নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকাশের বুকে কিছু কিছু নক্ষত্র আছে যাদের জৌতি এখনো পৃথিবীর বুকে এসে পৌঁছেনি, সেসব নক্ষত্রের ভিড়ে আমি একজন। - ধ্রুব নয়ন ঢাকা

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী

সত্যের পথে প্রেম, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার কলম চলবেই

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচন নাকি স্কুল পোড়ানোর উৎসব!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বোভৌমত্ত্ব, গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভোটারদের সত্বঃস্ফর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন নিশ্চিত করা ইসির অত্যান্ত জরুরী। সেক্ষেত্রে ইসি কতোটুকু স্বচ্ছতা রাখতে পারবে তা নির্বাচনের মাঠেই ভোটাররা দেখতে পাবেন। অবশেষে নানা জল্পনা- কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, পৌরসভায় ভোটযুদ্ধে থাকছে বিএনপি। সোমবার গুলশানে নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সরকার ও ইসির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ জানিয়ে আসা বিএনপি পৌর নির্বাচনে এলেও সরে দাঁড়ানোর ‘ছুতো’ খুঁজছে বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলে আসছিলেন। এ পরিপেক্ষিতে গত সোমবার খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমরাও নির্বাচনী যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত অবিচল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ যদিও দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর এই বছরের এপ্রিলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এলেও কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোটগ্রহণের মাঝপথে সরে দাঁড়িয়েছিল বিএনপি।

পৌর নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলে খালেদা এও বলেছেন, নানা ধরনের চাপ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অনেক জায়গায় বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়া হয়নি, প্রত্যাহারেও বাধ্য করা হয়েছে। সেনা মোতায়েনের দাবি করেছি। নির্বাচনে কমিশন বলেছে, সে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। আমরা জানি না, আর কত ভয়াবহ পরিস্থিতি হলে সেনা মোতায়েনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

এদিকে সাবেক সেনা প্রধান এরশাদ সাহেব বলেছেন সকাল নয়টার মধ্যই ভোট শেষ হবে। শুধু ভোটাররাই নয়, সাধারণ জনগণও তা-ই মনে করছে। সারা দেশের মানুষের মনে এক অজানা সংশয় বিরাজ করছে। আসলে নির্বাচনের নামে আগামি দিনে কি ঘটতে যাচ্ছে! কারণটা কারো অজানা নয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, চার সিটি নির্বাচন ও পরবর্তী দু সিটি নির্বাচনের খবর দেশবাসী জানে। যদিও চার সিটি নির্বাচনে বিএনপি-ই জয়লাভ করেছিল। কিন্তু বাকিগুলোতে আমরা কি দেখলাম? বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতাসীন দলের ব্যাপক জয়লাভ। অনেকটা গাঁও- গ্যারামের সেই কথা 'শিলে পাটার ঘঁষাঘঁষি মাঝখানে মরিচ ছাতু'। সংখ্যালুঘুদের উপর হামলা হল, ঘরবাড়ি ভাংচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল, লুটপাট করা হল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে জ্বালিয়ে- পুড়িয়ে জাতিকে মেধাশুন্য করার গভীর চক্রান্ত চলল। সারাদেশ একটা বিপদ সীমার মধ্য ডুবে গেল। পেট্রোল বোমার সহিংস রাজনীতির নোংরা খেলা শুরু হল। সাধারণ মানুষের প্রান গেল, যাচ্ছে। ব্যালট পেপার ছিনতায়, ব্যালট বাক্স গায়েব, অফিসারদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল এসব দায়ভার ইসি কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারেন না।

এই প্রথম স্থানীয় সরকারের আইন সংশোধনের পর পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নিচ্ছেন। ফলে সাত বছর পর ৩০ ডিসেম্বরের এই ভোটে ব্যালটে ধানের শীষ প্রতীক থাকছে। যা ওনেকেই বিএনপির জন্য শুভ বলে মনে করছেন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে সংসদ থেকে ছিটকে পড়ে বিএনপি। এরপর এই বছরের শুরুতে সরকার হটানোর আন্দোলন শুরু করলেও ব্যর্থ হওয়ার পর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গিয়েছিল দলটি। পৌর নির্বাচনে যে যার মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, ভোটারদের কতটা নিরাপত্তা দিতে পারবে ইসি তা অনেকেরই প্রশ্ন। আজ বাসে ফেরার সময় কয়েকজন ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা আলোচনা করছিলো- তারা বলাবলি করছিলো- ভোট এলেই তো স্কুলে আগুন জ্বলে, সব পোড়ায়। আবারও কি তাহলে আগুন জ্বলবে? তবে কি নির্বাচন নাকি স্কুল পোড়ানোর উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।

লেখকঃ সাংবাদিক, ব্লগার ও নাট্যকর্মী।


মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: নিরপেক্ষ ভোট হলে ধানের শীষ - ই ভোট পাবে। কিন্তু তা কোন ভাবেই হতে দিবে না। পাকি বেগমরা এমন ভাবে জাল পেতেছে জনতা তা সহজে বুঝবে না। আর ক্ষমতাসীন দল তো গাদ্দাফির পথ অনুসরণ করছে যা আগামীর জন্য মারাত্মক ভয়াবহ। দুটোই সমান সমান। একজন জয় বাংলা বলে গুলি চালায় আর একজন আল্লাহ আকবর বলে রক্ত ঝরায়। ওরা শান্তি নয়, ওরা রক্তহোলী খেলা চায়। ওদের আরও রক্ত প্রয়োজন। বাঙালি আজ বাপে খেদানো মায়ে তাড়ানোর মধ্য দিন কাটাচ্ছে। মিথ্যাচার নতুন কোন বিষয় নয়। ওদের দারা সব সম্ভব। ঘরের মা- বোনদের ওরা রাস্তায় নামাতে পারে ক্ষমতার জন্য।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


খালেদা জিয়ার শেষ এখানেই; তবে, জাতির ভয়ংকর ক্ষতি করে গেছে!

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: তা বটে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.