![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জানবিবিবে যখন ছিলাম, তখন অাভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা বেশিরভাগ সময়ই স্বাভাবিক থাকতো। বিশেষত ছিনতাইয়ের মতো রাহাজানি ঘটতো যখন লাঠিয়াল রাজনীতিতে কোন পটপরিবর্তন আসন্ন হতো। সেই সময়টায় সাধারণ ছাত্ররা প্রায়ই ছিনতাইয়ের শিকার হতো।
সরহদে এদেশের সীমান্তরক্ষীদের বন্দুকের নল মাটির দিকে নেমে যাবার পর থেকে ভারতীয়দের বন্ধুত্বপূর্ণ বাজি-পটকার বিস্ফোরণে পূর্ববঙ্গের বাঙ্গাল মোচলমানদের মৃত্যুর মিছিল অবশ্য নিয়মিতই বের হয়। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সীমান্তে লাশ পড়ার ফ্রিকোয়েন্সি খানিকটা গতি পায়।
গত কয়দিন সীমান্ত থেকে মৃত্যুর খবর তেমন আসেনি। কিন্তু কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে পাক-ভারত উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবার পর দুই দিনে কয়েকজন মোচলমানের মৃত্যু হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম সরহদে। এটা স্পষ্ট যে, এসব মৃত্যু আসলে একেকটি গুঢ় বার্তা। প্যাটার্ন খেয়াল করলে দেখা যাবে উরির ঘটনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিন্দা জানানোর পর থেকেই হুট করে শুরু হয়ে হত্যাকাণ্ড। ফলে এখানে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের বার্তা দেয়ার কিছু নেই বলেই মনে হয়।
তাহলে লালমনিরহাট ও ঝিনাইদহে উপর্যুপরি লাশ ফেলার পেছনে মনুসংহিতার অনুসারী ভারতীয়দের দুটি মনস্তত্ত্বের মধ্যে যেকোন একটি, অথবা দুটিই কাজ করেছে। হয়, ভারতীয়রা সম্মক অবগত আছে, কাশ্মীরের ব্যাপারে এদেশের সরকার আর জনগণের মত পাল্টাপাল্টি। ফলে এদেশের মানুষকে একটু হুঁশিয়ারী দেয়ার জন্য এটা হয়েছে।
এছাড়া এর পেছনে যে কারণটা ক্রিয়াশীল থাকতে পারে, তা হচ্ছে জাতিগত বদলা। উরিতে ১৯ সৈন্যকে হারিয়েও ভারতের পক্ষে পাকিস্তান সীমান্তে খুচরা লাশ ফেলা সম্ভব নয়। তাছাড়া তাদের মানুষজনও লাশের বদলে লাশ চাচ্ছে। এমতাবস্থায় সহজে লাশ পেতে বাংলাদেশ ছাড়া আর উপায় কি! বাংলাদেশকে ভারতে অনেকেই দ্বিতীয় পাকিস্তান হিসেবেই দেখে। তাছাড়া বিজেপি নেতা বরুণ গান্ধীর ভাষায় বলতে গেলেই এই উভয় দেশের মানুষই তো 'কাটুয়া'!
কয়েক বছর আগে বিনা কারণে সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশী কিশোরকে অপহরণ করে নিয়ে বিবস্ত্র করে উলঙ্গ করে পিটিয়েছিলো একদল বিএসএফ। তাতে দেখা যায় টিনের তৈরি চায়ের মগে করে চা পান করতে করতে এক বিএসএফ তার আরেক সহকর্মীকে বলছিলো, "মার মার! মুসালমান কি বাচ্চা হ্যাঁয়, আচ্ছি তারাহ সে মার!"
বুকের পাটা থাকলে ইউটিউবে গিয়ে ভিডিওটি দেখুন গিয়ে...!
©somewhere in net ltd.