![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমুদে কিছু সিনিয়র থাকেন, যারা গল্পচ্ছলে চমৎকার সব অভিজ্ঞতা আর বাস্তবতা শেয়ার করেন। জুনিয়রেরা চোখ বড়বড় করে সেসব গল্প শুনে কখনও শিউরে ওঠে, কখনও রিরি করে ওঠে, কখনও হাসিতে ফেটে পরে, আর কখনও কখনও ব্যক্তিগত জীবনে সেইসব গপ্পের শিক্ষা কাজে লাগাবার চেস্টা করে।
আমি সেকেন্ড লেফট্যানান্ট থাকা অবস্থায় তেমনি এক গল্প শুনলাম। শুনলাম কোন এক ইউএস আর্মি অফিসার নাকি তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের টুকিটাকি ঘটনা আর উপলব্ধি পেন্সিল দিয়ে ছোট ছোট কার্ডে টুকে রাখতেন, আর কার্ডগুলো একটা জুতার বাক্সে জমাতেন। পরে অবসর জীবনে সেই জুতার বাক্স হাতড়ে তিনি 'ফলো মি' আর 'হোয়াট জেনারেলস মেড অফ' টাইপের হালিখানেক বই লিখে ফেললেন।
নব্য লেফট্যানান্টরা ষোড়শী প্রেমিকাদের মত, যথেষট যাচাই বাছাই না করেই, স্রেফ ভাল লাগলেই প্রভাবিত হয়ে পরে। যথারীতি আমার ব্যাটম্যান আমার ফরমায়েশ মোতাবেক বাটা অক্সফোর্ড ব্ল্যাক স্যু এর একটা খালি বাক্স পয়দা করে ফেলল। আমি নিজে কাঁচি নিয়ে বসে যত্ন করে চারকোনা কাগজ কেটে বাক্সে ভরে রাখলাম। তারপর আসলেই এক দুই পাতা করে টুকে রাখতাম। সকালের পিটিতে, অফিসে, বিকেলের গেমসে, এক্সারসাইজে আর নানান অকেশনে নানান আড্ডায় শোনা এটা সেটা টুকে রাখা আরকি। সেই জুতার বাক্সের টুকরা টুকরা চিট জোড়া দিয়েই কাজ করিবার বিবিধ তরিকা খুঁজে পেলাম।
জনৈকের মতে ABCD পদ্ধতির চে মোক্ষম আর কিছুই নাই।
A তে এভয়েড। মানে বস কোন কাজ চাপিয়ে দেবার চেস্টা করতেই আপনি অন্য কোন হাতের কাজের দোহাই দিয়ে কেটে পড়ুন। এই পদ্ধতিতে আপনি খুব দ্রুত নিজেকে একটা সেলফিস কামচোরা হিসেবে ব্র্যান্ডেড করে ফেলতে পারবেন। স্বভাবতই বস আপনার ওপর কিঞ্চিত নাখোশ হওারই কথা।
B তে বাইপাস। মানে এভয়েড করতে গিয়াও লাভ হয়নি। সো এবার আপনার কোন এক কলিগের এই কাজে অভিজ্ঞতার কথা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বসকে জানান এবং বসকে কনভিন্স করে কাজটা সেই বেচারার উপর দিব্যি গছিয়ে দিন। বসেরা সবসময় বেস্ট আউটপুটই প্রেফার করবেন। সো আপনি খালাস। অবশ্য এক্ষেত্রে বছর শেষে পারফরম্যান্স রিপোর্ট দেখে হতাশ হতে পারেন, কারন বসেরা অন্ধ নন।
C তে ক্যাচ সাম ওয়ান। মানে বাইপাসেও যেহেতু লাভ হল না, এবার কাজটা বসের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে জুনিয়র কাউকে ধরিয়ে দিন। আরেকটু স্মার্ট হলে কাজটা ভাগ বটোয়ারা করে দিন। ব্যাপারটা বস ধরতে না পারলে নো প্রবলেম, কিন্তু কেঁচে গেলে সব দায় কিন্তু আপনার একার।
D তে ড্যাম ইট ডু ইট। মানে উপরের কোন উপায়েই কাজ না হলে এবার নিজেই ঝাঁপিয়ে পড়ুন আর কাজটা করে ফেলুন। এই পদ্ধতিটাই সেইফেস্ট। কারন কাজটা আপনার পারার কথা বলেই আপনাকে করতে বলা হচ্ছে, তাই ডান বাম না ভেবে করে ফেলাই ভাল।
অবশ্য অন্য আরেকজনের মতে মানুষের কাজের তরিকা নাকি ৩টা
DOING, BUT NOT SHOWING
SHOWING, BUT NOT DOING
DOING AND LET OTHERS KNOW WHAT U R DOING
উপরের ৩ন নম্বরটা বেটার মনে হচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি লিডার হন তাহলে ভিন্ন কথা। কে যেন বলেছেন, লিডাররা ভিন্ন কিছু করেন না, বরং ভিন্ন ভাবে কাজ করেন।
কাজ আপনি ক্যারিশমাটিক ওয়েতে করতে পারেন, মানে বস যে কাজই দেবে আপনি নিজে বসে কাজটা করিয়ে নেবেন, আর আপনার এবসেন্সে কাজ বন্ধ। অথবা আপনি সিস্টেম আর স্টাফদের ডেভেলপ করে নিয়ে কাজ করতে পারেন, যেন আপনার সাময়িক অনুপস্থিতিতেও কাজ থেমে না থাকে।
ফাইনালি স্বপ্ন নিয়ে একটু বলে যাই, কারন স্বপ্ন পূরনের জন্যই তো এতো কাজ করা। ঘুমিয়ে যা দেখি তা নাকি স্বপ্ন নয়, বরং যা ভেবে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়, তাই নাকি স্বপ্ন!
ইউ হ্যাভ আ ড্রীম, ইটস ওকে। ডু ইউ ফলো ইউর ড্রীম? ইফ ইউ সে ইয়েস ইউ ফলো ইট, দ্যাটস নট ইনাফ। বিকজ...
ডুয়ারস ডোন্ট ফলো দেয়ার ড্রীমস, দে জাস্ট চেইজ ইট।
চিয়ার্স
পুনশ্চঃ
বিষয়োক্ত জুতার বাক্সখানি একদা পোস্টিং এর লোডিং এর সময় জনৈক রানার ভাই অতি উস্তাদি করিয়া বাতিল মাল ভাবিয়া ফেলিয়া দিয়াছে। বদলির চাকরি তো...
০১ লা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
ডি এইচ খান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
রাতুলবিডি৪ বলেছেন: +++++++++
০১ লা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
ডি এইচ খান বলেছেন: ওয়াও!!!
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
মুদ্দাকির বলেছেন: ভালো লাগল +++
০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালো লাগলো +++
আচ্ছা E টাইপ কিছু নাই ভাই, যার সারমর্ম হল Exit Easily
০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
ডি এইচ খান বলেছেন: হা হা হা
৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৯
কাফি বিডি বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৪
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: উপভোগ্য একটি পোস্ট