নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Know Thyself

Universe is mystrious

ডারউইন

Know thyself

ডারউইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুমিন জীবনে ইসলামী আন্দোলনের গুরুত্ব

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:০৪



ইসলামী আন্দোলনের কুরআনিক পরিভাষা হচ্ছে ‘ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’। এ কাজে অংশগ্রহন প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের অপরিহার্য দাবী। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এ মহান কাজ শুধুমাত্র আমাদের উপর ফরজই নয় ইহা ফরজে আইন তথা অবশ্যই পালনীয় (ফরজ)।



রাসূল (সা) এর ইকামাতে দ্বীনের পুরো আন্দোলনটি ছিল পাঁচটি পর্যায়ে- দাওয়াত ইলাল্লাহ, শাহাদাত আলান্নাস, কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ, ইকামতে দ্বীন এবং আমর বিল মারুফ-নেহি আনিল মুনকার।



মক্কার ১৩ বছরে তিনি প্রথম দুটি কাজ- দাওয়াত ও লোক তৈরি এবং বাকী তিনটি কাজ মদীনায় সম্পন্ন করেছেন।



হযরত আদম(আ) হতে রাসূল(সা) পর্যন্ত সকল নবী-রাসূলগণই দ্বীন কায়েমের এ মহান কাজে নিয়োজিত ছিলেন। কেহ দ্বীনকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কায়েম করতে সক্ষম হয়েছেন , কেহ হননি। কিন্তু সকলেই দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টায় আপোসহীন ছিলেন। সূরা শূরার ১৩ নং আয়াতে আল্লাহ তা স্পষ্ট করে বলেছেন

“তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করিয়াছেন দ্বীন যাহার নির্দেশ দিয়াছিলেন তিনি নূহকে, আর যাহা আমি ওহী করিয়াছি তোমাকে এবং যাহার নির্দেশ দিয়াছিলাম ইব্রাহীম,মূসা ও ঈসাকে, এই বলিয়া যে তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং উহাতে মতভেদ করিও না।”



এমন কি সাহাবীগণের মাঝেও এমন কোন সাহাবী খুঁজে পাওয়া যায় না যিনি ইকামাতে দ্বীনের কাজ হতে বিরত ছিলেন। সাহাবী হযরত উম্মে মাখতুম (রা) অন্ধ এবং আমার ইবনে জুমহ(রা) খোঁড়া ছিলেন, তদোপরি জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজে তাঁর্রা ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।



জীননের শুরু হতে আমৃত্যু একাজে থাকতে হবে সক্রিয়। হযরত আলী (রা) দশ বচর বয়স হতেই এ আন্দোলনের দাওয়াত পেয়ে বীরের ন্যায় ভূমিকা রেখেছেন। জীবনের খন্ডিত সময়ের জন্য ইসলামী আন্দোলন অবশ্য কর্তব্য মনে করা মুনাফিকির লক্ষণ। ইবনে ওমর (রা) হতে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, পাঁচটি প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তর ব্যতীত কোন ব্যক্তিই পুলসিরাত চুল পরিমান অতিক্রম করতে পারবে না। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে ‘ সামগ্রীক জীবন কিভাবে অতিক্রম করলে? দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে ‘ যৌবনের তারুন্যকে কিভাবে ব্যয় করলে?’



জিহাদ ফি সাবিল্লিাহর কাজের মাধ্যমেই পরকালীন সাফল্যের নিশ্চিত গ্যারান্টি এবং জাহান্নামের ভয়াবহ আজাব হতে নাজাত পাওয়ার সুসংবাদ পাওয়া যায়।-সূরা সফ এর -১০,১১,১২ নং আয়াতে এসব কথা বলা হয়েছে।



“ ওহে যারা ঈমান এনেছ! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের কথা বলে দেব যা তোমাদেরকে রক্ষা করবে এক যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি থেকে?”



তা এই যে, তোমরা ঈমান আনবে আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি এবং জেহাদ ( প্রচেষ্টা, সংগ্রাম, লড়াই) করবে আল্লাহর পথে তোমদের ধন-সম্পদ ও তোমাদের জীবন দিয়ে। এটাই তোমদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা জানতে।”



“ আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন তোমদের গুনাহসমূহ এবং দাখিল করবেন এমন জান্নাতে, যার নিম্নদেশে প্রবাহিত হবে নহর সমূহ এবং এমন মনোরম গৃহে যা রয়েছে অনন্তকাল বাসের জন।এটাই মহা সাফল্য।”



কোন মুমিন আল্লাহ দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় না হওয়া মানে বাতিল তথা তাগুতী শক্তিকেই সহযোগিতা করা হয়। এর ফলে তার মৃত্যু হবে মুনাফিকীর মৃত্যু এবং তাদের উপর আল্লাহ বিজাতীয় শাসন চাপিয়ে দিবেন। সূরা তাওবার ৩৯ সং আয়াতের বলা হয়েছে-

“ যদি তোমরা অভিযানে বাহির না হও, তবে তিনি তোমাদিগকে মর্মদন্তুদ শাস্তি দিবেন এং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করিবেন এবং তোমরা তাঁহার কোনই ক্ষতি করিতে পারিবে না।



আমরা যারা ঈমানের দাবি দ্বার তাদের কে অবশ্যই এ বিষয়গুলি ভেবে দেখতে হবে। শুধু মাত্র রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দিতার জন্য ইসলামী আন্দোলন কারী দল কে মুমিনদেরর জন্য সাহায্য না করে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বা তাদের কর্মকান্ডে বাধাসৃষ্টি করা অনুচিৎ।

“ ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা আল্লাহর দ্বীনের সাহয্যকারী হয়ে যাও..” সূরা- সফ-১৪



পুনশ্চঃ আমি ডারউইন নিক নিয়েছি এই কারণে যে দীর্ঘ দিন যাবত অনেক গুলি লেখা দিয়েছি কিন্তু সাম.হ.কর্তৃপক্ষ আমার লেখা প্রথম পাতায় দেয় নি। যে পোষ্ট গুলি আমি দিয়েছিলাম তা ছিল দেশ প্রেম ও ধর্মীয়। আমি বুঝলাম যে এখানে নাস্তিকেরা নবী (সা) কে গালাগালি করলেও তাদের সমস্য নেই কিন্তু ধর্মের পক্ষে লেখতে গেলেই সমস্যা। তাই এই নিক নিয়ে যখন একটা পোষ্ট দিলাম সাথে সাথে দেখি প্রথম পেজে। বুঝুন তাহলে...। তাছাড়া ডারউইন আমার একজন প্রিয় বিজ্ঞানী। তিনি কিন্তু নাস্তিক না। নাস্তিকেরা তার মতবাদ দেখে বলে সে নাস্তিক। তিনি ছিলেন অজ্ঞেয়বাদী। তিনি স্বীকারও করেনি আবার অস্বীকারও করেনি যে সৃষ্টি কর্তা আছে । তার তৈরি তত্ব এখন আমাদের অনেক কাজে লাগছে। এছাড়া অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ তার তত্বকে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের সাথে তুলনা মূলক আলোচনাও করছেন। যত দিন যাবে ততো আমরা কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের সঠিক মর্ম বুঝতে পারবো। পৃথিবীটা রহস্যময়। সৃষ্টিকর্তাও রহস্যময়। তাকে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়। মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে। কুয়োর ব্যাং লাফ দিয়ে কখনো কুয়ো পার হতে পারে না। আমাদের জ্ঞানও তেমন। আমরা এখনো চর্তুমাত্রা বা এর অধিক মাত্রা বুঝি না। আমাদের অনেকেরই গণিত জ্ঞান কম। গণিতের অনেক তত্ব আছে যা দ্বারা সৃষ্টি কর্তাকে বুঝা কিছুটা সম্ভব।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-১

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:১৫

সামী মিয়াদাদ বলেছেন: কোন মুমিন আল্লাহ দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় না হওয়া মানে বাতিল তথা তাগুতী শক্তিকেই সহযোগিতা করা হয়। এর ফলে তার মৃত্যু হবে মুনাফিকীর মৃত্যু এবং তাদের উপর আল্লাহ বিজাতীয় শাসন চাপিয়ে দিবেন। সূরা তাওবার ৩৯ সং আয়াতের বলা হয়েছে-

“ যদি তোমরা অভিযানে বাহির না হও, তবে তিনি তোমাদিগকে মর্মদন্তুদ শাস্তি দিবেন এং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করিবেন এবং তোমরা তাঁহার কোনই ক্ষতি করিতে পারিবে না।

তাফসীর ইবনে কাসির অনুসারে উপরের আয়াতের শানেনযুল

ঘটনা এই যে, রাসূলুল্লাহ (স:) বহু দূরের সফর তাবূকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার জন্য সাহাবীদের এমন সময়ে নির্দেশ দেন যখন প্রচন্ড গরম পড়েছিল, গাছের ফল পেকে উঠেছিল ও গাছের ছায়া বেড়ে গিয়েছিল। কিছু লোক রয়ে গিয়েছিল, তাদেরকেই তিরস্কার করে বলা হচ্ছে - যখন তোমাদেরকে আল্লাহ'র পথে যুদ্ধ করার জন্যে ডাক দেয়া হচ্চে তখন তোমরা মাটি আকড়ে বসে থাকছো কেন? তোমরা কি দুনিয়ার ক্ষনস্হায়ী ভোগ্য বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আখিরাতের চিরস্হায়ী নিয়মকে ভুলে বসছো?


কিন্তু আপনে এইখানে কি লিখলেন। কোন সূরার কোন আয়াতের ব্যাখ্যা দেয়ার আগে সেটার আগেপিছের আয়াতগুলাও একটু দেখবেন যে আয়াতটার পটভূমি কি, প্রেক্ষাপট কি? আবালের মতো গলাবাজি করতে আইবেন না।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:২৫

ডারউইন বলেছেন: ঘটনা এই যে, রাসূলুল্লাহ (স:) বহু দূরের সফর তাবূকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার জন্য সাহাবীদের এমন সময়ে নির্দেশ দেন যখন প্রচন্ড গরম পড়েছিল, গাছের ফল পেকে উঠেছিল ও গাছের ছায়া বেড়ে গিয়েছিল। কিছু লোক রয়ে গিয়েছিল, তাদেরকেই তিরস্কার করে বলা হচ্ছে - যখন তোমাদেরকে আল্লাহ'র পথে যুদ্ধ করার জন্যে ডাক দেয়া হচ্চে তখন তোমরা মাটি আকড়ে বসে থাকছো কেন? তোমরা কি দুনিয়ার ক্ষনস্হায়ী ভোগ্য বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আখিরাতের চিরস্হায়ী নিয়মকে ভুলে বসছো

মানলাম আিম আবাল আর আপিন মহা জ্ঞানী। কই আপনােক েতা েদিখ না এ িবষয় িনেয় েকান েপষ।অট িদেত। এটা িচরাচিরত েয যারাই ইসলামী আেন্দালেনা কথা বেল তারা েবিশর ভাগ জনগেনর কােছ খারাপ হয়। েস জন্যই এটা কিঠন কাজ।

এই বার আিস আপনা উপিরউক্ত কথার েপক্ষীেত। বর্তমান েপ্রক্ষাপেট এই আয়ােতর ব্যাখ্যা িক। এখন িক এই আরেবর মুরুভুিম ছাড়া এই আয়ােতর কার্যকািরতা থাকেব না?

আপিন যা বর্ননা কেরেছন তার সারমর্ম হেলা েয আমােরদ েক েয েকান দুিনয়াবী েলাভ লালসাই এই পথ েথেক িফিরেয় রােখ। তখন িছল পাকা ফল, এখান দুিনয়াবী িবিভন্ন স্বার্থ। তুলনামূলক আমােদর ভাবেত হবে। আপনার কথা মানেল তাহেল কুরআেনর েকান আয়াতই বর্তমােন কােজ লাগােনা যােব না।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:২৭

ডারউইন বলেছেন: @ সািম, ঐ

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:২৬

লোকালয় বলেছেন: ইসলামী আন্দোলন ইমানের অপিরহার্য দাবি।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:২৮

ডারউইন বলেছেন: িঠক

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৩১

আরিফুর রহমান বলেছেন: ইসলামী আন্দোলন বলে যেটা প্রচার করা হয় সেটার কোন যৌক্তিকতা এই যুগে আর নেই।

জিহাদ টাইপের শব্দ ব্যাবহার করে ইয়াং জেনারেশনকে প্রলুব্ধ করা হয়, শুধুমাত্র ইসলামী ব্যাবসার খাতিরে।

এইসব ফাউল আলাপ এই ব্লগে আর ভাত পাবে না।

মাইনাস।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৩৭

ডারউইন বলেছেন: িজহাদ ইসলােমর একটা পবিত্র িবষয়। এর মােন পশ্চিমারা েনিতবাচক ভাবে নিয়েছে। আর যারা নাস্তিক তারা। এর ব্যপজ অর্থ আেছ। আপনার শুধু েবাঝন যুদ্ধ। এর মােন প্রচেস্টা, সংগ্রাম, ইত্যাদি।
আপনার নািস্তকতাই এই যুেগ বািতল।

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:১৮

নেক্সাস বলেছেন: একজন নিবেদিত মুসলমান হিসেবে বর্তমান যুগে আক্ষরিক অর্থে জিহাদের কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা।বর্তমান যুগে কোথাও ধর্ম যুদ্ধের অস্তিত্ব নাই।
বর্তমানে যা কিছু হচ্ছে তা নিতান্তই মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ।সকল ধর্মের লোক কোন না কোনভাবে সেই অপরাধ করছে।
ইহূদি রা ফিলিস্তিনে.. ক্রিশ্চিয়ানরা ইরাকে বা সর্বিয়ায়,হিন্দুরা গুজরাটে,মুসলমানেরা টুইন টাওয়ার থেকে শুরু করে মুম্বাই হামলা কিংবা সাম্প্রতিক বাংলাদেশে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার পিছনে ধর্মের চেয়ে ভূ-রাজনীতি কিংবা প্রাকতিক সম্পদ বেশি ভুমিকা রাখে।

আজকে সকল ধর্ম স্ব স্ব অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত।কাজেই জিহাদ নামক পবিত্র নামক পবিত্র শব্দটি এখন প্রয়োজনের অতীত।এটা ছিল ইসলামের সুচনা লগ্নে কাফেরদের বিরুদ্ধে (যখন তারা ইসলামের অনুসারীদের অক্রমণ করত শুধু তখনই)যখন সাহেবা কেরামদের যুদ্ধ হত তখনকার বিষয়।

কাজেই এখন সামরিক জিহাদের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা।

তবে হ্যাঁ মুমিন মুসলমান হতে হলে নিজের অন্তরে লুকিয়ে থাকা কু-প্রবৃত্তি,অনৈসলামিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আত্মিল জিহাদের প্রয়োজন এখনো অনস্বিকার্য।

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৫৮

আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: বিবর্তন নিয়ে মানুষের অনেক ভুল ধারনা আছে। আমি বিবর্তন নিয়ে একটা সিরিজ লিখছি। চাইলে দেখতে পারেন

বিবর্তন ১০১ (কিউ অ্যান্ড এ)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.