নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মায়া নেকড়ে

মায়া নেকড়ে

কালো নেকড়ে

মায়া নেকড়ে

কালো নেকড়ে › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুখোশধারী

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৭

ফেরীর ছাদে বসে পদ্মার

হাওয়া খাচ্ছিলাম।

একটা ৭/৮ বছরের ছেলে এসে বলল 'মামা, দেন

না জুতাটা কালি করে দেই।'

আমি না করলাম কারণ

স্যাণ্ডেলটা নতুনই বলা যায় শুধু একটু ধূলো জমেছে।

ছেলেটা তারপরও গেল না। বলল, 'দেন না একটা ঘষা দিয়া দেই।'

ছেলেটাকে কিছু টাকা দেওয়া হবে শুধুমাত্র সেজন্যই স্যাণ্ডেলটা দিলাম। এই বয়সের

একটা ছেলেকে কাজ করতে দেখে খুবই খারাপলাগছিল। নিজের শৈশবের সাথে ওর তুলনা করছিলাম। হঠাত্ আমার

নিজের প্রতিই খুব হাসি পেল।

ছেলেটার প্রতি আমার

অনুভূতিগুলোকে খুব সস্তা মনে হল।

কারণ, চিন্তা করে দেখলাম বাচ্চাটার প্রতি আমার দায়িত্ববোধ এই খারাপ

লাগা পর্যন্তই শেষ। ওর জন্য আমি আর কিছুই করব না। আড়াল হলেই ওর কথা ভুলে যাব। এমনকি হয়ত পালিশ

শেষে ও যে টাকা চাইবে তাও

দেব না।

ওদেরকে যে এভাবেই থাকতে হবে।

নইলে মানবতার

নামধারী গোফঅলা লোকগুলো সেমিনারে গলাফুলাবে কি নিয়ে? সুশীল সমাজের বক্তৃতার টপিক

একটা কমে যাবে না? তা তো আর হতে দেয়া যায় না।

এই মেকী অনুভূতি গুলোর জন্যই

নিজেকে মুখোশধারী মনে হয়।

পালিশ করা শেষ।

ঘষে স্যাণ্ডেলটাকে একেবারে আয়নার মত চকচকে করে ফেলেছে ছেলেটা।

মনে চাইল নিজের চেহারাটা একবার ওতে দেখে নেই: মুখোশটা ঠিকমত লাগানো আছে তো!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.