নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ এনামুল হক আপনাদেরই লোক

ঢাকার লোক

বাংলা ভালোবাসি

ঢাকার লোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাহরাম – গায়ের মাহরাম

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

ইসলামের মূলনীতির একটা দিক কাকে বিয়ে করা যাবে বা যাবে না তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দান করে। আল্লাহ পাক কোরানে সূরা নিসায় ২৩ নং আয়াতে বলছেন , "তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, কন্যা, বোন, ফুপু, খালা, ভাস্তি, ভাগ্নি দের; আর দুধ বোন ( ছোট বেলায় অন্য কোনো মহিলার দুধ পান করে থাকলে তার মেয়ে ), শাশুড়ি , এবং সৎ মেয়ে , যে স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছ তার অন্য পক্ষ থেকে মেয়ে , তবে যদি কোনো স্ত্রীর সাথে সহবাস করনি তাকে বাদ দিয়ে তার মেয়েকে বিবাহ করলে অপরাধ নেই , এবং পুত্রবধূ , আর দুই বোনকেও একত্রে স্ত্রী হিসাবে রাখা যাবে না যা ( এ আয়াত নাজিল হওয়ার ) আগে হয়ে গেছে তা ছাড়া ....."
এ ছাড়া আগের আয়াতে আল্লাহ পাক, " তোমাদের বাবারা যেসব স্ত্রীলোকদের বিয়ে করেছিল" তাদেরকে বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন ।

আল্লাহর এই নির্দেশনা থেকে রক্ত সম্পর্ক, বৈবাহিক সম্পর্ক ও ছেলেবেলায় দুধ পানের সাথে সম্পর্কিত কারণে আত্মীয়দের মাঝে কাকে বিয়ে করা যাবে না তার সুস্পষ্ট বিবরণ পাওয়া যায়। এভাবে যাদেরকে বিবাহ করা হারাম করা হয়েছে তাদেরকেই ইসলামিক পরিভাষায় "মাহরাম" বলা হয় । এই হিসাবে একজন পুরুষের জন্য মাহরাম, তার মা, কন্যা, বোন, ফুপু, খালা, ভাস্তি, ভাগ্নি, আর দুধ বোন, শাশুড়ি , এবং সৎ মেয়ে ইত্যাদি । তেমনি একজন নারীর জন্য মাহরাম তার বাবা, পুত্র, ভাই, চাচা, মামা, ভাস্তা, ভাগ্না, দুধ ভাই, শশুর, স্বামীর অন্য পক্ষের ছেলে ইত্যাদি । এখানে আমাদের মনে রাখতে হবে সম্পর্কগুলো সবই সরাসরি হতে হবে, ভাই বা বোন বলতে আপন ভাই এবং বোন, চাচাতো বা মামাতো ফুপাতো ভাই বোন মাহরাম না; তেমনি চাচা মামা খালা ফুপুও আপন চাচা মামা খালা, ফুপু !

রক্ত সম্পর্কের কারনে মাহরামরা সাধারণত চিরস্থায়ী মাহরাম, বৈবাহিক সম্পর্কিত মাহরামরা বিবাহ বজায় থাকা কালীন মাহরাম, কোনো কারণে বিবাহের পরিসমাপ্তি ঘটলে সে মাহরাম নাও থাকতে পারে । যেমন স্ত্রী জীবিত থাকা কালে শালীকে বিয়ে করা হারাম কিন্তু স্ত্রী মারা গেলে বা তালাক হয়ে গেলে তার বোনকে বিয়ে করা জায়েজ । তেমনি মহিলাদের জন্য দেবরের বেলায় ঠিক তাই ।

এখানে আরেকটা বিষয় না বললেই নয়, ইসলামিক অনুশাসন মতে বাবা বা মা মাহরাম বলতে দাদা, দাদার বাবা বা নানী বা নানীর মা ও বুঝায়, তেমনি ছেলে বা মেয়ে বলতে নাতি নাতনিদেরও বুঝায় ।

স্বামী প্রতিটি স্ত্রীর জন্য "মাহরাম" । আমাদের অনেকেই জানি যে মহিলাদের হজে যেতে হলে একজন মাহরাম সাথী থাকতে হয়, ইমাম বুখারী (১৭২৯ ) এবং ইমাম মুসলিম (২৩৯১) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস অনুসারে ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, রাসূল (স) কোনো মহিলাকে মাহরাম ছাড়া দূরে ভ্ৰমণ করতে নিষেধ করেছেন " । এখানে স্বামী, ছেলে, বাবা বা আপন ভাগ্নে ভাস্তে সাথী হতে পারেন; মনে রাখতে হবে খালু ফুপা, দুলাভাই রা মাহরাম না !

ইসলামে মহিলাদের জন্য যে পর্দার বিধান রয়েছে তা সকল গায়ের মাহরাম পুরুষের বেলায়ই সমভাবে প্রযোজ্য । একজন বাইরের লোকের সামনে যেভাবে নিজেকে ঢেকে রাখতে হবে ঠিক তেমনি ভাবে ঢেকে রাখতে হবে অন্য যে কোনো গায়ের মাহরাম আত্মীয়ের সামনেও । আমাদের দেশে চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই, দেবর, বাবা বা মার চাচাতো ভাই খালাতো ভাইয়ের সামনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপযুক্ত পর্দা করা হয় না, সঠিক ইসলামী জ্ঞানের অভাবই এর কারণ । এ বিষয়ে আমাদের সবার আরো যত্নবান হওয়া আবশ্যক ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: রিক্সায় উঠতে গিয়ে উল্টায় পরে বাম পায়ে ব্যাথা পাইছি।
পায়ের হাটু তেও ব্যাথা আছে, আর পুরো আঙুলেও।
আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৬

ঢাকার লোক বলেছেন: ভাই রাজীব নূর, আল্লাহ শীঘ্রই আপনার পায়ের ব্যাথা দূর করে সুস্থ করে দিন , আমিন

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু নবী মোহম্মদ তার চাচতো বোন বিধবা উম্মে হানীর বাসায় রাত বিরাতে কোরান শরীফ পড়ার নামে রাত কাটাইতো সেইটা মাহরামের আইনে পড়ে নাই কেন?

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হাদিসের রেফারেন্স দিয়া রাখলাম। রাত বিরাতে গোসলও করতো। জামি আত তিরমিজি, খণ্ড ১, হাদিস নম্বর ৪৭৪, পৃঃ ৪৭৬-৪৭৭;/ ইবনে সা’দ, খণ্ড ১, পৃঃ ২৪৮)

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৩

বিজন রয় বলেছেন: কিন্তু ইসালামে এই যে এত নিয়ম, তা কি তারা মানে?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

ঢাকার লোক বলেছেন: যার যার ঈমানের দৃঢ়তা অনুসারে সবাই কম বেশি মানি, মুসলমান বা মুসলিম অর্থ যে ইসলামের সব নিয়ম কানুনের নিকট নিজেকে সমর্পন (সাবমিট) করেছে, একজন প্রকৃত মুসলমান হতে হলে সব নিয়মই মানা আমাদের উচিত ।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পড়লুম।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

ঢাকার লোক বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩০

তানভির জুমার বলেছেন: ব্লগার উদাসী স্বপ্নের হাদিসের রেফারেন্স সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিরমিজি, প্রথম খণ্ডের ম্যাক্সিমাম হাদিসই নামাজ সম্পর্কে, তিরমিজি শরীফ, খণ্ড ১ হাদিস নম্বর ৪৭৪, হাদিসও নামাজ সম্পর্কে। উক্ত হাদিসের একটা স্কিনশর্ট দিলাম।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪২

ঢাকার লোক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে রেফারেন্স চেক করার জন্য, যদিও আমি এ মুহূর্তে সত্য মিথ্যা চেক করতে পারছি না .
ব্লগার উদাসী স্বপ্ন কে আল্লাহ পাক হেদায়েত দান করুন !

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

ক্স বলেছেন: উম্মে হানীকে কেন্দ্র করে নাস্তিকদের অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব

মহিলাদেরকে মাহরাম ছাড়া একাকী ভ্রমণ করতে নিষেধ করেছেন। এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে আমরা হয়তোবা 'চলন্ত বাসে ধর্ষণ' টাইপ খবর দেখতামই না।

দুধ চাচা, মামা অথবা মামা শ্বশুর, চাচা শ্বশুর - এরা কি মাহরাম? বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যাবার পরেও কি শ্বশুর শাশুড়ি মাহরাম থাকবে?

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বুঝলাম না মাসলম্যানরা কি এটাও বোঝে না যে প্রকাশনী আর সংকলন পরিবর্তন হলে এসব নম্বরও চেন্জ হয়ে যায়?

তারপরও একজনের লিংক থেকে সরাসরি করি করলাম


রাসূলাল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেরাজের রাত্রিতে উম্মে হানীর গৃহে অবস্থান করলেও রাতের বেলায় কাবা শরীফে চলে গিয়েছিলেন। তারপর কাবা শরীফ থেকেই হযরত জিবরাঈল উনাকে নিয়ে বায়তুল মোকাদ্দাসে যায়। যেহেতু সহীহ হাদীস সমূহতে বলা আছে যে কাবা শরীফ থেকেই রাসূলাল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মেরাজ শুরু হয়েছিল তাই মেরাজের রাত্রিতে রাসূলাল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কাবা শরীফেই ছিলেন তাতে কোন সন্দেহ নাই। উম্মে হানী বলেনঃ রাসূলাল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মেরাজ আমার ঘর থেকেই হয়। সে রাতে তিনি এশার নামায আদায় করে আমার ঘরে ঘুমান। আমরাও ঘুমিয়ে পড়ি। ফজরের অব্যবহিতের পূর্বে তিনি আমাদের কে ঘুম থেকে জাগান।


বোল্ড করা অংশেই তো ক্লিয়ার .... কি সুন্দর দেখা গেলো!

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

লোনার বলেছেন: ইসলাম সম্পর্কে যারা সামান্য জ্ঞান রাখেন, তারা জানেন যে, নবুয়ত লাভের ১০ বছর পরে মেরাজের সময় ইসলামের প্রধান ইবাদত সালাত ফরজ হয়। এছাড়া প্রায় সকল ধর্মীয় অনুশাসন, বিয়ে-শাদী, সম্পত্তি আইন, পর্দার বিধান ইত্যাদি সবই রাসূল (সা.)-এর মদীনার জীবনে একটু একটু করে বিকাশ লাভ করে। ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চাওয়া, বিদেশী/বিধর্মীদের payroll-এ থাকা জ্ঞানপাপীরা এসব জেনেও না জানার ভান করে! লেখকের উচিত এসব মন্তব্য রিপোর্ট করা।

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৬

লোনার বলেছেন: @ক্স, চাচা শ্বশুর, মামা শ্বশুর, চাচী, মামী এরা মাহরাম নন। শ্বশুর/শ্বাশুড়ী চিরজীবনের জন্য মাহরাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.