![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলতি বছরেই ফোরজি প্রযুক্তির লংটার্ম ইভাল্যুয়েশন (এলটিই) সেবা পেতে যাচ্ছেন দেশের মোবাইল ফোনের গ্রাহকরা। সেবা চালু করতে ইতিমধ্যেই নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অবশ্য এর আগেই ওয়াইম্যাক্স অপারেটররা এই সেবা চালু করতে পারে বলে জানা গেছে। উচ্চগতির তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা (এলটিই) চালু করতে থ্রিজি সেবাদাতা সেলফোন অপারেটরদের জন্য ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) অবমুক্ত করা হবে। তরঙ্গ বরাদ্দের নিয়ম-কানুন সংশ্লিষ্ট নীতিমালা তৈরি করতে ইতিমধ্যেই ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যেই একটি খসড়া নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তরঙ্গ অবমুক্ত করার জন্য নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহকরা থ্রিজি (তৃতীয় প্রজন্ম) সেবা পাচ্ছেন। এ সেবার মাধ্যমে মোবাইল ফোনে দ্রুতগতির ইন্টারনেট, ভিডিও কলসহ পাচ্ছেন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ। এখন ফোরজি প্রযুক্তির লংটার্ম ইভাল্যুয়েশন (ফোরজি) সেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। দেশে থ্রিজি সেবা দেয়া এই পাঁচটি অপারেটরই ফোরজি প্রযুক্তি চালু করতে পারবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি টেলিযোগাযোগ হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এ খাতে যত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এর মধ্যে অন্যতম থ্রিজি প্রযুক্তি। এখন আমরা ফোরজি নিয়ে কাজ করছি। সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিস (থ্রিজি/ফোরজি) লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোবাইল ফোন অপারেটররা ফোরজি প্রযুক্তি সেবা দেবে। তবে এ জন্য অপারেটরদের আন্তর্জাতিক টেলিকম ইউনিয়নের (আইটিইউ) স্বীকৃতি অনুযায়ী ৬৯৮-৮০৬ মেগাহার্টজ অর্থাৎ ৭০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিতে হবে। যোগাযোগ রাখার জন্যই কেবল মোবাইল ফোন ব্যবহার হচ্ছে না, এটি খুলে দিয়েছে অবাধ তথ্যের দ্বার। মোবাইল ফোনের গ্রাহক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহার। বর্তমানে দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬। এর মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৪১। দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তির পর দেশে এখন চালু রয়েছে থ্রিজি সেবা। এর মধ্যমে গ্রাহকরা মোবাইল ফোনে দ্রুতগতির ইন্টারনেট, ভিডিও কল, জিপিএসের মাধ্যমে পথ নির্দেশনা, টেলিমেডিসিন, উন্নত চিকিৎসা, মোবাইল ফোন সেটেই টিভি দেখা, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সেবা পাচ্ছেন। এমনকি মোবাইল ফোনে প্রতি সেকেন্ডে ২০০ কিলোবাইট ডাটাও পাঠাতে পারছেন। এখন দেশে ফোরজি চালু হলে ইন্টারনেট-গতি বেড়ে যাবে বহুগুণ। এতে মোবাইল ফোনের গ্রাহকরা উন্নত অনলাইন ব্যাংকিং এবং দমেশিন টু মেশিন ইন্টারনেট সংযোগ সেবাও পাবেন খুবই অল্প সময়ে। এরই মধ্যে ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (বিডব্লিউএ) লাইসেন্সধারী তিন প্রতিষ্ঠানকে ফোরজি সেবা চালুর বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে বিটিআরসি। তাদের এ সেবা চালুর জন্য ২৬০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান তিনটি গ্রাহকদের সেবা দিতে নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজও করছে। খুব শীঘ্রই দেশবাসী এর সুফল পেতে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.