নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুব০০৭

ধ্রুব০০৭

আমি আর বেকার নই!!!!!

ধ্রুব০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিলেন বিত্তান্ত...............

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৩৮

১.

বয়স আর কত হবে ছেলেটার, বড় জোর পাঁচ! তার বাশী নয় মোটেই। পরনে গেন্জি কাপড়ের বিবর্ণ এক হাফ প্যান্ট আর বোতাম ছাড়া হাফ শার্ট। সারা শরীরে ধুলো আর হাতে প্লাস্টিকের ছোট গামলায় কয়েকটা চকলেট। আপনারা যারা ঢা.বি'র টি.এস.সি এলাকায় নিয়মিত বা মাঝে মাঝেই যান তাদের জন্য এটি অতি পরিচিত এক দৃশ্য। প্রথমদিকে সবার মনই সহানুভূতিতে আর্দ্র হয় ওদের জন্য। কিন্তু নিয়মিত একই দৃশ্য আমাদের অনুভূতিকেও হয়ত ভোতা করে দেয়। ফলে ওর মত অসংখ্য শিশু আমাদের বিরক্তিটা চরমে পৌছে দেয়।





২.

অনেকদিন পর আজ আবার টি.এস.সি-তে বসেছিলাম। রিয়াদ ওর সার্টিফিকেট উঠালো,তাই যাওয়া। আমি এখনো বেকার। রিয়াদ চাকরিতে ঢুকলেও জব স্যাটিসফেকশান নেই। তাই ছেড়ে দেয়ার চিন্তা করছে। আমি করছি বি.সি.এস-এর চিন্তা (সবাই দোয়া কইরেন)! কিন্তু বেকার বসে প্রস্তুতি নিলেযে অনিশ্চয়তার কারনে হতাশাও গুণানুপাতিক হারে বাড়ে তা জানা ছিলনা! ফলে দুই বন্ধু হতাশার সাতকাহন খুলে বসেছিলাম একটু মানসিক প্রশান্তির আশায়। ফ্রেন্ডশীপ মানেইতো শেয়ারিং, কায়ারিং আরও কি কি যেন, তাইনা?!





৩.

প্রসংগে আসাযাক।

আমাদের দীর্ঘশ্বাসে যখন টি.এস.সি'র বাতাস ভারী হবার যোগাড়, তখনই কথিত ছেলেটি আমাদের সামনে এল। যথারীতি এক হাতে গামলা। অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, ওর ডান হাতে চকলেটের গামলা আর বাম হাতে একটা লিফলেট। সে বাম হাত দিয়েই রিয়াদের পায়ে নাড়া দিয়ে কি যেন বলছে! গলার স্বর এত নিচু যে আমি বুঝতেই পারছিলামনা সে কি বলছে। জানতে চাইলে বললো: নৌকা বানায়া দিবেন?!

রিয়াদ বললো: আমিতো বানাবার পাইনা।

সে তখন আমার দিকে তাকালো। কি যে মায়া সে চোখে! আচ্ছা, সব শিশুর চোখই কি এমন হয়?!

আমি কাগজটি নিয়ে বললাম: নৌকাতো বানাবার পাইনা। বিমান বানাইয়া দেই?

:কি, পিলেন?

আমি হেসে বললাম: হ, পিলেন।

:দেন তাইলে।

কাজ শুরু করলাম। সে মনযোগী দর্শক।

:আমিযে পিলেন বানাইয়া দিতাছি, আমারে কি দিবা?

:ট্যাকা দিমু।

:কয় ট্যাকা?

:দুই ট্যাকা।

:পিলেন দিয়া কই যাবা?

:বাড়ী যামু।

:বাড়ী কৈ?

:ভৈরব।

এরকম আলাপচারিতায় প্লেন বানানো শেষে পাইলটকে চালানোর কায়দা কানুন শিখিয়ে দিলাম। হাতে নিয়ে ছোট্ট হাতে প্রথম নিক্ষেপ। কিছুদুর উড়ে মাটিতে পড়ল। ততক্ষনে পিচ্চি ওটার পেছনে দে ছুট! আমরা তখন হাসছি। মাটি থেকে কুড়িয়ে দ্বিতীয়বার ছুড়ে মারার আগে ঘাড়টা ঘুরিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে যে হাসিটা আমায় উপহার দিয়ে গেল, পাঠক, মনেহল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহারটি এইমাত্র আমি পেলাম, ঐ পথ শিশুটির কাছ থেকে!!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৪৫

ফেরারী পাখি বলেছেন: সত্যি কল্পনায় শিশুটির আনন্দটুকু দেখতে পারলাম। পৃথিবীর সব শিশুরা ভালো থাক।

আপনাকেও শুভেচ্ছা রইল।

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৪৯

ধ্রুব০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।



আপনাকেও শুভেচ্ছা রইল।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৫২

আসফাকুল আমিন বলেছেন: দিন দিন অনুভূতি ভোতা হইয়া যাইতেছে

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:১৯

ধ্রুব০০৭ বলেছেন: আসফাকুল আমিন বলেছেন: দিন দিন অনুভূতি ভোতা হইয়া যাইতেছ।

ভোতা অনুভূতিগুলোকে আবার সূক্ষ্ম করবে এরকম দু'একটি ঘটনা! একটু মন দিয়ে খেয়াল করুন আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনা..........

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৫৯

অপ্‌সরা বলেছেন: আহারে আমার কাছে আসলে আমি নৌকা পিলেন দুইটাই বানায় দিতে পারতাম।

তুমি এতবড় ছেলে নৌকা বানাতে পারোনা কাগজ দিয়ে? ছি ছি ছি :P দাড়াও তোমার জন্য একটা অরিগ্যামী পোস্ট দিতে হবে। তারপর ঐ ছেলেকে গিয়ে নৌকা হাতী ঘোড়া সব বানিয়ে দিয়ে এসো।

১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৫৬

ধ্রুব০০৭ বলেছেন: হা.....হা.........হা..........

কি করবো আপু, ভুলে গেছি!!

দিয়েন একটা অরিগ্যামী পোস্ট। তাহলে আর সমস্যায় পরতে হবেনা।

কমেন্টের জন্য অনেক অনেক অ...নে..........ক থ্যাংকস।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:২০

টোনা বলেছেন: অসাধারন অনুভূতি ভাই .. মানুষ হিসেবে হাজারটা প্লাস নেন ......

২০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:১৬

ধ্রুব০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই.........

৫| ২০ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৭

মুহাম্মদ মোহেব্বুর রহমান বলেছেন: আমি কিছু করতে পারিনি কারো জন্যে। শুধু এধরণের কিছু যখন কোথাও পড়ি চোখদু'টো আদ্র হয়ে যায়।

ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

২১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:০২

ধ্রুব০০৭ বলেছেন: শুধু এই অনুভূতিটাকে বাঁচিয়ে রাখুন নিজের মধ্যে।

কারো জন্য কিছু না করলেও চলবে.......

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:০১

ভিজামন বলেছেন: ভাই,
আফনে কই???

২৩ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:০৯

ধ্রুব০০৭ বলেছেন: কেন ভাই??

আগে যেখানে ছিলাম সেখানেইতো আছি।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৪১

পিংকী বলেছেন: আসলেই ওদের জন্য মাঝে মাঝে অন্য রকম অনুভূতি কাজ করে।
++++++++++

২৩ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:১১

ধ্রুব০০৭ বলেছেন: ঠিক কথাটিই বলেছেন।

মন্তব্য এবং প্লাস দুটির জন্যই ধন্যবাদ।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪

নীল কষ্ট বলেছেন: আপনার কি অবস্থা বি সি এস কি হয়েছে।

আর ক্যাম্পাসে আমিও অনেক সময় বিরক্ত হয়ে যাই ঐ শিশুদের ওপর

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫৩

ধ্রুব০০৭ বলেছেন: হয়নি!!

নন-ক্যাডার নামক ঝুলন্ত মুলোর মায়া কাটিয়ে আবার লিখিত দিলাম!

আল্লাহর রহমতে মাস ছয়েক আগে একটা চাকরি হয়েছে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.