![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধেয়ে আসছে 'মহাসেন' কিম্বা 'জামালা' । উপকুলের জনপদ ধ্বংস করে দিতে পারে, আপনার সখের সাজানো বাড়ীটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিতে পারে।
আপনি কি এই জন্য 'মহাসেন' কিম্বা 'জামালা' কে মৃত্যুদন্ড দিতে পারবেন বা দেবেন নাকি আপনার ঘরটি মজবুত করে, নিরাপদ জায়গায় বানাবেন?
গত বছর এক বদ ইহুদি প্রিয় নবীজি (দঃ) কে নিয়ে মহা উস্কানিমূলক এক সিনেমা বানালো--তার উদ্দেশ্যই ছিল মুসলিম বিশ্বে একটা হানাহানি লাগুক--আর অবাক হয়ে দেখলাম সেই ফাঁদে দেশে দেশে মুসলমানরা পা দিল আর নিজেদের মধ্যেই মারামারি কাটাকাটি করে ধ্বংযজ্ঞ চালালো। এক পাকিস্তানেই বোধ করি এই সহিংসতায় মারা গিয়েছিল ৩৫ জন। এটা কি মূর্খতা নয়? কেও চাইল আর আপনাকে ফাঁদে ফেলে দিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি লাগিয়ে দিল?
আবার দেখলাম ভিন্ন চিত্র--- হাজার হাজার জনতার সামনে শত শত কোরান হাদিস পুড়িয়ে ফেলা হল দেশের প্রধান মসজিদের সামনে (৫ মে, ২০১৩) কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে কারো ধর্মানুভূতিতে সামান্যতম আঁচড়টিও লাগল না সেদিন--কাউকেই শুনলাম না এবার কারো ফাঁসী চাই তে, কিছুদিন আগে দেখলাম পবিত্র কাবা শরীফের গিলাফ নিয়ে যুদ্ধাপরাধী বাঁচাতে জঘন্য মিথ্যাচার করলেন 'আমার দেশ' এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান--যাদের ধর্মানুভূতি শুকনো পাতার মতো মরমরিয়ে ভেঙ্গে যায় সেই তওহিদী জনতা, ইসলামের হেফাজতকারীরা তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ! হায়রে ভণ্ডামি !!
ধর্মানুভূতি যাদের মাটির হাঁড়ির মতো যখন তখন ভেঙ্গে যায় তাদের ঈমান খুব দূর্বল। ধর্ম এক কঠিন বিশ্বাসের নাম---যা মেরে ফেললেও ভাঙ্গার কথা নয়। অতএব এই সব ভাঁউতা রেখে সবাই নিজের নিজের ধর্মীয় অনুভূতি শক্ত রাখুন যেনো সামান্য কথায় বা কারো লেখায় সেটি ভেঙ্গে চুড়ে খানখান না হতে পারে।
ধর্মবিশ্বাস এবং পালন মানুষের মৌলিক অধিকার । আমি নিজেও পছন্দ করিনা কেউ কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিক---সবাইকে সচেতন হতে যেমন বলি--তেমনি বলি এই পৃথিবীতে কোন কিছুই সমালোচনার উর্ধে নেই, আপনি আমি চাই বা না চাই যে কোন বিষয় বা বিশ্বাস নিয়ে সমালোচনা হবেই----এই সব সমালোচনার বিপরীতে প্রত্যেকের ধর্মানুভূতি আরো মজবুত হোক যেন কথায় কথায় সেই অনুভূতি ভেঙ্গে চুড়ে না যেতে পারে।
আপনিও অন্য ধর্মের সমালোচনা ছেড়ে দিন---কারো মাটির মুর্তি পুজাকে নিয়ে জঘন্য সমালোচনা ছেড়ে দিন--যার যার ধর্ম তার তার কাছে শ্রেষ্ঠ।
আসুন সবাই সবার ধর্ম এবং বিশ্বাস কে সম্মান করি---তাহলেই কেবল শান্তি আসতে পারে আমাদের পৃথিবীতে।
১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: উঁহু--কুকুরের কাজ কুকুর করেছে---তাতে আমার খারাপ লাগবে কেন? আপনার মা বোনকেও আমি বেশ্যা বলতে পারতাম কিন্তু আমি কুকুর নই--তাই বলিনি----তবে আমি চাইছি আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত করুন @অচিন
২| ১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
অচিন.... বলেছেন: কিন্তু সবাই আপনার মত অনুভুতিহীন না, তাদের খারাপ লাগে যদি তাদের প্রিয়জনকে খারাপ কিছু বলে। আর তখন ই প্রতিবাদ করে। আর সেটাকে যদি আপনি তার মা বোনের প্রতি ভালোবাসার ঘাটতি দেখেন তো তাদের কিছু যায় আসেনা। আমার প্রিয়জনকে গালি দিলে আমি ছেড়ে দিবোনা।
১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: আমি কিন্তু অনুভূতিহীন নই--হলে বিষয়টি নিয়ে লিখতাম না--তাছাড়া দেখুন---বিশেষ ক্ষেত্রে ধর্মানুভূতি আঘাত পাবে আবার বিশেষ ক্ষেত্রে পাবে না--এটাও তো ভন্ডামি --নয় বলুন?
অনেকেই ভুল করতে পারে--আপনি কেন করবেন? বরং যে ভুল করে তাকে বুঝিয়ে ভুল থেকে ফেরানোই তো কাজ। প্রতিটা মানুষই তো আল্লাহর প্রিয় সৃষ্টি---কেউ হয় তো আজ ভুল পথে আছে--কে বলবে কাল সে সঠিক পথে ফিরবে না?
ধরা আর ছেড়ে না দেয়া --এসব শক্তি প্রদর্শন জ্ঞানী লোকের কাজ নয়---মানুষকে বুঝিয়ে সঠিক পথে আনাটাই কাজ। ভাল থাকুন @অচিন
৩| ১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: প্রশ্ন-১: আপনি কত সময় ধরে মানুষকে বুঝিয়ে সঠিক পথে আনাটাই কাজ। কাজ করতে আগ্রহী?
প্রশ্ন-২: অপরাধের শাস্তি কি হবে ? নাকি সবাইকে বোঝানোর সময় দেয়া হবে?
১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২১
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: খুব ভাল একটা প্রশ্ন করেছেন। সময়টা আসলে কাজের উপর, মানুষকে বোঝানোর ক্ষমতার উপর নির্ভর করবে। শুধু শাস্তি প্রয়োগের বিধান করেই কিন্তু অন্যায় দূর করা সম্ভব নয়--তবে শাস্তি একটা থাকতে পারে অন্যায়ের ধরণ এবং প্রকৃতি বুঝে---তা কিন্তু আছেও প্রায় প্রতিটি দেশে--কম বেশী।
ভয় দেখিয়ে মানুষকে অন্যায় থেকে যদি বিরত রাখাই যেতো তাহলে কিন্তু কিছু আইন করলেই পৃথিবী খুব সুখের একটা জায়গা হতো--আসলে মানুষের ভ্রান্তি ঘুচাতে তার মনোজগতে আলো ছড়ানোর কোন বিকল্প নেই।
হিন্দু সমাজে বিধবা বিবাহের প্রচলন করাটা খুব সহজ ছিল না--কারণ শুধু আইন করেই এটি চালু করা সম্ভব ছিল না---কাউকে বিধবা বিবাহে আগ্রহী হতে তাঁকে মানবিক মূল্যবোধে উদীপ্ত হতে হয়েছে--বুঝতে হয়েছে বিধবা হওয়া কোন অপরাধ নয়---এই ধরণের সামাজিক আন্দোলন--খানিকটা সময় হয়তো লেগেছে কিন্তু আজ এসব কিন্তু আর হিন্দু সমাজে সমস্যা হয়ে নেই। ধন্যবাদ আপনাকে @ মাজহারুল হুসাইন
৪| ১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
নয়ামুখ বলেছেন: রাসুলের অপমানে যদি
কাঁদেনা তোর মন,
মুসলিম নয় মুনাফিক তুই
রাসুলের দুশমন.
------কাজী নজরুল
১২ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: মন কাঁদবে না কেন? নিশ্চয় কাঁদবে---তাই বলে উন্মত্ততা করে মানুষ মেরে ফেলতে হবে সেই দুঃখ প্রকাশ করতে?
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই কাজী নজরুলকেই কাফের এবং মুরতাদ ঘোষণা করেছিল----এই একই মৌলবাদী মওদুদী চক্র। আজ আপনি তাঁর উদ্ধৃতি দিলেন ভাল লাগল। নয়ামুখ
৫| ১২ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
রৌদ্দুর মন বলেছেন: লেখকের সাথে একমত...
আমার মতে,
হিন্দু খ্রীস্টানরা যদি তাদের ধর্ম অবমাননার জন্য মানুষ মারতে শুরু করে, তবে পৃথিবীর অনেক মুসলিমের অনেক ওয়াজ, মাহফিল বন্ধ হয়ে যাবে..
কিন্তু তারা তা করে না..
১২ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: খুব ঠিক বলেছে রৌদ্দুর মন।
৬| ১২ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আপনি রসুলের অবমাননা প্রতিহত করতে কি কি করেছেন ?
নাকি শুধু যারা সোচ্ছার হয়েছে, তাদের দোষ খুজেছেন ?
বিবেক প্রতিবন্ধীদের কাছে থেকে এরকম একটা লেখা ছাড়া আর কিছু আসা করি না ।
১২ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি যদি বিবেক প্রতিবন্ধী না হোন--তাহলে আসুন তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেই যারা তাদের সুবিধামতো সোচ্চার হয় এবং সুবিধা মতো কোরান হাদিস পোড়ালেও নীরব থাকে--- কাবা শরীফের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার করলেও সেই লোকের প্রশংসা করে @ সাইবার অভিযাত্রী---
৭| ১২ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
দুই দল মুর্খের জন্য - সমাজের হানাহানি লেগেই থাকবে -
৮| ১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৭
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: ইমরানের পাঞ্জাবির টাঁকা কোথা থেকে আসে, গণজাগরণ মঞ্চের বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে কিছু বল্লেও জখন চেতনাতে আঘাগ লেগে অন্যকে ট্যাগ দেয়া হয় তখন বুঝতে হবে চেতনা দুর্বল এবং ব্যাবসার পণ্য হয়ে গেছে। আমার মা বাপকে কেও উন্মাদ বলে গালি দিলে যদি আমার রাগ না লাগে তাইলে বুঝতে হবে আমার মায়ের প্রতি ভালবাসা অনেক গভির তাই তাকেও কেও গালি দিলেও আমার অনুভুতিতে কিছু আসে যায়না।
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: ইমরানের পাঞ্জাবীর টাকা কোত্থেকে আসে আসে এটা খুবই অরুচিকর একটা প্রশ্ন।
গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে আপনার যুক্তিসঙ্গত প্রশ্নগুলো কি কি একটু বলুন তো--আমিও শুনি।
মা বাবা বা ব্যাক্তির সাথে সম্পর্কের অনুভূতি আর ধর্মের অনুভূতি কি এক করে দেখার সুযোগ আছে? কিসের মধ্যে কি --পান্তা ভাতে ঘি!
আপনার মা বাবা দুজনেই ব্যাক্তি--ধর্মের প্রয়োজনে আপনি তাদেরকেও ছেড়ে যেতে পারেন--কিন্তু বাবা মা র প্রয়োজনে আপনি ধর্ম ছাড়তে পারেন কি?
ব্যাক্তি দোষ করলে তার সমালোচনা/বিচার/শাস্তি/গালাগালি হতেই পারে===কিন্তু ধর্মকে কি আপনি বিচারের কাঠগড়ায় তুলতে পারেন? কিসের সাথে কিসের তুলনা! ভাল করে পড়ে দেখেন আরেকবার--আমি ধর্মকে কটাক্ষকরে কিছু বলিনি--বলেছি ধর্মকে যারা ব্যাবহার করে ইচ্ছেমত ফায়দা লোটে তাদের কথা--- @নিশ্চুপ শরিফ
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
অচিন.... বলেছেন: আপনার বোন একটা বে***।
কি? শুনে খারাপ লাগলো? আমাকে পাল্টা গালী দিতে ইচ্ছে করতেছে? নাকি মারতে ইচ্ছে করতেছে?