![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন এ দেশের সবচেয়ে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু তিনটি ১- জামায়েত ২- ব্লগার ৩-হেফাজয়েত ইসলামি বাংলাদেশ। আর হরতাল আর কথা বলার তো অপেক্ষাই রাখে না । আলোচনার কারন সমুহ হল, জামায়েত ইসলামি রাজাকার, তারা দেশের শত্রু, তারা ইসলাম অবমাননাকারি, তারা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দানকারী, তারা দেশকে একটা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, প্রতিনিয়ত , তারা আমেরিকা ও পাকিস্তানের মদদপুষ্ট, তারা মৌলবাদী , তারা জঙ্গি । আর ব্লগারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নাস্তিক, তারা মহানবী (সঃ) এবং ইসলামকে নিয়া কটুক্তকারি, তারা ইসলাম বিরোধী। হেফাজয়েত ইসলামি এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা জামায়েত এর ছত্রছায়ায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলছে । তারা নাস্তিক দের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে পরোক্ষ ভাবে যুদ্ধাপরাধিদের বিচার বানচাল করার চেষ্টা করছে। আমরা সাধারন জনগন অত ভালো রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ বুঝি না , তবে প্রতিটা ব্যাপারই যে রাজনৈতিক এটুকু বুঝি, যার দুটি পক্ষ আছে এক পক্ষে আছে সরকার দলীয় পক্ষ আর অন্য পক্ষে আছে বিরোধী দল, আর এরা হল যুদ্ধের সামনের ঘোড়া মাত্র, এদের কে ব্যবহার করা হচ্ছে মাত্র, এটা আর দশজন সাধারন নাগরিকের মত আমিও বুঝি । দেশের পুরাতন ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় দেশের মুক্তিযুদ্ধ কে যদি আমরা দেশের জন্ম বলে মনে করি, তাহলে এই জন্মের বিরোধীতাকারি হিসাবে যে খেতাবটা জামায়েত এর আছে সেটা সত্যি, তারা যুদ্ধ পরবর্তীতেও সে ধারা বজায় রেখেছে । আর বাকস্বাধীনতা সবার আছে, কিন্তু একটা ধারনা যেটা মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে লালন করে আসছে সেটার উপর হস্তক্ষেপ করা আর যাই হোক কখনই বাকস্বাধীনতা হতে পারে না, ধর্ম সম্পরকে আমরা কতটুকুই জানি, এই সীমিত জ্ঞান নিয়ে কীভাবে একটা হাজার বছরের লালিত বিশ্বাস কে আঘাত করা যায়, আপনি এটা বিশ্বাস না করতে পারেন, আপনার একটা নিজস্ব বানানো ব্যাখ্যা থাকতে পারে, কিন্তু আপনি কখনই অন্যের বিশ্বাস কে অপমান করতে পারেন না , আমরা জাতি হিসাবে মুসলিম । আমরা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী সুতারাং এরকম একটা দেশে সেই ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কখনো বলতে পারেন না, আমরা জাতি হিসাবে অনুকরন প্রিয় তাই হয়তোবা বিদেশী অন্যান্য স্বভাব এর মত নিত্য নতুন ইসলাম কে কটাক্ষও করাও ফাশন হিসাবে নিচ্ছি, বর্তমান সরকারের অনেকগুলো করা কাজের মধ্যে ভালো খারাপ সবই আছে, তবে সরকারের নেওয়া সর্বশেষ কিছু পদক্ষেপ এর মধ্যে কিছু পদক্ষেপ বিতর্কিত , যেমন আমরা জাতি হিসাবে মুসলিম আমরা পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে বলতে চাই আমরা জাতি হিসাবে মুসলিম, নিরপেক্ষ না, কিন্তু আমরা অন্য ধর্ম কেও আমরা সম্মান করি । হেফাজয়েত ইসলামি নতুন দল কিন্তু শুরুতেই তারা তাদের লক্ষবস্তু হতে সরে এসেছে, তারা শুরুটা ইসলামিক ভাবে করলেও শেষটা রাজনৈতিক। আমি নিরপেক্ষ ভাবে বলতে চাই হেফাজতের ১৩ দফা দাবির মাঝে মাত্র কয়েকটি গ্রহণযোগ্য। ইসলাম নারীদের অনেক বেশি সম্মান দিয়েছে । কিন্তু হেফাজতের দাবি অনুযায়ী সেটাকে কটাক্ষ করা হয়েছে । ইসলাম প্রধান দেশ হিসাবে ধর্মের প্রতি আমাদের দুর্বলতা সবসময়, কিন্তু ইসলামিক এই দল গুলো বারবার এই দুর্বলতা কে পুঁজি করে ফাইদা লোটার জন্য। আমি পুলিশ দের নিরীহ বলব কারন তারা হুকুমের দাস মাত্র, B.N.P এর আমলে দেখেছি তাদের পক্ষ নিতে, আওয়ামিলিগের আমলে তাদের দখলে এই বাহিনী , মাঝে মাঝে ভাবি এই বাহিনী জনগনের জন্য নাকি রাজনৈতিক হাতিয়ার। আমি যেহেতু দাড়ি রাখি না, সবসময় টুপি পরি না, বা সারাদিন ফতয়া দিয়ে বেড়াই না, তাই হয়তবা আমার সব কথাই ইসলামের বেপারে নালয়েক বা বাতিল, কিন্তু দাড়ি টুপি পর বলেই যে তুমি প্রতিদিন ইচ্ছমত ধর্ম কে ব্যাবহার করবা তা মেনে নেব না, কারন ধর্মটা কারও বাক্তিগত না। তারা যে কিভাবে ধর্মকে ব্যাবহার করছে তার একটা উদাহারন দিয়ে শেষ করব “দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ” এইটা জাল হাদিস, তাই পতাকা পড়ানো জায়েজ আছে, আর এদেশ যেহেতু ইসলামিক সেহেতু কলেমাখচিত পতাকা হবে এদেশের পতাকা। জানিনা এরা ইসলামের নাকি কোন দুরভিসন্ধিমুলক গোসটির, প্রশ্নটা আপনাদের হাতেই তুলে দিলাম। উত্তরটা আমাকে না দিলেও নিজের বিবেককে দিবেন আশা করি, জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন আমরা যাচ্ছি কোথায় , আমাদের গন্ততব্ব টা কোথায় ?
“Blood on Snow”
©somewhere in net ltd.