নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এনসিপির জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে ট্যগিং কালচারের নেপথ্যের কারন কি?

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:১৬

জুলাই গনঅভ্যূ্ত্থানের সফল পরিসমাপ্তির পর বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনে যুক্ত সমন্বয়ক , আন্দোলনকারী এনং ইউটিউবারদের বদৌলতে আমরা জেনেছি যে , বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আন্দোলন সংগঠিত করার পেছনের শক্তি ছিল ছাত্র শিবির। জুলকারনাইন সায়ের এই আন্দোলনের নেপথ্যের একজন ব্যক্তি হিসাবে জুলাই - অগাস্ট সময়কার স্মৃতিচারনে শিবিরের সাদিক কাইয়ুমের গুরুত্বপুর্ন অবদান তুলে ধরেছিলেন। আন্দোলন পরবর্তী সময়ে নাহিদ , মাহফুজরাও জানিয়েছিল যে , বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনে ছাত্র শিবির তাদের সহযোদ্ধা ছিল। বিশেষ করে নাহিদ ও আসিফকে ডিবিতে তুলে নিয়ে এবং হাসনাত ও সারজিসকে দিয়ে ৮ দফা দাবী জারী করিয়ে আওয়ামিলীগ সাফল্যের সাথে যখন আন্দোলন দমন করে ফেলেছিল তখন ছাত্র শিবিরের কাদের ৮ দফা প্রত্যাখ্যান করে ৯ দফা নিয়ে হাজির হয়েছিল। এই ৯ দফাই ছিল স্বৈরাচার পতনের প্রাথমিক ডাক। এই ৯ দফা ছাত্র শিবিরের তৈরী বলে পরবর্তীতে জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রের লেখা থেকে জানা যায় যে, বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের আগেও ছাত্রশক্তির আখতার, মাহফুজ, নাহিদরা ক্যম্পাসে ফ্যসিবাদ ও আগ্রাসনবিরোধী নানান কর্মসুচীতে যুক্ত ছিল। এসব কর্মকান্ডে শিবিরের সাথে তাদের যোগাযোগ ছিল। আবরার ফাহাদের মৃত্যূর পর ক্যম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল করে আখতাররা গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলে শিবিরের আইনজীবি শিশির মনির তাদের জামিনের ব্যবস্থা করে। অনলাইনে এসব ছবিও ভাইরাল হয়েছে।

গত দুইদিন আগে নাহিদ ইসলাম অকস্মাৎ ইংরেজিতে জামাত ইসলামির বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে একটা পোস্ট দেয়। এর পরপরই এনসিপির সকল নেতারা একযোগে ছাত্র শিবিরকে আক্রমন করে আওয়ামী ট্যগিং কালচারের পুনর্বাসন ঘটিয়েছে !!১৭ বছরের গুম , খুন সহ নানান অপরাধ আড়াল করতে আওয়ামিলীগ জামাত শিবির রাজাকার ট্যগিং কালচার চালু করেছিল। ইউটিউবে দেখলাম শিবিরের নেতা মির্যা গালীব নাহিদের মিথ্যাচার ধরিয়ে দিয়েছে। ভাবছি এনসিপি কোন অপরাধ আড়াল করতে আচমকা এই আওয়ামি ট্যাগিং কালচার শুরু করল?

জামাত ইসলামি বা ছাত্র শিবিরের রাজনীতি সম্পর্কে বিষদভাবে জানা নাই। তবে ডাকসু-জাকসু-চাকসু-রাকসু ইলেকশনে মোট ১০২ পদের ৮৭ টিতেই জয় ছাত্রশিবিরের, ছাত্রদল ২টি এবং বাগছাস ০ ফলাফল আমাদের খুব ভাবায়। দেশের প্রধান ও প্রাচীন চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের শিবিরকে বেছে নিয়ে গনআন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বাগছাসকে ছুড়ে ফেলে দেবার বিষয়টা যথেষ্ঠই চিন্তার খোরাক জোগায়। যে এনসিপিকে আমরা দেশের স্বার্থে বড় বড় কথা বলতে দেখি তা কি স্রেফ স্টান্টবাজি ? আসলেই কি এরা মুগ্ধ, আবু সাইদের রক্ত বিক্রি করা জুলাই ব্যবসায়ী?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:২৪

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



মগজে যদি চা-সিংগারা থাকে আইয়ুব, জিয়া, এরশাদ ও ইউনুসকে দিয়ে আমেরিকা যেসব ক্যু করেছিলো, সবগুলো "বিপ্লব"এ পরিনত হয়।

আপনার নেতা ইয়াহিয়াও বিপ্লব করেছিলো।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩০

ঢাবিয়ান বলেছেন: নিউইইয়র্কের টং দোকানের আড্ডাবাজিতে বারবার কি এই আমেরিকার বিরুদ্ধে বিষেদাগার করেন? দেইখেন আবার ট্রাম্প কিন্তু খবর আছে :)

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:২৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিএনপি থেকে কিছু সীট ছাড়ের গ্রীন সিগন্যাল পাইছে। জামায়াত ও চায় বিএনপি কিছু আসন ছাড় দিক। আমার মনে হয় বিএনপি-এনসিপি-জামায়াত জাতীয় সরকার হবে।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে? সবগুলাইতো ভন্ড মনে হচ্ছে। এর চাইতে ডক্টর ইউনুস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকুক। হ্যা / না গনভোটের আয়োজন করা হোক।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩৭

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



বাইডেনের যুগে আপনারা দেশ দখল করেছেন; ট্রাম্প কিন্তু হামাস, শিরির, হুতিদের পছন্দ করে না।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৪৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এনসিপির মাদার অর্গানাইজেশন শিবির। ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে বিভাজন।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আচমকা ১৮০ ডিগ্রী এবাউট টার্ন এর বিষয়টা খুবই সন্দেহজনক। সীট ভাগাভাগির বিষয় নয় বলেই মনে হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.