![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন একটি ছেলে। কিন্তু আমার ভিতর অসাধারন একটা গুন/দোষ আছে! ছোটবেলা থেকেই আমার সাথে যেই একটু ঘনিষ্ঠভাবে মিশছে, সেই সব কিছু নিয়েই একটু বেশি কথা বলা সিখে গেছে!! সেজন্য যুবসমাজ আমাকে একটু ভালবাসলেও, মুরুব্বীদের কাছে আমি একটা ভাইরাস!!
'অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ'- পৃথিবীসহ সবকিছুই এর অন্তর্গত। যা কিছু সত্য, সবকিছুই এই তিন কালের ভিতরই বর্তমান। একমাত্র মানুষের মন ছাড়া বাকি সব কিছুই একটি সুনির্দিষ্ট বিবর্তনের ভিতর দিয়ে যায়। কিন্তু মানুষের মন বড়ই বেহায়া জিনিস, দীর্ঘমেয়াদি বিবর্তনের ধারে কাছে নেই। এটা পরিবর্তন হয় 2g, 3g এমনকি মাঝে মাঝে 4g গতিতে!!!
ছোটবেলায় বাবার সাথে বাজারে গেলে ননি ঘোষের দোকানের রসগোল্লা খাওয়া চাই ই চাই , আর এখন পিটিয়েও কেউ মিষ্টি খাওয়াতে পারে না। তখনকার সেই বুনো ফল কুড়ানো আর ঝোপেঝাড়ে পাখির বাসা দেখার অদম্য ইচ্ছাটা তো আর বছর বারো আগেই বিরক্তিতে রুপ নিয়েছে। স্কুলজীবনের শেষের দিকে দিপাঞ্জনা নামক রাজকুমারীকে কলেজ জীবনের মাঝামাঝিতেই ডাইনি ডাইনি মনে হত!!! আবার ইউনিভার্সিটির শুরুর দিকে যে মেয়েটার দুচোখের বিষ ছিলাম, কালক্রমে আমিই তার হৃদয়টার দখলদারিত্ব নিজের অজান্তেই পেয়ে বসলাম। গত বছর যে জ্যাকেট হাল ফ্যাশানের স্টাইল ছিল, এ বছর সেটা পরেই আমার বন্ধু গেঁয়ো-খ্যাত তকমাটা নিজের গায়ে জুড়ে নিয়েছে। আসলে সবকিছুই পরিবর্তনশীল। অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যতের ভিতর পার্থক্যটা অত্যন্ত বেশি। মানুষের কাছে বর্তমান ছাড়া কোনকিছুই পারফেক্ট না।
লেখাটা আসলে আমার এক বন্ধুকে দেখে লেখা। খুব কাছের বন্ধু যে তা নয় কিন্তু পরিস্থিতি হয়ত কাউকে কাউকে খুব আপন বানিয়ে দেয়। জীবনের সবটুকু চাওয়া যাকে নিয়ে ছিল আজ সে ওকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। নিজের ইচ্ছাইয় বা অনিচ্ছায় সেটা বড় কথা না, সে যে যাচ্ছে এটাই সত্যি। মেনে নিতে কষ্ট হলেও সত্যকে মেনে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। যেখানে মা সন্তান হারানোর বেদনা ভুলে আবার অন্য সন্তানের জন্য হাঁড়িতে ভাত চড়ায়, সেখানে এটা মেনে নেয়া অসম্ভব তো আর না। কে জানে, হয়ত কয়েকমাস যেতে না যেতেই মনের পর্দায় অতীতের প্রিয় হাসিটার বদলে হয়ত নতুন কোন চন্দ্রবদনের আবির্ভাব হবে। সময় এরকমই, স্রোতের টানে অতীতকে অনেক বেশি ঝাপসা করে দেয়। অতীতের জন্য কখনো বর্তমান থেমে থাকতে পারে না, থেমে থাকে না।
©somewhere in net ltd.