![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ৩ সেপ্টেম্বর নরেন্দ্র মোদীর ভিয়েতনাম সফরের সময়ই কিছুটা বুঝা গেছে ভারত ভিয়েতনামে নৌঘাঁটি স্থাপনের ফিকিরে আছে। হিন্দ মহাসাগর ও মালাক্কা প্রণালী হয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সাথে টেক্কা দিতে ভারতের জন্য ভিয়েতনামে ঘাঁটি স্থাপন করা জরুরী। ভিয়েতনাম ছাড়া ইন্দোচীনে ঘাঁটি করার মতো কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক স্থানের বিকল্প ভারতের সামনে নেই বলেই দেশটি ঝুঁকি নিয়ে চীনের সাথে অভিন্ন সীমান্তের অধিকারী কমিউনিস্ট ভাবাপন্ন ভিয়েতনামের দ্বারস্থ হয়েছে।
তবে ভারত যদি ভিয়েতনামে ঘাঁটি স্থাপনে এগিয়ে যায়, তবে তা চীনের জন্য বিরাট শিরঃপীড়ার বিষয় হয়ে যাবে। নিজের তলপেটের তলে বৈরি একটি সামরিক ঘাঁটি চীনকে মরিয়া হয়ে ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারে। আর সরাসরি যুদ্ধ না হলেও এই নৌঘাঁটিকে কেন্দ্র করে চীন-ভারত দ্বৈরথের ভরকেন্দ্র আর কোথাও নয়, চলে আসবে উত্তরপূর্ব ভারতে। চীন উত্তরপূর্ব ভারতের স্বাধীনতাকামীদের যেমন অকাতরে সাহায্য দেয়া শুরু করবে, তেমনি ভারতও চাইবে মরিয়া হয়ে তা ঠেকাতে।
এই সময়ে আসবে বাংলাদেশের কাজ। ভারত চাইবে স্বল্প সময়ে বেনাপোল থেকে তামাবিল হয়ে সোজা পথে সেনা সঞ্চালনা করতে। কারণ শিলিগুড়ি করিডোর ঘুরে সৈন্য সঞ্চালনায় ভারতের টাকা ও সবচেয়ে মহার্ঘ বস্তু সময়ের বিরাট অপচয় ঘটবে। মোটকথা, ভারতের পক্ষে ঘুরপথে যুদ্ধবিগ্রহ করা পোষাবে না। ফলে ভারত মরিয়া হয়েই বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সৈন্য সঞ্চালনা করতে চাইবে।
উত্তরপূর্ব ভারতের এই সম্ভাব্য গোলযোগে অপরিহার্য অংশ হলেও এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষে চাইলেও 'প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড' টাইপের ছ্যাবলামি দেখানো সম্ভব নয়। বাংলাদেশকে একটি পক্ষ নিতেই হবে। বাংলাদেশের নিরপেক্ষ হওয়াও সম্ভব হবেনা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ যদি নিজের ভূখণ্ডে বিদেশী সৈন্য প্রবেশ না করতে দেয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর হয়, তবে তা প্রকারান্তরে চীনের পক্ষে যাবে। এটাই বাংলাদেশের সাথে চীনের মৈত্রীর অপরিহার্যতা।
আর বাংলাদেশ যদি এই সংঘাতে নিরপেক্ষতার নীতিও ঘোষণা করে, সঙ্গত কারণে তখনও এই দেশকে একটি সম্ভাব্য ভারতীয় সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। অর্থাৎ উত্তরপূর্ব ভারতে সংঘাতে বাংলাদেশ সরাসরি চীনের পক্ষে গেলেও যা, নিরপেক্ষ থাকলেও তা। এবং এই নিরপেক্ষতা শান্তির পথে নয়, বরং সমর শক্তির দ্বারা নিশ্চিত করার প্রস্তুতি রাখতে হবে বাংলাকে।
আর এটাই সম্ভবত ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর উদ্দেশ্য! দেশের উত্তর ও দক্ষিণে সমর শক্তি বাড়ানো, সংরক্ষিত বনভূমি, আর ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণের ঝক্কির তোয়াক্কা না করে স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনে নতুন নতুন সেনা ছাউনি স্থাপন, দূরপাল্লার তোপ, রাডার, আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা স্থাপনের নতুন নতুন প্রয়াসের পেছনে হয়তো সমরবিদরা এটাই ভেবেছেন! একইভাবে এই সংঘাতের সময় আরোপিত সম্ভাব্য নৌ অবরোধ এড়িয়ে মালাক্কা প্রণালী পর্যন্ত পথ নিজেদের বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের জন্য খোলা রাখতে আনা হচ্ছে ডুবোজাহাজ, হাই এন্ডুরেন্স রণতরী, জঙ্গিবিমানসহ স্বতন্ত্র ন্যাভাল এয়ার উইং। অপরদিকে একই কারণে পশ্চিমবঙ্গের বদ্বীপ ও মোহনা এলাকায় নতুন নতুন স্থাপনা গড়ার কাজে হাত দিয়েছে ভারত।
যা লিখলাম, তা আমার বিচ্ছিন্ন কল্পনা নয়, বরং একটি সম্ভাব্যতার পিঠে আরেকটি নিশ্চিত সম্ভাব্যতার কথাই লিখেছি আমি। বাকিটা এলাহি ভরসা...!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
একজন দেশপ্রেমীক বলেছেন: ইউ আর রাইট! অতিরিক্ত ভারত প্রীতি বাংলাদেশের জন্য সুফল বয়ে আনবেনা।
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫১
একজন দেশপ্রেমীক বলেছেন: এক্সাক্টলি!
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩২
শামচুল হক বলেছেন: হেনা ভাইয়ের সাথে সহমত।
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৪
ইমরান আশফাক বলেছেন: ভারত-চীন কখনো যুদ্ধে জড়াবে না, দুইজনেই খুব সুরুট মাল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১
রুপালী কাবিন বলেছেন: বাংলাদেশ ইচ্ছা করলে চীন ও ভারত উভয়কেই নাকি দড়ি দিয়ে ঘুরাতে পারে। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ সরকার অতিমাত্রায় ভারতের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে যা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর। কারন বাস্তবতা হচ্ছে আগামী দিনের সুপার পাওয়ার চীনই হতে যাচ্ছে।