![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম সত্তরে এক আলেম পরিবারে। প্রাইমারী শেষ করার আগেই আব্বা জোর করে মাদরাসায় ঢুকিয়ে দিলেন। মাদরাসায় পড়তে মনে চাইছিল না প্রথমে। পরে মাদারাসার দর্শনই নিজের জীবনের রক্ত-মাংসে, সীরাত-সুরতে আর মন-মস্তিস্কে মিশে গেল। এ নিয়ে গর্ব করি। [email protected]
ছোটকাল থেকেই আমি মেয়েদের ভয় করি। এ নিয়ে আম্মার দু:চিন্তার শেষ ছিল না। ঘরে কোন মেয়ে মানুষ আসলে আমি নাকি ঘর থেকে বের হয়ে কোথাও পালিয়ে থাকতাম।
আম্মার বান্ধবীরা এসে আমাকে দেখতে চাইত। আম্মা তখন বলতেন, ও মাইয়া লোক দ্যাখলে পলাইয়া থাহে। তারা বলত, আপা! এটা খুব ভালো লক্ষণ। ও বড় হলে অলী আল্লা অইবে।
আমি ভাবতাম, অলী-আল্লারা বুঝি মেয়েদের-কে ভয় করেই অলী আল্লা হয়।
মেয়েদের যদিও ভয় করতাম, ঐ বয়সেও তাদের কিন্তু ভালো লাগত। তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও তাদের দেখতাম ঠিকই। কখনো দেখতাম বেড়ার ফাঁক দিয়ে, কখনো আর চোখে। আমি দেখবো তারা আমাকে দেখবে না, এমনভাবে।
উঠতি বয়সে আমার ছোট বড় সব ভাইয়েরাই নাকি মেয়েদের কাছে চিঠি চালাচালি করেছে। প্রেমের নামে ফষ্টি নষ্টি করেছে। ঘুর ঘর করেছে মেয়েদের পিছনে।
কিন্তু আমি নাকি কোন বয়সেই কিছু করিনি। আম্মার এ চিন্তা থেকে দু:শ্চিন্তা আসলো, শহীদের কোন সমস্যা আছে। নইলে আমি এত মেয়ে-বিমুখ হয় কি করে?
তিনি প্রায় বলতেন, ওর সাথে বউ থাকবে না। আমি কি যে করি?
আর এ চিন্তা থেকেই আমাকে বিয়ে করালেন একটি ছোট-খাট সুন্দরী, অল্প-বয়সী, সল্প শিক্ষিতা, এক বাপের এক গ্রাম্য দস্যি মেয়ে।
যাকে বিয়ের আগেও আমার পছন্দ হয়নি, পরেও না। কিন্তু নাক-ফুল দিতে গিয়ে তার প্রেমে পড়ে গেলাম। কাউকে দেখতে শুনতে পছন্দ না হলেও তার সাথে এত ভালোবাসাবাসি সম্ভব, এর আগে জানা হয়নি কখনো।
শিউলীরা আসল আমাদের পাশের বাড়ীর দালানে। ভাড়া থাকে। আমার বয়স তখন ১০/১১ আর ওর বয়স ১২/১৩।
আমি তখন ২য় শ্রেণীতে আর শিউলী তৃতীয়তে। ৭৭ সন, মনে আছে। শিউলী অসম্ভব সুন্দরী আর চঞ্চল। কি সাহস! যে আমি মেয়ে দেখলে দৌড়ে পালাই, সেই আমাকে হাত ধরে বলল, শহীদ খেলতে যাবি? ভয় পেলাম। কিন্তু সুন্দরী মেয়ে বলে কথা, যা বলে তা-ই শুনি। যদি না শুনি, মনটা খা খা করে ওঠে।
এ অবস্থা দেখে আম্মা অনেকটা আশ্বস্ত হলেন। তাহলে শহীদের মেয়ে ভীতি ভেঙ্গেছে। আম্মা একদিন শিউলীর মাকে বললেন, আপনার মেয়ে তো আমাদের বিরাট এক উপকার করেছে। শহীদের একটা রোগ আছে, মেয়ে দেখলে ভয় পায়। কিন্তু শিউলী ওর সাথে মিশে ওর ভয় দুর করেছে।
শিউলীর মা বলল, কি বলব আপা! মেয়েটা ভারী দুষ্ট!
ওদিকে আমার বড় বোনেরা বলে, দেখছ! শহীদ কি নিমনিম্মা! মেয়েদের দেখলে নাকি ওর খুব ভয় লাগে। এখন শিউলীর সাথে প্রতিদিন চোর পুলিশ খেলে। ভয় কোথায় গেল?
আম্মা বিষয়টা আব্বাকে জানালেন। আব্বাও খুশী। এর নামই পরিবার। ছোট একটি সদস্যের সামান্য সমস্যায় বড়রা তা নিয়ে পবর্তসম ভাবে।
স্কুল সেদিন বন্ধ। দুপুর বেলা শিউলী এসে বলল, চল, আমাদের বাসায়। তোকে আচার খাওয়াবো। তুই তো আচার খুব ভালবাসো।
আমি বললাম, তোমাদের বাসায় যাবো, তোমার আব্বা আম্মা কিছু বলবে না?
-না, কী বলবে। আব্বা তো এখন বাসায় নেই। শুধু আম্মা আছে।
গেলাম শিউলীর পিছনে। ওর আম্মা পাক ঘরে। আমাকে নিয়ে পাক ঘরে ঢুকে বলল মা! শহীদকে একটু আচার দিই? বলল, দিবি, তা আবার জিগান লাগে নাকি? সারাদিন চুরি করে করে আচার খাও, একটুও জিগাও না, আর এখন জিগাইতে আইচো! ওরে আমার সাধু মা মনি! আমি যেন কিছু বুঝি না!
আসলে মায়েরা মনে হয় সবই বুঝে। সন্তানের মনের ফাইলগুলোর ব্যাক আপ কপি থাকে মায়েদের হৃদয়ে।
শিউলী আমাকে নিয়ে তাদের বড় রুমটায় প্রবেশ করল। আমাকে বয়াম থেকে আচার বের করে দিল। বলল, কেমন লাগে? তুই দশ পয়সা দিয়া যা খাও তার চেয়ে ভাল না? আমি মাথা নাড়ালাম।
একটু পর বলল, বিছানায় শো। আমি শুয়ে পড়লাম। জানিনা কেন শুতে হবে, তবু যেন না বলতে পারি না।
শোয়ার পর শিউলী যা করল সে ব্যাপারে আমার কোন পড়াশুনা ছিল না। দেখা-শোনাও না। প্রথম প্রথম ভালো লাগল। এরপর ব্যথা পেতে লাগলাম। ব্যথার কারণে প্রথম ভালো লাগাটা মিলিয়ে গেল। চরম ঘৃণা লাগল। বমি আসতে চাইল। উঠতে চাইলাম। শিউলী বলল, এই বলদ! আর অল্প একটু।
যখন সরে গেল, আমি উঠে দরজার দিকে দিলাম দৌড়। শিউলী দৌড়ে যেয়ে হাত ধরে বলল, আরে বলদ, লঙ্গি থুইয়া যাও ক্যা?
এ ঘটনার পর থেকে শিউলীকে দেখলেই ভয় লাগত। মেয়ে ভীতি আরো বেড়ে গেল।
বিয়ের পর বউকে ঘটনাটা বললাম। শুনে সে তো হেসে কুটি কুটি। আসলে বউদেরকে -মনে হয়- এ সব কাহিনী বলতে নেই। শোনার সময় মজা করেই শোনে, আবার সময় মত খোটা দেয়।
আমার বউ প্রায়ই বলে, শিউলীর আচার খাওয়ানোর কাহিনীটা একটু বল না!
আমি রেগে যাই। একটা কাহিনী কতবার বলতে মনে চায়? কিন্তু তার শোনায় ক্লান্তি নেই। আমার মুখে শুনে নাকি খূ-ব মজা পায়।
আর প্রায়ই বলে, তুমি আমাকে এ কাজটুকু করে দাও না, তাহলে তোমাকে আমি শিউলীর মত আচার খাওয়াবো। তবে ব্যথা পাবে না। আর আমি বলদের মত নাকি তার কাজ করে দিই।
তার ধারনা হল, এ কথা বললে আমি নাকি গায়ে জোর পাই। অন্যথায় তার কথা শুনি না। এটা নাকি সে বহুবার পরীক্ষা করে দেখেছে।
কিন্তু আমি তো তেমন কিছু অনুভব করি না। যখন ভাল লাগে তার কথা শুনি, যখন লাগে না, শুনি না। কিন্ত তার পর্যবেক্ষণ হল, এ কথা বললেই আমি নাকি তার কাজে শুরু করি। না বললে, করি না।
আমি বউকে বলেছি, বাচ্চাদের সামনে বসে আমার সাথে প্রেম-ভালোবাসার কথা বলবে না। ইয়ার্কী-বাঁদরামি করবে না। ওরা এখন বড় হয়েছে না? বড় ছেলের বয়স আট, নাম রায়হান। আর ছোট ছেলের বয়স ছয়। নাম মারজান। বড়টা একটু উদাসী ভাবের। মেধায় তেমন নয়। আর ছোটটা, মেধায় অসাধারন। কোন কথা একবার বললেই হল। কোন কিছু শুনলে তার সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই থাকে। পাকা পাকা প্রশ্ন করে তাক লাগিয়ে দেয়।
মারজান একদিন আমার পাশে শুয়ে আছে। ওর মা মনে করেছে, ঘুমিয়েছে। আমার কাছে এসে বলল, এই সুখী! শিউলীর আচার খাওয়ানোর কাহিনীটা একটু বলো না!
শুনা মাত্রই মারজান উঠে বসল। বলল, আব্বু! কাহিনীটা কি একটু বল।
ওর মায়ের উপর আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। আমি বকা-ঝকা শুরু করলাম। কিন্তু যত বকি, মারজানের কাহিনী শোনার চাপ তত বৃদ্ধি পায়। ছি! ছি!! ওকে এ কাহিনী কিভাবে বলি?
আমি বউকে বললাম, এখন কেমন হল? তোমাকে কত সতর্ক করেছি, তুমি ছেলেমী ছাড়তে পারো না। এখন ছেলেকে কিভাবে এই কাহিনী শোনাবে? শোনাও! আমি কিছু জানি না।
আমি মারজানকে বললাম, তোমার আম্মু কাহিনী জানে, তার কাছ থেকে শুনে নাও।
-ঠিক আছে আম্মু, তুমিই বল!
-শোনো তাহলে। ছোট বেলায় শিউলী নামের একটি মেয়ে তোমার আব্বুকে আচার খাওয়াবে বলে তাদের বাসায় নিল। আচার খাইয়ে তার দাম তো উসূল করলোই, তারপর ছোট-খাট একটা মার দিল। তোমার আব্বু দৌড়ে বাসায় চলে আসল। এ হল কাহিনী।
আমি দেখলাম, বউটার বুদ্ধিতো বেশ! আমিতো এ রকম বলতে পারতাম না।
বুদ্ধিমত্তার জন্য তাকে ধন্যবাদ দিতে মনে চাইল, দিলাম না।
কারণ মুরব্বীরা বলেছেন: সামনে বসে বউয়ের প্রশংসা করতে নেই। তাহলে বউ মাথায় চড়ে বসবে। বউকে বোকা বানিয়ে রাখবে। তাহলে ঠিক ঠাক থাকবে।
মারজান আমাকে বলল, আব্বু! শিউলী মেয়েটা এখন কোথায় থাকে, আমাকে একটু বলতে পারো?
আমি বললাম, সে আছে না মারা গেছে, কে জানে?
ও প্রশ্ন করল, আব্বু! তোমাকে যখন মার দিল, তখন আমরা কোথায় ছিলাম?
আমি বললাম, তোমরা তখন ঘুমে ছিলে।
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: চমৎকার কথা বলেছেন।
বলেছেন, হালকা লুলানো ভালো,
লুলানো মানে কী উস্তাদ?
২| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:০১
সুমন ঘোষ বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪৪
ডিজিটালভূত বলেছেন: এতো হাসির কি কইলাম?
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:০৩
সাদিক সাদাত বলেছেন: হা হা ... ভাই, শিউলির আচার খাওয়ার গল্পটা আর একবার বলেন না ! !
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: আরেক বার পড়ে নিন!
৪| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:০৭
সাধারণমানুষ বলেছেন:
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪৬
ডিজিটালভূত বলেছেন: হাসতে হাসতে কাইত!
৫| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৩৭
আলিম আল রাজি বলেছেন: ++
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪৬
ডিজিটালভূত বলেছেন: ধন্যবাদ। মাইনাস বেশী পড়তাছে। তাই ডাবল প্লাসের দাম আছে।
৬| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪২
আর.এইচ.সুমন বলেছেন:
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪৮
ডিজিটালভূত বলেছেন: কি ভাই, হাসছেন না কাদছেন? একটু অনুবাদ করে বুঝান।
৭| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪৯
দুখী মানব বলেছেন: হে হে হে
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:১০
ডিজিটালভূত বলেছেন: অন্য রকম হাসি
৮| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৫১
বিবর্ণ সময় বলেছেন: ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:০৩
সাদিক সাদাত বলেছেন: হা হা ... ভাই, শিউলির আচার খাওয়ার গল্পটা আর একবার বলেন না ! !
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:১০
ডিজিটালভূত বলেছেন: যতবার খুশী ততবার পড়েন
৯| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৫৬
নৈশচারী বলেছেন: ভাইজানের মেয়ে ভীতির গফ শুইনা অতিশয় প্রীত হইলাম! শ্যাষ কবে এইরকম সৌন্দর্যপূর্ণ কাহিনী শুনসি বহুত চেষ্টা কইরাও ইয়াদ কর্তে পারতাসিনা! মাইয়ারা যে আসলেই কিরাম ভয়াবহ খান্ডারনি এবং তাগো সামনে আপনার মত অসহায় নিষ্পাপ বালক ও পুরুষরা কেমন নিরুপায় ও লাচার তা বুঝতে এইরকম ব্যক্তিঅভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ জ্ঞানগর্ভ পুস্টের কোনো বিকল্প নাই! জনসচেতনতার স্বার্থে এই মহামূল্যবান পুস্টটিকে স্টিখি করার তেব্র আবেদন জানাইলাম!
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:১৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: গফ শুইনা তো ভয় পাওয়ার কথা, প্রীত হইলেন ক্যান?
১০| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:০৭
আলোর দিশারী বলেছেন: ভূতেই যদি ভয় পায় তাহলে ভয় দেখাবে কে?
এ রকম ঘটনা মেয়েরা লেখলে বাহবা পায়। পুরুষের লিখলে মাইনাচ খায় ক্যান?
একটি ভিন্ন মাত্রার লেখা, তাই প্লাস।
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:১৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: ভাই! ভয় দেখাইতে দেখাইতে ভূত হই নাই। ভয় খাইতে খাইতে ভূত।
১১| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:১৭
মাহমুদ রহমান বলেছেন: মাইনাস...
শিউলীর গল্পটা কি বুঝি নাই, বুঝতেও চাই না।
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:১৯
ডিজিটালভূত বলেছেন: ধন্যবাদ
১২| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:২১
অ্যানালগ বলেছেন: সন্তানের মনের ফাইলগুলোর ব্যাক আপ কপি থাকে মায়েদের হৃদয়ে।[/sb
বাহ! অনেক বড় কথা বলে ফেললেন সহজেই।
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:২২
ডিজিটালভূত বলেছেন: ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ
১৩| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:২৮
পৃথিবীর আমি বলেছেন: ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৫১
বিবর্ণ সময় বলেছেন: ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:০৩
সাদিক সাদাত বলেছেন: হা হা ... ভাই, শিউলির আচার খাওয়ার গল্পটা আর একবার বলেন না ! !
০২ রা জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৫৬
ডিজিটালভূত বলেছেন: পড়তে থাকুন।
১৪| ০২ রা জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০১
সজীব আকিব বলেছেন: সন্তানের মনের ফাইলগুলোর ব্যাক আপ কপি থাকে মায়েদের হৃদয়ে।
বড় ছেলের বয়স আট, নাম রায়হান।
> ও আবার হয়রান হচ্ছে নাতো??
শিউলী দৌড়ে যেয়ে হাত ধরে বলল, আরে বলদ, লঙ্গি থুইয়া যাও ক্যা?
আর প্রায়ই বলে, তুমি আমাকে এ কাজটুকু করে দাও না, তাহলে তোমাকে আমি শিউলীর মত আচার খাওয়াবো। তবে ব্যথা পাবে না। আর আমি বলদের মত নাকি তার কাজ করে দিই।
০২ রা জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৫৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: পড়েছেন তাহলে। ধন্যবাদ।
পরিবারটাই সবচেয়ে বড় বিনোদনের মাধ্যম হতে পারে। পরিবার বাদ দিয়ে আমরা তা খুজতে যাই অন্য কোথাও। বেধে যায় ঝামেলা। এমন যেন না হয়। এ রকম একটা মেসেজ দেয়ার অপচেষ্টা করেছি।
মানে, মাইনাসের হার দেখে অপচেষ্টা বলেছি। আর মেসেজটা মনে হয় স্পষ্ট হয়নি।
১৫| ০২ রা জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:০৮
অলস ছেলে বলেছেন:
আমি মুর্খ মানুষ, উস্তায ডেকে লজ্জা দিলে আর মন্তব্য পাবেন না। আলেমদের কাছে বারবার যাই নবীর উত্তরাধীদেরকে দেখার জন্য, সুযোগ হলে কিছু শিখার জন্য, সুতরাং আপনাদের ছাত্র হতে হবে আমাকে।
'লুলানো' একটি তাৎপর্যপূর্ণ শব্দ। এটা একই সাথে সরাসরি এবং মেটাফরিকাল। আপনারা সম্ভবত বলেন হাক্বিকী এবং মাজাযী/কিনায়াহ (সংজ্ঞা ভুলে গেসে )
আপনার সম্মানে এখানে মাজাযী ব্যবহার হয়েছে। বুঝাতে চেয়েছি, মেয়েরা প্রকৃতিগত ভাবে নরম মনের। তাদের সাথে মিলেমিশে হাসিখুশী ব্যবহার করলেই তারা সন্তুষ্ট হয়ে যায়, অনেক সহজে মন দিয়ে দেয়। সুতরাং পরিবারের সদস্য আত্মীয় স্বজন এমনকি অপরিচিত সবার সাথে হালকা সুন্দর ব্যবহার রাখালেই বহুত কিছু।
(সম্ভবত 'লুলামী'র এই অভুতপূর্ব ব্যাখ্যা ইতিহাসে আজ প্রথমবারের মতো দেয়া হলো )
জুমা পড়ছেন না? না কি মসজিদ থেকেই মোবাইলে?
ভালো থাকুন।
০২ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:২৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: ঠিক আছে, আর কখনো উস্তাদ ডেকে বেয়াদবী করবো না।
আলেমদের কাছে যান শেখার জন্য, এটা আপনার সৌভাগ্য ও কৃতিত্ব।
ব্লগীয় পরিভাষায় লুল ও লুলামী শব্দের ব্যাপক ব্যবহার দেখি। কিন্তু অর্থ বুঝতাম না। কার কাছে জিগাই, ভাবতে থাকি। আজ আপনি যখন ব্যবহার করলেন, তখন জিজ্ঞেস করার সুযোগ পেয়ে গেলাম।
অনেক সময় মনে করতাম, লুলামী শব্দের অর্থ লাম্পট্য, লুচ্ছামী। এটা অনুমানে, জেনে শুনে নয়।
লেখা ও কথা-বার্তায় শালীনতা ও সম্মান বজায় রেখে মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ বা আগ্রহ প্রকাশ অন্যায় নয়।
জানি না একমত হবেন কি না।
জুম্মা পড়েছি। বাসার পাশে মসজিদে। নামাজ পড়েই ল্যাপটপের সামন হাজির।শ
শুভ কামনা
১৬| ০২ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫
হতাশার স্বপ্ন বলেছেন: হে হে হে
০২ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭
ডিজিটালভূত বলেছেন: এত অল্প হাসলে পোষায়?
১৭| ০২ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৩১
অলস ছেলে বলেছেন: লুলামীর সরাসরি অর্থ লাম্পট্যই। তবে এত কড়া অর্থে না, একটু প্রশ্রয়ের সুরে আর কি। বন্ধুরা বন্ধুদেরকে লুইচ্চা ডাকে, অনেকটা সেরকম সম্ভবত।
০২ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪২
ডিজিটালভূত বলেছেন: বুঝলাম। অবস্থা ভেদে অর্থের তাপমাত্রা উঠা-নামা করে।
১৮| ০২ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪১
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ছোট বয়সে একটু আচার খাওয়া দোষের কিছু না!
০২ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনি আমারে বাচাইলেন। আশ্বস্ত হলাম। নয়তো অনেকের ভাব, . . . পাইলে দোররা মারে আমাকে।
১৯| ০২ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:১৪
বায়োস্কোপ বলেছেন: শিউলি কিভাবে ব্যথা দিছে..বুঝি নাই মাইনাচ
০২ রা জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৬
ডিজিটালভূত বলেছেন: বড় হইলে বুঝিবেন।
২০| ০২ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:২২
সবুজ সাথী বলেছেন:
বায়োস্কোপ বলেছেন: শিউলি কিভাবে ব্যথা দিছে..বুঝি নাই
আমিও বুঝিনাই, একটু খোলাসা করেন। আকার ইঙ্গিতে কইলেও হবে।
০২ রা জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৭
ডিজিটালভূত বলেছেন: যা কইছি তা অনেক। আর কমু না।
২১| ০২ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:২৩
সবুজ সাথী বলেছেন: লুঙ্গীই বা খুললো ক্যমনে
০২ রা জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৮
ডিজিটালভূত বলেছেন: ঠিক মনে নেই।
২২| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৫
শাহ্রিয়ার খান বলেছেন:
বায়োস্কোপ বলেছেন: শিউলি কিভাবে ব্যথা দিছে..বুঝি নাই
না বুঝার কি আছে, ওনার নিচে একটা ফোঁড়া ছিলো, শিউলি জানতো আচার খেলে সেটা ফেকে যাবে তার পর একটু খোঁচাতে বেরিয়ে আসবে।
তাই সেদিন শিউলি আচার খাইয়ে ওটা গেলে দিলো তাতেই শহিদ ব্যাথাটা পেল।
সবাই এত বোকা ক্যান?
০২ রা জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২০
ডিজিটালভূত বলেছেন: ভাবছি, আজকালকার ছেলেরা এত বোকা হয় ক্যান?
আমাদের সময় মোবাইল, নেট এগুলো ছিল না। সে জন্য না হয় আমরা একটু বোকা ছিলাম।
২৩| ০২ রা জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩২
মাহবুবা আখতার বলেছেন:
০২ রা জুলাই, ২০১০ রাত ৯:৩০
ডিজিটালভূত বলেছেন: ধন্যবাদ। মনে হয় প্লাস দিয়েছেন।
২৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৪৯
বাংলাকে ভালবাসি বলেছেন:
আবার যদি সেই স্পাইসি সময়গুলো ফিরে পেতাম।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১০ রাত ৯:৫০
ডিজিটালভূত বলেছেন: আফসোস না কইরা একটি বিয়া কইরা ফালান।
নয়তো মূছে যাওয়া স্মৃতিগুলো কেবলই যে পিছু টানবে।
২৫| ১১ ই জুলাই, ২০১০ ভোর ৫:৩১
মোসারাফ বলেছেন: শিউলী আচার খাইয়ে ইজ্জত নষ্ট করল!!!!!!!!
পুরুষের ইজ্জতের দাম আচারের সমান।
১১ ই জুলাই, ২০১০ ভোর ৫:৫১
ডিজিটালভূত বলেছেন: হ্যা, পুরুষের ইজ্জতের কোন দাম নেই।
২৬| ১২ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:০১
রাজীব বলেছেন: ২য় পর্ব কই?
১২ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৮:১৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: আসছে
২৭| ১২ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৪
ভালবাসা চাই বলেছেন: ২য় পর্ব কই?
শিউলী এখন েকাথায় ?
১২ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৮:১৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: আসবে। সেই শিউলী কোথায়, তা নিয়ে এখন আর চিন্তা করি না।
আমার ঘরে এক শিউলী আছে।
২৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০২
Observer বলেছেন: ।
২৯| ১৭ ই মে, ২০১২ দুপুর ১:৩৯
এইযেদুনিয়া বলেছেন: আপনার গল্পটা সত্যিই মজার। ছেলেটি তার ছোটবেলার ঘটনাটা নিয়ে আর দুঃখিত নয়। কিন্তু এর উল্টোটাও হতে পারে।
Click This Link
৩০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:১৩
মহসিন৭১ বলেছেন: হুম ভাল লাগছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫৯
অলস ছেলে বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। সুন্দর।
বাচ্চাদের সামনে একটু হালকা মহব্বত করলে মানসিক স্বাস্থ্য আর পরিবারের সৌন্দর্য্যের জন্য ভালো বৈ খারাপ হয় না, তবে পাগলাভুদাই পশ্চিমাদের মতো একদম কোপাকুপি করা যে ঠিক না তা আপনি ভালোই জানেন।
মাদ্রাসায় পড়ুয়া আর ইসলাম নিয়ে থাকা মানুষগুলা সবসময় মেয়ে থেকে দুরে। এইটা ঠিক না, এই চান্সে প্রগতিশীলরা এসে গঞ্জালেসের মত তারা গুণে যায়। আমার মতে এদেরই মেয়েদের প্রতি এক্সট্রা কেয়ার নিতে হবে। হালকা লুলানো ভালো, সব কিছু সুন্দ্র থাকে, শান্তি থাকে।