নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার চিন্তা ভাবনার খোলা খাতা আপনাদের সবার ভালো লাগলে ভালো না লাগলে দুঃখিত

মুর্খদের সাথে তর্ক করতে ভাল্লাগেনা,মুর্খ দের এভয়েড করতে ভাল্লাগে

ধ্রুব অন্যকোথাও

আমাকে অমানুষ ডাকুন

ধ্রুব অন্যকোথাও › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলো আসুক ( স্ক্রিপ্ট লেখার প্রচেষ্টা ছিল)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

দৃশ্য-১
বিকাল বেলা।একটা ছেলেকে দেখাবে ছাদে বসে আছে।সিড়িঘরের সাথে হেলান দিয়ে।কানের মধ্যে মোবাইল ফোন।কথা বলেছে আর চোখ মুচছে।
ব্যাকগ্রাউন্ডে পাখির আওয়াজ।গাড়ী,রিকশা ইত্যাদির আওয়াজ।
পাখির উড়ে যাওয়া দেখানো হবে।রাস্তার গাড়ি-ঘোড়া দেখানো হবে।ছেলেটাকে দেখাবে ইমোশনাল হয়ে ফোনে কথা বলে যাচ্ছে।দাত-মুখ খিচিয়ে।
ঐ পুরো সময়ে ভয়েস-ওভারে বাজতে থাকবেঃ
আমরা মানুষেরা এক অদ্ভূত প্রাণী।একা একা থাকা আমাদের জন্য না।একা থাকার ভান করা পর্যন্তই আমাদের সীমা।এরপর আবারো খুজে ফিরি একটু ছোয়া।যেকোন মানুষের ছোয়া।আমার আপনার থেকে শুরু করে সমকামী সবারই একই লক্ষ্য,উদ্দেশ্য,চাওয়া,কামনা।অন্য কারোর একটুখানি ছোয়া।এই কানের মাঝে অন্যকারোর কন্ঠের আওয়াজ।অন্য কারোর একটু খানি মনোযোগ।
প্রাণী হিসেবে আমরা আসলেই অসহায়...অনেক অনেক অসহায়[পাখি উড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ছেলের উঠে দাঁড়ানো পর্যন্ত চলবে]
ভয়েস ওভার শেষ।ছেলে ফোন কেটে উঠে দাঁড়াবে।
দৃশ্য শেষ
দৃশ্য-২
একটা মেয়ে বারান্দার শিক এক হাতে ধরে আছে।আরেক হাত তার কানে।সেই হাতে একটা মোবাইল ফোন।বাইরে বৃষ্টি পড়ছে।শিক ধরে থাকা হাত দিয়ে মাঝে মাঝে বৃষ্টি ছোয়ার চেষ্টা।আর মাঝে মাঝে চোখের কোণের পানি মুচছে।
বারান্দার শিকের বাইরে থেকে মেয়ের উপর ক্যামেরার ফোকাস।মেয়ে ফোন কেটে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।মাটিতে লুটিয়ে পড়বে।বৃষ্টির ভিতর থেকে মেয়েকে দেখানো হবে।হাটু ভেঙ্গে শিক ধরে অঝোরে কান্না করছে।কয়েদিনী টাইপ ফিল/ইমোশন থাকতে হবে।
ভয়েস-ওভার শুরু হবে ফোন কেটে যাওয়ার পর থেকেইঃ[নারী কন্ঠে]
মানুষের অনেক অসহায়ত্বের মাঝে সবচেয়ে বড় অসহায়ত্ব মূলতঃ ইচ্ছা মতন চলতে না পারার অক্ষমতা।ইচ্ছা অনুযায়ী অনেক কিছুই আমাদের হয়ে উঠেনা।কখনোই হয়ে উঠে না।হওয়াটা হয়তোবা ভুল হবে।কিন্তু তা আমাদের ভিতরে থেকে থেকে একদম নষ্ট করে দিচ্ছে তার কি হবে?সেই প্রশ্নের উত্তর কি আছে?কারো কাছে আছে?আমাদের কে আমাদের সমাজ বন্দী করে রেখেছে।আর বলে চলছে তোমাকে নিজের কাছ থেকে বাচানোর উদ্দেশ্যেই তোমাকে আটকে রাখা হয়েছে।তোমাকে নিরাপদ রাখছি।একটা নিয়মের ভিতর দিয়ে চালিয়ে।প্রেম,ভালোবাসা,বিয়ে,পরিবার সবকিছুর জন্যই নিয়ম,নিয়ম আর নিয়ম…
আংগুল তুলে যেন বলছে তুমি বন্দী,তুমি বন্দী।[মেয়ে কান্না করবে আর চলবে]
দৃশ্য শেষ।
দৃশ্য-৩
ব্যাকগ্রাউন্ডের আওয়াজ ছাড়া কোন ধরনের কোন শব্দ নেই।ছেলেটা ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে।একবার ডানে আরেক বার বামে।তারপর মাথা নিচু করে কিছুক্ষন ঝাকিয়ে উঠে পড়লো সে ছাদের রেলিংয়ে।উপর থেকে নিচের দিকে তাকালো।ক্যামেরা সাইড থেকে দেখাবে তাকে।পিছনে সূর্য আর সামনে সেই ছেলে।চোখে পানি।মাথা উপরে দিকে নিলো আর চোখ বন্ধ করলো। আবার নিচের দিকে তাকালো।
ভয়েস ওভার শুরুঃ
আজ আমার জন্মদিন।আর আজকেই আমি আমার জীবনের ইতি টানব।কোন মানে নেই আর এই জীবনের।নেই নেই নেই।ছাদের রেলিংয়ে দাঁড়িয়ে আছি।যেকোন সময়েই লাফটা দিবো।নিচে পড়বো আর রাস্তার মাঝে মাথা টা ফেটে পড়ে থাকবো।রাস্তার মাঝে মানচিত্রের মতন রক্ত ছড়ানো থাকবে।এই জীবনের যা কিছু এই মূহুর্তে বাকি আছে তা এই রাস্তায় ছড়িয়ে যাবে।আমার পরিবার,বন্ধু-বান্ধব সবার কাছেই আমি ব্যর্থতার স্মারকলিপি ছাড়া আর কিছুই না।নিজের হাতে সব কিছু শেষ করে দিয়েছি।যার সবই শেষ তার আর জীবনের কি দরকার?[রেলিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা থেকে শুরু হবে]
দৃশ্যের শেষ।
দৃশ্য-৪
মেয়েটি বারান্দার গ্রীলের সাথে হেলান দিয়ে আছে।হাতে বিশাল এক ছুরি।একপাশ থেকে দেখানো হবে।প্রথমে ঝাপসা থাকবে এরপর একটু কাছে আসবে তারপর স্পষ্ট হয়ে উঠবে মেয়েটি।মেয়েটি অঝোরে কাদছে।হাতের ছুরিটা আরেক হাতের রগের উপর রেখে বসে কাদছে।একবার হাতের দিকে আরেকবার উপরের দিকে তাকাবে।খুবই ধীরে।এরপর মেয়েটি দুই হাতে মুখ ঢেকে শুয়ে পড়বে এক পাশ করে।তারপর আবার উঠে বসবে।ভয়েস-ওভার বাজতে থাকবে।আর মেয়েটা ছুরিটা উল্টায়-পাল্টায় দেখতে থাকবে আর আবার হাতের দিকে তাকাবে বারবার
ভয়েস-ওভার[নারী]
বেচে থাকার দরকার টা কি?আসলে কি দরকার?একদিন তো আবার মাটিতেই ফিরে যাবো তাই না?এমনিতেই চলে যাবো একদিন।আমি নিজের ইচ্ছায় একটু আগে যেতে চাই আরকি।সিরিয়াল ব্রেকের অপরাধ মেয়ে বলে সবাই ক্ষমা করে।ঈশ্বর ও নিশ্চয়ই করবেন।হাতে ছুরিটা নিয়ে মনে হচ্ছে কথাগুলো কতটা সত্য।কে আছে আমার আর?অনিশ্চয়তার দিকেই তো আগাচ্ছি তাই না?কেউ থাকলেও সবকিছু অনিশ্চিত।কেউ না থাকলেও অনিশ্চিত।পড়ালেখার মতন না কেন জীবন টা?সবকিছুতে সূত্রগুলো খাটেনা কেন?ইনপুট আর আউটপুট করেস্পন্ডিং হয় না কেন?আমার জ়ীবনে আমি কি পাপ করেছি?আমার বাবা-মা’র কথা আমি সব শুনেছি।পড়ালেখা করেছি।কিন্তু এখন আমার হাতে ছুরি কেন?সবাইকে দূরে ঠেলে দিতে চাচ্ছি কেন?অনেক দূরে চলে যেতে ইচ্ছা করছে।হাতের ভিতরে দূরে চলে যাওয়ার চাবি আছে।ছুরি দিয়ে কেটে বের করে নিতে হবে।[হাতের ছুরিটা রগের উপর বসানো থেকে শুরু]
দৃশ্য শেষ
দৃশ্য-৫
ছেলে দাঁড়িয়ে আছে।ছাদের রেলিংয়ের উপরে।নিচে তাকিয়ে আছে।খালি রাস্তা।কিছু নেই।কেউ নেই।কয়েক সেকেন্ড দেখানো হবে রাস্তাটা।ছাদ থেকেই।ব্যাকগারাউন্ড নয়েজ ছাড়া কিছু চলবে না।ছেলে লাফ দিবে দিবে ভাব।চেহারায় দোটানা ফুটে উঠতে হবে।
হঠাত মোবাইল বেজে উঠে।ছেলে চমকে উঠে।নিজেকে সামলে নিয়ে রেলিং থেকে নেমে মাটি থেকে ফোনটা তুলে নেয়।নাম্বার টা অপরিচিত।
ফোন রিসিভ করে।
মোবাইলের কন্ঠঃ
কিরে শালা তোর বার্থডে তুই কই?ট্রিট দেওয়ার ডরে লুকাইছোস?শালা নিচে আয়।জানিতো ছাদের মাঝে বইসা সিলভির লগে টাংকি মারতাছোস।নাম নিচে শালা।তুই তো কিপটা তাই আমরাই চলে আইলাম।এক্ষন নিচে নাম।খা*কির পোলা।
ছেলে ফোনটা কান থেকে সরিয়ে নিল।মুচকি হাসি দিয়ে চোখ মুছে নিল।সিড়ি দিয়ে নামতে গেল।
দৃশ্য শেষ
দৃশ্য-৬
মেয়েটা হাতে ছুরি নিয়ে বসে আছে এখনো।এখনো ইনডিসিশনে ভুগছে।ডানে বামে তাকায়।চোখ বন্ধ করে ফেলে।তারপর হাতে ছুরি টা বসায়।চোখ বন্ধ করে ফেলে।হাতে ছুরি লাগিয়ে বসে আছে।২-৩ সেকেন্ড যাওয়ার সাথে সাথে মোবাইল বেজে উঠে।
মেয়ে চোখ খুলে মোবাইল ধরে।
মোবাইলের কন্ঠঃ
কি রে মা?কই তুই?বাসায় আসছিস?তোকে দেখতেছি না কেন?পেয়াজ-মরিচ দিয়ে অনেক তেল দিয়ে ইলিশ মাছের ডিম ভাজছি।আয় চলে আয়।
মেয়েটা উঠে।হাটা শুরু করে।ছুরিটা ফেলে দেয়।মেঝেতে পড়ে থাকে ছুরিটা।
মেয়েটা হেটে চলে যেতে থাকে।ফেড আউট
ভয়েস-ওভার[ভিন্ন পুরুষ]যখন মেয়ে হাটা শুরু করবেঃ
মানবজাতিকে অসহায় করেই সৃষ্টি করা হয়েছে।তাদের নিজস্ব ইচ্ছা ও চিন্তাশক্তি দেওয়া হয়েছে।কিন্তু কি চিন্তা করবে বা কি তার ইচ্ছা তা বলা হয়নি।সবকিছু পেয়েও তাই তারা সবচেয়ে অসহায়।স্রষ্টার একটা সুন্দর খেলা তাই না?ছোট ছোট ব্যাপার গুলোও মানুষের কাছে মাঝে কত বড় হয়ে দাঁড়ায়। সামান্য ব্যাপার ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যায় তাদের আবার তার চেয়েও ক্ষুদ্র ঘটনা ধ্বংসের কিনারা থেকে ফিরিয়ে এনে নতুন জীবন দান করে।স্রষ্টার দেওয়া উপহার এই জীবন নিয়ে তাদের কত হেলাফেলা।।।আশ্চর্য এক প্রজাতি এই মানবজাতি।[মেয়ের উঠে যাওয়া থেকে চলে যাওয়া পর্যন্ত চলবে]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ক্রিপ্ট না শব্দটা খুব সম্ভবত স্ক্রিপ্ট হবে।

গল্পটাও বেশ ভাল হয়েছে, তবে স্ক্রিপ্টের মত ভাবতে গিয়ে সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে গেছে। তবে চেষ্টাটা ভাল। লেগে থাকুন, সময় গেলে এমনিতেই হাতে এসে যাবে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬

ধ্রুব অন্যকোথাও বলেছেন: হ্যা,টাইপিং মিসটেক টা লক্ষ্য করার জন্য ও জানানোর জন্য ধন্যবাদ।হ্যা, লেখাটা ২০১৩ এর।
আমার আরেক লেখা পর্দা(মোস্ট রিসেন্ট) ওইটা পড়ার পরে আপনার মতামত টা জানতে আমি ইচ্ছুক ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্প আকারে লিখুন| এভাবে ঠিক নিতে পারিনি

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

ধ্রুব অন্যকোথাও বলেছেন: হ্যা,স্ক্রিপ্ট হিসাবে ভাবতে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে ভাবটা তাই না?
এইটা আর গল্প হবেনা।তবে নতুন গল্প আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.