নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেশি দিন বাকি নাই

শেষ বারের মতো সতর্ক করছি...

ডাইনোসর

অস্তিত্বহীন ভাবেই বেঁচে আছি।

ডাইনোসর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাঁচা মসজিদ নাকি পাকা মসজিদ? কোনটায় পূণ্য বেশি?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৯

বছর খানেক আগে একবার রাবার বাগান দেখতে গিয়েছিলাম।ভৈরব বাজারে( মৌলভীবাজা)।বাগানের ভিতর দিয়ে হাঁটছি।ছোট ছোট পাহার, কিছু দূর পরপরই বাড়ি ঘর দেখা যায়। প্রায় সকল বাড়িই মাটির দেয়াল টিনের অথবা ধানগাছ বা ছনের ছাওনি। ঘর গুলো আকারেও খুব ছোট। মাটির ঘরের দেয়াল অনেক পূরু হওয়ায়। বাহিরে যতটুকো দেখায় ভেতরের ফাঁকা জায়গা থাকে অনেক কম। সেই তুলনা করলে ঘর গুলো বেশ ছোট ছোট।

বিকালের আলো আঁধারিরে আমরা চারদিক দেখতে দেখতে হাঁটি উদ্দেশ্যহীন ভাবে। কাজ নেই বলেই এভাবে ঘুরতে যাওয়া।এই উঁচু নিচু পথের পাশেই দেখি এটা ইটের ঘর।এখানের বাড়ির ঘর গুলো থেকে কিছুটা বড়। লাল মাটির রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে আমরা কথা বলছিলাম বৃষ্টি হলে এই পথের কি অবস্থা হবে এই নিয়ে। নিশ্চয় ভয়াবহ অবস্থা হয়। পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা যায়, এই রাস্তা পাকা হওয়ার আপাদত কোন সম্ভাবনা নেই।

এই পাহাড়ি রাস্তায় (পায়ে হাঁটা পথ)বাগানের বাইরে থেকে বয়ে ইট নিয়ে আসা হয়েছে ঘর করার জন্য। এই ঘরের মালিক নিশ্চয় প্রতিবেশীর তুলনায় ধনী মানুষ? আমার কৌতুহল হলো। আরো কাছে গেলাম। ঘরটি ইটের তৈরি হলেও খুবই করুন অবস্থা,দেয়ালে প্লাস্টার করা হয়নি, দরজা, জানালায় চাটাই দিয়ে ঢেকে রাখা। দেখে বোঝা যায়, ইট বালি সিমেন্ট যত কম পারা যায় তার চেয়ে কম ব্যবহার করা হয়েছে। বাঁশের খুটির উপরই টিনের চালা দেয়া আছে, বাইরে বেড়া দেয়া হয়েছে ইট দিয়ে।

চার দিকে ঘোরে বুঝতে পারলাম এটা একটা মসজিদ।এই বাগানের যারা বাস করে তাদের কোন ইটের ঘর নেই। তাদের হয়তো ঘর করারই সঙ্গতি নেই। কিন্তু মসজিদটা ইটের করার কারনটা কি?



রাস্তায় চলতে আমরা প্রায়ই দেখি, মসজিদের সামনে মাইক লাগিয়ে পরকালের কথা বলে গান গেয়ে পয়সা চাওয়া হচ্ছে। "কত দিলে কত পাবেন" এই লোভনীয় অফারটা সব সময় জোরে জোরে উচ্চারণ করা হয়। গাড়িতে মসজিদের নির্মাণ কাজের জন্য টাকা তোলা তো খুবই সাধারণ ঘটনা। মসজিদ কমিটিন তাদের মসজিদকে উন্নত থেকে উন্নত করার জন্য কত কিছু করে। জুমার নামাজের দিন, কোথাও কোথাও বাক্স চালান করা হয়( মসজিদের প্রতিটা লাইনে এক মাথা থেকে ছোট ছোট কাঠের বাক্স ছেড়ে দেয়া হয়, লোক জন তাতে টাকা পয়সা দিয়ে পরের জনের কাছে দেয়। এভাবে সবার কাছেই টাকার জন্য বাক্স গুলো যায়)। শীত মৌসুমে বড় বড় আলেম এনে ওয়াজ করানো হয় তারা মসজিদের জন্য ওয়াজ করার মাঝে বড় বড় ডোনেশন কালেক্ট করে দেন।



আমার অভিজ্ঞতায় আমি কখনো দেখিনি মসজিদ কমিটির উদ্দ্যোগে, শীত বস্ত্র সংগ্রহ,বন্যাত্রদের জন্য ত্রান সংগ্রহ, দুস্তদের জন্য সাহায্য করা অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।( ব্যতিক্রম থাকলেও থাকতে পারে)।

কিন্তু মাসজিদ নির্মাণের টাকার জন্য যায় নাই এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবেনা।



আজ তিনটার দিকে একটি বড় মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। চোখে পড়লো কয়েজ জন মুসল্লি তাদের সবারই মাথায় সবুজ পাগড়ি। এবং এদের আয়োজন দেখে বুঝতে পারলাম এরা তাবলিগে আসছে।

কিন্তু সবুজ পাগড়ি কেন?

এরও একটা উত্তর আমার জানা ছিল। বাজারে নবী মুহাম্মদের লাঠি ও পাগড়ির ছবির পোষ্টার কিনতে পাওয়া যায়। সেখানে দেখেছি নবী সবুজ পাগড়ি পড়তেন। নবী প্রথম যে মসজীদ নির্মাণ করেছিলেন তার গম্ভুজ নাকি ছিল সবুজ। সেই ট্রেডিশানের জন্য তারা আজো সবুজ পাগড়ি ব্যবহার করতে ভালবাসেন।

নবী যা করতেন তা করা মুসলমানের জন্য সুন্নত। কিন্তু নবী তো মাটির মসজিদে নামাজ আদায় করতেন, খেজুরের পাটিতে বসতেন। (এমন অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে যেখানে মুসলমানরা নবীর সুন্নত মানতে রাজি নয়)

মাটির মসজিদে নামাজ আদায় করা নিশ্চয় সুন্নত?

খেজুর পাতার পাটিতে বসা নিশ্চয় সুন্নত?

কিন্তু আধুনিক ঈমানদাররা কেন, মাটির মসজিদকে ভেঙ্গে পাকা দালাল করতে এত উঠেপরে লেগেছেন?

কেন খেজুর পাতার পাটি না বিছিয়ে দামি দামি টাইলস লাগাচ্ছেন?



আমাদের মসজিদের সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ছে। হয়তো মুসল্লিদের স্থান সঙ্কুলনের সমস্যার কারনেই নতুন মসজিদ করতে হচ্ছে। বুঝলাম মুসল্লিও বারছে। এখন আর কাঁচা ঘরের মসজিদ খুব একটা চোখে পড়েনা। সবই পাকা দালান,টাইলস, এসি কি নেই। মাঝে মাঝেই দেখি দাবি করা হয় ৮০-৯০% মুসলামানদের দেশ এই বাংলাদেশ। আমরা আশা করতেই পারি সবাই কম বেশি মসজিদে যায়, না গেলে এত মসজিদের হয়তো দরকার হতোনা।এত এবাদবন্দিগি এতো পার্থনা করার পরেও আমাদের দেশ কি করে দুর্নিতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়?

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২০

হমপগ্র বলেছেন: হা হা ...এই প্রশ্নের জবাব চেয়েও অনেকবার পাইনি। এখনও পাচ্ছি না।

আজকে জুমার নামাজে গিয়ে কি মহা জ্ঞানী কথা শুনলাম জানেন?

মসজিদের হুজুর বলতেছেন, বাংলা ভাষায় নাকি আরবী উচ্চারণের জন্য প্রয়োজনীয় বর্ণমালা নেই। "আলহামদুলিল্লাহ" উচ্চারণ করতে নাকি আমাদের হ' এর সাথে আকার যুক্ত করতে হয়। এটা নাকি ঠিক না। বাংলা একাডেমির বিশিষ্ট্যজনদের কাছে তিনি আকুল আবেদন জানিয়েছেন, যেন বাংলায় একটা অক্ষর, যার উচ্চারণ "হা" হয় তা উদ্ভাবন করতে।

কন, কই যামু?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৯

ডাইনোসর বলেছেন: হা হা হা.....

বাংলা ভাষার বর্ণ হবে বাংলা ভাষার জন্য।

এখন ইংরেজীতে যে "ত" এবং "ট" পর্থক্য করতে পারেনা এই জন্য কি তারা আবার নতুন একটা বর্ণ এড করবো??????//

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ভাই এই পোস্টের প্রতিটা কথার সাথে আমি একমত।

আমার গ্রামের বাড়ীর একটা মসজিদ আছে। যদিও ছোটবেলায় বছরে কমপক্ষে একবার হলেও বাড়ী যেতাম বাবার সাথে এখন আর যাওয়া হয় না বিবাহ পরবর্তী দায়িত্ব ও চাকুরীজনিত জটিলতায়।

তো যা বলছিলাম। আমার বাড়ীর সেই মসজিদ আমার ছোটবেলায়ই পাকা মসজিদ ছিলো এবং আমার দেখা ঢাকার আধুনিক মসজিদগুলির চাইতেও অনেকাংশে সুন্দর ছিলো।

তবুও যখনই বাড়ী যেতাম দেখতাম মসজিদের জন্য টাকা তোলার কোন বিরাম নেই।

সবচাইতে আশ্চর্য্যজনক ব্যাপার কি জানেন ? দু তিন বছর পরই দেখতাম মসজিদের পুরোনো টাইলস, রং, দরোজা, জানালার কাঁচ পাল্টানো হয়েছে। এই টাকা আমার বাড়ীর লোকজনই দেয়, যাদের বড় অংশই প্রবাশী। আর এভাবে টাকার নিয়মিত অপচয় করা হয়। দেখার অনেকেই আছে। কিন্তু বলার কেউ নেই।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৬

ডাইনোসর বলেছেন:
ধর্ম সবই পারে। একবার বলবে" অপচয়কারী শয়তানের ভাই"। আবার বলবে" আল্লার ঘরে দান করলে সত্তুর গুন ছোয়াব হবে।

যে মসজিদে দান করাটা কি অপচয় নয়?

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১২

""ফয়সল অভি "" বলেছেন: রমজানের খতমে যেই মসজিদে বিরানি দেয়_সেখানে যাইতে আমার মন বেশী টানে আর তবলীগ পার্টিদের ইফতারি । যেন বরকত বরকত । :-)

তয় শালা যে যাই বলুক পৃথিবীর ঈশ্বর মা_মহাবিশ্বের ঈশ্বরের কথা জানি না । খিয়াল নাই কেডা ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৩

ডাইনোসর বলেছেন:
খাবার লোভ আমারও আছে। আমিও তিনদিনের তবলিকে গিয়েছি।

ধন্যবাদ অভি ভাই।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৯

নতুন বলেছেন: আরব দেশে.... মসজিদে... মোটা ক`াপেট...সেইরকম লাইটিং...সেই রকম ডিজাইনের মসজিদের ভবন...কা`পেটে পা ডুইবা যায়...

মসজিদের পেছনে খরচতো আল্লাহ জন্য নয়....

ঐ খরচ মানুষের পেছনে... যাতে যারা নামাজ পরতে যাবে... তাদের আরামটা ঠিক থাকে...

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৬

ডাইনোসর বলেছেন:
মসজিদে তো খুবই কম সময় থাকে। বাড়িতে বা অফিসে থাকে বেশি।

আপনার তত্ত্ব ঠিক হলে আগে বাড়ি আরামদায়ক করা উচিৎ তার পর মসজিদ।

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৯

নভোচারী বলেছেন: একথা সত্য যে মসজিদের জন্য টাকা তোলা হয়। তবে টাকা কিন্তু মসজিদেরও প্রয়োজন আছে। সেখানে ইমাম, মুয়াজ্জিনের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যার ভেতর বিদ্যুৎ, পানি এসবের বিল থাকে। এসবের জন্য টাকা কে দেবে? কোনো একটা উৎস থেকে সংগ্রহ করতে হবে নিশ্চয়ই। আমাদের দেশে মুসল্লিরা শুক্রবার জুমার নামাজের সময় টাকা দেয়। তবে আপনি যেভাবে বললেন গাড়িতে টাকা তোলা হয় তেমন আমি দেখেনি তবে থাকলেও থাকতে পারে। যদি দেখা যায় মুসল্লিদের দেয়া টাকা থেকে খরচ উঠে আসছে না তবে অন্য কোনো ভাবে টাকা দোষের কিছু না যতক্ষণ না ঐ রাস্তা অন্যায় না হচ্ছে।

একথাও সত্য যে মসজিদ নিয়ে অনেকে ব্যবসা করে। তবে মসজিদের চেয়ে বেশী ব্যবসা হয় মাজার নিয়ে।

নবী(স) প্রথম যে মসজিদ বানিয়েছিলেন তা ছিল মসজিদে কুবা। সেটার গম্বুজ সবুজ ছিল এমন কোনো তথ্য কোথাও পেলাম না। আপনি বোধহয় মসজিদে নববী বোঝাতে চেয়েছেন কারণ এর গম্বুজ সবুজ। যদি তা হয় তবে আপনার ধারণা ভুল হিসেবে উপস্থাপন করা যায়। মসজিদে নববী নির্মাণের সময় গম্বুজটি ছিল না। এটা অনেক পরে নবীজি(স) এর সমাধির উপর নির্মাণ করা হয়। যারা সবুজ পাগড়ি ব্যবহার করে তাদের যুক্তি জানা নেই তবে মসজিদের গম্বুজ সবুজ ছিল আপনার এই ধারণা দূর হবে আশা করি।

মসজিদ কিসের তৈরী তার উপর নির্ভর করে পুণ্য বাড়বে না কমবেও না। নবীর যুগে মাটি দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল কারণ ঐ সময়ে ওখানে মাটি পাথর এসব ছিল প্রধান নির্মাণ উপকরণ। আমাদের দেশে প্রাচীন মসজিদগুলো মূলত চুনসুরকি ইত্যাদি দিয়ে তৈরী। এখন ইট সিমেন্টের যুগ এসেছে তাই এসব দিয়ে নির্মাণ করাটাই যুগোপযোগী। আপনি যে স্থানের উল্লেখ করেছেন সেখানের অধিকাংশ বাড়ি ঘর মাটির কিন্তু মসজিদ ইটের তৈরী কেন এটা আপনার প্রশ্ন। বিষয়টিকে এমনও হতে পারে যে এলাকার লোকজন স্বেচ্ছায় মসজিদ নির্মাণের সময় একে ইট দিয়ে তৈরী করতে চেয়েছে। এমনটা হওয়া অসম্ভব না।

নবী মাটির মসজিদে নামাজ আদায় করতেন, এখন কেন বড় বড় মসজিদ বানাতে হবে- এই জাতীয় কথা বলায় আপনার সুন্নাহ সম্পর্কে জ্ঞানে সীমাবদ্ধতা প্রকাশ পাচ্ছে। সুন্নাহ কী সেটা এখানকার আলোচ্য বিষয় না তাই কিছু লিখছি না। আশা করি আরো পড়াশোনা করবেন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩০

ডাইনোসর বলেছেন:

আপনি বোধহয় ন কারণ এর গম্বুজ সবুজ।

হুম। আমি মসজিদে নববী বোঝাতে চেয়েছি। তখন নামটি নিশ্চিত ছিলাম না।

যারা সবুজ পাগড়ি ব্যবহার করে তাদের যুক্তি জানা নেই

ধারনাটা সবুজ পাগড়িওয়ালারাই তৈরি করেছেন। আপনি তাদের সাথে কথা বললে এমনই বলবে। অন্য কোন কারনও থাকতে পারে।

বিষয়টিকে এমনও হতে পারে যে এলাকার লোকজন স্বেচ্ছায় মসজিদ নির্মাণের সময় একে ইট দিয়ে তৈরী করতে চেয়েছে। এমনটা হওয়া অসম্ভব না।

মানুষের কাছ থেকে জোর করে টাকা নিচ্ছে এমন বলা হয়নি।মানুষ স্বেচ্চায়ই টাকা দেয়। কিন্তু তার পেছনে কিছু মানুষ ইন্দন যেগাতে হয়। না হলে এক টাকা দিলে সত্তুর টাকা দেয়ার লোভ কেন দেখান?

এখন ইট সিমেন্টের যুগ এসেছে তাই এসব দিয়ে নির্মাণ করাটাই যুগোপযোগী।
ধর্মে যে ব্যপার গুলো পক্ষে যায় তাই যুগ উপযোগী করা হয় কেন? যেমন ১৪০০ বছর আগের নারী আইন এই যুগে প্রয়োগ করতে যান কেন? যুগোপযোগী হলে সব বিষয়েই হওয়া দরকার।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪০

ডাইনোসর বলেছেন:


আমার অভিজ্ঞতায় আমি কখনো দেখিনি মসজিদ কমিটির উদ্দ্যোগে, শীত বস্ত্র সংগ্রহ,বন্যাত্রদের জন্য ত্রান সংগ্রহ, দুস্তদের জন্য সাহায্য করা অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।( ব্যতিক্রম থাকলেও থাকতে পারে)।
কিন্তু মাসজিদ নির্মাণের টাকার জন্য যায় নাই এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবেনা।


এই অংশটুকো নিয়ে আপনি কিছুউ বললেন না???

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৭

শয়তান বলেছেন: চট মোড়ানো বাশের টাট্টিতে হাগতে বেশি আরাম নাকি মোজাইক টাইলস ঘেরা সিরামিক কমোডে ?

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩২

ডাইনোসর বলেছেন: এই ভাবে তো ভাইবা দেখি নাই। মসজিদে তো ট্রয়লেট থাকে। কিন্তু বেশির ভাগ সময় তারা এটা তালা বদ্ধ করে রাখে।

তবে সিরামিক কমোড হলেই.....

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৬

নভোচারী বলেছেন: @ হমপগ্র

আপনি যে কথা শুনেছেন তা সত্য। কথাটা যেমন বাংলার জন্য সত্য তেমনি আরবি জন্যও সত্য।

আপনি 'আলহামদুলিল্লাহ' শব্দটি উল্লেখ করেছেন। এখানে 'হা' উচ্চারণটা বাংলার হ দিয়ে সম্ভব না। এখানে যে হ এর কথা বলা হচ্ছে তা মূলত আরবী বর্ণমালার ৬ষ্ঠ অক্ষর। এর উচ্চারণ হয় আমাদের স্বরযন্ত্র যেখানে আছে সেখান থেকে। আমরা যে হ উচ্চারণ করি তার মত একটা বর্ণ আছে আরবিতে যার উচ্চারণ উক্ত স্থান থেকে হয় না। এভাবে আরো কিছু বর্ণ পাবেন যেগুলোকে বাংলা বর্ণ দিয়ে বোঝানো সম্ভব না।

তদ্রুপ কিছু বাংলা বর্ণ আছে যেগুলো আরবিতে লিখে বোঝানো সম্ভব না। যেমন প। আরবিতে প বাচক বর্ণ নেই। যা আছে তা বাংলার ফ বাচক আরবিতে বর্ণটি হল ফা।

এমন কেন হল? কারণ বাংলা ভাষায় এমন কোনো শব্দ নেই যেগুলোর উচ্চারণ উল্লেখিত হ এর মত। যেহেতু শব্দ নেই তাই সেইরূপ বর্ণও গড়ে উঠেনি। আরবিতে প উচ্চারণ করতে হয় এমন কোনো শব্দ নেই তাই তাদের বর্ণমালায় প বাচক বর্ণ নেই। এটা একেক ভাষার বৈশিষ্ট্য। যেহেতু বাংলা ও আরবিতে উল্লেখিত প্রকারের শব্দ নেই তাই এই দুই ভাষায় ঐ রকম বর্ণ তৈরী করা অপ্রয়োজনীয়। তাতে ভাষা ভারাক্রান্ত হবে। যদি উচ্চারণ করতে হয় তবে যে ভাষার উচ্চারণ সে ভাষার নিয়ম মেনেই উচ্চারণ করা উচিত।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৩

ডাইনোসর বলেছেন:
বাংলা ও আরবিতে উল্লেখিত প্রকারের শব্দ নেই তাই এই দুই ভাষায় ঐ রকম বর্ণ তৈরী করা অপ্রয়োজনীয়।

সহমত।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫৯

নরাধম বলেছেন: সবুজ পাগড়ী পড়া ওরা তাবলিগী না, ওরা যথাসম্ভব আল-বায়্যিনাতি পীরের শাগরেদ।

মসজিদের প্রতি আপনার উষ্মাটা পোস্টে ধরা পড়েছে। এত এত মসজিদের হয়ত দরকার নেই দেশে, বিশেষ করে ঢাকা শহরে যেখানে জায়গার সংকট আর প্রচুর মসজিদ অবৈধ জায়গা দখল করে বানানো, আল্লাহর নামে জায়গা দখল করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা। এটার ব্যাখ্যা ধর্মভিত্তিক না, এটার ব্যাখ্যা অর্থনীতি-ভি্ত্তিক। এনিথিং দ্যাট সেলস ওয়েল উইল বি সোল্ড। ধর্মীয় অনুভূতি বিকোয় ভাল, তাই সেটা চলে। এটা এখানে ক্রিস্টান দেশেও যেমন সত্যি, তেমনি ভারতে হিন্দু দেশেও সত্যি।
মসজিদের জন্য টাকা তুলার জন্য যে মাইকে চেঁচায়, সে নিজেও একটা পার্সেন্রটেজ পায় সেখান থেকে। তবে মসজিদের খরচাপাতি আছে, সেসবের জন্য যারা মসজিদে যায় তাদেরকে টাকা দিতেই হবে।

তবে বাংলাদেশে মসজিদে পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ে এরকম সংখ্যা ১% এর কম। শুক্রবারে মসজিদে যত লোক হয় ফজরের নামাজে তার ১%-ও হয়না। তাই মসজিদে গিয়েও দূর্নিতি হচ্ছে কেন সে প্রশ্নের উত্তর এখানে নিহিত, মানে মসজিদ বেশী হলেও মুসল্লী নাই, সবাই শুক্রবারের মুসল্লী, আবার অনেকে শুধু দুই ঈদের মুসল্লী। তাই এত মুসল্লী স্বত্ত্বেও কেন দুর্নীতিতে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয় সেটা অবান্তর প্রশ্ন, প্রশ্নের অনুমিতি "এত মুসল্লী" সেটাই তো ভুল।

নামাজ পড়লে দূর্নীতিপ্রবণতা কমবে কিনা সেটা বেশ তর্কসাপেক্ষ ব্যাপার। এটা নিয়ে কোন গবেষণা করা হয়নি, তাই বলা যায়না। আমার নিজের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে যারা নিয়মিত পাঁচ-ওয়াক্ত মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে তাদের মধ্যে দুর্নীতিপরায়নতার হার কম। তার মানে এই না যে তারা সবাই সাধু, কেউ কেউ নামাজ পড়ে কপাল কাল করে ফেলেও দূর্নীতি করে, কিন্তু এটা আমি নিশ্চিতভাবেই পর্যবেক্ষণ থেকে বলতে পারি তাদের মধ্যে সমাজের নন-নামাজীদের চেয়ে দূর্নীতিগ্রস্ততার "শতকরা হার" কম হবে। উল্লেখ্য এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজীদের কথা বলছি, জুমার নামাজীদের কথা না।

আর কাঁচা বা পাকা মসজিদ এসবের সাথে পূণ্যির কোন সম্পর্ক নাই, হয়ত আপনি নিজেও জানেন, তবুও যাদের অপছন্দ তাদের বাঁশ দেওয়ার সুযোগ কে হাতছাড়া করতে চায়, আপনিও মুসল্লীদের বাঁশদেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করার কারন নেই।

নবী যা করতেন সব মুসলমানদের জন্য করা সুন্নত না। নবীর অনেক "ব্যাক্তিগত অভ্যাস" ছিল, যেগুলো কেউ ইচ্চে করে নবীকে ভালবেসে করতে পারে, তবে তার সাঠে সুন্নাতের সম্পর্ক নাই।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৮

ডাইনোসর বলেছেন: সবুজ পাগড়ী পড়া ওরা তাবলিগী না, ওরা যথাসম্ভব আল-বায়্যিনাতি পীরের শাগরেদ।

তারা তাবলীগেই এসেছে। এই মসজিদটি আমার বাসার খুব কাছা কাছি।

নামাজ পড়লে দূর্নীতিপ্রবণতা কমবে কিনা সেটা বেশ তর্কসাপেক্ষ ব্যাপার। এটা নিয়ে কোন গবেষণা করা হয়নি, তাই বলা যায়না।

নিশ্চয় নামাজ সকল পাপ কাজ থেকে দূরে রাখে। আপনি কি তবে দূর্নিতিকে পাপ বলে মনে করছেন না?[/sb

আমি কিন্তু সবুজ পাগড়ি পরার উদাহরনটা টা দিয়েছিলাম।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:২৩

জাকির হোসেন ডাকুয়া বলেছেন: আমার মতে বাংলা ভাষার বর্ণ হবে বাংলা ভাষার জন্য।

@হমপগ্র : আপনি একটু ভুল বুঝেছেন । ব্যপারটা আকার এর ন্য়। হা এর মত আরেকটা বর্ণ হ্য়ত চাননি তিনি। চেয়েছেন হ এর মতই আরেকটা, যার উচ্চারণ একটু ভিন্ন হবে। ব্যাপারটা জ এবং য এর মত।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৯

ডাইনোসর বলেছেন:


আমার মতে বাংলা ভাষার বর্ণ হবে বাংলা ভাষার জন্য।

সহমত।

১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০২

মগবাজারি বলেছেন: নামাজ পড়লে দূর্নীতিপ্রবণতা কমবে কিনা সেটা বেশ তর্কসাপেক্ষ ব্যাপার।-- (গড়াগড়ি খাওইন্না হাসির ইমো)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩০

ডাইনোসর বলেছেন: নামজ সব রকম পাপ কাজ থেকে দূরে রাখে।

সমস্যা হলো দুর্নতি পাপ কাজের মধ্য পড়ে কিনা?

১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৪

মগবাজারি বলেছেন: দুর্নিতি পাপের মধ্যে পড়ে না। :-B

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৪

ডাইনোসর বলেছেন: হা হা হা...

ঠিক।

১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫০

নভোচারী বলেছেন: নারী আইনের যে বিষয়টি আপনি বললেন তা বিস্তারিত ব্যাখ্যার দাবি রাখে। আমি আইনবিদ না আর এ বিষয়টি পোস্টের উদ্দেশ্যও না। তাই এ নিয়ে কিছু না লিখলাম না।

আপনার মত আমি নিজেও কোনো মসজিদ কমিটিকে দেখিনি এলাকার অভাবীদের সাহায্য করতে বা দুর্গতদের সাহায্য করতে। থাকলেও থাকতে পারে। একমত ছিলাম বলে ঐ বিষয়ে কিছু বলিনি।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৫

ডাইনোসর বলেছেন:
ধন্যবাদ।

১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪১

নরাধম বলেছেন:
সবুজ পাগড়ি একটা জামাতের একজনে বা দুজনে পড়লে সেটাকে তাবলিগী বলে চালিয়ে দেওয়া যায় কিন্তু একটা জামাতের সবাই সবুজ পাগড়ী পড়লে তারা যে কোনভাবেই কাকরাইল থেকে পরিচালিত তাবলিগী জামাত না সেই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। আমি গত আট বছর ধরে তাবলীগে যাই, দেশে এবং যুক্তরাষ্ঠ্রের দুজায়গাতেই চিল্লা দেওয়া লোক, তাই এই ব্যাপারে আমার থেকে খুব বেশী জানবে ব্লগে এরকম লোক খুবই কম। তাবলীগের বড় মুরুব্বীদের সাথে আমার বেশ ভাল সৌহার্দ্য আছে, সেটা কাকরাইলেও আবার এমেরিকায়ও। আমার জানামতে শুধুমাত্র আল-বায়্যিনাত পীরের মুরিদরা গনহারে সবুজ পাগড়ী পড়ে। যাই হোক আপনার দেখা বিশেষ জামাতটা হয়ত কোন কারনে সবাই সবুজ পাগড়ী পড়তেছে সেটা বিশ্বাস করলাম না হয়, হয়ত আপনি জামাতের যে দুতিনজন দেখছেন শুধু তারাই সবুজ পড়তেছে অন্যেরা নরমাল কাপড়চোপর বা পাজামা-পান্জামী পড়তেছে হতে পারে, এটা কোন ইস্যু না, তাই এটা নিয়ে তর্ক করার মানে নাই। আপনি যেহেতু স্বচক্ষে দেখে এটারে তাবলিগী জামাত বলতেছেন সেটাই নাহয় মেনে নিলাম, সেটা আমার অভিজ্ঞতায় যতই উদ্ভট লাগুক না কেন।


"নিশ্চয় নামাজ সকল পাপ কাজ থেকে দূরে রাখে। আপনি কি তবে দূর্নিতিকে পাপ বলে মনে করছেন না?"

আমার কথা থেকে কি দূর্নীতিকে পাপ মনে করছিনা এরকম মনে হচ্ছে? আমার মুখে কথা চাপিয়ে দিচ্ছেন কেন? তর্কে বা যুক্তিতে পেরে না উঠলেই লোকজনে এরকম করে জানি, আপনার সাথে তো আমি কোন তর্কই করছিনা এখানে।
দূর্নীতি পাপের একটা সাবক্যাটাগরী। নামাজ পাপকাজ থেকে দূরে রাখে সেটা ঠিক কিন্তু দূর্নীতি করে নামাজ পড়লে তো তার নামাজই হচ্ছেনা, একবার হারাম খেলে ৪০ দিনের এবাদত কবুল হয়না। আর আগেই বলেছি এটা নিয়ে প্রচুর সংখ্যক গবেষণা হয়নি, তাই যে কোন দাবি শুধুমাত্র দাবিই, আমি দাবি করলে সেটা আপনি দ্বিমত করবেন আপনি করলে আমি দ্বিমত করব। আমার পর্যবেক্ষণ থেকে বলছি যারা পাঁচওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে পড়ে তাদের মধ্যে পাপের (দূর্নীতিসহ) হার নন-নামাজীদের চেয়ে অনেক কম হবে, তার মানে এই না যে খুঁজলে একজন দুজন বা আরো বেশী পাঁচওয়াক্ত নামাজী কিন্তু বিরাট দূর্নীতিবাজ পাওয়া যাবেনা, কিন্তু "শতকরা হার" অনেক কম হবে, এটা আমার পর্যবেক্ষন এবং আপনি দ্বিমত পোষণ করতে পারেন, তাতে সমস্যা নেই।

একজন দেখলাম মসজিদ কমিটি সামাজিক কাজ কেন করেনা সেটা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশে কম্যুনিটি-সার্ভিসের কনসেপ্টটা সেভাবে নাই, সবাই নিজের জীবনের ঝামেলা নিয়ে ব্যস্ত, তাই কেউ ঘরের খেয়ে পরের মোষ তাড়াতে চায়না। গরীব দেশের জন্য এটা কমবেশী সত্য। যেখানে মাসব্যাপী খরচ চালাতে মানুষকে হিমশিম খেতে হয়, নানারকম সমস্যা নিয়ে মানুষ পর্যুদস্ত সেখানে কিভাবে মানুষকে কম্যুনিটি-সার্ভিসে যুক্ত হওয়ার কথা আশা করা যায়। তবুও কেউ কেউ করছে, তারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। তাছাড়া দেশের মসজিদ-কমিটিগুলাতে সাধারণত বেশিরভাগক্ষেত্রেই ক্ষমতাবান লোকরাই যায়, প্রকৃত মুসল্লীরা না। অনেকসময় এরা নিজেরাই দূর্নীতিবাজ আমলা বা নেতা। এদের কাছ থেকে কি আশা করা যায়, সারা দেশ যেরকম মসজিদ কমিটিও সেরকম, ব্যতিক্রম হওয়ার কারন নেই। তাছাড়া মসজিদ কমিটির কাজ মসজিদ পরিচালনা করা, কম্যুনিটি-সার্ভিস করা না, কম্যুনিটি-সার্ভিসের জন্য ভিন্নভাবে অর্গানাইজ হতে হবে। মসজিদ-কমিটির লোকরা হয়ত কমিটির নামে না হলেও নিজে নিজেই সামাজিক-কাজকর্ম করছে বা করছেনা একদমই। ডাক্তারের কাজ রোগী দেখা, তাতেই তার সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হয়, সে রোগী দেখা বাদ দিয়ে যদি কম্যুনিটি-সার্ভিসে বা এইডস-সচেতনতার জন্য মিছিল-মিটিং করে তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশী হয়, তার আসল কাজ করার লোক পাওয়া যাবেনা। তাই যার যা কাজ তার সেটাই করা উচিৎ, মসজিদ-কমিটিকে নির্বাচন করা হয়েছে মসজিদটা ভালমতে পরিচালনা করার জন্য, তারা যদি কিছু কম্যুনিটি-সার্চিস করতে চায়, সেটা ভাল কিন্তু সেটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা।

২১ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬

ডাইনোসর বলেছেন:
আপনার কমেন্ট পড়ে ভাল লাগলো। আমার দেখা মতে যারা তাবলীগ করে তারা তুলনা মুলক ভাবে উদার হয়।

আমি যাদের সবুজ পাগড়িতে দেখেছি। তার কয়েকজন মসজিদে রান্না করার পরে বড় ডিস সাজাতে দেখেছি। কারন তাবলিগের লোকদেরকেই একসাথে খেতে দেখেছি।
যাক এটা মূল কথা নয়।

মসজিদ কমিটি নিয়ে আপনার প্রথম কথাগুলোর সাথে একমত। সব কিছু যখন নষ্টদের অধিকারে যায় তখন মসজিদ মন্দির বাদ যায়না। এটা ঠিক।
তাছাড়া মসজিদ কমিটির কাজ মসজিদ পরিচালনা করা, কম্যুনিটি-সার্ভিস করা না, কম্যুনিটি-সার্ভিসের জন্য ভিন্নভাবে অর্গানাইজ হতে হবে।

মসজিদ-কমিটিকে নির্বাচন করা হয়েছে মসজিদটা ভালমতে পরিচালনা করার জন্য, তারা যদি কিছু কম্যুনিটি-সার্চিস করতে চায়, সেটা ভাল কিন্তু সেটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা।

এই কথা গুলো সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য নয়। সবাই যদি নিজেদের কাজ নিয়ে থাকে এবং আপনি যদি এটাকে সমর্থন করেন, তবে আপনার সাথে এই বিষয়ে তর্ক করে লাভ নেই।







১৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫১

নরাধম বলেছেন: আর বাংলাদেশে কম্যুনিটি-সার্ভিস করলেও তো সমস্যা, সবাই পিছনে লাগে। জাগো-র লোকজন নিজের খেয়ে পরের মোষ তাড়াই, কিন্তু তাতেও তো তারা কি কাপড় পড়েছে, ফেইসবুকে কার সাথে ছবি দিয়েছে এসব নিয়ে ব্লগ হরগরম থাকে, তাদের কাজের দিকে না তাকিয়ে, নিজেরা কিছুই না করে, যারা করছে তাদের ড্রেস ঠিক আছে কিনা সেটা নিয়ে হইচই হয়। আমাদের মানসিকতাই ঠিক নেই, সেখানে কম্যুনিটি-সার্ভিসের কথা বলে লাভ কি। শীতবস্ত্র সংগ্রহের সময় দেখতাম লোকে আমাদেরকে ভিক্ষুকের মত ট্রিট করত। একটা টোকাইদের জন্য নৈশ-স্কুল ফ্রিতে পড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে, সেখানে কি কাহিনী হয় বলতেই ঘৃণা হয়। এরকম একটা নৈশস্কুল আমরা দেওয়ার ট্রাই করেছিলাম, সেটাতে লোকে মনে করা শুরু করল আমরা বিরাট মালদার পার্টী আর নিজেদের লাভের জন্যই স্কুল চালাইতে চাইতেছি। এরকমই যখন মানসিকতা তখন মসজিদ-কমিটি কেন, কেউই কম্যুনিটি-সার্ভিসে আগ্রহী হবেনা। বাঙালির কাজ হচ্ছে ঈর্ষাকাতরতা আর পরচর্চা, এ ছাড়া তাকে দিয়ে আর কিছই হয়না। কেউ কিছু করতে চাইলে দশজনে তার দোষ খুঁজে বের করে তাকে ডিসক্রেডিট করাটাই দায়িত্ব হয়ে যায়, নিজেরা একেকটা শয়তান, কিন্তু আশা করি অন্য সবাই ফেরেস্তার মত হবে।


২১ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৯

ডাইনোসর বলেছেন: জাগো-র লোকজন নিজের খেয়ে পরের মোষ তাড়াই

এখন যে কেউ বলতে পারে , তাদের কাজ লেখা পড়া করা তারা কেন স্কুলের বাইরে কাজ করবে?
প্রতিটা মানুষই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ। এই দায়বদ্ধতা থেকেই আমার প্রশ্ন গুলো করি। একজন ডাক্তার তার ডাক্তারির পাশাপাশি, ধুমপান বিরোধি, এইডস সম্পর্কে সচেতন কার্যক্রমের সহায়তা করতে হবে। আপনি কি বলতে চান ডাক্তারের সময়ের ২৪ ঘন্টাই রোগির কাজে ব্যয় করে? আমরা কেউ করিনা।

১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩১

নরাধম বলেছেন:
"তারা যদি কিছু কম্যুনিটি-সার্চিস করতে চায়, সেটা ভাল কিন্তু সেটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা।"


এই লাইনটা খেয়াল করেননি হয়ত বা। মসজিদ-কমিটির দায়িত্ব যেটা সেটার জন্যই তাদেরকে লায়াবল করা যাবে, অন্যকিছুর জন্য না। কেউ ট্যাক্স না দিলে তাকে জেলে নেওয়া যায় কিন্তু কেউ চ্যারিটি কেন করছে না সেটার জন্য কাউকে লায়াবল করা যায়না। এটা নিজের ইচ্ছে আর সুযোগের ব্যাপার। ডাক্তারকেও তার ডাক্তারিরি জন্য লায়াবল করা যাবে, অন্যকিছুর জন্য না। ডাক্তার ২৪ ঘন্টা রোগীদেখার জন্য ব্যয় না করলেও যে অংশ সে কাজ করবে সে অংশে সে ডাক্তারি করলেই সমাজের গ্রেটার ওয়েলফেয়ার হয়, কারন ডাক্তারির জন্যই সে স্পেশালাইজড এবং স্কিলড, যে যেটাতে স্কিলড সে সেটাতে নিয়োজিত থাকলে সমাজের সার্বিক কল্যান বেশী হয় সবাই সবকিছু করতে চাওয়ার চেয়ে। ধুমপান-বিরোধী, এইডস-বিরোধী এসব কাজকর্মে সময় ব্যয় করাটা তার ইচ্ছে, কেউ তাকে সেজন্য দায়ী করতে পারেনা, তাছাড়া এসবে যারা স্কিলড, এনজিও বা অন্যান্য সচেতনতা সৃষ্টিকারী গ্রুপরা, তারাই এসব করার জন্য বেশী উপযোগী। তারা যেমন এসব বাদ দিয়ে ডাক্তারি করলে সময়ের এবং স্কিলের সদ্ব্যবাহার হবে না তেমনি ডাক্তারেরও উচিৎ তার কাজে সময় দেওয়া, বাকি সময়টাও ডাক্তারিবিদ্যায় ভাল করার জন্য পড়ালেখা বা গবেষণা করা, এভাবেই সমাজের সার্বিক কল্যান হয়। এটাকে ডিভিশান অফ লেইবার বলে, ইকনমিকসের বেসিক প্রিন্সিপল। যাই হোক, আপনি আমার পয়েন্ট বুঝতে পারছেন না হয়তবা, কারন আমার পয়েন্টটা সাধারণদৃষ্টিতে কিছুটা স্বার্থপর শুনায়, যদিও এটা স্বার্থপরতা না। ভাল থাকুন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৫

ডাইনোসর বলেছেন: তাছাড়া এসবে যারা স্কিলড, এনজিও বা অন্যান্য সচেতনতা সৃষ্টিকারী গ্রুপরা, তারাই এসব করার জন্য বেশী উপযোগী।

এসব কাজ যেহেতু গুরোত্বপূর্ণ তাই এই সব কাজ করার জন্য এনজিও গুরোত্বপূর্ণ। আপনি যেহেতু এনজিও নির্ভর সমাজের কথা বলছেন তাই আপনার সাথে আর তর্ক করা যায়না।

আমি মনে করিনা এনজিওর কোন দরকার আছে। এসব একধরনে ফাকি বাজি যারা আমাদের বাঁচতেও দিবেনা আবার মরতেও দিবেনা। তাই আমি কোন ভাবেই চাইনা এনজিও জনগনের চেয়ে বেশি দ্বায়িত্ববান হোক।

আমাদে দেশের ভাল কাজ গুলো আমার দেশের মানুষ স্বপ্রনোদিত হয়ে ই করবে। কোন বিদেশি সাহায্য পোষ্ট এনজিও করুক এটা চাইনা। তাই ডাক্তার থেকে কৃষক প্রত্যেকের তার সমাজের দায় দায়িত্ব আছে। এবং সেই দ্বায়িত্ববোধ থেকে সবাই কাজ করবে।

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৩

নরাধম বলেছেন: অবশ্য আমরা বাংলাদেশীদের প্রবণতা হচ্ছে সবসময়ই ফরজ বাদ দিয়ে নফল নিয়ে টানাটানি, গুতাগুতি। সেক্ষেত্রে বলে লাভ নাই।

১৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯

জগাই মাধব বলেছেন: নরাধম আর মভোচারী। দুজনের কমেন্ট্স ই ভালো লাগল। ঠান্ডা মাথার যুক্তি নির্ভর কমেন্টস গুলো ভালোলাগার দাবিদার বৈকি। ১৫ নং কমেন্টস এর সহিত সহমত।

এটাকে ডিভিশান অফ লেইবার বলে, ইকনমিকসের বেসিক প্রিন্সিপল।

পেশাগত কাজের বাইরের বাড়তি সময় মানসীক চাপমুক্ত থাকা এবং যথাযথ বিনোদন পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
প্রত্যেক পেশার মানুষের উচিৎ নিজস্য পেশায় সর্বচ্চ দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করা। এটা যেমন তার নিজেন জন্য তেমনই সমাজ ও দেশের জন্য জরুরী। একটা উদাহরন দেয়া যায়।

একজন দক্ষ প্রকৌসুলি দৈনিক ৮ ঘন্টা তদারকি করে একটি বাধের কাজ করেন।। প্রতিদিন উক্ত ৮ ঘন্টার বাইরে তার পরিমান মত ঘুম, শরির চর্চা, পাঠভ্যাস, আর দূরদর্শন হল। সে যতটা মনযোগ সন্নিবেশিত করে বাধটা বানাতে পারবে তা একজন চড়েবেড়ানো মানুষের পক্ষে সম্ভব না।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাজের বাইরে অন্য কোন কাজ করতে আগ্রহি নই,, অবসর সময়ে আমি পড়ে আর আড্ডা দিয়ে পার করি। কারো যদি দান সত্ব করতে ইচ্ছা হয় আমার মনে হয় তার সেটা পেশাদার ভাবে করা উচিৎ। তাতে সত্যিকার অর্থে সে কিছু করতে পারবে। পার্টটাইমার কোন কাজের জিনিস না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.