![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাকুরী জীবনে একটা নতুন স্বাদ অনুভব করছি। মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে বিনোদন প্রয়োজন। আমিও সব মানুষের একজন।
বেড়ানো পছন্দ সবারই। আমিও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু সময় সুয়োগ আর অর্থ না হলে বেড়ানো সম্ভব হয়ে উঠে না। আমার জীবনে সিলেট বেড়ানোর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবো। শীত চলে গেছে। শীতের সময়ের কথা এখন গরমের সময় বলার জন্য চাইনি। কিন্তু আমার এক ভাইয়ার অনুরোধে তা লিখছি সকল ব্লগের সেই ভাইয়ার সৌজন্যে।
বাদুড় ছাড়া আর কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর ওড়ার ক্ষমতা নেই। কিন্তু আমাদের দেশেই বহুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল উড়ন্ত কাঠবিড়ালি আছে। শুধু অনুমানে বলা হলেও এবারই প্রথম এর দেখা মিলল সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া ও চুনারুঘাটের রেমা-ক্যালেঙ্গায়। বাংলাদেশের সবচেয়ে রহস্যময় এই চিরসবুজ বনে গত মাসে বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষক সানিয়া রাহুল এই উড়ন্ত কাঠবিড়ালিকে শনাক্ত করেন। উড়ন্ত কাঠবিড়ালি চলাচলের সময় উড়ে যায় বলে মনে হলেও এরা সত্যিকার অর্থে ওড়ে না। এদের হাত ও পায়ের সঙ্গে শরীরের পাশ থেকে বের হয়ে আসা এক ধরনের চামড়া সংযুক্ত থাকে, যাদের বলা হয় প্যারাসুট। এই কাঠবিড়ালি প্রজাতিটির চলাফেরা অন্য সাধারণ কাঠবিড়ালির চেয়ে আলাদা। এরা এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে যাওয়ার সময় অনেকক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। আর তা দেখে মনে হবে এরা আসলে উড়ে উড়েই চলাফেরা করে। বিশ্রামের সময় এই প্যারাসুট দৃষ্টিগোচর হয় না। তাদের স্থিতিস্থাপক গুণের কারণে এ প্যারাসুটটি শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। আমাদের দেশে মোট আট জাতের কাঠবিড়ালি আছে বলে বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষকরা ধারণা করেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ডোরা কাঠবিড়ালি। আর সবচেয়ে কম দেখা যায় উড়ন্ত কাঠবিড়ালি নিশাচর প্রজাতির এই স্তন্যপায়ীরা সন্ধ্যায় আশ্রস্থল থেকে খাবারের খোঁজে বের হয় আর ভোর হওয়ার আগেই ফিরে আসে। ফলে সহসা এদের চোখে পড়ে না। দেশে হাতেগোনা দু’চারটি বনে এদের অস্তিত্ব আছে বলে ধারণা করা হয়। খুব অল্প সংখ্যায় চট্টগ্রামের চিরসবুজ বনে আছে এরা। কাঠবিড়ালি সাধারণত গাছের ফলমুল, বাদাম, বাকল, বাকলের নিচের পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করে। সব প্রজাতির কাঠবিড়ালিই জোড়ায় জোড়ায় থাকতে পছন্দ করে। এরা পাতা, খড়কুটো, শৈবাল ও অন্যান্য নরম উপকরণ দিয়ে তৈরি গাছের গর্তে অথবা মগডালে অগোছালো বাসা বানায়। বাসা নিরাপদ মনে হলে একই জায়গায় বারবার বাসা করে, যা তারা শুধু প্রজননের জন্য নয়, ঘুমানোর জন্যও ব্যবহার করে। প্রজনন ঋতুতে মেয়ে কাঠবিড়ালি দুই থেকে চারটি অল্পব্দ বাচ্চা প্রসব করে। রেমা-ক্যালেঙ্গা ছাড়া লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে উড়ন্ত কাঠবিড়ালির দেখা পাওয়া শুধু বন্যপ্রাণীর তালিকাকেই সমৃদ্ধ করেনিÑ এদেশে যে এখনো দু’একটি সমৃদ্ধ বন আছে তারও প্রমাণ মিলল। আর এ বনগুলোকে রক্ষা করা না গেলে উড়ন্ত কাঠবিড়ালির মতো একটি মূল্যবান প্রজাতি এ দেশে আর নাও দেখা যেতে পারে।
১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:১৮
পপি বলেছেন: দুঃখিত। ওটার ছবি উঠানো সম্ভব হয়নি। নয়তো নিশ্চয়ই দিতাম। আপনি সম্ভব হলে শীতের মৌসুমে সিলেটে বেড়িয়ে অাসলে অভিজ্ঞতা হবে।
২| ১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:২০
মুক্ত বয়ান বলেছেন: ওরে.. এইটা তো জীববিজ্ঞানের ক্লাস হইয়া গেল!!
১৫ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:০০
পপি বলেছেন: জী্ব বিজ্ঞান নয়, প্রকৃতি বিজ্ঞান।
৩| ১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:০০
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই পোস্টের হিরো মানে কাঠবিড়ালির ফটুক কৈ?
এখন তো দেখতাছি এই কাঠবিড়ালি দেখনের লিগা অফিস থিকা ছুটি নিয়া অথবা ট্যুরের গাড়ি ঘুরাইয়া দেখটে হইবো!
তাও ভালো একটা সুন্দর জিনিসের খোজ দিলেন, অনেক টা আমাগো পলিটিশিয়ানদের মতো যারা খালি পল্টি দেয়!
১৫ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:০৩
পপি বলেছেন: স্যরি, উদাসী ভাই, কাঠবিড়ালীকে নিয়ে আমাদের জাতীয় কবি মরহুম কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা লিখে গেছেন। ভ্রমন করতে হলে ছুটির প্রয়োজন হলে নেবেন। নয়তো অফিস কামাই করার অভ্যাস থাকলে তো আর ছুটির প্রয়োজন নেই। ধন্যবাদ।
৪| ১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:০৪
এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: কাঠবিড়ালিরে দেখতাম চাই।
১৫ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:০৪
পপি বলেছেন: চোখ বন্ধ করে তাকালেই দেখতে পাবেন।
৫| ১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৫৭
মহলদার বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আমাদর দেশে এই প্রাণীটি আছে জানা ছিল না।
একদম ঠিক কথা -"আর এ বনগুলোকে রক্ষা করা না গেলে উড়ন্ত কাঠবিড়ালির মতো একটি মূল্যবান প্রজাতি এ দেশে আর নাও দেখা যেতে পারে।"
ধন্যবাদ তথ্যবহুল পোষ্টের জন্য।
১৫ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:০৫
পপি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!
৬| ১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:০৭
মহলদার বলেছেন: @আগামী
১৫ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:০৬
পপি বলেছেন: চমৎকার বাদুড়ের ছবি তো!
৭| ১৫ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:০৬
মহলদার বলেছেন: বাদুড়ের ছবি কেন হবে? এটিই উড়ন্ত কাঠ বিড়ালি।
৮| ০৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ৮:০৬
ইতর বলেছেন: এইবার উড়ন্ত কাঠ বিড়ালী বাদ দিয়া অন্য কোন পেরানীর কথা কন? যেমন উড়ন্ত সাপ, উড়ন্ত ভালুক! আপা, রাগ কইরেন না কেমন???????
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৮
পপি বলেছেন: উহু রাগ করিনি। তোমার চাহিদার প্রাণীর সন্ধান পেলে অবশ্যই ব্লগে দেব। এবার খুশি হয়েছো তো ছোট মনি?
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:০৫
আগামি বলেছেন: উড়ন্ত কাঠবিড়ালির যে বিবরন দিলেন তাতে ইহ জনমে তা দেখা হবেনা বলে মনে হচ্ছে । ইস যদি একটা উড়ন্ত ছবি দিতেন !!