নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অরণ্যে রাজ

I am always searching.......

অরণ্যে রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্তা,ঈদের ছুটি চায় না।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

সবকিছু পাল্টে যাচ্ছে দিনের পর দিন। থেমে থাকছে না একটুও। কারণ সে জানে তার থেমে থাকার ফুরসত নেই। ধরুন স্কুলে যাওয়ার পথের আমার সেই রাস্তার কথাটিই। যেটি আজ আর আগের মতন নেই, যদিও জড়বস্তু। কত রঙ পালটেছে তার একের পর এক। আজ যখন সেই রাস্তাটি ধরে হাঁটতে যাই, তখন এই রাস্তাটি দিয়ে অতীতে চলার সময়ের অনেক স্মৃতিই মনে পড়ে। আজ তাই স্মৃতিকাতর হয়ে অনেকদিন পর তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কী অবস্থা ? সে বলল, অবস্থা জিজ্ঞাস করেন ভাই, আছি কোনমতে। দেশেরই যা অবস্থা,তাতে আমার অবস্থা জিজ্ঞাস কইরা কী লাভ। দেশের যে কি হইব তা ঠিকমত ঠাওর করতে পারতেছি না । আমি বললাম, আপনিও দেশের খোঁজ খবর রাখেন দেখি। দেশের অবস্থা বুঝলেন কী করে ? রাস্তা বলল, আমি না বুঝলে দেশের অবস্থা বুঝবটা কে বলেন দেখি ? দেশ আজ সঙ্কটকালীন অবস্থায় আছে। দুই দলের মধ্যে কোন মিলমিশ নাই। হত্যা, হরতাল,ভাঙচুর চলতাছে নির্বিচারে। সবাই আছে শুধু সুযোগের অপেক্ষায়। আরে আপনি তো দেখি অনেক কিছুই জানেন। এত কিছু জানলেন কীভাবে? রাস্তা বলে উঠল আরে ভাই আপনি কী মনে করেন, আমি কিছুই বুঝি না। শুনেন আগে যখন হরতাল দিত তখন ভাবতাম কি মজা! এই বুঝি ঈদের ছুটি পাওয়া গেল। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকব,মানুষজন কম যাওয়া আসা করব। আর তাই এই কয়দিন শুধু ঘুমাইয়া কাটামু,মানে রাষ্ট্রীয় সুখ আর কি। কিন্তু এটা তো ঈদের ছুটি নারে ভাই,যখন দেখি প্রতিদিন মানুষ যেভাবে কইরা হাঁইটা যায়, এভাবে না যাইয়া হঠাৎ কইরা আমার বুকের উপর দিয়া দৌঁড়ান শুরু করে। তখন মনে হয় এই বুঝি চিরদিনের জন্য গেলাম। আবার যখন বিশাল বিশাল গাড়ী রাস্তার উপর পুঁড়ানো হয় তখন সেই আগুনের তাপ সয্য করার মতো ধৈর্য্য আর থাকে না। আর মাঝে মাঝে সিএনজি,অটোরিক্সাগুলা যখন গায়ের উপর উল্টায় পরে তখন মনে হয় কেও আমার বুকের উপর ইচ্ছা কইরা পাথর চাপা দিতেছে। এই যে কি কষ্ট তা আর বইলা বুঝান যাবে নারে, ভাই। হরতালের আসল মজা ঠিক তখন টের পাই। আর মনে মনে কই(যাতে কেউ শুনতে না পায়) এইরকম ঈদের ছুটি আমার আর দরকার নাই। কারণ কেও শুনতে পাইলে আবার যদি হরতাল দেয়।



বিঃ দ্রঃ রাস্তার চরিত্রটি কাল্পনিক প্রেক্ষাপটে রচিত। তবে আমাদের জন্য ভাববার বিষয় হচ্ছে এই যে, হরতালে মানুষ,যানবাহন এমনকি রাস্ত্রার পাশে থাকা দোকানগুলোও পিকেটারদের হাত থেকে রক্ষা পায় না। এবং এই সমস্ত কর্মকান্ড চলে রাস্তার উপর। রাস্তার হয় বেহাল দশা এবং নির্বিঘ্নে তাকে এইসব সইতে হয়। আজ যদি রাস্তার প্রাণ থাকত তাহলে কে বলতে পারবে নিশ্চিত করে তার কাছ থেকে এই ধরণের আর্তনাদ শোনা যেত না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.