নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে ইদানিং মিডিয়া হাউজগুলো বেশ কিছু প্রতারকদের মুখোশ খুলে দিচ্ছে। ব্যাপারটা প্রশংসার, তবে তারা চাইলে আরো আগে এই প্রতারক-বাটপারদের ব্যাপারে সংবাদ পরিবেশন করতে পারতো, ব্যাপারটা এমন না যে তারা এই বাটপারি গুলো জানতো না। আসলে তখন নিউজ করলে কাটতি পেতো না, ভিক্টিম না দেখালে নিউজ ভাইরাল হয় না।
এই যে ধামাকা, ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, এসপিসি এর মতো কোম্পানি খুলে হাজার কোটি টাকা লুট করা হলো, তাদের প্রতারনার শিকার মানুষদের ভোগান্তি, দূর্ভোগ, কষ্ট নিয়ে নিউজ করা হয়েছে। কোন কোন গ্রাহকের লক্ষ-কোটি টাকার অর্ডার আটকে আছে, তাদের আহাজারি তুলে ধরা হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হলো, এদের প্রতি কি সহমর্মিতা দেখানো উচিৎ? আপনি চাইলে সহমর্মিতা দেখাতে পারেন, আমার কোন সহমর্মিতা/সিম্প্যাথী নাই এদের জন্য। এই বাটপারী প্রতিষ্ঠানগুলো অস্ত্রের মুখে টাকা আদায় করে নাই, বরং লোভের বশে দেশের মানুষরাই সেধে সেধে তাদেরকে টাকা দিয়েছে। অনেকে কম দামে বাইক কিনে মার্কেট প্রাইসে বিক্রি করার আশায় লক্ষ-কোটি টাকা দিয়ে বসে আছে। শর্ট-কাটে বড়লোক হওয়ার ধান্ধা! ই-কমার্স ব্যাপারটাই বাংলাদেশের এই মানুষগুলো বুঝে না, এটা ইনভেস্ট করার জায়গা না। লোভী মানুষের জন্য আমার দু-পয়সারও দরদ নাই।
বাংলাদেশ এক আজব দেশ, এদেশে সরকারী চাকরি পাবার আশায় ঘুষ দিয়ে প্রতারনার শিকার হলে ভিক্টিম সেজে মিডিয়ায় বক্তব্য দেয়, প্রতারকের শাস্তিও হয়। কিন্তু ঘুষ প্রদানকারী ব্যক্তি যিনি সম-অপরাধী, তার শাস্তি হয় না। উল্টো মানুষ তাকে আবেগে সিম্প্যাথী দিয়ে বিচার করে।
জ্বীনের বাদশা/বিকাশ প্রতারকেরা লটারি/লাকি ড্র/গুপ্তধন এর পুরস্কারের কথা বলে মানুষকে প্রতারনা করে, মানুষও টাকার কথা শুনে লোভে ভোদাই হয়ে যায়। হাজার-লক্ষ টাকা চিন্তা না করেই প্রতারকের হাতে তুলে দেয়। এদের জন্য সিম্প্যাথী নাই।
শিরোনামে যেই প্রশ্ন করেছি, তার উত্তরও দিয়ে দিচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষ স্বভাবগত কারনে মূর্খ, নির্বোধ, অত্যন্ত লোভী, অলস এবং ভোদাই টাইপের। এই জন্য বারবার প্রতারনার শিকার হয়। এখানে প্রতারনার ব্যবসা করা সোজা। সেটা ডেস্টিনি, ডোলেন্সার, রিং আইডি হোক বা ইভ্যালি, এরা বুঝতে পেরে সুযোগটা নিয়েছে। অথচ খালি আমরা ব্রিটিশদেরই সুযোগ-সন্ধানী লুটেরা বলে গালি দেই।
আমার ভার্সিটির এক বড় ভাই বলতেন, "ঈশ্বর মানুষ তৈরী করার পরে যখন তাদের বুদ্ধি-সুদ্ধি দিচ্ছিলেন, বাংলাদেশের মানুষগুলো তখন গাঁজা টানতে গেছিলো"
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৪
দিমিত্রি বলেছেন: আসলেই। অথচ এটা বলতে গেলে আপনি শত্রু হয়ে যাবেন
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩১
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমার অত্যন্ত লোভী, হিংসুক এবং স্বার্থপর।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৫
দিমিত্রি বলেছেন: এবং নির্বোধ
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: সরকার দুর্বল তাই বাংলাদেশের মানুষ বারবার প্রতারনার শিকার হয়।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৭
দিমিত্রি বলেছেন: সব কিছুতে সরকারের দোষ খুজলে হবে? দোষটা বাংলাদেশের মানুষেরই। এ দেশের মানুষের লোভ আর বোকামীই সবসময় ডুবিয়েছে। যখন শক্তিশালী সরকার ছিলো, তখনও দেদারসে প্রতারনা হয়েছে।
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: এই ধরনের প্রতারিত হবার মুল কারন লোভ, অজ্ঞতা আর কুশিক্ষা
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৮
দিমিত্রি বলেছেন: সঠিক বলেছেন
৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩১
হাবিব বলেছেন: সাইক্লোন , টর্নেডো সহ আরো হাবিজাবি অফারে ঝুকলে পরিনতি এমনি হয়।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৯
দিমিত্রি বলেছেন: কম টাকায় দামী জিনিষ পাওয়ার লোভ এবং শর্টকাটে টাকা কামানোর ইচ্ছার ফল
৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: সঠিক। বাঙালি সবকিছুতে শর্টকাট খুঁজতে চায়। ইকমার্সে ইনভেস্ট করে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এখানে সেটা আলোচিত হচ্ছে, কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন, আমাদের ব্যবসায়ীরা যেকোনো উপায়ে দ্রুত ধনী হতে চায়, যে চাকরী করে, সেও বিভিন্ন উপায়ে উপরওয়ালার কাছাকাছি পৌঁছুতে চায়, স্টুডেন্টরাও এখন আর মুল বই পড়তে চায় না, পড়ে গাইড....
জাতি হিসেবে আমাদের এই মানসিকতা ইতিবাচক না।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৬
দিমিত্রি বলেছেন: আমাদের জাতি পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত জাতি। এমন স্বভাব নিয়ে কিভাবে যে আমরা পৃথিবীতে টিকে আছি এটাই বিরাট রহস্য। এ বিষয়ে গবেষনা হওয়া দরকার
৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
বিটপি বলেছেন: হিসাবের খাতায় মানুষের কাছেও পাওনা, সাপ্লাইয়ারদের কাছেও পাওনা। তাহলে
ইভ্যালি মানুষের কাছ থেকে যে টাকাগুলো নিয়েছে, সেগুলো এখন কোথায়?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৩
দিমিত্রি বলেছেন: এমডি সাহেবের চার লাখ টাকা বেতন, বউ-শ্যালীকার বেতন, কোটি টাকার গাড়ি, সেলিব্রেটিদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ, বিজ্ঞাপন ও স্পন্সর এসব খাতে ব্যয় হয়েছে। জনগনের আমানতের টাকা নিজের ইচ্ছামতো খরচ করে তিনি "ব্রান্ড ভ্যালু" বাড়িয়েছেন
৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ বিনা শ্রমে বড়লোক হতে চায়।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৪
দিমিত্রি বলেছেন: লোভ, অলসতা ও দূর্ণীতি। আমাদের জাতির পরিচয় এর সাথে সমার্থক হয়ে গেছে।
৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৭
নতুন বলেছেন: লোভী মানুষকে বাটপারেরা সহজে বধ করতে পারে।
আমাদের দেশের মানুষ সচেতন না তাই বাটপারেরা মানুষের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাবার সুযোগ খুজতে থাকে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪২
দিমিত্রি বলেছেন: হ্যা। লোভী ও বোকা মানুষকে সহজে ম্যানিপুলেট করা যায়। এদের মগজ ধোলাই দেয়া সহজ।
১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশের মানুষেরা সাধারণ লোভী হয়। সমস্যা এখানেই।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪১
দিমিত্রি বলেছেন: এটা ভুল কথা। পৃথিবীর বহু দরিদ্র দেশ আছে, যারা জাতি হিসেবে ভীষন সৎ।
১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সবাই না হলেও বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষই দুর্নীতিপরায়ণ এবং লোভী। এ দেশ এবং মানুষগুলো সম্পর্কে হুমায়ুন আজাদের কিছু বক্তব্য আমার কাছে অসাধারণ গভীর বিশ্লেষণাত্মক মনে হয়েছে। যেমন তিনি বলেছিলনেঃ
বাঙালী একশো ভাগ সৎ হবে এমন আশা করা অন্যায়। পঞ্চাশ ভাগ সৎ হলেই বাঙালীকে পুরষ্কার দেয়া উচিত।
তার এ ধরনের কিছু বক্তব্য আমি আগে আমার এক পোস্টে তুলে ধরে ছিলাম। ওগুলো পড়লেই বাঙালী সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা পাওয়া সম্ভব। ধন্যবাদ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৮
দিমিত্রি বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে চায়। এ জন্য নিজের লোভের কথা স্বীকার করতে চায় না, ভিক্টিম হিসেবে সিম্প্যাথী পেতে চায়
১২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১০
জাহিদ হাসান বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ আরও বড় প্রতারিত হবে একদিন, এই সব তালেবানীজমের কওমি মাদরাসা নামক সাপের খামার বাংলা মায়ের বুকে যততত্র গজিয়ে উঠতে দিয়ে। সরকার প্রতিষ্ঠিত আলিয়া মাদ্রাসা দেশের সর্বত্র থাকার পরেও এসব ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত উগ্রবাদী মতাদর্শের কওমি মাদরাসাগুলো কি কাজে লাগে কখনও এই প্রশ্ন আপনারা করেছেন নিজেকে? কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তিই তার ঘরের ভেতরে দুধ-কলা দিয়ে বিষধর সাপের খামার করবে না। করলে তাকে বিরাট মূল্য দিতে হবে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪০
দিমিত্রি বলেছেন: আমাদের দেশের কওমী আর তালেবানদের সাথে মেলানো ঠিক না। তালেবানদের একটা লক্ষ্য ছিলো, দেশের ক্ষমতা দখল করা। তাদের ভেতর মোটামুটি একতা ছিলো। আমাদের কওমীগুলো নিজেরাই একশোটা গ্রুপে বিভক্ত। তাদের নিজেদের ভেতরেই দলাদলি। তারা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পরতে পারে যদি মনিটরিং করা না হয়। কিন্তু তালেবানের পর্যায়ে যাইতে পারবে না।
১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯
জাহিদ হাসান বলেছেন: বাংলার কওমিদের সংগঠন দেওবন্দী ধারার তাবলীগ জামাতকে সৌদি আরবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ সৌদি ফতোয়া বোর্ড ও ধর্মমন্ত্রনালয়ের তামিম ফৌরি বা গুরুত্বপূর্ণ আদেশে লিখা হয়েছে -' তাদের মধ্যে বড় ধরনের আক্বীদাগত বক্রতা রয়েছে। এবং এই সংগঠনটি সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়স্থল।'
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৮
কামাল১৮ বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ সচেতন না এবং লোভী।