![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্বীপ সরকার। জন্মঃ ১লা মার্চ ১৯৮১ ইং। গ্রাম-গয়নাকুড়ি। বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা। পিতা-মৃত হাবিবুর রহমান। মাতা-আলহাজ্ব আছিয়া বিবি। মুসলিম পরিবারে জন্ম। গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন ১৯৯৯ ইং। সম্পাদিত লিটেল ম্যাগ, কুয়াশা। প্রকাশিত বই ৫টি। ভিন্নভাষার গোলাপজল ২০১৮। ডারউইনের মুরিদ হবো ২০১৯। ফিনিক্স পাখির ডানা ২০২০। জখমগুচ্ছ ২০২৩। বুবুন শহরের গল্প ২০২৪। https://mkuasha.blogspot.com/2025/03/kuasha.html
আমরা বিংশ শতাব্দীতে প্রগতির কথা বলছি।
অবিনাশি উন্নতি,মানবতা,মানুষের চৈতন্যবোধ সব।
অথচ অনাহারের গল্পোটা এখন তথাকথিত।
নেতা,নেত্রী,সমাজপতি, শান্তিকামী
পক্ষের মানুষ ,এনজিও,বিত্তশীল
সকলে মহানুভবতার পক্ষে মাইক ধরে।
অহেতুক চিৎকারে উন্নতির ছবক শুনিঃ
কেউ না খেয়ে মরেনা -কেউ না খেয়ে মরেনি।
এই সব গাজাখুরি গল্পো আমার দেখা আছে।
এদেশে নাকি ভিক্ষাবৃত্তি চুলায় দিয়েছে,
আজ সকালে যা দেখলাম-
নিছক ডেভেলপমেন্টারীর পরাজয়।
"এ্যঁনা ভাত দাও মা, দুই দিন কিছু খাইনি,,
ভিক্ষকতা! হাত পেতে তাকদীর গুনে চলা।
এদেশে ছকিনারা তবুও বেঁচে আছে।
কুঁজে, কুঁকড়ে যাওয়া ষোড়সী রমনী।
অসংখ্য অধিকার বিধৌত করে ছকিনার ঘাম।
এক মুঠো ভাত অপভ্রংশ হয়না তার চিতায়,
ন্যাকরা পরিহিত লজ্জাগুল্ম।
পিতার অনাহারি পিঠে ছকিনা কুঁকড়ে থাকে।
ভাত, বস্ত্র,চিকিৎসা মৌলিক অধিকার
ছকিনাদের গ্রাহ্য করেনা।
অবহেলার রক্ত গজায় স্বপ্নে,
ঘৃনিত মাংশে তাচ্ছিল্যের বিড়ম্বনা।
ছকিনার বাপের কপাল ভালো-
চেয়ে খেয়ে অস্তিত্বের সমরে জিতে
যাওয়া ছকিনা ও তার বাপ,
এই বিংশ শতাব্দীতে কারো স্বপ্নের
বেঁচে থাকা নিরব স্বাক্ষী থাকে থাক।
আমরা মানুষ অযথাই প্রগতির সুর তুলে গলা বাজায়।
©somewhere in net ltd.