নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার বক্ষ জুড়ে মনের বসতি \nমনটা শুধুই প্রজাপতি....

দ্বীপ ১৭৯২

জন্মঃ ১লা মার্চ ১৯৮১ ইং। গ্রাম-গয়নাকুড়ি। বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা। পিতা-মৃত হাবিবুর রহমান। মাতা-আলহাজ্বআছিয়া বিবি। মুসলিম পরিবারে জন্ম। গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন ১৯৯৯ ইং। আমার সম্পাদিত লিটেল ম্যাগ‌ কুয়াশা।

দ্বীপ ১৭৯২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় সিরিয়াল গ্রাস করেছে বাংলাদেশের নারী সমাজ ( পর্ব -১)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

ভারতীয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং বিভিন্ন সিরিজ বাংলাদেশের নারী সমাজের মাথামুন্ড নষ্ট করে দিয়েছে।
চাই পাড়া গাওঁ অথবা শহরের নারী।
আমার এলাকার এবং গ্রামের নারীদের তো আমি তাই দেখি। যত দুর জানি ও বুঝি গোটা দেশের মহিলাদের রুচি ইদানিং এক সুতোয় মিলেছে। তারা দিনের বারো ঘন্টার মধ্যে সাত আট  ঘন্টা ভারতের টিভি ও সিরিজ দেখে এবং তাতেই ওরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
আমার গড়পরতা অনুমান এদেশের ৮০% থেকে ৮৫% মহিলা ভারতীয় স্যাটেলাইট দেখে এবং দিন রাত তারা বিভিন্ন সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটায়।
মহিলাগন কাজের ফাঁকে সামান্য ফুরসুত পেলেই রিমোট নিয়ে বসে। স্টারজলসা,জিবাংলা,ইটিভি বাংলা,জলসামুভিজ,সনিআট,সঙ্গিত বাংলা। এই সব চ্যানেলের কোন না কোনটাতে চোখ লাগিয়ে ধ্যান মনে উপভোগ করে স্বপ্নের সিরিজগুলো।
এমনি কি গ্রামের আট দশজন মহিলারা যখন কোন জায়গায় একত্রিত হয় সেখানেও ওইসব সিরিজের দৈনন্দিন আপডেট খবর আলোচিত হয়। কারটা কেমন লাগলো তা নিয়ে হাসাহাসি, মাতামাতি চলে বেশ। জাস্ট কম্পিটিশনের মত তারা বিভিন্ন ঘটনা স্মৃতিস্থিত করে রাখে। এমন কথাও মেয়েদের মুখে শোনা যায় তারা নাকি রাতে স্বপ্নেও ওই সব অনুষ্ঠানের পুনরাবৃত্তি দেখে থাকে। সব চেয়ে পরিচিত এবং জনপ্রিয় যে সমস্ত টিভি ও সিরিজ দেখে থাকেন তা হলো স্টারজলসা,য় বোঝেনা সে বোঝেনা সিরিজে অরণ্য ঘোষ আর পাখির মধ্যে প্রেমের দোলাচলে পাওয়া না পাওয়ার হতাশা। উথালি পাথালি প্রেম।  কিরন মালা সিরিজে কটকটি রাণীর যাদুর কেরামতি। আঁচল সিরিজে টুসু ও কুষ এর বিরহ বিচ্ছেদের টানাপোড়েন।
জিবাংলা,য রাশি সিরিজে উজ্জল আর রাশির বিচ্ছেদ, মান অভিমানের খুনসুটি। দর্শক মহোদয়গন সারাক্ষনই এই চ্যানেল গুলোই ঘুরে ফিরে দেখেন।
একটা পর্ব শেষ হলে অন্য পর্বের জন্য অপেক্ষা করে থাকে চাতকের মত। মাঝে মধ্যে কি সব আনন্দ পায় বলে অনুমান করা যায়। হাত নাড়িয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে ইশারায় আনন্দ প্রকাশ করে। মধ্যে মিশেলে উঠে আবার টিভির নিকটে গিয়ে পারলে তো টিভির ভেতরে ঢুকে নিজেকে মিশিয়ে দেয়।  কি সব আনন্দ ও উৎফুল্লতা ওদের চোখে মুখে হাসিতে। স্বামী কখন অফিসে যাবে, কি তার প্রয়োজন। এই খেয়ালের চেয়ে সিরিয়ালের দিকে মনযোগটা অনেক বেশি। হঠাৎ যদি কোন পর্ব মিস হয়ে যায় ফের। মনে হয় বড় জবাবদিহিতায় পড়ে যাবে।

কাজ শেষে সন্ধ্যায় ঘরে ফির দরোজায় পা দিতেই  কানে ভেসে আসে হিন্দুদের উলু ধ্বনি। পুজো অথবা কোন শ্রাদ্ধের উলু ধ্বনি। আবার সকালে অফিস বা অন্য কর্মে যাবার সময়ও বেশ একই অবস্থা। তার মানে আমাদের মুসলমানদের ঘর দোরেও প্রতিদিন প্রতি মহুর্তে হিন্দুদের ধর্মীয় কালচারে মুখরিত হয়ে থাকে। আমাদের ইসলামিক শরীয়ত মতে হিসাব করলে ঘরে ফেরেস্তা থাকবার যৌক্তিকতা কতটুকু সেটাই প্রশ্ন । সকাল থেকে রাতে ঘুমে যাবার পূর্ব পর্যন্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কপালে তিলক,সিঁদুর, ধূতী ইত্যাদি দেখেই শেষ হয় দিনের।
আমাদের দেশীয় নাটক বা সিরিজ থেকে ভারতীয় সিরিজে একটা আলাদা বিষয় পরিলক্ষিত হয়।
আর তা হলো অধিকাংশ সিরিজে বিয়ের পরেও পরকিয়া প্রেম। ঘরে স্ত্রী উপস্থিত থাকার পরেও অন্যের আসক্তি এবং প্রেমে মাতামাতি দেখা যায়। যা আমাদের এই অঞ্চলের বাঙ্গালী নারীদের জন্য মন্দের দিক বটে। ইতিমধ্যে এর ক্রিয়া আমাদের নারীদের মধ্যে নতুন ধারার সুত্রপাত ঘটছে দৈনন্দিন। বেপরোয়া হয়ে উঠছে আমাদের এখানকার নারী সমাজ। অতি স্টাইলিস ভাবে নিজেদের গড়িয়ে তুলছে। স্বামীকে স্ত্রী মানছেনা। স্কুল  কলেজ পড়ুয়া মেয়েরা না  তোয়াক্কা করছে বাবার শাসনের। না তোয়াক্কা করছে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় নিজেদের জীবনের। কারন তাদের কচি মনে যা ধরে নিচ্ছে সেটাই শিখছে।
সেটার দিকেই মন ছুটছে । অল্প বয়সে উদাস হয়ে পড়ছে। প্রেম ভালোবাসার জন্য পাগলু হয়ে পড়ছে কচি মন। আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের পিছনে এইসব চ্যানেলের কুপ্রভাব রয়েছে। নারীদের অবক্ষয় ঘটছে একই কারনে।
এটা অধুনাকালের সকল কবি সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজিবীগন মানছেন যে ভারতীয় কিছু টিভিগুলো আমাদের জন্য অকল্যানকর। এটা আমাদের জন্য অতিব ভয়নক দিক বটে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

সোহানী বলেছেন: সহমত এবং প্রতিবাদ করছি এসব চ্যানেল এর প্রচারে। কিন্তু আপনার বা আমার মতো কিছু লোকই শুধু চিৎকার করছি। সুসীল সমাজ নিরব কেন??? কারন ও পারের দাদারা তাতে অখুশি হবেন।

এগিয়ে চলেন...... সব সময় এ প্রতিবাদের সাথে আছি।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

মাসুদুর রহমান রানা বলেছেন: আমি তো আর চ্যানেল বন্ধ করতে পারব না। তাই মাঝে মাঝে মনে হয় টিভি টাই ভাইঙ্গা ফালাই ।

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের এতগুলো চ্যানেল! এত এত নির্শাতা.. এর মাঝে কি যোগ্য কেউ নেই!!!!!

সেই অয়োময়, এইসব দিনরাত্রির মতো সিরিয়াল দিয়ে বাঙালীকে নিজের ঘরে ফেরানোর!!!

কিছূ আতেল বলে- আরে তাদের সিরিয়াল স্টেরিও টাইপ.. ফালতু...

তারা মূলত দর্শক চাহিদা বুঝতেই পারে না। ফালতু হল ৭০-৮০ ভাগ মহিলার জ্ঞান, বোধ, পছন্দ সবই ফালতু হয়ে যায়!!
কিছূতো একটা আছৈ- যা তারা ধরতে পেরছে আমাদের নির্শাতারা বুঝতে পারছে না!

চ্যানেল মালিকদের, নির্শাতাদের যদি বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম থাকে এ বিষয়ে জোর পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত।

প্রয়োজনে নির্শাতা সার্চ দা খো*জ লাগানো হোক। সারা দেশে থেকে সেরা পান্ডুলিপি বাছাই করে - তার উপরে কাজ করা হোক।

বাঁচাও নারী সমাজ !!! বাঁচাও সংস্কৃতি!!! বাঁচাও দেশ!

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

দ্বীপ ১৭৯২ বলেছেন: ভাই সকলকেই ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.