১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:৩১

নির্বাসিত বলেছেন: খুব ভাল লাগলো লেখাটা। খিদে পেলো আমারও।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:৫০

নিবেদীতা বলেছেন: ভাল লাগলো।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:৫১

অলস ছেলে বলেছেন: লেখার থিমটা ভালো লাগলো।
বন্ধুদের মধ্যে দেখেছি, যারা বেশী খেতে পারেনা তাদেরকে।
তবে আমি সবসময়ই বেশী খাওয়াদের দলে।
আর, যারা চেয়েও প্রয়োজনীয় খাওয়াটা পায়না, তাদের জন্য আপনার চিন্তা গুলো প্রশংসনীয়। আমাদের সবারই ভাবা উচিত বিষয়গুলো নিয়ে।

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:৫৬

মিরাজ বলেছেন: খিদে দেখেছি অনেক কাছে থেকে, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর । ফারহান এই মানুষগুলি অধিকাংশ সময়ই নির্বাক হয়ে পৃথিবীর অবিচার দেখে, খিদের কথা বলতে বলতে নি:শব্দে চোখ থেকে পানি গড়িয়ে যেতে দেখেছি । তারপর বাসায় এসে ভরপেট খেতে অপরাধী লাগতো, ভাতের পাশে সারি সারি তরকারিকে মনে হতো অশ্লীল ।

ভালো লাগলো লেখাটি ।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:৫৮

পুতুল বলেছেন: "ফাস্টফুডের দোকানগুলোর দিকে আগে বিশেষ ফিরে তাকাতাম না,এখন সেখানে নাদুসনুদুস সুখী সুখী খাদকগুলোকে দেখলেই কেমন জানি এদের কেটেকুটে রান্না করে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে,রাস্তার যে ছেলেটা দোকানের বাইরে বসে আছে সে-ও কি আমার মতই ভাবছে নাকি,না আমার মধ্যবিত্ত মানসিকতা সামান্য অভাবের টানেই নরখাদক হয়ে গেলো? আগোরা'র ৯০০ টাকা কেজি নাশপাতিগুলো বেশি সুস্বাদু নাকি সেটা যাদের ঝোলায় ঢুকছে সেই ইংরেজি বলা আল্ট্রা মডার্ন ছেলেমেয়েগুলো,সেটাও ভাবি। রোজ ২৫০-৩০০ টাকার বার্গার সাঁটানো পাজেরো লেক্সাস হাঁকানো ২১০০ কোটি টাকা চুরি করা তিতাসের কাদের মোল্লার পরিবারবর্গকে গ্রিল করে আমাদের চাল-ডালের বিকল্প হিসেবে চালানো যায় কিনা তাও বিবেচনা থেকে বাদ যায়না। মাথাটাই গেছে মনে হয়,আবারো খাওয়ার চিন্তা।"
"এই ফকিরি মানসিকতার জন্যই সারাজীবন খাইখাই করা লাগবে মনে হচ্ছে,"
এই চিন্তাটা খুব মনে ধরেছে। তার মানে এই নয় যে গল্পের বাদবাকী মেনু পছন্দের তালিকায় নেই। খু.......ব ভাল লেখা এবং লেখার মেনু। অকুন্ঠচিত্তে যোগী হলাম।

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:০৫

না বলা কথা বলেছেন: ভালো লিখছেন।
সব খাইয়া লান।

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:২২

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: আগোরা'র ৯০০ টাকা কেজি নাশপাতিগুলো বেশি সুস্বাদু নাকি সেটা যাদের ঝোলায় ঢুকছে সেই ইংরেজি বলা আল্ট্রা মডার্ন ছেলেমেয়েগুলো,সেটাও ভাবি। রোজ ২৫০-৩০০ টাকার বার্গার সাঁটানো পাজেরো লেক্সাস হাঁকানো ২১০০ কোটি টাকা চুরি করা তিতাসের কাদের মোল্লার পরিবারবর্গকে গ্রিল করে আমাদের চাল-ডালের বিকল্প হিসেবে চালানো যায় কিনা তাও বিবেচনা থেকে বাদ যায়না।


তীব্র এবং ভীষণ ধারালো ক্ষোভের প্রকাশ ।

তিতাসের কাদের মোল্লাদের মত মনুষ্য অবয়বধারী জানোয়ারদের গ্রিল করে আমাদের চাল-ডালের বিকল্প হিসাবে চালিয়ে দিতে পারলে জাতীর বিরাট উপকার হতো ! বৈপ্লবিক পরিবর্তন হতো সন্দেহ নেই ।

মুশকিল হলো,এইসব জানোয়ারদের গ্রিল করে খাওয়াও যাবে না ! ধর্মে জানোয়ার খাওয়া হারাম !

৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:২৪

নাজিম উদদীন বলেছেন: ছোটবেলায় ওয়াজে শুনেছিলাম, শুকর না করলে আল্লা খিদার ঝোলা লাগাইয়ে দেয়। সারাক্ষণ খিদা লাগে।

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:২৬

পুতুল বলেছেন: এই ক্ষোভ, রাগ, মিইয়ে যাওয়া এবং তার পরে নিজেকে ভাঙা-র চেতনাটাই প্রয়োজন। এখান থেকেই সব কিছুর শুরু। অভ্যস্ত পথে চলতে আমরা সবাই কম বেশী পারদর্শী। অজানা নতুন পথের সন্ধানের আগে, অভ্যস্ত পথটাকে অন্তত একমাত্র পথ মনে না করলে, নতুন পথের সন্ধান কে করে?
আর এই ক্ষোভ, রাগ, মিইয়ে যাওয়া এবং তার পরে নিজেকে ভাঙা-র চেতনাই ধীরে ধীরে অন্তত নতুন পথের সন্ধানী করবে।
পা না বাড়ালে পথ পাওয়া যায়না। বাড়ালে পাওয়া যাবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে আমাদের সমাজের প্রেক্ষীতে নতুন পথের সন্ধান এখনই করা জরুরী। আপনার চিন্তা নিয়ে আপনি আসুন, আমার মনে হয় এখানে অনেক সহযাত্রী পাবেন। আপনার লেখনীটিও তার পক্ষে যথেষ্ট উপযোগী।

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:০৮

মৃম বলেছেন: ফারহান, লেখাটা ভালো লাগলো। খাদ্যের দাম কম বলে যে মার্কিন দেশের একদা পরিচিতি ছিলো সেখানেও খাবারের দাম বেড়েছে গত কয়েক মাসে ২০% ভাগ(সেই সাথে সবার আয় যে ২০% বাড়েনি তা নিজের পকেটের দিকে তাকিয়েই বলতে পারি)। আমার হয়েছে ফুটণ্ত কড়াই বনাম জ্বলন্ত চুলার দশা। প্রাতিষ্ঠাণিক পড়ালেখার এই আখেরি পাট চুকলে একটাকে তো বেছে নিতেই হবে। এ মুহুর্তে বুঝতেছি না কোনটা কড়াই আর কোনটা চুলা হবে আমার জন্য। তাই বলি এই বছরটা আমার জীবনেও জটিল।

১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:৩৭

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: বরিশাল থেকে ঢাকাতে একটা আশ্রয়ের সন্ধানে এসে যে মহিলা ৩ বাচ্চাসহ রাস্তায় বসে তীব্র শীতে কাঁপছিলো আর কাঁদছিলো......
ভাইয়া এত সুন্দর লিখেছেন....জলে চোখ ভিজে গেলো মনের অজান্তে.....। ধন্যবাদ এত সুন্দর লেখার জন্য এবং আপনার সুন্দর মন-মানসিকতার জন্য.....আপনার সাথে একমত।

১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:৩৭

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: প্রিয়'তে রাখলাম।

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:৫৮

কোলাহল বলেছেন: খিদের চোটে মাউস কিবোর্ড খেয়ে ফেলেন না যেন !


+

১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৩৯

মদনবাবু বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।+

১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩৭

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: এত ভালো লেখা ... খুব চমৎকারভাবে প্রকাশ পেল +++++

আপনার নাকি সেরা লেখা নাই!?

১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৩১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: খুব ভালো লেখা।শক্তিশালী লেখনী।
মন ছুঁয়ে গেলো.........
শুভেচ্ছা।

১৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:০৩

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: বিবশ মননের বিবিক্ষা
+++

১৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:২৭

নিবেদীতা বলেছেন: প্রিয়তে রেখে দিলাম

১৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:২৩

খোলাচিঠি বলেছেন: কিছু গুরুত্তপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি খুব মজা করে লিখে ফেললেন। ভাল লাগলো লেখা পড়ে।। মা গুলো মনে হয় একি মতন হয়। আমিও কতবার শুনেছি কপাল গুনে আমি এখন বসে বসে খেয়ে যাচ্ছি , কত মানুষ আছে ক্ষিদে নিয়ে বসে থাকে কিন্তু কপালে ভাত জুটেনা। আপনার লেখাটা পড়ে আমি এখন লজ্জা পাচ্ছি। খাওয়া দাওয়া আমার কাছে একটু ঝামেলা মনে হয়। কিন্তু এর মানে এটা মোটেও নয় আমি খাবারের মর্যাদা বুঝিনা। আমার আরো বেশি লজ্জা লাগে যখন আমি চিন্তা করি আমি এখোনো বাপের হোটেলে ফ্রি খেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এই কথা মা কে বুঝানো যায় না।

আচ্ছা, ২৫০-৩০০ টাকা দিয়ে বার্গার খাওয়ার কোন মানে হয়?

২০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:৫৬

খোলাচিঠি বলেছেন: হা হা

শুধু বার্গার খাওয়াই নয় কিছু ফ্যাশ্নেবল ইংলিশ খাবারের নামও জানতে হবে জাতে উঠতে হলে। যত্তসব আজিরা চিন্তাবাভনায় আজকের পোলাপানের মস্তিষ্ক ভরে গেছে। @ জাতের পাবলিক

কিন্তু একটা কথা ভাবেন, শুধু সামর্থ আছে বলেই কি এত বিলাশিতা দেখাতে হবে?

২১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:০৪

নরাধম বলেছেন: আপনার "ওদের জ্ঞান দাও প্রভু, ওদের ক্ষমা কর" লেখাটা এখনও আমার শোকেসে শোভা পাচ্ছে। অসাধারন লিখেন আপনি। ক্ষিধের জ্বালা আমি জানি। যুক্তরাষ্ট্রে এসে প্রথম দুইদিনই না খেয়ে ছিলাম। কোক আর চিপস খেয়েছিলাম। তাছাড়া প্রতিদিনই একবেলা ভাত খাচ্ছি অনেকদিন থেকে। খিদের কষ্টের মত আর কিছুই নেই।

আপনার লেখাটা মন ছুয়ে গেল।

২২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৫৯

ফারজানা মাহবুবা বলেছেন: কঠিন বাস্তব লিখেছেন!

আমার খুব কাছের একজন মানুষের দশ বছরের ছেলেকে এখনো মুখে তুলে খাওয়ায়ে দেয় ওর মা।তাও ছেলের কত আল্লাদ! এই খাবো না, ঐ খাবোনা! কার্টূন দেখতে দেখতে বালিশে ঠেস দিয়ে খাবে, কত আল্লাদ!
পাশে পানির গ্লাস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সমবয়সী কাজের ছেলে। একদিন কাজের ছেলেটা আনমনে কার্টূন দেখতে দেখতে পানির গ্লাস আগায়ে দিতে দেরী হয়ে গিয়েছিল, সপাটে থাপ্পড়!

আপনার লেখাটা পড়ে সেদিনের কথাটা মনে পড়ে গেল। থাপ্পড় খাওয়া কাজের ছেলেটার চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম অনেক্ষন… ওর চোখের কোনের টলটলে পানি, মুখের ঘৃনার ভাব লুকিয়ে ফেলার আপ্রান চেষ্টা……


নরাধমের মত আমারো অভিজ্ঞতা আছে।
জবের টাকা পাইনা, টিউশন ফি দিয়ে হাত খালি…… দেশে আব্বাম্মাকেও বলতে পারিনা কারন চ্যালেঞ্জ দিয়ে গিয়েছি নিজের পড়ালেখার খরচ নিজেই চালাবো … … আব্বুর সবচে আদুরে মেয়ে এই আমি কী যে কষ্টে দিন কাটিয়েছি……

এ জন্যেই যখন এই পিচ্চি ছেলেটা বালিশে ঠেস দিয়ে কার্টূন দেখতে দেখতে মায়ের হাতের নলা খায়, আর কাজের ছেলেটা পানির গ্লাস আগায়ে দিতে দেরী করে বলে চিতকার করে বলে ‘ওকে আরো একটা মারো আম্মু!’………… সবকিছু এত বেশী অমানুষিক লাগে!

২৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৬

বিহঙ্গ বলেছেন: এতো বেশি খুব অপরাধী হয়ে গেলামরে ভাই।
খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।

২৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:২৭

জিহাদ বলেছেন: সেই রকম।

আপনার এই ব্যাপারগুলা খুব ভাল লাগে।নিজের কথা বলতে বলতে চারপাশের মানুষগুলোর জীবনও কেমন সুন্দর করে জড়িয়ে ফেলেন।

আপনার লিখতে চাওয়ার ক্ষুধা আরো বাড়ুক।এক মাসে একটা,দুইটা মাত্র লিখা।ক্ষিদা লাগেনা??

২৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২৬

হরিসূধন বলেছেন:
অসাধারন।
+

২৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:১৯

তানজিলা হক বলেছেন: মধ্যবিত্ত না পারে সইতে না পারে কিছু কইতে।

অসাধারন লিখছে।

+++++

২৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৩৭

বহুরূপী মহাজন বলেছেন: আমাদের দেশের এই মানুষগুলোর মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। আমি বুঝে পাই না কিভাবে এই না খাওয়া মানুষগুলো চুপকরে বসে বসে দামী কাচের ওপারে কিছু মোটা মানুষের দামী দামী খাবার খাওয়া দেখে! কেন ওরা কেড়ে নেয় না। আমি যতটুকু বুঝি, একটা মানুষ খাবার না পেলে সব কিছু করতে পারে, এমন কি অন্যজনের কাছ থেকে কেড়ে খাওয়াতেও কোন দোষ দেখিনা। যে দেশে সরকার গরীবের টাকায় চলে কিন্তু চুরি করা বড় লোকদের প্রটেকশনদেয় তাদের অবৈধ সম্পদ ভোগ করার জন্য সে দেশের সরকারের আইন মানার কোনই যুক্তি নেই।

আইন একটি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য, তাদের রক্ষার জন্য, তাদের মৌলিক চাহিদাগুলোর নিরাপত্তাবিধানের জন্য। সরকার তাই যদি না পারে তাহলে কিসের সরকার? কিসের সমাজ?

আমাদের দেশের মানুষগুলো এত ঠান্ডা বলেই এখানে কিছু মানুষ এত অন্যায় করে পার পেয়ে যায়।

কিন্তু আমি জানি, আমার যদি কখনো ক্ষিধে লাগে, তাহলে আমি হানা দিয়ে আমার খাবার জোগাড় করবো। এখন যারা না খেয়ে থাকে তাদের সবারই তা করা উচিৎ। তাহলে যদি সরকারের টনক নড়ে!

২৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:৩১

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: যখন নিচু স্বরে বলা বাবার "তেলের প্যাকেট ৪৯০ টাকা হয়ে গেছে" শুনি আর কপালে হালকা দুশ্চিন্তার রেখা দেখি,তখন সামনে রাখা অপছন্দের ভাজিটাও অনেক বেশি দামী মনে হয়,চেটেপুটে শেষ করে দিই,তা-ও তো পাচ্ছি আমি,বাপের ঘাড়ে বসে বসে,দিন আনে দিন খায় মানুষগুলো কোথায় যাচ্ছে? পরের দিনের খাবারটার অনিশ্চয়তা থাকলেই বুঝি মানুষের রুচি এভাবে বেড়ে যায়!

ভালো লাগার.. মন ছোঁয়ার মতন কিছু গোপন বেদনার কথা বলেছেন... + প্রিয় ।

২৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:৫৯

নিলা বলেছেন: মধ্যবত্তি পরিবারে বড় হয়েছি, তবুও আদর আর আহ্লাদের কমতি ছিলো না।
খাবার জিনিসটা সব সময় আমার অপছন্দের ছিলো। এটা ভালো লাগে না, ওটা খাবো না.....এটা পচা খাবার....আরো হাবিজাবি কথা।
আমাদের চার ভাই বোনদের খাওয়ানোর জন্য মা সারাক্ষন বসে থাকতেন, কে কোনটা খাবে, কে কোনটা পছন্দ করবে.....এই নিয়ে মার ভাবনার শেষ নেই। ক্ষিদে জিনিসটা কখনো টের পাইনি। ছোট বেলায় মাকে বলতাম "আম্মু ক্ষিদে পায় কিভাবে?"
হাস্যকর!

আমার আশেপাশে অনেকে আছে যারা আমার মত খাবার নিয়ে অন্যায় আবদার করবে না.....যাই পাবে তাই তারা তৃপ্তি নিয়ে খেলে ফেলবে।
ওদের ত তিন বেলা খাবার জোগাড় করাই কষ্টকর!
আপনার লেখাটা পড়ে, নিজেকে অনেক ক্ষানি অপরাধী লাগছে।

ভালো লাগলো খুব, খুব, খুব

৩০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

ইয়াহইয়া ফজল বলেছেন: দীর্ঘ পোস্ট। তবে ভালো লেগেছে।

৩১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৫৮

প্রণব আচার্য্য বলেছেন: ভালো লাগল+

৩২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৫৮

দেবদারু বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর আবেগী এই পোস্টটির জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই................. ++ এর চাইতে অনেক বেশি কিছু.........

৩৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:৪০

সোনার বাংলা বলেছেন:

খিদে আমার অনেক খিদে লাগছে.........

অসাধারন মন্তব্য করেছেন ফারজানা মাহবুবা।
+

৩৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:০৫

আবূসামীহা বলেছেন: আমি খেতে বসে অনেক সময় চোখের নোনা পানির স্বাদ গ্রহন করি, যখন এদের কথা ভাবি।

অসাধারণ হয়েছে।

৩৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬:৫৮

মুনিয়া বলেছেন:
খুব ভাল লিখেছেন। আপনার দৃষ্টি তো অন্তর্ভেদী...
তবে না খাওয়াদের খিদে বাড়াটার সাথে আবহাওয়ার যোগ আছে কিনা ভাবছি। আমার যে দোস্তটা খাওয়ার চেহারা দেখলেই বিরক্ত হয়, আজকাল তারও নাকি খিদে লাগে। কিছুটা মোটাও হয়েছে খেয়ে খেয়ে!
আর আমি কি বলব... অটোক্যাড এ প্ল্যান আঁকছি আর ৫ নম্বর ক্যাডবেরি টা সাবাড় করে আপনার লেখাটা পড়লাম। টনক নড়ার পর প্যাকেট রেখে এসেছি।
আসলে নিজের কাছেও অপরাধী লাগে অনেকসময়। এজন্য চিন্তাগুলো চাপা দিয়ে রাখি। ডিজুস দোস্তদের সাথে আড্ডা অথবা আর্কিটেকচারের আঁতলামোর ফাঁকে চার পাঁচ বয়সী অভুক্ত শিশুগুলোর মরিয়া হয়ে ভিক্ষা আদায়ের চেষ্টা নিয়ে হাসি-ঠাট্টাও হয়ে যায়।
আপনার লেখাটা পড়ে একটা বড় ধাক্কা খেলাম। অনেকদিন এসব নিয়ে ভাবি না....
প্রিয় পোস্টে নিলাম।

৩৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

বাঙাল যুবক বলেছেন: বাসের জানালার পাশে ১০ বছরের ছেলেটা দাঁড়িয়ে। টাকা চাচ্ছে খুব কাকুতি-মিনতি করে।
কিছুক্ষণ আগে পঙ্গু ভিক্ষুকটাকে দিয়েছি। ছেলেটাকে বলতেও পারছিনা পকেটে টাকা নাই, ভাংতি নাই। বাজারে সব খেয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে তাকিয়ে থাকি।

আর এভাবে অন্যদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে আমাদের ক্ষুধা আরো বেড়ে গেছে।

লেখাটা খুব শক্তিশালী।

৩৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:৫৮

হৃদছায়া বলেছেন: সুন্দর লেখা, লেখাটার উপলব্ধি কষ্টের
আসলে আমরা খুব স্বার্থপর, দেখি, শুনি, বুঝি..কিন্তু কিছু করিনা। যাদের করার মত সামর্থ্য আছে, তারাও কিছু করেনা। কেউ একজন এসে সব ঠিকঠাক করে দেবে ভেবে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকি।এই যে, আপনার লেখাটা পড়লাম, বুঝলাম, খারাপ লাগলো, কিন্তু কি করছি...কিছুই না.......

৩৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সবচেয়ে বেশি অপরাধী লাগে যখন কিছুই না করে আবার নিজের ভাতের থালাটা আরামে শেষ করে ঢেঁকুর তুলে ওদের কথা ভুলে যাই,এভাবেই তো চালাচ্ছি।

৩৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪৬

রুকনুজ্জামান বলেছেন: amar pc te ajob karone bangla astese na.phonetic use korar poreu, tai english okhor babohar kolam

lekha tor oshadhoron hoese.kintu chaileu j tui khaite parbi na ta to janos(karonta koilam na).
tor lekha porte gia amar khida laiga gese.dekhi kisu ase kina.

৪০| ০৩ রা মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০৫

খোলাচিঠি বলেছেন: কুশল-বিনিময় করতে আসলাম। ভাল আছেন?

৪১| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:০০

দেবদারু বলেছেন: @ফারহান ভাই, একটা অনুরোধ (পুনঃঅনুরোধ বলাই বোধহয় ঠিক হবে) নিয়ে আপনার এই পোস্টটিতে ঢুকলাম। মননভূমি থেকে আমি অব্যহতি চেয়েছিলাম এবং আপনিও তা কার্যকর করার আশ্বাস আমায় দিয়েছিলেন। হয়তো আপনি ব্যস্ত বলে এই বিষয়টা নিয়ে আর মনোসংযোগ দিতে পারেন নি। আমি চাইছি না মননভূমির সদস্য লিস্টে দেবদারু নামটি দেখাক, কিংবা দেবদারু ব্লগে আমার গ্রুপসমূহ লিস্টে মননভূমি নামটি দেখাক। কষ্ট করে সমস্যাটির সমাধান করে দিলে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো.........

আমি লেখা কম পড়ি- ব্লগে কবিতার দিকেই ঝোঁক বেশি আমার। আপনার লেখা তো ভালো হয়-ই, তবু আপনার কবিতার পানেই চোখ পেতে রাখি। অচিরেই পাবো নিশ্চয়.........

৪২| ১০ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:০৮

ফেরারী ফেরদৌস বলেছেন: ভাল লিখেছেন - সে তো অনেকেই বললো।

খাই খাই স্বভাবের আমাদের রাজনীতিবিদদের মত হয়ে না গেলেই বেঁচে যাই। ক্ষুধা যেন পরিমিত থাকে।

৪৩| ১৪ ই মে, ২০০৮ ভোর ৪:২৩

ফেরারী ফেরদৌস বলেছেন: জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে মানচিত্রটাও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেলে বিস্মিত হবো না! হাহাহা।

৪৪| ০৮ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:১৭

ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন: এক ব্লগার বন্ধুর "প্রিয়" থেকে পড়লাম লেখাটা, পড়ে মনে হলো আগেই পড়া উচিত ছিল! অনুশোচনা বা ক্ষোভের প্রকাশটা খুব বেশি ভাল এসেছে লেখায় !!! নাড়া দেয়া লেখা...শুধু আপনি-ই না পোস্টটা পড়ার পর সবার বিবেক একবার ভাববে...তাইতো! আমরা এতো খাই-খাই স্বাভাবের কেনো ??! ভাল থাকুন সবসময় !!!

৪৫| ০৮ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:১৭

ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন: **স্বভাবের**

৪৬| ০৯ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:১৯

তানজু রাহমান বলেছেন: দারুন পোস্ট দিসেন ভাই। আজকে দেখলাম।

৪৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৩১

|জনারন্যে নিসংঙগ পথিক| বলেছেন: ফারহান, আপনার লেখাটা পড়েই লগইন করলাম। কি আর বলবো, নিজে খাটুনি দিয়ে পরিশ্রম করে ও পেটপুরে খেয়ে ভয়ংকর লজ্জাবোধ হয়।

গত সপ্তাহে উত্তরার একটা সাইটে গেলাম, প্রায় পঁচিশজনের মতো শ্রমিক আমাদের মিলিয়ন ইউরো'র ইক্যুইপমেন্ট লোকেট করছিলো। প্রথম দিন , দুপুর এগারোটা বাজে - তাই নিজের টাকাতেই কিছু নাস্তা আনালাম , সবাই বসে খাবো। তেমন কিছু না - একটা সন্দেশ , একটা সমুচা , একটা সিঙ্গারা।

ওদের খাবার ভংগি দেখেই সন্দেহ হলো, বুড়োমত একজনকে চাচা ডেকে টেকে যা শুনলাম তাতে আমার হাতের সিঙ্গারা হাতেই থেকে গেলো।

অধিকাংশ শ্রমিক এখন সকালে দুই-তিনটা বিস্কিট আর পানি খেয়ে বের হয়, চাচা ওইদিন সকালে তাও খান নাই।

এতো কিছু লিখার মানে হচ্ছে, কাল থেকে তো ওই সাইটে যাবো আবার আগামী এক সপ্তাহ, নাস্তা করেই যাবো নিশ্চয়ই ; ঐ মুখ গুলোর সামনে দাঁড়াবো কীভাবে, যারা একদিনে যে শারীরিক পরিশ্রম করছে যা করলে আমি দশদিনে লাশ হয়ে যেতাম?


লেখক বলেছেন: অলস ছেলে,মাঝে মাঝে নিজের ভাবনাহীনতা দেখে খুব ভয় লাগে,এত স্বার্থপর আমি,কি পেলাম না এই ভেবেই জীবন শেষ,আরো কতজন আমার মতও পাচ্ছেনা ফিরেও দেখি না।

৪৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৮

জনৈক আরাফাত বলেছেন: শুধুমাত্র আবেগের চালাচালি থেকে আমরা কবে বের হতে পারবো, ফারহান?

অফটপিকঃ লেখাকে খারাপ বলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছি না।

৪৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৫৫

অদ্ভুতুড়ে বলেছেন: এ জগতে হায়, সেই বেশি চায়, যার আছে ভুরিভুরি;
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গালের ধন চুরি ...


ভাল লেখা

৫০| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩২

টংকেশ্বরী বলেছেন: সত্যি খুব ভালো লেখা