নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ এনামুল হক আপনাদেরই লোক

ঢাকার লোক

বাংলা ভালোবাসি

ঢাকার লোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জমি "কট" দেয়া বা বন্ধক দেয়া

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০২



জমি "কট" দেয়া বা বন্ধক দেয়া আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে একটা বহুল প্রচলিত ব্যাবস্থা । দরিদ্র চাষী অভাবে পড়লে নিজের এক খন্ড জমি অবস্থা সম্পন্ন প্রতিবেশীর কাছে বন্ধক বা কট রেখে টাকা ধার করেন, শর্ত থাকে যখন তাকে টাকা ফেরত দিবে তখন এ জমি ফেরত পাবে এবং যতদিন টাকা ফেরত না দিবে ততদিন উক্ত ঋণদাতা জমি ভোগ করবে, অর্থাৎ উক্ত জমি চাষবাস করে উৎপন্ন ফসল নিবে, এ বাবদ কোনো টাকা ঋণ থেকে বাদ যাবে না, যত বছরই যাক না কেন ফেরত দেয়ার সময় পুরো টাকাই তাকে ফেরত দিতে হবে ।

একজনকে টাকা বা (অন্য কোনো দ্রব্য যেমন ধান, চাল, তেল ইত্যাদি ) ধার দিলে তার থেকে ঋণের পরিমানের চেয়ে বেশি আদায় করলে অতিরিক্ত আদায়কৃত অংশ সুদ হিসেবে গণ্য হবে, এই মূলনীতি অনুসারে সকল আলেমগণ একমত যে বন্ধক রেখে টাকা ধার দিলে সেই বন্ধকী জিনিস থেকে কোনো লাভ বা উপকার নেয়া সুদ নেয়ার সমান, কাজেই টাকা ধার দেয়ার বদলে প্রতি বছর যে ফসল্ ঋণদাতা ভোগ করবে সেটা সুদ এবং তা মুসলমানের জন্য সম্পূর্ণ হারাম ।

তবে ঋণদাতা উক্ত জমি চাষ করলে উৎপন্ন ফসলের মূল্য থেকে তার শ্রমের মূল্য এবং বীজ, সার, সেচ ইত্যাদি বাবদ তার খরচ কেটে রেখে বাকি টাকা ঋণ গ্রহীতাকে দিলে বা তার ঋণ থেকে বাদ দিলে তা জায়েজ বলে কোনো কোনো আলেম মত পোষণ করেন ।

আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে হারাম থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ধরুন আমি একটি জমি কট রাখলাম। তাপর তাতে সেচ দিলাম ধান বপন করে উপার্জিত ফসলে লাভ হল বছর শেষে ২০০০ টাকা এখন এই টাকার পুরো টাকার মালিক কি ঋণ গ্রহিতা। নাকি এখানে কোন ভন্টন হবে। জানালে উপকৃত হব।

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১৩

ঢাকার লোক বলেছেন: এ ২০০০ টাকা থেকে আপনার শ্রমের মূল্য আপনি পাবেন ( যদি আগেই বাদ দিয়ে না থাকেন ) বাকি সবটাই ঋণগ্রহীতার হবে . কারণ ঋণের কারণে বন্ধকী মাল থেকে আপনার কোনো লাভ গ্রহণ করা নিষেধ. দেখুন https://islamqa.info/en/140078
যেখানে বলা হয়েছে,
"...If the use or benefit of the land was without the permission of its owner, or it was with his permission but the debt was a loan (qard), as described above, or it was in return for delaying payment of the debt, it is not permissible to take anything of the produce of this land or to benefit from any of its profits.
If the creditor - in whose hand the collateral is - has cultivated it, then the wages for his work should be deducted from the yield or crop, and whatever is left should be given back to the owner or be deducted from his debt. "

ধন্যবাদ

২| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৩

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: @ মাহমুদুর রহমান সুজন সাহেব যে প্রশ্ন করেছে আমার ও সেই একই প্রশ্ন<<<<<<

৩| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫০

প্রামানিক বলেছেন: এই হাদীস শুনলে কেউ জমি বন্ধকই নিবে না।

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২১

ঢাকার লোক বলেছেন: এভাবেই আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করেন, গরীব প্রতিবেশী বা ভাইকে কর্জ দিয়ে যদি সওয়াব হাসিল করার ইচ্ছা থাকে তবে তা থেকে লাভ নেয়া যাবে না ।
ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই,পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করার জন্য ।

৪| ১২ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা সূক্ষ্ম বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করেছেন, যা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়, অনেক সময় বোধশক্তিকেও। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সূক্ষ্ম বিষয় হলেও এ বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে আমরা বড় গুনাহ করে ফেলছি। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আমাদের সকলকে সুদ থেকে বাঁচার তৌফিক দান করুন!
সুদমুক্ত সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি একটি সহজাত পরিণতি।

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

ঢাকার লোক বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই, আল্লাহ আমাদের সবাইকে হারামকে হারাম মনে করার বোধশক্তি দিন এবং সকল হারাম থেকে হেফাজত করুন ।

৫| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: দালাল কে কি কেউ পছন্দ করে !!

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

ঢাকার লোক বলেছেন: আপনার এ বাণীর মর্ম হৃদয়ঙ্গম করতে পারলাম না ভাই , দুঃখিত !!

৬| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ‌বিনা লা‌ভে কি কেউ টাকা ধার দে‌বে? আ‌মি এক লোক‌কে ২০১০ সা‌লে ২৫০০০ হাজার টাকা ধার দি‌য়ে‌ছিলাম। তি‌নি আজও ফেরত দেন‌নি। ফেরত দে‌বেন এমন আশা এখন কর‌তে পা‌রি না। এই ক্ষে‌ত্রে হা‌দি‌সের ফয়সালা কি জানা‌বেন দয়া ক‌রে। আ‌মি কিন্তু ধনী ব্য‌ক্তি নই।দ‌রিদ্র এক জন মানুষ।

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৯

ঢাকার লোক বলেছেন: ভাই সাজ্জাদ হোসেন, দুঃখিত, জবাব দিতে দেরি হয়ে গেলো
টাকা ধার দিয়ে এ থেকে লাভ নেয়া যাবে না এটি ইসলামিক বিধান ! এখানে আপোষ করার কোনো সুযোগ নেই; এর বদলে আপনি সওয়াব পাবেন,
আপনার ধার দিয়ে এত দিনেও টাকা ফেরত না পাওয়াটা দুঃখজনক, আপনার সাথে তার সম্পর্ক বিবেচনা করে তাকে বোঝাতে পারেন বা অন্য্ কাউকে দিয়ে বলাতে পারেন .দোয়া করুন এবং আমিও দোয়া করি আল্লাহ তাকে সুমতি এবং সক্ষমতা দিন যেন সে আপনার টাকা অচিরেই ফেরত দেয়
আর যদি একেবারেই না পান, মনে রাখবেন বিচারের দিন আল্লাহ এর প্রতিদান আপনাকে দিবেন
ধার দেয়ার ব্যাপারে আমার একটা পলিসি আছে , আমি কাউকে টাকা ধার দিলে অত পরিমানই দেই যা ফেরত না দিলে আমার্ ফেরত চাইতে হবে না !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.