নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হাজার বার মানুষ হতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হই।

ডেড ভাইরাস

আমি খুব সাধারন একটি ছেলে। কিন্তু আমার ভিতর অসাধারন একটা গুন/দোষ আছে! ছোটবেলা থেকেই আমার সাথে যেই একটু ঘনিষ্ঠভাবে মিশছে, সেই সব কিছু নিয়েই একটু বেশি কথা বলা সিখে গেছে!! সেজন্য যুবসমাজ আমাকে একটু ভালবাসলেও, মুরুব্বীদের কাছে আমি একটা ভাইরাস!!

ডেড ভাইরাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ডায়েরি -১

২০ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

আমার ছোটবেলাটা ছিল আর ৫ টা ছেলের মতয় নির্ঝঞ্ঝাট। সকাল থেকে বিকাল কাটত খেলাধুলা করে, আর বিকাল থেকে সন্ধ্যা কাটত টিভি দেখে। সন্ধ্যার পর খাওয়াটা কোনোভাবে খেয়েই ঘুম। আহ!! মায়ের কোলে পরম নির্ভরতায় ঘুমাতাম, আর সকালে উঠে নিজেকে আবিষ্কার করতাম বিছানায়! তখন আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকত না ব্যাপারটা। ভাবতাম এখানে এলাম কী করে?? সহজ ব্যাপারগুলা আমার মাথায় মনে হয় এক্তু কমই ঢুকত।
অল্প একটু বড় হলে আমাকে স্কুলে ভর্তি করিএ দেয়া হল। সঙ্গী পেলাম পীযূষ আর সৈকতকে। দিনগুলি খুবই দ্রুত কেটে গেল। হঠাৎ করেই পীযূষ সাপের কামরে মারা গেল। আর সাম্প্রদায়িক ঝামেলায় সৈকতের বাবা পরিবারসহ ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হল। এবার আমি একা…পুরোপুরি একা! বইয়ের জগতে ডুবে থাকার নেশাটা তখন থেকেই। সকাল থেকে রাত অবধি সময় যে কখন কেটে যেত টেরই পেতাম না। চোখের সমস্যা দেখা দেয়া শুরু করলেও বইয়ের জগত থেকে আমাকে কেউ সরাতে পারেনি। যখন ক্লাস ৬/৭ এ পড়ি, তিন গোয়েন্দা সিরিজের পোকা ছিলাম আমি। মুসা রবিনদের মনে হত কতযুগের চেনা বন্ধু!
বইয়ের বাইরে তখন আমার একমাত্র বন্ধু ছিল আমার ঠাকুরমা (দাদি)। আমার বয়স যখন ১৪ দিন সেদিন থেকে সে প্যাঁরালাইসিসে ভুগছে। বিছানায় শুয়েই তার দিন কাটত। ঠাকুমা অনেক গল্প বলত আমাকে… সময় কাটত না তার। খুব করে একজন কথা বলার লোক দরকার ছিল তার। আমি খুব মনোযোগ দিএ তার কথা শুনতাম তাই খুব ভালবাসতেন আমায়। হঠাৎ করে একদিন বাড়ি ফিরে দেখি ঘরে অনেক মানুষ। মা কাঁদছে, বাবা চুপচাপ ঠাকুমার বিছানায় বসে চোখ মুছছে। বুঝলাম ঠাকুমা আর নেই। অদ্ভুত একটা অনুভুতি হচ্ছিল তখন। ঠাকুমা কে খুব ভালবাসতাম আমি। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও সেদিন আমার কান্না আসেনি! দুদিন পরে আমার রুমে আমি বই পরতেছিলাম। কি ভেবে যেন ঠাকুমার বিছানার দিকে চোখ যায়। হঠাৎ করেই বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে। ছোটবেলা থেকে এক মুহূর্তের জন্য যে জায়গাটা আমি খালি দেখিনি, সেই বিছানাটা ঠাকুমার অভাবে খাঁ খাঁ করছিল। হঠাৎ করেই টের পেলাম আরও একজন আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। কান্নাটা আর আটকে রাখতে পারিনি। চিৎকার করে কেঁদেছিলাম সেদিন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আমার বাবা মারা যাবার পরেও আমার অনুভুতি ঠিক একই ছিল। কান্না আমারও আসেনি। ভান করে কেদেছিলাম মনে আছে সেটা।

ব্লগে স্বাগতম।

২| ২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

ডেড ভাইরাস বলেছেন: মন্তব্যেরর জন্য ধন্যবাদ। খুব বেশি আপন কেউ চলে গেলে মনে হয় প্রথম দিকে সবাই ই এরকম একটা ঘোরের ভিতর থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.