নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ এনামুল হক আপনাদেরই লোক

ঢাকার লোক

বাংলা ভালোবাসি

ঢাকার লোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানাজার নামাজ

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৯

আমাদের সবারই আত্মীয় স্বজন মারা গেছেন বা যাবেন এবং তাদের নামাজে জানাজায় শরীক হওয়া আমাদের অন্যতম দায়িত্ব , এ ছাড়া এ নামাজে শরীক হওয়া নিজের জন্যও প্রভূত কল্যাণকর, সহী বুখারীর ২৩ নং অধ্যায়ে ৪১০ নং হাদিসে আবু হুরাইরা বর্ণনা করেন , রসূলাল্লাহ (স) বলেন, "যে ব্যাক্তি কারো জানাজার সাথে যায় এবং জানাজার নামাজ আদায় করে সে এক কিরাত সমান সওয়াব পাবে, আর যে কবর দেয়া পর্যন্ত সাথে থাকবে সে দুই কিরাত সওয়াব পাবে । " তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, " দুই কিরাত কি?" তিনি উত্তর দিলেন, দুইটা বিশাল পাহাড়ের সমান। "

যেহেতু এ নামাজ সব সময় পড়া হয়না, এর নিয়মও অন্য সাধারণ দৈনন্দিন নামাজ থেকে ভিন্ন, আমাদের অনেকেই সঠিক ভাবে পড়তে জানিনা এবং প্রিয়জনের জানাজা নামাজে শরীক হয়েও সঠিক ভাবে পড়তে না পারার আফসোস থেকে যায়! আসুন ২-৩ মিনিটের রুকু -সেজদাহ বিহীন এ নামাজের সঠিক পদ্ধতি জেনে নেই ,

১) (অজু করা অবস্থায় ) আল্লাহু আকবার বলে ( প্রথম তাকবীর) দুই হাত কাঁধ বা কান বরাবর তুলে বুকের উপর বাঁধুন
২) আউযু বিল্লাহ, বিসমিল্লাহ সহ সুরাহ ফাতিহা ( আলহামদুলিল্লাহ সুরাহ পড়ুন ,
শেষ হলে ইমামের সাথে আল্লাহু আকবার বলে ( দ্বিতীয় তাকবীর) দুই হাত কাঁধ বা কান বরাবর তুলে বুকের উপর বাঁধুন * , সময় পেলে সুরাহ ফাতিহার পড়ে সাথে কোনো সুরাহ বা আয়াত পড়তে পারেন ।
৩) এবার দরুদে ইব্রাহিম ( আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মুহাম্মদ ... যা সব নামাজে আমরা পড়ি ) পড়ুন

এবং ইমামের সাথে আল্লাহু আকবার বলে ( তৃতীয় তাকবীর) দুই হাত কাঁধ বা কান বরাবর তুলে বুকের উপর বাঁধুন *
৪) এবার মৃতের জন্য (সেই সাথে সবার জন্য ) দোআ করুন, রাসূল (স) এর থেকে বর্ণিত অনেক কয়টি দোয়ার ভীতর এই দোয়াটি পড়তে পারেন ,
আল্লাহুম্মাগফিরলী হাইয়েনা ওয়া মাইয়েতিনা, ওয়া শাহীদিনা ওয়া গায়িবিনা, ওয়া সগিরিনা ওয়া কাবীরিনা, ওয়া জাকারিনা ওয়া উনসানা; আল্লাহুম্মা মান আহিয়াইতাহু মিন্না ফা আহয়িহি আলাল ইসলাম, ওয়ামান তাওউফফাইতাহু মিন্না ফা তাওওয়াফাহু আলাল ঈমান ; আল্লাহুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহু ওয়ালা তুদিল্লুনা বা'দাহু ।
কিছু কিছু আলেমের মতে এই সময় সময় পেলে নিজের জন্য আত্মীয় স্বজনের জন্যও দোআ করতে পারেন ।
৫) শেষ হলে ইমামের সাথে আল্লাহু আকবার বলে (চতুর্থ এবং শেষ তাকবীর) দুই হাত কাঁধ বা কান বরাবর তুলে বুকের উপর বাঁধুন *
৬) এবার ইমামের সাথে আসসালামু আলাইকুমু রাহমাতুল্লাহি ওবারকাতুহু বলে ডান দিকে সালাম ফিরায়ে নামাজ শেষ করুন , দুই দিকেও সালাম ফিরানো জায়েজ ।
(* দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ তাকবীরের সময় হাত না তোলাও জায়েজ)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের জন্য খুবই উপকারী একটা পোস্ট লিখেছেন। ধন্যবাদ ও অভিনন্দন!
পোস্টে 'লাইক' + + এবং পোস্টটা "প্রিয়"তে নিলাম।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম তাকবীর এর পর কি 'সানা' পড়তে হবেনা? আপনার এ পদ্ধতিটাকে একটু অন্যরকম মনে হচ্ছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ঢাকার লোক বলেছেন: ভাই, আমাদের দেশে সানা পড়া হয় এবং অনেক জায়গায় সূরা ফাতিহা পড়া হয় না, শেইখ আবুল আজিজ ইবনে বাজ (র), সৌদি আরবের প্রাক্তন গ্রান্ড মুফতি, হাদিস অনুসারে এভাবেই পড়ার কথা বলেছেন, দয়া করে নিচের লিংকে দেখুন , জাজাকাল্লাহু খাইরান ।
https://islamqa.info/en/12363

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
সানা এবং সুরা ফাতিহা, দুটোই পড়া উচিত বলে মনে করি, যদিও অনেক ক্ষেত্রে ইমাম সাহেবগণ সুরা ফাতিহা পড়ার মত যথেষ্ট সময় দেন না।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

ঢাকার লোক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,
আলেমদের মতে যে কোনো ইবাদাত আল্লাহ পাকের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য এখলাস (শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হওয়া) এবং রাসূল (স) এর প্রদর্শিত পন্থায় হওয়া জরুরি। কিভাবে করলে ভালো হতো তা আমরা না ভেবে আমাদের উচিত হবে রাসূলুল্লাহ (স) কিভাবে করছেন তা যথা সম্ভব জানা এবং সে অনুযায়ী তা করা । আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিক জ্ঞান দান করুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.