![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে চীন ও সুইজারল্যান্ড। রিপাওয়ারিং প্রজেক্ট অব ঘোড়াশাল থার্ড ইউনিট শীর্ষক প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দ্য চায়না এক্সপোর্ট এ্যান্ড ক্রেডিট ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন এবং সুইস এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় মূল কার্যক্রম হচ্ছে ২৬০ দশমিক ৩০ মেগাওয়াট গ্যাস টারবাইন ইউনিট স্থাপন, বর্তমানের ২০১০ মেগাওয়াট স্টিম টারবাইনের রিহ্যাবিলিটেশন এ্যান্ড মডিফিকেশন, হিট রিকভারী স্টিম জেনারেটর সংগ্রহ, পাওয়ার ইভাক্যুয়েশন স্থাপন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। ঘোড়াশাল তৃতীয় বিদ্যুৎ ইউনিটটি ১৯৮৬ সালে স্থাপন করা হয়। তখন এটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২১০ মেগাওয়াট। কিন্তু বর্তমানে এর ক্ষমতা হ্রাস পেয়ে ১৭০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে ৪১৬ দশমিক ৩০ মেগাওয়াট করা সম্ভব। ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ২ হাজার ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পিডিবি গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দরপত্র আহ্বান করেছিল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে টার্নকি কাজের চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বর্তমানে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে সেগুলো অনেক দক্ষ ও আধুনিক হবে। ফলে এখন ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে সেই গ্যাস দিয়েই ৪১৬ দশমিক ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। তাই এর জন্য অতিরিক্ত গ্যাসের প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশ যেহেতু মধ্য আয়ের দেশে যাচ্ছে তাই প্রচুর বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মতো স্বল্প সুদের ঋণ নিয়ে তা পূরণ করা যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.