![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বেড়ে উঠা মূলত চট্টগ্রামে, হালিশহরে। এরপর কিছুদিন ঢাকায় থেকে অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি শহরে ছিলাম কয়েক বছর। গ্র্যাজুয়েশন করি চার্লস স্ট্যার্ট ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০০৪ এর শেষ থেকে আবার ঢাকায় বাস। কাজ করি www.abac-bd.com তে। আমাদের অন্যতম প্রোডাক্ট হলো notunbazar.com। আশা করি একদিন কৃষক, মজুরদের জন্য কিছু করতে পারব। ভালবাসি আধুনিকতা। বিশ্বাস করি মধ্যম পন্থা। কষ্ট পাই সীমারেখার বিভেদে। "এক পৃথিবী, এক দেশ"। স্বপ্ন দেখি আমার ছেলে একদিন আধুনিক, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ন বাংলাদেশ দেখবে।
তসলিমা নাসরিনকে আমার সবসময় সস্তা লাইক/হিট প্রত্যাশী দের মতো মনে হয়েছে। তিনি সবসময় চাইতেন আলোচনায় থাকতে। সে যাই হোক।
তিনি বলেছেন তিনি এই আন্দোলনের সাথে সহমত, শুধু মৃত্যুদন্ডের বিপক্ষে। আমার মনে হয়, তিনি কখনোই বাংলাদেশকে বুঝতে পারেননি, চেতনায় অনুভব করতে পারেননি, এইটাই তার প্রমান। যে মানুষ কিছু হলেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা জানেন, তিনি নিশ্চয়ই এই রাজাকারদের সবোর্চ্চ শাস্তি চাইবেন। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড, তাই আমরা ফাঁসির দাবিতে লড়ছি। এই সহজ যুক্তি যারা বুঝতে পারেনা, তাদের নিয়ে আমরা না ভাবলেই পারি।
আমরা কোন মতেই রাজাকারদের হাতে বিজয় চিহ্ন সহ্য করতে পারিনা। এটা মনে হয় কোন মানুষ পারবেনা।
’৭১ সালে অনেকে আমাদের সাপোর্ট দেয়নি, বরং বিরোধীতা করেছিল। এবারো অনেকে করবে। তাদের নিয়ে চিন্তা না করে আমরা শুধু আমাদের কাজটাই আরো নিখুঁত ভাবে করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। জয় বাংলা।
সূত্র: এখানে
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
সমকালের গান বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। জয় বাংলা।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
একলা চলো রে বলেছেন: সৌদি আরবে যখন বাংলাদেশীদের মস্তক জনসম্মুখে ছিন্ন করা হলো তখন আমি ফেইসবুক এবং অন্য একটি ব্লগে(যেখান থেকে ছাগুরা মডারেটরদের বলে আমাকে ব্যন করিয়েছে) সর্বোচ্চ শাস্তি ডেথ সেনটেন্স এর বিরোধিতা করেছিলাম|সেখানে আমি দেখিয়েছিলাম যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে কাউকে হত্যা করার আদেশ দেয় না| এটা উচিতও নয়|
পরস্পরবিরোধী হলেও সত্য যে সেই আমিই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে রাজপথে নেমেছি| কারণ আমার Firm-belief যে এখন যদি আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ হয়,তাহলে ওরা আবারও একই কাজ করবে| দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে না|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
সমকালের গান বলেছেন: সহমত। জয় বাংলা।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
মাসরুর প্রধান বলেছেন: আমি মনে করি ওদের ফাসি দেয়া ঠিক হবেনা। ....।
হাত-পা কাইটা (ওইটা সহ) তারপর ছেড়ে দেয়া উচিত।তবে মাসে মাসে খাচায় করে দেশবাসিকে দেখার জন্য বিভিন্ন জেলায় ঘোরানো উচিত।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
সমকালের গান বলেছেন: খিকস্...।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
শিশেন সাগর বলেছেন: হাত-পা কাইটা (ওইটা সহ) তারপর ছেড়ে দেয়া উচিত।তবে মাসে মাসে খাচায় করে দেশবাসিকে দেখার জন্য বিভিন্ন জেলায় ঘোরানো উচিত। ++++++++++
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
সমকালের গান বলেছেন: খিকস্...।
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২২
এই আমি সেই আমি বলেছেন: শাহবাগ অলাগো কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ তাদের এই ফালতু দাবী দাওয়া রেখে তসলিমার দেশে আসার দাবী করলে আন্দোলন আরও যৌক্তিক , বেগবান , এবং দেশের একটা বৃহৎ অংশ এই গণ জাগরণ মঞ্চে হাজির হত ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
খুব সাধারন একজন বলেছেন: সময় যত গড়ায় প্রোপাগান্ডা ততই সূক্ষ্ণ হয়।
পোস্টদাতার উদ্দেশে বলছি না, সার্বজনীন কথা,
*যারা প্রথমদিন লিখেছিল রাজাকারের মুক্তি চাই/জয় রাজাকার/আমি রাজাকার/জামাত জিন্দাবাদ/কাদের মোল্লার জয় ইত্যাদি,
*তারাই দ্বিতীয়দিন লিখেছিল আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলনে নামা বাংলাদেশের সব স্তরের মানুষেরা বেশ্যা, আমরা গাঞ্জুট্টি, নাস্তিক, রেপিস্ট, ভাড়াটে, জুসের বোতল লোভী,
*তৃতীয় দিন লিখেছিল, তারাও বিচার চায়, কিন্তু...
*তারাই চর্তুথ দিন লিখেছিল আমরা ফ্যাসিস্ট,
*পঞ্চমদিন লিখেছিল আমরা আর কয়দিন থাকব- একদিন রাজপথ ছেড়ে দিতে হবে,
*এরপর লিখেছিল আমরা কোটাবাজ (মুক্তিযুদ্ধার সন্তানের কোটা!), সাগর রুনী হত্যা, পদ্মা সেতু, কুইক রেন্টাল,
*সপ্তম দিন আর আমাদের বিরুদ্ধে কিছু বলে না, আওমী দলে থাকা রাজাকার ও ছাত্রলীগের বদনাম,
*এরপর দাড়ি টুপি ও মসজিদের অপমান ও আলেম সমাজ (আসলে শিবির)এর মিছিলে হামলা, সেন্টিমেন্ট নিয়ে টানাটানি, অথচ লক্ষ লক্ষ প্র্যাকটিসিং মুসলিম এই বাংলাদেশের আন্দোলনে জড়িত।
*নবম দিনে বলে, এই আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে, লীগও এই আন্দোলন চায় না, আওয়ামীলীগ করলেই কি যুদ্ধাপরাধ থেকে মুক্তি?
*দশম দিনে হুমকি দেয়, শাহবাগ আন্দোলন সফল তো হবেই না, বরং প্রশাসন ও অন্যান্য জায়গায় এটা হবে, সেটা হবে, শিবির সব মেরে ফেলবে (আন্দোলন শুরুর আগেরদিন যা বলেছিল, সে কথাতে ফিরে গেছে, 'গৃহযুদ্ধ' হুমকি দিলে ফ্যাসিস্ট হয় না, যারা গৃহযুদ্ধ রুখতে চায় তারা ফ্যাসিস্ট!)
আর আজকে একাদশ দিনে তারাই বলছে,
আর শাহবাগ যামু না। শাহবাগ বদলায়া গেছে।
আর তখন মধ্যম মানের শিল্পকর্ম ১০/২০/৩০ খান ফেববু শেয়ার পায়। অথচ বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার বিপ্লব এ অংশ নেয়া সব স্তরের বাংলাদেশের নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করা চমৎকার পোস্টগুলো একটাও প্লাস পায় না, একটাও প্রিয়তে পায় না, একটাও ফেসবুক শেয়ার বা মন্তব্য পায় না।
আর দলে দলে সেখানে সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে 'বাংলার' 'সাধারণ' জনতা যারা শাবাগ যেতে যেতে ক্লান্ত। ভোটের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
বাহ,
আমরা আমাদের র্ধৈয্য দেখে অবাক হচ্ছি।
আমরা এতই বদলে গেছি যে ফুল দিয়ে যুদ্ধ করতে চাই, ফুল বাঁচাতে নয়।
----------------------------
হায়রে, পরিস্থিতি ও প্রচারণা দেখে মনে হয় জামাত শিবিরও কি এইরকম মনে করে?
* ইয়াহিয়া খান- তিরিশ লাখ মারব, বাকিরা আমাদের হাতেই খাবে।
*নিয়াজী- নিচু দেশের নিচু মানুষ। এগুলো মানুষ না,বানর আর মুরগি।
*পাক আর্মির ক্যাপ্টেন- আমরা যাকে খুশি যে কোন কারণে মারতে পারি। এজন্য কাউকে গোণায় ধরি না।
*ভুট্টো, ১৯৭২- আমার সোনার বাংলা আবার আমার হবে।
-------------------------------
কারণ বাংলাদেশের জন্ম যারা চায়নি এবং সেইসব অপরাধীকে যারা টিকাতে চায় তারা একই কথা বলে-
১৯৭১ সালে জামাত ছিল না। গঠন হইসে আশি সালের পর।
২. শিবির বা কোন ছাত্র সঙ্গঠন একাত্তর সালে ছিল না।
৩. একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধা নামে বহুত ডাকাত আর রেপিস্ট ছিল। তারা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াত। লুট করত আর ক্যাম্প করে মেয়ে মানুষ নাচাত।
৪. শিবির জামাতের পক্ষের সঙ্গঠন নয়।
৫. ছাত্রীসংস্থার সাথে জামাতের কোন সম্পর্ক নেই-
৬. এজিদ একজন ন্যায়বিচারক শাসক। তিনি এই দেশে আসলে আমরা সবাই তার হাতে বায়াত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা তুলে দিতাম।
৭. শহীদ বুদ্ধিজীবীর যে ছবি দেয়া হয়। চোখ বাধা ইটপাটকেলের ভিতর পড়ে থাকা অর্ধনগ্ন লাশ, সেগুলো আসলে একাত্তর সালে গণহত্যার শিকার জামাতে ইসলামীর সদস্য।
৮. শিবির, 'একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার'
৯. স্বাধীনতা এনেছি, স্বাধীনতা রক্ষা করব। -মুজাহিদ।
১০. মুজিব ক্ষমা করেছেন। সবাইকে সাধারণ ক্ষমা করেছে। (মিথ্যা কথা এটাও)
১১. বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই।
১২. আমি ক্ষমতায় আসলে কুরআনের আইনে তাদের শাসন করব। তাদের হাত সাক্ষ্য দিবে। পা সাক্ষ্য দিবে। -কা. মো.
১৩. বাঙালি বলতে কোন জাতি নেই।-গোলাম আজম।
১৪. এই যুদ্ধে পরাজয় হলে পূর্ব পাকিস্তানের একজন জামায়াত সমর্থকেরও আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।- গোলাম আজম।
----------------
একাত্তরে কোন ব্যক্তি রাজাকারি করুক আর না করুক, জামাতি সঙ্গঠন সাঙ্গঠনিকভাবেই রাজাকারি করেছে।
এটা ছিল তাদের প্রতিষ্ঠাতা আবুল মিয়ার নির্দেশ। আবুল জামাতি (জামাতিদের পিতা) একাত্তরেও মিডিয়াতে রাজাকারির নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান থেকে-
*সেই নির্দেশ গোআ, ম.র.নিজামী, আআ মুজাহিদ, ওরা পালন করেছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ সারা বাংলার রেজাকার, আল বদর, আল শামস, শান্তি কমিটি পালন করেছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ বর্তমান জামাত পালন করছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ পালনের জন্যই আজো শিবির বলে, 'একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেক বার।'
*সেই নির্দেশ পালন করেই জামাতিরা সব সত্যিকে অস্বীকার করে। একাত্তরকে অস্বীকার করে।
*সেই নির্দেশ পালন করেই এখন প্রোপাগান্ডা চালায়।
*সেই নির্দেশ পালন করেই বাংলাদেশের মানুষকে শত্রু বানিয়ে গৃহযুদ্ধ ঘোষণা করে।
তাই আজকের দিনের জামাত-শিবির সমর্থকদের মধ্যে,
গোলাম আজমের,
বর্তমানের শিবিরের এবং
রাজাকারদের মধ্যে কোন তফাত নেই
জামাতের গোড়ায় দোষ,
জামাতের নীতিতে দোষ,
তাই ব্যক্তি পর্যায়ে জামাত নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা জামাতের সাথে যুক্ত তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি বিধায় স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে ব্যক্তিগত পর্যায়ে জামাত ও তার সমস্ত নীতিগত সমর্থক ও তাদের সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিকতা নিষিদ্ধ করতে হবে।
এই কর্মীদের লিস্ট জামাতের কাছেই রয়েছে। যারা দেখেশুনে এবং বুঝেও এমন অপপ্রচার ও অপশক্তির সমর্থন করতে পারে তাদের নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখা সম্ভব নয়।