![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্বাচন যেমন করেই হোক হয়ে গেল। এখন এই সংসদের পরিণতি ষষ্ঠ সংসদের মতো করতে গেলে বিএনপিকে জামাত ছাড়তে হবে। গত দিন পনের'র কথাবার্তা শুনে মনে হলো বিএনপির এতে কোন সায় নেই। জামাতকে ছাড়লেই তারা নির্বাচনে হেরে যাবে এই ভাবনা তাদেরকে পেয়ে বসেছে। আর জামাতও সঙ্গত কারণে বিএনপিকে ছাড়তে রাজি না। বিএনপিকে ছেড়ে দিলে ভবিষ্যতে আবার নিজের জায়গা ফিরে পাওয়া তাদের জন্য কঠিণ হবে। যতদূর বোঝা যাচ্ছে প্রথমে ট্রাইব্যুনাল থেকে জামাত নিষিদ্ধ হবে তারপরে সেই রায় সুপ্রিম কোর্টেও টিকে যাবে। তারপরে জামাতের নেতাকর্মীরা যাই করুক না কেন সমর্থকরা একটা লম্বা সময়ের জন্য ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়বে। কেউ ধানের শীষে ভোট দেবে, কেউ নৌকায় ভোট দেবে আর কেউ কেউ হয়তোবা ইসলামী বিপ্লব করতে গোপন রাজনীতিতে চলে যাবে। সেই ক্ষেত্রে বিএনপি কীভাবে দাঁড়িপাল্লার সব ভোট নিজের দিকে চলে আসবার বিবেচনা করতে পারে? তাহলে কথাটা দাঁড়াচ্ছে জামাতকে নিষিদ্ধ করলে আওয়ামী লীগের যেমন তেমন কোন লাভ নেই, বিএনপিরও কোন লাভ নেই। সেক্ষেত্রে বিএনপিকে তার নিজের ভোট ব্যাঙ্কের উপর নির্ভর করতে হবে। তাহলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াচ্ছে? বিএনপির নিজের উপর ভরসা কম? তাহলে তো ধরেই নেওয়া যায় যে একাদশ সংসদ নির্বাচন কোন ভাবেই অন্তত বছর খানেকের মধ্যে হচ্ছে না। নভেম্বর-ডিসেম্বর এর মত করে আবারো হরতাল-অবরোধ শুরু করলে ফ্লপ হবার সম্ভাবনা খুব বেশি। জনগণ আওয়ামী লীগের এক তরফা নির্বাচন অপছন্দ করলেও বিএনপি-জামাতের ভাংচুর সমর্থন করেনি।
তাহলে এখন সামধান কী? জামাতকে ছেড়ে, হরতাল অবরোধ বাদ দিয়ে আলোচনায় বসলে সমঝোতার সম্ভাবনা আছে আওয়ামী লীগ বলেছে। এর বাইরে সমাধান দুটো। এক হচ্ছে বিরাট গণ অভ্যুত্থান করে সরকার ফেলে দেওয়া; দুই হচ্ছে পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে ধৈর্য ধরে একটু একটু করে শক্তি বাড়ানো।
প্রথমটা গত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে অসম্ভব মনে হয়। দ্বিতীয়টা করতে গেলেও জামাতকে ছাড়তেই হবে। কারণ জামাত সঙ্গে থাকলে সে বিএনপিকে নিজের মতো করে দাাঁড়াতে দেবে না। জামাতের ইস্যুতে তাকে সব সময় ব্যস্ত থাকতে হবে।
এই দিক থেকে আগামী মাস খানেককে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের খুব জরুরি সময় বলেই মনে হয়। ১৯৭৫ সালের নভেম্বরের মতো। এই সময়টার প্রতিটা দিনকে আলাদা ভাবে নজর রাখা ইতিহাসের পর্যবেক্ষক হিসাবে খুব দরকার।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
দেওয়ান-এ-রাসুল বলেছেন: দাতারা যদি বাধ্য না করে তবে সেরকমই হতে পারে মনে হচ্ছে।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: সুরঞ্জিত অসুস্থ তার বেহুদা কথা বলার জন্য পাঠক১৯৭১ কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯
মিতক্ষরা বলেছেন: আওয়ামী লীগের কি দায় পড়েছে আরেকটি নির্বাচন করার। আগামী পাচ বছর পরেও ৫ই জানুয়ারী মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে চাইবে। ২০০৮ থেকেই শুনছি এই সরকার নাকি ২০৪১ পর্যন্ত থাকবে। লক্ষন সেদিকেই রয়েছে।
বিএনপি জামাত ছাড়বে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি একক ভাবেই শক্তিশালী দল। সমস্যা হল অন্য জায়গায়। খালেদা এখন বিরোধী দলের সামগ্রিক শক্তিকে কমাতে চাইছেন না। কারন সেক্ষেত্রে তা সরকারের অনুকূলে চলে যেতে পারে। বিরোধী দল সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে পারবে কিনা সেটাও বলা যাচ্ছে না। শক্তি ক্ষয় করে তো নয়ই।
জামাত নিষিদ্ধ হলে জামাতের ভোট এবং লোকবল বিএনপির দিকেই যাবে। কিন্তু এটা বিএনপির জন্য ভাল নাও হতে পারে। কারন অতিরিক্ত ডানপন্থা দলটির ইমেজ ক্ষুন্ন করতে পারে।
আসলে গনতন্ত্রের কনসেপ্ট তৃতীয় বিশ্বের জন্য অর্থহীন। সেজন্যই নড়বড়ে এই গনতন্ত্রের কবর ৫ই জানুয়ারীতে হয়ে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। যদিও তা জাতির জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। কিন্তু জাতি তো গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ নয়! যতদিন না আওয়ামী সমর্থকরা অনুভব করবে যে আবার তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে হবে - ততদিন কোন সমাধান হবে না। টক শো এবং ব্লগ পড়ে মনে হয় যে আওয়ামীদের কাছে ক্ষমতায় থাকাটাই বড়, ভোটের অধিকার তেমন একটা গুরুত্বপূর্ন নয়। আমি সলিমুল্লাহ খান কিংবা আরাফাতদের দেখেছি কি করে বড় গলায় ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের পক্ষে কথা বলছেন। যেখানে এরা সরাসরি ৫ই জানুয়ারীর ভোটার বিহীন নির্বাচনকে সমর্থন করে বক্তব্য রাখতে পারে, সেখানে আওয়ামী লীগ কেন সাধ করে নিজের পায়ে কুড়াল মারবে ক্ষমতা থেকে নেমে গিয়ে?
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০১
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: নতুন ভাবনার লোকদের নিয়ে রাজনীতি করতে হবে, ভোটে কিছু হবে না।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৫৯
দেওয়ান-এ-রাসুল বলেছেন: রাজনীতিতে ভোটের বিকল্প কী? এটাও একটা ভালো প্রশ্ন। রাজনৈতিক দল, ভোট এইসবের আদৌ কোন দরকার আছে কিনা জানা দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪২
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আগামী নির্বাচন ২০১৯ সালে।