনালিটি ওয়ালা লেডি কিলার একটা ক্যারেক্টার। ফর্সা/সাদা কাউরে দিলে তো প্রথমেই ম্যাসাকার কইরা ফালানো হয়। আর সোহেলের তো একহাত কাটা।

এইগুলা ালছাল দেইখা মেজাজটাই বিলা হইয়া গেল। X(X(X(X(X(

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: সোহেল রানাকে সহ্য করা যেত, নাটক এর নামে যা বানাইসে তা গেলার অযোগ্য

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: মাসুদ রানায় মুগ্ধ হয়ে ছিলাম দীর্ঘদিন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: এখন আর মুগ্ধ হন না ?

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: @আমি সাজিদ, আনোয়ার হোসেন গল্পের প্লট চোর। এটাই সবাই জান। আপনি জানেন না দেখে অবাক হচ্ছি। মাসুদ রানার একটা প্লটও উনার নিজের না। কাট কপি পেস্ট!
তাছাড়া উনি নিজে লেখেনও না। অন্যদের দিয়ে লিখিয়ে নেন। অন্তর্জালে খোজ নিন। বিস্তারিত জানতে পারবেন।

লেখাটা পড়লাম। মাসুদ রানা চিত্রায়িত করার মতো ডিরেক্টর বা অভিনেতা কেউ দেশে নেই। আমার মতে এরা সবাই এই ক্যারেক্টারটা বানাতে গিয়ে নষ্ট করর ফেলেছে। নোবেল অভিনয়ের অ ও জানে না। চেহার সুন্দর হলে নায়িকা হওয়া যায় নায়ক না।

তিন নাম্বার সিনেমা একবার দেখতেই এত করে যখন বলছেন আপ্নি।

জাজ এই পর্যন্ত যা যা বানিয়েছে সব ভুয়া। এরা সিনেমার কিছুই জানে না। প্রডাক্ট কি হবে বুঝাই যাচ্ছে।



০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৭

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: আপনার মন্তব্য সঠিক নয়। একটা প্লটও ওনার নিজের না, এই তথ্যও ভুল ।
যদি সত্যি সত্যি একটা বইও পড়ে থাকেন, আপনার জানার কথা, ১ম ২টা বইই মৌলিক । পরের ১২ টি বই এর প্লট কাজীদার হাতে তৈরি , কাহিনি কয়েকটি বিদেশী বই থেকে মিলিয়ে একদম খাটি মাসুদ রানা বানানো হত (যেমন সাগর সঙ্গম এর প্লট)।
কাজীদা দেশকে যা দিয়ে গেছেন, কোটি কোটী পাঠক তৈরি করেছেন, তাকে চোর বলার মত স্পর্ধা দেখানো একটা অপরাধ

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: আজকাল ওয়েব সিরিজে নোংরামীর যে অবস্থা আরেকটা যেসব দৃশ্য আসবে তাতে খোদ মুনমুনও তওবা তওবা বলতে থাকবে।

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১১

আমি সাজিদ বলেছেন: নীল আকাশ, আমি যতবার রানার বই রিভিশন দিয়েছি ততবার অনেকে নিজের পাঠ্যবইও পড়েনি। কাজীদা তো বইয়েই লিখে দিয়েছিলেন বিদেশী গল্পের ছায়া অবলম্বনে। তো কি হলো? উনি কি দাবী করেছেন যে রানা সিরিজের সব বই মৌলিক? আপনার আসলে জানা নেই, ভারতনাট্যম বা ধ্বংস পাহাড় মৌলিক গল্প। বারবার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কাজীদা বলেছেন উনি মাসুদ রানা লেখেন না, মাসুদ রানার সব প্লট মৌলিক না। সেগুলা বছরের পর বছর সবাই জেনে আসছে। নতুন কিছু তো না।

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি সাজিদ - চোরকে চো্র না বলাই অন্যায়। আপনি মনে হয় সারাদিন মাসুদ রানাই পড়েন,কোনো পত্রিকা না।তাই জানেন না,মাসুদ রানার সব অনুবাদক শেখ আবদুল হাকিম।কাজীর জোচ্চুরী ধরা পড়েছে।
বাংলাদেশর জনগণের নৈতিকতা ধ্বংসকারী লোকদের মধ্যে প্রধান ব্যাক্তি এই কাজী।
আপনার মতো কিছু লোকের কারণেই দেশের সব অপরাধী-দুর্নীতিবাজরা সব অপকর্ম চালিয়ে যায়।মাসুদ রানা'র লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন নন, শেখ আবদুল হাকিম

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: অনল সাব, লোক হাসাচ্ছেন কেন ? জীবনে একটা মাসুদ রানা পড়েছেন ? মাসুদ রানা সিরিজের ইতিহাস, সেবার ইতিহাস নিয়ে বিন্দুমাত্র জ্ঞান আছে? বাংলা থ্রিলার সাহিত্য নিয়ে বিন্দুমাত্র জ্ঞান আছে আপনার ?

১২| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাংলাদেশের গুণধরেরা এই চরিত্রের চিত্রায়ণ করার চেষ্টা না করলেই ভালো। মাসুদ রানার ফাইটিং, ইন্টিলিজেন্স এবং উইট এর দৃশ্যায়ন করার মত প্রযুক্তি এবং মেধা, দুটোরই অভাব রয়েছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির।

১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছবি গুলা দেখি নাই
প্রাচীর পেরিয়ে দেখেছিলাম। এই সব কেনো বানায় তাই বুঝি না।

১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩২

মোঃ মােজদুল ইসলাম বলেছেন: কেন জানি মনে হচছে দুধের সাধ ঘোলে মেটাতে হবে।

১৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কি জানি!!! আমি একটাও দেখেনি।

১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: *দেখিনি

১৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪০

আমি সাজিদ বলেছেন: অনল চৌধুরী, মাসুদ রানা বইগুলো অনেকবার পড়ার মানে এই না যে তার জন্য সারাদিন মাসুদ রানা পড়া লাগবে। প্রথমে এইটা মাথায় ঢুকান। এরপর আসেন নৈতিকতা নিয়ে। মাসুদ রানা একটা ক্যারেকটার কিভাবে নৈতিকতা নষ্ট করতে পারে? স্পাই থ্রিলারে যৌনতা হচ্ছে চাটনির মতো, আপনার কথা অনুসারে জেমস বন্ডের সিনেমাগুলো সব পুরো দুনিয়ায় নৈতিকতা নষ্ট করার জন্যও দায়ী কি বলেন?

আমি নীল আকাশকে কি কমেন্ট করেছি সেটা বোধহয় পড়ে দেখেন নি আপনি। কাজী আনোয়ার হোসেন অনেক আগে থেকেই বলে এসেছেন মাসুদ রানা তিনি লিখেন না। কে তার হয়ে লিখেন, সেটা ইনটারভিউতেও অনেকবার বলেছেন। হাকিম যে লিখে সেটা অপেন সিক্রেট। কাজেই এখন মিডিয়ায় এসেছে বলে সেটা নিয়ে লাফানোর কিছু নেই।

আপনি আমাকে এইটা বুঝান মাসুদ রানা কিভাবে নৈতিকতা নষ্ট করেছে?

১৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১:২৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: স্পাই থ্রিলারে যৌনতা হচ্ছে চাটনির মতো- সেটা কোন দেশে?
আপনি কি ইংল্যান্ডে থাকেন না বাংলাদেশে ?
আমি নিজে জেমস বন্ডের দেশপ্রেম বুদ্ধি আর সাহসিকতার ভক্ত হলেও সেখানে মেয়েদের যেভাবে অসন্মানিত করা হয়েছে তার বিরোধী।এবং অবশ্যই জেমস বন্ড ছবিগুলি মানুষের নৈতিকতা ধ্বংসকারী।
যে দৃশ্য চলচ্চিত্রে থাকলে অশ্লীল,সেই একই দৃশ্য বইয়ে থাকলে সেটা শিল্প-এমন বিচিত্র ধারণা বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও নাই।
তাহলে তো ডিপজলের ছবিগুলিও শিল্পসম্মত !!!!
কাজী আনোয়ার হোসেন অনেক আগে থেকেই বলে এসেছেন মাসুদ রানা তিনি লিখেন না- করে কোথায় একথা বলেছে তার প্রমাণ দেন ?
বরং সেবার অনেক বইয়ের শেষে মতামতে বিভাগে পাঠকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেকে মাসুদ রানার লেখক বলে কৃতিত্ব নিয়েছে। এভাবে অন্যের লেখা বই নিজের নামে চালানো প্রতারণা এবং কপিরাইট আইন অনুযায়ী জেল খাটার যোগ্য অপরাধ সেটা জানেন?
ইয়ার ফ্লেমিং জীবিত থাকলে তার সৃষ্ট চুরি দায়েও মামলা করলে কাজীর শাস্তি হতো।

১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ২:২৭

আমি সাজিদ বলেছেন: অনল চৌধুরী ,১) মাসুদ রানায় যৌনতা ঠিক কতোটুকু ? জেমস বন্ডের সিনেমা ছাড়া বইগুলোয় যৌনতা কতোটুকু ? এখন যদি কাল্পনিক চরিত্রগুলোর তিন চার লাইন কথায় যদি কারো নৈতিকতা নষ্ট হয়, তবে ভাই তার একটু শারীরিক বা মানসিক কিংবা দুই সমস্যাই আছে, বিষয়টা এমনই দাঁড়ায়। এছাড়াও সেবা প্রকাশনী পরের মুদ্রণগুলোতে সেন্সরের কাঁচি চালিয়েছে, আমি অন্তত পাতার পর পাতা রগরগে বর্ণনা পড়িনি মাসুদ রানাতে।

২) স্পাই থ্রিলারে যৌনতা চাটনীর মতো, এই কথাটা কিন্তু আমি কাজীদার কাছ থেকে কোট করেছি। কিন্তু শব্দের এদিক ওদিক হতে পারে দেখে কোটেশন সাইন দেইনি। প্রথমত স্পাই থ্রিলারে চরিত্রের প্র্যোজনেই যৌনতা থাকতে পারে। এবং এই কন্টেন্ট বাচ্চাদের পড়া বাধ্যতামূলক নয়। যারা তিন চার লাইন যৌনতাকে ট্যাবু মানেন তাদের জন্যও নয়।

৩) ইয়াং ফ্লেমিং এর সৃষ্টির ফ্রেম টু ফ্রেম কপিকাট নয় মাসুদ রানা। এইটা মনে রাখেন। আমার যতোদূর ধারনা আপনি মাসুদ রানা পরেন নি।

৪) অনল চৌধুরী আমি দুটো লিংক দিচ্ছি - প্রথমটি প্রথম আলোর আসজাদুল কিবরিয়ার সাথে ২০০৮ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের সাক্ষাৎকার। এখানে ক্লিক করে পড়ে নিন

আবার যদি আপনি না পড়েন , এবং অস্বীকার করেন সেজন্য বাকি পাঠকদের জন্য আমি স্ক্রিনশট দিচ্ছি।

প্রথম আলোর মুখোমুখি কাজী আনোয়ার হোসেন
মূল খবরঃ প্রথম আলো, সাহিত্য সাময়িকী, ১৮ই জুলাই ২০০৮



ঘোস্ট রাইটার নিয়ে কাজী আনোয়ার হোসেনের মন্তব্য , সেই ২০০৮ এ করা-


ইয়াং ফ্লেমিং থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ার কথা-











২০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ২:৩৯

আমি সাজিদ বলেছেন:
এডাপ্টেশন নিয়ে কাজী আনোয়ার হোসেনের সহজ স্বীকারোক্তি




পশ্চিমবঙ্গের একই মানের সাহিত্য নিয়ে মন্তব্য-



বাংলা ভাষায় স্পাই থ্রিলার ফুটিয়ে তোলা সহজ কাজ ছিল না ।

কাজী আনোয়ার হোসেনের কথাই কোট করে দিচ্ছি-

কিন্তু লিখতে গিয়ে টের পেলাম, ভাষা নেই। বাংলা সাহিত্যের ছাত্র আমি। সাহিত্যের ভাষা আসে। এ-ভাষায় থ্রিল-অ্যাকশনের দৃশ্য ছবির মতো ফুটিয়ে তোলা বড়ই মুশকিল। তাই লিখছি, কাটছি, আবার লিখছি, পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলছি, আবার লিখছি। এ ধরনের লেখা বাংলা সাহিত্যে ছিল না। ভাষা ও বিষয় কোনোটিই নয়। সে জন্যই চেষ্টা করতে হলো। চেষ্টা-চর্চায় তৈরি হলো ভাষা। সেবার ভাষা। এর মধ্যে কিছুটা রিপোর্টিং স্টাইল আছে। মানে, সহজভাবে বলার চেষ্টা, তার চেয়ে বেশি দৃশ্যপট পাঠকের চোখের সামনে স্পষ্ট ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা।



যৌনতা নিয়ে বলা কথা-

অথচ সুলেখক সৈয়দ শামসুল হক, আলাউদ্দিন আল আজাদের লেখায় যৌনতার ছড়াছড়ি ছিল। আমি যে ‘প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য’ উল্লেখ করে দিয়েছি, সেটাও আমার দোষ হলো। উল্টো বলা হলো, এ জন্যই ছোটরা আরও বেশি পড়ে। সেই নিষিদ্ধ আপেলের প্রতি স্বভাবজাত আকর্ষণ!
মাসুদ রানার তৃতীয় বই স্বর্ণমৃগ প্রকাশিত হওয়ার পর সচিত্র সন্ধানী পত্রিকায় তীব্র সমালোচনা বেরোয়। তাতে লেখা হলো, কলম কেড়ে নিয়ে আমার হাতে আগুনের সেঁকা দেওয়া ও পল্টন ময়দানে বেঁধে জনসমক্ষে আমাকে চাবুক মারা দরকার। আমি তখন সচিত্র সন্ধানীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলাম। জিততে পারিনি অবশ্য। তারা তখন প্রভাবশালী বন্ধু-বান্ধবের সহায়তায় আমার বইটিকেই সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিয়ে দিয়েছিল।
আসলে মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম দিকের বইগুলোয় যতটা যৌনতা ছিল, পরের দিকে তা অনেক কমে গেছে। রানা সিরিজের প্রায় ৪০০ বইয়ের মধ্যে প্রথম ১৫-১৬টায় একটু বেশি পরিমাণে থাকলেও পরের বইগুলোয় তা আছে নামমাত্র।



এছাড়াও পড়তে পারেন আনন্দ আলোইয় কাজী আনোয়ার হোসেনের সাক্ষাৎকার, ২০১৭ তে বোধহয়।

এইবার আপনার শেষ মন্তব্য কোট করলাম-

কাজী আনোয়ার হোসেন অনেক আগে থেকেই বলে এসেছেন মাসুদ রানা তিনি লিখেন না- করে কোথায় একথা বলেছে তার প্রমাণ দেন ?
বরং সেবার অনেক বইয়ের শেষে মতামতে বিভাগে পাঠকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেকে মাসুদ রানার লেখক বলে কৃতিত্ব নিয়েছে। এভাবে অন্যের লেখা বই নিজের নামে চালানো প্রতারণা এবং কপিরাইট আইন অনুযায়ী জেল খাটার যোগ্য অপরাধ সেটা জানেন?



প্রমাণ পেয়ে গেছেন নিশ্চয়ই আমার কাছ থেকে ।

২১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৪০

অনল চৌধুরী বলেছেন: সেবার অনেক বইয়ের শেষে মতামত বিভাগে পাঠকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেকে মাসুদ রানার লেখক বলে কৃতিত্ব নিয়েছে।পুরানো বইগুলি পড়লেই এর প্রমাণ পাবেন।
আপনি নিশ্চতভাবেই বয়সে আমার ছোটো।সুতরাং আপনার আগেই আমি মাসুদ রানা পড়েছি।
এসব স্বীকারোক্তি সে ১৯৬৬ সালের অনেক বছর পরে করেছে,যখন দেশের মানুষ জেমস বন্ড ছবি দেখে এবং বিদেশী উপন্যাসগুলি ইংরেজীতে পড়ে তার চুরি-জোচ্চুরী ধরতে পেরেছিলো।
সে নিজেকে ধ্বংস পাহাড়ের লেখক দাবী করলেও এটাও জেমস বন্ডের প্রথম বই ড: নো থেকে অনেকটাই চুরি করা।
আপনার দেয়া প্রমাণই তাকে জেল থাটানোর জন্য য়থেষ্ট,যা তার অন্যের লেখা বই নিজের নামে চালানোর প্রমাণ।যেটা একইসাথে চুরি,জোচ্চুরী,প্রতারণা এবং অনৈতিক। কপিরাইট আইন পড়ে দেখেন।বাংলাদেশে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের শাস্তি কেমন
সৈয়দ শামসুল হক, আলাউদ্দিন আল আজাদের লেখায় যৌনতার ছড়াছড়ি ছিল- এরা লিখলেই অন্যায় ন্যায় হবে একথা কে বললো?
বিশেষ করে তসলিমার দাবী অনুযায়ী হক তো দেশের একাট চিহ্নিত প্রথম সারির নষ্ট লোক।

২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:৫১

আমি সাজিদ বলেছেন: @অনল চৌধুরী, আপনি কি আমাকে পুরনো বইয়ের মতামত বিভাগের চিঠির জবাবে কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানার সব বইয়ের লেখক দাবী করাটার প্রমাণ দেখাতে পারবেন? আমি শুধুমাত্র কৌতুহল থেকে দেখতে চাইলাম। আর তর্কে যেতে চাই না, সেবা কৈশোরের আবেগের নাম৷

২৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

কৃষিজীবী বলেছেন: পোষ্ট পইড়া যা পাইছি, মন্তব্য পইড়া পাইছি তার ১০ গুণ +

২৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: অবশ্যই। ১৯৮৭ সালে এ জে কুইনেল এর ম্যান অফ ফায়ারের নকল করে অগ্নিপুরুষ প্রকাশিত হওয়ার পর সে নিজেই এর অনুবাদক বলে দাবী করেছিলো।
আর আমাকে দেখাতে হবে কেনো? শেখ আবদুল হাকিমের অনুবাদ করা মাসুদ রানা বইগুলিতে তার নিজের নাম বসানো আছে,যেটা তার দুর্নীতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
আপনার দেয়া প্রমাণেও সে অন্যের লেখা বইয়ে নিজের নাম ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছে।অবশ্যই। ১৯৮৭ সালে এ জে কুইনেল এর ম্যান অফ ফায়ারের নকল করে অগ্নিপুরুষ প্রকাশিত হওয়ার পর সে নিজেই এর অনুবাদক বলে দাবী করেছিলো।
আর আমাকে দেখাতে হবে কেনো? শেখ আবদুল হাকিমের অনুবাদ করা মাসুদ রানা বইগুলিতে তার নিজের নাম বসানো আছে,যেটা তার দুর্নীতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
আপনার দেয়া প্রমাণেও সে অন্যের লেখা বইয়ে নিজের নাম ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছে।

লেখক বলেছেন: অনল সাহেব.............. তাকে চোর বলার মত স্পর্ধা দেখানো একটা অপরাধ -মনে হচ্ছে আপনি কাজীর বেতনভোগী কর্মচারী এবং আপনার আইন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র পড়াশোনাও নাই। সেটা না হলে যে লোক অন্যদের দিয়ে বই লিখিয়ে নিজের নাম ব্যবহার করে তার পক্ষে এভাবে ওকালতি করতেন না।প্রমাণিত এটা চোরের পক্ষে কথা বলে নিজেকে সবার কাছে হাস্যকর করছেন আপনি নিজে।

গত বছরের ২৯ জুলাই শেখ আব্দুল হাকিম ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি এবং ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কপিরাইট আইনের ৭১ ও ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে দাখিল করেন।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আইনি লড়াই শেষে রোববার (১৪ জুন) বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে রায় দিয়েছেন। ফলে দাবি করা মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি এবং কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে স্বত্ব পেতে যাচ্ছেন শেখ আবদুল হাকিম।কাজী আনোয়ার হোসেন নন, মাসুদ রানার লেখক শেখ আবদুল হাকিম

তার নামে মামলা হলে তাকে জেলে যেতে হবে,এটা জানেন? সে বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের প্রথম নকলবাজ,যাকে দেখে এদেশের সব চলচ্চিত্র কাহিনীকার,প্রযোজক,পরিচালক,অভিনেতা,সুরকার,গায়ক-গায়িকারা নকলবাজিতে উৎসাহিত হয়েছে।
কতো দিন ধরে বই পড়েন? নিজের লেখা কোনো বই কি প্রকাশিত হয়েছে?
ভালো করে এই লেখাটা আর মন্তব্যগুলি পড়েন। বাংলাদেশ জন্যই কাজী এখনো জেলের বাইরে আছে।চোরের দশদিন .....

২৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২৭

আমি সাজিদ বলেছেন: অনল চৌধুরী, সোজা প্রশ্ন- ঘোস্ট রাইটার টার্মটার সাথে আপনি পরিচিত কিনা?

২৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:৩৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: প্রতারণা এবং জালিয়াতি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
লেখালেখি কি লবণের ব্যবসা নাকি যে একজনের নাম দিয়ে আরেকজন লিখবে?
যে ৪২০ গিরি করে অভ্যস্ত,তার সেটাই করা উচিত।
লেখালেখি অনেক কঠিন ব্যাপার।
কাজীর কথা মতো দেশের আইন চলে না।
আইনের নির্দেশমতো সে এবং সবাই চলতে বাধ্য।

২৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:০৬

আমি সাজিদ বলেছেন: অনল চৌধুরী , সেবা প্রকাশনীর উপর আপনার ব্যাক্তিগত আক্রোশের কারন কি? আপনার বোধহয় প্রকাশনা শিল্প নিয়ে ধারনা কম। আগে ছদ্মলেখক কি সেটার লিগাল ডেফিনিশন নিয়ে আপনার ধারনা কি সেটা জানতে চাই। আপনি শুরুতে আমার কাছ প্রমাণ চাইলেন, কাজী আনোয়ার হোসেন কোথায় মাসুদ রানা আর লেখেন না সেটা উল্লেখ করেছেন ? আমি ২০০৮ থেকে প্রমান এনে দিলাম। এরপর আমার দেওয়া স্ক্রিনশটকে আপনি আবার আপনার পক্ষের প্রমাণ হিসেবে দেখাতে চাইলেন।

কি অদ্ভুত!

আপনি একটা জায়গায় আগে ফিক্সড হোন। আপনি কি দেখতে চান ? সেবার মাসুদ রানা কাজী সাহেব লিখেন না সেটার সাপেক্ষে কাজী সাহেবের নিজের বক্তব্য ? আমার ১৯ নাম্বার কমেন্টের ছবিগুলো ভালো মতো দেখুন।

আমার দেওয়া প্রমাণ তার বিরুদ্ধে যায় কি না ?
এজন্য আপনাকে 'ছদ্মলেখক' শব্দটির সাথে পরিচিত হতে হবে।

২৮| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনি ইচড়ে-পাকামি করছেন। কাজীকে রক্ষা করার অপচেষ্টা করছেন।
আপনার জানা উচিত,আমি নিজেই একজন লেখক এবং প্রকাশক।
কাজী একটা প্রমাণিত চোর এবং জোচ্চোর।
তার জেল হওয়া উচিত। আর দেশের সব অপরাধীকেই আমি আমার ব্যাক্তিগত শত্রু মনে করি।
আপনার বিন্দুমামাত্র কান্ডজ্ঞান বা আইন সম্পর্কে ধারণা থাকলে জানতেন যে অন্যেকে দিয়ে বই লিখিয়ে নিজের নামে চালানো দন্ডনীয় অপরাধ,যেটা কাজী গত ৫৬ বছর ধরে করে আসছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.