নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সরকার মুনীব রেজওয়ান

রায় বাহাদুর মশাইরা আমরা এখন সুসজ্জিত পদাতিক আমাদের সবারই একটা করে জলকামান আছে তরল গোলা, চেম্বার স্ফীত হচ্ছে দিনে দিনে একদিন যদি দাগিয়ে দেই সবাই---আপনারা বঙ্গোপসাগর হয়ে ভাসতে ভাসতে আরব সাগরে গিয়ে পৌঁছে যাবেন মাশাল্লাহ!

সরকার মুনীব রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাওয়া ভবনের হাওয়ায় ভাবনাকে মোর ধাওয়ায়

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩০

বর্তমানে জামাত-মিত্র জোটের স্বাধীনতা বিরোধী, উগ্র ধর্মান্ধপনা, সহিংসতাকে কোন ভাবেই সহ্য করা যায় না। গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে তাদের অপরাজনৈতিক, অগণতান্ত্রিক, মাস্তানবৃত্তিকে আমরা মেনে নিতে পারিনা। দেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তাদের আকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিল বলেই জামাত-মিত্র জোট দেশ এবং দেশের জনগনের উপর খড়গহস্ত হয়েছে এটা বুঝতে সুশীল বুদ্ধী জীবী হবার দরকার নেই। ওরা এখন নির্বিচারের দেশের মানুষ পুড়িয়ে মারছে, রেল লাইন উপড়ে ফেলছে, দেশের সম্পদ বিনষ্ট করছে, সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ারো ভয়াবহ একটি কাজ---বাচ্চাদের ইশকুল পুড়িয়ে দেয়া। জামাতিরা মনে করে এইসব বাতিলি শিক্ষা কার্যক্রম আমাদেরকে নাস্তিক বানাচ্ছে তাই এই সুযোগে এরা জাতীর মেরুদন্ডে আঘাত করেছে



আমাদের দেশে যে রাজনৈতিক বিভাজন সেটি খুব স্পষ্ট। একটি হল স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত চক্র আরেকটি স্বাধীনতার চেতনার পক্ষের শক্তি । এর মাঝখানে আছে কিছু সুবিধাবাদী সুশীল। যারা পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করছে। এই সুশীলেরা তখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে বলেছে দুই কুকুরের লড়াই আর এখন বলছে –মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাণিজ্যের কথা। চেতনা এমন কোন বস্তু বা প্রডাক্ট নয় যা জিম্মি করা যায় বা যা নিয়ে বাণিজ্য হতে পারে। এই সব সুশীলেরা কী বোঝেন না চেতনা এমন এক মানসিক অবস্থা যা আগুণের মতোই , আলোর মশালের মতোই। যা কেড়ে নেয়া যায় না, যা দাবিয়ে রাখা যায় না—যা নিয়ে বাণিজ্য সম্ভব নয়।



ধরেই নিলাম এটি একটী একতরফা নির্বাচন---না, শুধু আমি কেন? এমনি নির্বাচন দেশের কেউই প্রত্যাশা করেন না। এমন কী সরকারী দলের নেতা নেত্রীও সেকথা বলছেন। তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যাবস্থাটি প্রশ্নবিদ্ধ এবং অকার্যকর কারা করল, কেন, কিভাবে করল তাও আমরা দেখেছি। কী নির্লজ্জ প্রয়াস ছিল সেটি যদি কারো মগজ গোল্ড ফিশের মেমরি ক্যাপাসিটির না হয়--মনে থাকবার কথা।



সে যাই হোক ! দুই তৃতীয়াংশ ভোটে গণতান্ত্রীক ভাবে নির্বাচির একটি সরকার---জনগণ যাদেরকে আইন বানানোর ক্ষমতা দিয়েছে তারা যদি একটি আইন পরিবর্তন করে থাকেন সেটি অবশ্যই গণতান্ত্রিক উপায়েই করেছেন। যদি বিরোধী দল সেটিকে অন্যায্য বা ক্ষতিকর মনে করে তারা নিশ্চয় নিজেদের দাবী উচ্চকিত করে তুলে ধরবেন, প্রয়োজনে রাজপথে নামবেন কিন্তু গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে তারা যা কিছু করছেন সেটি কী গণতান্ত্রীক?



লাগাতার হরতাল বা অবরোধ দেবেন--ভাল কথা। এটা আপনাদের দাবী আদায়ের অধীকার (!) তো বটেই ! কিন্তু মানুষ মেরে, সারা দেশ জ্বা্লিয়ে পুড়িয়ে মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে এই কর্মসূচী পালনে মানুষকে বাধ্য করার, জিম্মি করার অধিকার আপনাদেরকে কোন গণতন্ত্র বা সংবিধান দিয়েছে?



সরকার নির্বাচন করবে--আপনারা সেটিকে বর্জন করেছেন ভাল কথা। জনগণকেও বলেছেন এই নির্বাচন বর্জন করতে। তারা যদি আপনাদের পক্ষে স্বতস্ফুর্ত ভাবে এই নির্বাচন বয়কট করে, ভোট দিতে না যায়--তাহলেই তো আপনারা বিজয়ী। কিন্তু তা তো আপনারা করছেন না। আপনারা হরতাল অবরোধ দিয়ে মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে খুব অগণতান্ত্রিক ভাবেই নির্বাচন প্রতিহতের কাজ করছেন। সম্প্রতি নির্বাচন কেন্দ্র হিসেবে ব্যাবহৃত হতে যাওয়া বিদ্যালয়গুলো পর্যন্ত পুড়িয়ে দিয়ে অসভ্যতার চুড়ান্ত কাজটি করছেন।



তাহলে? এসব অগণতান্ত্রিক কাজ কারবার করে কী কখনো কোথাও গণতন্ত্র উদ্ধার হবে? না কী হয়েছে পৃথিবীর কোথাও? আপনাদের ভয় ভীতির কারনে মানুষ যদি ভোট দিতে না পারে বা না যেতে পারে তাহলেও তো আর প্রমাণিত হচ্ছে না যে মানুষ স্বতস্ফুর্ত ভাবে আপনাদেরকে সমর্থন জানিয়েছে।



আজ আবার এক ভিডিও বার্তায় হাওয়া ভবনের হাওয়া পেলাম। তারেক জিয়া বলেছেন ৭২ এর সংবিধান না কী ছিল জনগণের কাছে অনাকাঙ্খিত ! হাসব না কী গলায় দড়ি দেবো? তো লক্ষ মানুষ তাহলে প্রাণ দিল কিসের জন্য? মেজর জিয়াই বা যুদ্ধে নেমেছিল কার হয়ে? তারেক জিয়ার এই ভিডিও বার্তার নিন্দা জানাচ্ছি। ঘৃণা প্রকাশ করছি, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধের উপর এটা একটা কঠিন আঘাত যেখানে তিনি বিরোধী দলের একজন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।



অনেকেই ভাবছেন সরকার যখন দমন পীড়ন করে তাদের আন্দোলন ভন্ডুল করছে যখন তখন তো রাজপথ সহিংস হবেই। আমরাও দেখেছি আমাদের নিজেদের চোখেই। বরং আপনাদের সহিঙ্গস্তার মাত্রা এতোটাই বর্বর হয়ে উঠেছিল যে সরকারের কোন একশন না দেখে দেশের সাধারণ মানুষই বরং বলা শুরু করেছিল--এই দেশে সরকার বলে কোন পদার্থ আছে কী ! ধীরে ধীরে সরকার কঠোর হতে শুরু করলে সেই দায় আপনাদেরই উপর বর্তায় ওহে জন্মান্ধ, দেশদ্রোহী ধর্মোন্মাদ শক্তি এবং তার মিত্র গণ!



অগণতান্ত্রিক, সহিংস, জনবিচ্ছিন্ন, মানুষের জীবিকা জীবন জিম্মি করা আন্দোলন কখনো গণতন্ত্র রক্ষা করে না--পেশী শক্তিকেই উস্কে দেয়। শতবার ভাবুন।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৩

ইউরো-বাংলা বলেছেন: ভাই চমৎকার লিখেছেন, সাধুবাদ দিলাম।

আপনার কাছে ২টি বিষয় জানতে চাই -

১।গণতন্ত্র ও বাকশাল একসাথে চলতে পারে কিনা ?
২।বিয়ে বহির্ভুত সন্তান যদি জারজ হয়, নির্বাচন বহির্ভুত এমপি'রা জারজ এমপি কিনা?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ @ইউরো-বাংলা। আপনার প্রশ্ন দুটোর উত্তর নিম্নরূপ ঃ

১। গণতন্ত্র একটি শাসন ব্যাবস্থা আর বাকশাল একটি বিশেষ রাজনৈতিক কর্মসূচী। আশা করছি এই দুটো বিষয় এবার আপনি নিজেই বুঝে নিতে পারবেন। অবশ্য তার আগে দরকার খুব ভাল করে 'বাকশাল' সম্পর্কে জেনে নেয়া।

২। এই নির্বাচন অবশ্যই আমাদের কারোরই আকাঙ্খানুযায়ী হচ্ছে না এটা যেমন সত্য তেমনি সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় এই নির্বাচন করতেই হতো।

যা হোক! এই নির্বাচনে যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন তারা কেউ নির্বাচন বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হন নি। একটি বিধি সম্মত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়েই তারা নির্বাচিত হয়েছেন।

তাছাড়া বিবাহ বহির্ভূত সন্তান মানেই কী জারজ? যদি তাও হয় তাহলে কিন্তু এই ক'দিন আগেও সারা পৃথিবীর মানুষ একজন বিবাহ বহির্ভূত ভাবে জন্ম নেয়া রাসুল এর জন্মদিন পালন করেছে মহা ধুমধামে। ভেবে দেখুন তাঁকে জারজ বলবেন কী না ! হুম! যদি এভাবে গড়পরতা সবাইকে জারজ বলতেই চান তাহলে একবার ভেবে নিতে বলছি--ঠিক একই প্রক্রিয়ায় আমাদের দেশের অনেক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় -- কী বলবেন তাঁদের ! জারজ? বিএনপির চেয়ার পারসন কি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ভেবে দেখেছেন?

আশা করছি আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর পেলেন।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬

মুহসিন বলেছেন: "আমাদের দেশে যে রাজনৈতিক বিভাজন সেটি খুব স্পষ্ট। একটি হল স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত চক্র আরেকটি স্বাধীনতার চেতনার পক্ষের শক্তি ।"-- তার মানে কি সরকারী দল স্বাধীনতা এনেছে তাই তারা স্বাধীনতার চেতনার পক্ষের শক্তি। আর বিরোধী দল স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত চক্র?

৯৬-তে বিএনপি ছিলো সরকারে, আর তাদের বিপক্ষে আওয়ামী লীগ ও জামাত একজোট হয়েছিলো।
মূলত রাজনীতির প্রয়োজনেই তারা জোট বেঁধেছিলো।

াাআমার মনে হয়, এদেশের সাধারণ জনগণের ভেতরে কোন রাজনৈতিক বিভাজন নেই। এদেশের সবাই নিরীহ এবং তারা চেতনার রাজনীতি -- তা স্বাধীনতার চেতনা হোক, বা জাতীয়তাবাদের চেতনা হোক বা ধর্মীয় চেতনা হোক- এসব রাজনৈতিক বুলি থেকে অনেক দূরে। কাজেই চেতনার রাজনীতিসম্ভূত যে দলাদলি, হিংসা-হানাহানি- গুলি বোমা-- সবই জনগণের প্রত্যাশাকে আহত করছে প্রতিনিয়ত।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪১

উদাস কিশোর বলেছেন: হুম
বেশ তো !

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

ইউরো-বাংলা বলেছেন: ভাই পাছা দিয়া পাহাড় ঠেলার মতো জবাব দিয়েছেন, আপনাকে ধন্যবাদ। =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.